ভোটের কথাবার্তায় ঢোলের বাদ্য স্পষ্ট। তারপরও ফের বাধছে কেন? কেন অবিশ্বাসসহ নানা মৃদুমন্দ কথা? কেনইবা ক্ষমতায় টিকে থাকতে অশুভ তৎপরতা আঁচ করা? এখন আর গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই বাধছে নানা ফের। অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে চায়। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ইঙ্গিতে-ইশারায় নয়, প্রকাশ্যেই তা জানান দিয়েছেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ডখ্যাত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
নির্বাচনের পাকা কথা নিয়মিতই দিচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আগামী নির্বাচনটি কেমন হবে, সেই বার্তাও দিয়েছেন। অন্তত ১৯৯১, ’৯৬, ২০০১-এর মতো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আশা তার। প্রধান উপদেষ্টা তো যেতে পারলেই বাঁচেন। বার কয়েক বলে দিয়েছেন, একটি সুষ্ঠু-আবাধ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে তিনি তার জগতে চলে যাবেন। তার একাধিক সহকর্মী উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা তাদের কারোই নেই। যাওয়ার আগে একটি ফুলপ্রিন্ট দিয়ে যাবেন মানুষ যেন তাদের কথা মনে রাখে। এসব কথাবার্তায় ঢোলের বাদ্য স্পষ্ট। তারপরও ফের বাধছে কেন? কেন অবিশ্বাসসহ নানা মৃদুমন্দ কথা? কেনইবা ক্ষমতায় টিকে থাকতে অশুভ তৎপরতা আঁচ করা?
এখন আর গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই বাধছে নানা ফের। অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে চায়। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ইঙ্গিতে-ইশারায় নয়, প্রকাশ্যেই তা জানান দিয়েছেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ডখ্যাত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তা জানাতে গিয়ে যোগ করেছেন জরুরি আরও কিছু কথা। জানালেন, এ সপ্তাহের মধ্যে সবার সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণার বিষয়ে জানানো হবে। ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রোক্লেমেশন বা ঘোষণা দেওয়া সম্ভব না হলেও দ্রুতই তা ঘোষণা করা হবে। আরও জানান, এ সরকার সংস্কার স্বল্প, মধ্য নাকি দীর্ঘমেয়াদে করবে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিষ্কার হবে।
দিনটিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। পরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এসব পরিকল্পনার কথা জানান মাহফুজ আলম। সরকারের জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের অভিপ্রায়ের যুক্তিও জানিয়েছেন তিনি। জানান, স্থানীয় সরকারে প্রশাসক দিয়ে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। আবার ‘তবে’ যোগ করে বলেছেন, এ ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ক পরামর্শ আগামই দিয়ে রেখেছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এ সরকারের কাছে তারা নির্বাচন বলতে স্থানীয় নয়, জাতীয় নির্বাচনই চায়। দেশের প্রধান দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার আরও পরিষ্কার বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু চলছে। নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংস্কার আইনগত বৈধতা পাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর নিজেদের ঐক্য ধরে রাখা যাচ্ছে না বলে আফসোসও করেছেন মির্জা ফখরুল। দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মেজর (অব.) হাফিজের কথা আরও কড়া। তার ভাষায়—শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে ৮০ ভাগ সংস্কার হয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত নির্বাচনী কিছু সংস্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। সব সংস্কারের ম্যান্ডেট এ সরকারের নেই। প্রকৃত সংস্কার করবেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
এসবের মাধ্যমে বলার মতো কথা আর বাকি রাখেনি বিএনপি। এখানে পরামর্শেরও তেমন বাকি আর কিছু নেই। কিন্তু নতুন কথা যোগ করে রেখেছে ছাত্ররা। দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বন্ধ করতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তাগিদ তাদের। এ নিয়ে আবার ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের চাওয়ার মাঝেও নানা ফের। ঢাকাসহ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে এক তাজ্জব অবস্থা যাচ্ছে। দাবি এবং যুক্তিতে কড়া সবাই। দ্রুত ডাকসু নির্বাচন চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। চায় রোডম্যাপ। দিয়েছে আলটিমেটামও। একই দাবি ছাত্রশিবিরেরও। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে দ্রুত ডাকসু নির্বাচন চায় তারাসহ কয়েকটি সংগঠন। প্রশাসন চাইলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ডাকসু নিয়ে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সম্ভব বলে মনে করে ছাত্রশিবির। তবে ছাত্রদলে চাওয়ায় ফের। ছাত্রদল বলছে, আগে দরকার ক্যাম্পাসে যৌক্তিক সংস্কার। তারপর ডাকসুসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঠিক যেমনটি চায় জামায়াত। এ অবস্থার মধ্যে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিক জানিয়ে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে রোডম্যাপ ঘোষণার আশ্বাস দিয়ে আপাতত যদ্দূর পারছেন পরিবেশ শান্ত রাখছেন তিনি।
সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কবে কখন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলোও ভুলে গেছে। পেশাজীবী ও ট্রেডবডি নির্বাচনও গত বছর কয়েকে প্রায় ‘নাই’ হয়ে গেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নির্বাচনও হয়েছে তামাশার মতো। সবই সাব্যস্ত করা হয়েছে সরকার তথা ক্ষমতাসীন দলের ওপর থেকে। সেখানে এখন সব জায়গায়ই নির্বাচনের একটি তেজ বা ক্রেজ এসেছে। জনমত, গণমত প্রশ্নে এটি অবশ্যই অবশ্যই ইতিবাচক। জাতীয়, স্থানীয়, পেশাজীবী আর হাটবাজার কমিটি সবখানেই নির্বাচনের এ আকঙ্ক্ষার তবলার মাঝে দাদরা আর কাহারবা নানা তাল বাজানোও স্বাভাবিক। নির্বাচনের এ ঢোলে বাড়ির মাঝে যারপরনাই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সংস্কার। আগামী জাতীয় নির্বাচন কলুষমুক্ত করাসহ আরও কিছু বিষয়ে সরকারের করে দেওয়া কমিশনগুলোর কাজ চলছে। কারও গতিধীর, কারও দ্রুত। এর মাঝে তর্ক জমেছে সংবিধান সংস্কার নিয়ে। তা কোন প্রক্রিয়ায় কারা করবে? অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের ম্যান্ডেট আছে কি না, বিএনপি এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার এমন প্রশ্ন তুলেছে। তার ওপর গোল বেধেছে আগে জাতীয় নির্বাচন না স্থানীয় নির্বাচন? আগে কোন নির্বাচন—প্রশ্নটি ঘোরে ফেলেছে নির্বাচন কমিশনকে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর কেবল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা তার মন্ত্রী-এমপিরাই পালাননি; গরহাজির স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কথিত নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও। ফলে কয়েকটি আদেশে সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সর্বশেষ অনুপস্থিত থাকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরও অপসারণ করে এসব জায়গায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু জনপ্রতিনিধি না থাকায় তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকরা নিয়মিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার বলে জোরালো মত দিয়েছেন এ বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ। নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারেরও একই মত। তাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে মানুষ একটি শূন্যতার মধ্যে আছে। সেবা পাচ্ছে না। সমস্যা নিয়ে কার কাছে যাবে তা বুঝতে পারছে না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটিও চায় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা আসেনি। নানান দিকের নানাল ঢোল-তবলার তালে নির্বাচন কমিশনের জন্য এটি হয়ে গেছে বাড়তি যন্ত্রণা। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর রোডম্যাপের তাগাদায় নির্বাচন কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ রুটিনমাফিক কার্যক্রম শুরু করে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন। কিন্তু এর মাঝেই নানা কথা। নানা পরামর্শ। অবশেষে তর্ক-বিরোধ।
দেশের বেশিরভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষা যেখান দিয়েই হোক ভোট শুরু হয়ে যাক। নির্বাচনের ট্যাম্পু উঠুক। কারও কারও রিহার্সেল হিসেবে আগে স্থানীয় নির্বাচন বেছে নেওয়ার পরামর্শকে রাজনৈতিক দলগুলো ভালোভাবে নিচ্ছে না। তারা এর মাঝে অন্য গন্ধ পাচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি। কোনো রাখঢাক না রেখে সোজাসাপ্টা এ অভিযোগ করে চলছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা। স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তো বলেই বসেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা নির্বাচিত সংসদ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। এর বাইরে আর কোনো দায়িত্ব নেই। আর যে সংস্কারের গল্প করা হচ্ছে সেগুলো হবে আগামী সংসদে। অর্থাৎ নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যত সংস্কার প্রয়োজন তা করবে।’ বিএনপির সমমনার বাইরে কিছু দলের কথার ঝাঁজও এমন। সিপিবি থেকে বলা হয়েছে, ‘অরাজনৈতিক শক্তি যাতে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে না পারে, সেজন্য দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আলটিমেটাম রয়েছে তাদের। শেখ হাসিনা হটাও আন্দোলনের অন্যতম শক্তি জামায়াতে ইসলামীর দাবি এত জোরালো নয়। অনেকটা কোমল-কুসুম। তারা নির্বাচন চায় ধীরেসুস্থে। কিন্তু বিগত আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনার বা ভ্যানগার্ড বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বড় কড়া। শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিস্টদের বিচারের আগে তারা নির্বাচনে নারাজই, চারের আগে যারা নির্বাচন চাইবে, তাদের জাতীয় বেইমান বলে আখ্যা দিয়েছে তারা।
নির্বাচনের তবলায় আরেক তাল আনুপাতিক আসন নিয়ে। সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলনসহ কিছু ‘অনুদল’ আশা করে আনুপাতিক আসন ভাগাভাগি। এর ফের সবচেয়ে বেশি বোঝে বিএনপি। ফেরের ওপর ফেরের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যেও এখন কয়েক ভাগ। গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গেও সংঘাত। মার দেওয়া, মার খাওয়া। এ তালে আরও যোগ হয়েছে ১৭ বছর বয়সীদের ভোটার করা নিয়ে। তাদের ভোটার করার অভিপ্রায়টি এসেছে স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে। তিনি এ প্রস্তাব করেছেন একটি অনুষ্ঠানে। তিনি তরুণদের ভোটার করার পক্ষে। অনুষ্ঠানটিতে তিনি আশা করেছিলেন নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্যের দরকার আছে। মানে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি ছেড়ে দিতে চায় রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর। ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৭ করার মাঝে আইনি বিষয় রয়েছে। রয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণসহ নানা তাৎপর্যও। বিদ্যমান শিশু আইনে অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু। এই শিশু-কিশোরদের ভোটার করতেই নির্বাচনে দেরি করা হচ্ছে বলে ঘোরতোর সন্দেহ আছে কারও কারও।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট
ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন