বই মানুষের পরম বন্ধু। অন্ধকারাচ্ছন্ন ও জরাজীর্ণ সমাজকে আলোকিত কিংবা আলোর শিখা জ্বালানোর এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে বইয়ের। বই মানুষের বিবেকের দরজা প্রশস্ত করে। জানার পরিধি বিস্তৃত করে। নীতিনৈতিকতার সবকে মানবিক মানুষ হতে সহায়তা করে। বিশ্বকে জানার কিংবা পূর্বপুরুষদের বীরত্বগাথা ইতিহাস জানার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় বই। অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সেতুবন্ধ সৃষ্টিতে বই অদ্বিতীয়। বই হচ্ছে আনন্দের আধার, অমৃতের সুধা ভান্ডার। নিষ্কলুষ ও নির্মল আনন্দের জন্য প্রয়োজন বই। যুগে যুগে বই পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের ওপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন বই পড়েন তারা মানসিক সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকেন। প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা বই পড়লে রক্তচাপ কমে, হার্ট ভালো থাকে ও মানসিক অবসাদগ্রস্ততা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকা যায়। দীর্ঘমেয়াদি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে মস্তিষ্কের নিউরাল নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বই অধ্যয়নে কল্পনা শক্তি প্রখর হয়। মনোযোগ শক্তি বৃদ্ধিতে বই অনন্য। বই অধ্যয়নে পাঠক মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। স্বাস্থ্যগত সুবিধা থেকে শুরু করে স্মার্টনেস—এমন অসংখ্য ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয় শুধু বই পড়ার অভ্যাস রপ্তের মাধ্যমে।
খন্দকার বদিউজ্জামান বুলবুল
শিক্ষার্থী, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ