বাইডেন যখন ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে এসে দাঁড়ালেন, তখন দুপুর পেরিয়ে গেছে। তিনি মুখ খোলার আগেই খবর চাউর হয়ে গেছে। যিনি ফাঁস করেছেন, তার নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাত-সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন, ‘ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত। নভেম্বরের নির্বাচনে আমাদের জেতার সুফল। সবে শুরু। হোয়াইট হাউসে পা রাখার প্রতীক্ষায়। আপনাদের জন্য আরও অনেক সুখবর অপেক্ষা করে আছে।’ কাজেই সাংবাদিকরা যদি বাইডেনের কাছে জানতে চান, এই চুক্তি সম্পাদনের কৃতিত্ব কার? তাদের দোষ দেওয়া যায় না। বাইডেন কিন্তু সে কথা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন, ‘মশকরা করছেন? ছয় মাস আগে গত বসন্তে আমি এই কাঠামোর ভিত্তিতে আলোচনার সূত্রপাত করেছি। তখনই স্বাক্ষর হতে পারত। কিন্তু দুপক্ষই ছুতানাতা ধরে গড়িমসি করল।’ কথা সত্য। কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত চুক্তির কাঠামোর উদ্ভাবক মিশর ও কাতার। বাইডেন প্রশাসন এর পৃষ্ঠপোষক। বাইডেন চেয়েছিলেন নির্বাচনের আগেই এটি স্বাক্ষরিত হোক। ডেমোক্র্যাটদের তাতে সুবিধা হবে। সমালোচকদের মুখ বন্ধ হবে। কিন্তু বাদ সাধলেন যুদ্ধ বন্ধে অনিচ্ছুক বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বিভিন্ন অজুহাত তুললেন, যাতে মধ্যস্থতাকারীরা হালে পানি না পায়। পুরো বিষয় ঝুলে গেল। মার্কিন রাজনীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ নেতানিয়াহু জানতেন, বাইডেন যতই হম্বিতম্বি করুন, নির্বাচন সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস করবেন না, তাতে ইসরায়েল সমর্থক মার্কিন ইহুদিরা বিগড়ে যাবে। নির্বাচনে ট্রাম্পের জেতার সম্ভাবনা অধিক। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হোক এমন কিছু করাতেই ঝুঁকি বরং বেশি। উদারতার জন্য নয়, প্রতিহিংসাপরায়ণ হিসেবেই ট্রাম্পের খ্যাতি। আর সবকিছু ভুললেও কে কবে পা মাড়িয়েছিল, এটি ভোলার লোক নন তিনি। কাজেই চতুর নেতানিয়াহু নিজের মতো চলতে থাকলেন। তার এ মনোভাবের সাম্প্রতিকতম প্রকাশ হচ্ছে, চুক্তি সম্পাদনে সম্মতি জানিয়ে তিনি প্রথম ফোনটি করেছেন ট্রাম্পকে, যিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের অপেক্ষায়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অবশ্য ভুলে যাননি। সহযোগিতার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু সেটি এর পর।
নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হলেন কী কারণে? প্রথমত বাইডেন এবং ট্রাম্পের যৌথ চাপের কাছে তিনি অসহায়। প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া একক সামর্থ্যে অনির্দিষ্টকাল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ইসরায়েলের পক্ষে অসম্ভব, বিশেষত ইরান যখন বৈরী। দ্বিতীয়ত এরই মধ্যে এক বছর কেটে গেছে, কিন্তু নেতানিয়াহু না পেরেছেন হামাসকে সাবাড় করতে, না পেরেছেন জিম্মি উদ্ধার করতে। ইসরায়েলের জনমত ছাড় দিয়ে হলেও জিম্মি উদ্ধারের পক্ষপাতী। তাতে কিছুদিনের জন্য যুদ্ধ স্থগিত থাকলে আপত্তি নেই। নেতানিয়াহুর বিরোধীরা প্রচার চালাচ্ছে, তিনি যুদ্ধ চালু রাখছেন নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে। যুদ্ধ বন্ধ করলে তার পতন অনিবার্য। একে তো হামাসের আক্রমণাত্মক অভিযানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থ হয়েছেন। উপরন্তু যুদ্ধের জন্য দুর্নীতির অভিযোগে তার বিচার প্রক্রিয়া থেমে আছে। কাজেই জিম্মি উদ্ধারে তিনি যে আন্তরিক, সেটি প্রমাণ করতে হলে বর্তমান প্রস্তাবে সায় না দিয়ে তার গত্যন্তর নেই।
বাইডেনের প্রতি সমালোচনা হচ্ছে, তিনি যুদ্ধ বন্ধের গীত গেয়েছেন সত্যি কিন্তু নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে অর্থবহ উদ্যোগ নিতে বরাবরই ইতস্তত করেছেন। অন্যদিকে যুদ্ধ চালু রাখতে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহে তিনি ক্ষণ বিলম্ব বা কার্পণ্য করেননি। তার এ পরস্পরবিরোধী নীতির দুর্বলতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন কুশলী পাকা ঘুঘু নেতানিয়াহু। টাকা ও অস্ত্র নেওয়ার সময় বাইডেনের সব শর্তে রাজি হয়েছেন কিন্তু সেসব হাতে পাওয়ার পর নিজের পথ ধরেছেন। কখনো ইসরায়েলের নিরাপত্তার অজুহাত খাড়া করেছেন, কখনো দোষ দিয়েছেন ইরান-হিজবুল্লাহ-হামাস-হুতি উৎপাতকে, নিজ মন্ত্রিসভার ভিন্ন মতাবলম্বীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজে ট্রিগার চেপেছেন আড়াল থেকে।
ট্রাম্পের ব্যাপার ভিন্ন। যখন ক্ষমতায় ছিলেন জর্ডান উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ইহুদি দখলদারদের অবৈধ বসতি স্থাপন, জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাব লঙ্ঘন করে জেরুজালেমে রাজধানী স্থানান্তর এবং ইসরায়েলের দখলকৃত সিরীয় ভূখণ্ড গোলান হাইটসে স্থায়ী দখলদারিত্বের ঘোষণা, গাজায় স্থায়ী অবরোধ আরোপ ইত্যাদি নেতানিয়াহুর প্রতিটি দুষ্কর্মের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন সমর্থন জুগিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত তার ইহুদি জমি ব্যবসায়ী জামাতা জেরেড কুশনার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোকে রাজি করিয়েছেন। ধারণা ছিল সৌদি আরবকে ভেড়াতে পারলে কেল্লাফতে। এ চুক্তির নিচে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের দাবি চিরতরে চাপা পড়বে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে কোণঠাসা এবং ইসরায়েলকে প্রধানতম শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ইসরায়েলকে সমর্পণ করে চীনের দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবে। কিন্তু হামাসের আকস্মিক হামলা এবং গাজা যুদ্ধে পুরোনো সব হিসাব-নিকাশ এখন গড়বড়। আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব বেড়েছে। চীনের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ইরানের সঙ্গে বৈরিতা কমেছে। এমতাবস্থায় ট্রাম্প টিমের কর্তব্য স্থির করার জন্য সময় দরকার। সর্বোপরি ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ ও উদ্বোধনের প্রাক্কালে টিভি পর্দায় যুদ্ধের বীভৎসতা ও মৃত্যুর ভয়াবহ দৃশ্য নয়ন সুখকর নয়। ট্রাম্প ক্ষমতার সূচনাকালে মার্কিন জনগণের মধ্যে ফিল গুড (feel good) বা সুখ অনুভূতি সঞ্চালিত করতে চান। ফলে বাইডেনের ভাষায় ‘বিদায়ী ও আগত’ দুপক্ষ একই অভিন্ন স্বরে কথা বলেছেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি তারই সুফল।
সে তো গেল। চুক্তিতে কী আছে? চুক্তিটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। চুক্তির প্রথম ধাপ ৪২ দিনব্যাপী। প্রথম দিন থেকেই সশস্ত্র হামলার অবসান হবে। হামাস ২০২৩-এর ৭ অক্টোবরের জিম্মিদের মধ্যে ৫ জন নারীসহ পঞ্চাশোর্ধ্ব ও অসুস্থ এমন ৩৩ জনকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারারুদ্ধ বন্দিদের এক হাজারজন ছাড়া পাবেন। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার জনবহুল এলাকাগুলো ত্যাগ করবে। যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিন থেকে বাস্তুচ্যুত প্যালেস্টাইনিরা উত্তর গাজায় ঘরে ফেরার অনুমোদন পাবেন। প্রতিদিন খাদ্য, খাবার পানি ও ওষুধ বহনকারী ৬০০ ট্রাকের ঢোকার ক্ষেত্রে ইসরায়েল বাধা দেবে না।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে পর্যায়ক্রমে বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন। গাজা এবং মিশরেরর সীমান্তবর্তী আট মাইল দীর্ঘ ফিলাডেলফিয়া করিডোরের স্থানবিশেষ ছাড়া ইসরায়েল সেনাবাহিনী গাজা থেকে প্রত্যাহার শুরু করবে। ইসরায়েলের কাছ থেকে রাফা বর্ডার ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণভার মিশরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর যুদ্ধের স্থায়ী নিষ্পত্তির আলাপ-আলোচনা শুরু হবে তৃতীয় ধাপে। এই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কতটুকু? মনে রাখতে হবে, চুক্তির অভাবে নয়, প্যালেস্টাইন সমস্যা ঝুলে আছে চুক্তির বাস্তবায়নে সমস্যার কারণে। যার দায় পূর্ণতঃ ইসরায়েলের। ক্যাম্প ডেভিড একর্ড দিয়ে শুরু করা যাক, ১৯৭৯ সালে যা স্বাক্ষরিত হয়েছিল মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিনের মধ্যে। চুক্তিতে ছিল পাঁচ বছরের মধ্যে ইসরায়েল মিশর এবং জর্ডানের সঙ্গে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজায় প্যালেস্টাইনের স্বশাসন এবং পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে বিরোধের ফয়সালা করবে। এটি ভুলে যেতে ইসরায়েল বিলম্ব করেনি।
অতঃপর শুরু হলো অসলো শান্তি আলোচনা। ১৯৯৩ সালে ইসরায়েল পিএলওকে প্যালেস্টাইন জনগণের বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে মেনে নিল এবং ইয়াসিন আরাফাত ইসরায়েলের অস্তিত্বের বৈধতার স্বীকৃতি দিলেন। ১৯৯৫-এ স্বাক্ষরিত দলিলে শান্তি প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনসংক্রান্ত বিষয় বিশদ লিপিবদ্ধ হলো। বলা হলো, প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের চরিত্র ও মর্যাদা বিষয়ে (Statuas) চূড়ান্ত আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে জর্ডান উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে পিএলওর নেতৃত্বাধীন প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থাপনা ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। পশ্চিম তীরে বেআইনি ইহুদি বসতি অপসারণ আপাতত বিলম্বিত হবে, যতদিন না ইসরায়েলের সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের কাজ শেষ হচ্ছে। পশ্চিম তীরকে ভাগ করা হলো ABC—এই তিনটি ভাগে। সীমিত নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাসহ A ও B দায়িত্ব ভার ন্যস্ত হলো প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের কাছে। C-এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকারী ইসরায়েল, এলাকা পরিমাণে পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশ।
১৯৪৮ সালে ঔপনিবেশিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় উচ্ছেদকৃত স্থানীয় আরব জনগণের ভূমি দখল করে বহিরাগত বসতি স্থাপনকারীদের জন্য ইহুদি ইসরায়েল রাষ্ট্রের সৃষ্টি। আন্তর্জাতিক আইনে রিফিউজিদের নিজের ভিটা ও জমিতে ফেরা স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। কিন্তু প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের অনিশ্চিত প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করে আরাফাত এ মৌলিক দাবির ব্যাপারে ছাড় দিলেন। গাজায় পুনর্বাসিত সংখ্যাগুরু রিফিউজিদের বংশধরদের মধ্যে এ ব্যাপারে ‘বিচ্ছিন্নতাবোধ’ স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। প্যালেস্টাইন বংশোদ্ভূত খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী এডোয়ার্ড সাইদ লিখেছেন, ‘এ চুক্তি হচ্ছে প্যালেস্টাইনিদের আত্মসমর্পণের দলিল, কুখ্যাত ভার্সাই সন্ধিপত্রের প্যালেস্টাইন সংস্করণ। আরাফাত আমাদের মার্শাল পেঁতা (প্রথম মহাযুদ্ধের বিখ্যাত যে ফরাসি বীর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন)।’
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফিস্ক লিখেছেন, ‘ভুয়া, মিথ্যাচার। আরাফাত এবং পিএলওকে ঠকানো ও নিরস্ত্র করার কৌশল। এর মধ্য দিয়ে তারা যে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের জন্য ২৫টি বছর লড়েছেন, তার সুফল বেহাত হয়ে গেল।’ অসলো চুক্তি স্বাক্ষরকালে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতির সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার। এখন তা সংখ্যায় ৭ লাখ। অসলো চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার বাস্তবে কখনোই ঘটেনি।
ইতিহাসে অসংখ্য চুক্তির খোঁজ মিলবে, যা বাস্তবায়িত হয়নি। তার বেশ কিছুতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির স্বাক্ষর ধরা আছে। জনৈক ভাষ্যকারের মত হচ্ছে, নেতানিয়াহু জিম্মিদের ফেরত পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। যেদিন তাদের মধ্যে জীবিত সর্বশেষ ব্যক্তি ইসরায়েলে পা রাখবেন, তার পরদিনই যুদ্ধ শুরু হবে। ট্রাম্প তাকে থামাবেন, সে ভরসা খুবই কম।
গাজার তরুণ লিখেছেন, ‘আমরা ছিলাম জীবন্মৃত, মৃত্যু ও ধ্বংসের আতঙ্ক আমাদের সর্বক্ষণ ঘিরে রেখেছিল। পরে কী হবে জানি না, আপাতত স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। সেইবা কম কীসের?’
লেখক: রাজনীতি বিশ্লেষক, আমেরিকা প্রবাসী