মো. সুমন জিহাদী
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০১ এএম
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে যত প্রশ্ন

জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে যত প্রশ্ন

প্রশাসন ক্যাডারের সচিবালয় এবং মাঠ প্রশাসনে বহুমাত্রিক ও নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ আলোচনা অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছিল, এটি আরও বেগবান হয়েছে কমিশনপ্রধান ড. মুয়ীদ চৌধুরী এবং সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মো. মোখলেস উর রহমানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে। তারা উপসচিব পদায়নে প্রচলিত রেওয়াজ ৭৫/২৫ সংস্কার করে ৫০/৫০ করার প্রস্তাব করার পরিকল্পনা করতে উদ্যত হয়েছেন, তখনই প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডার অন্তুর্ভুক্ত না করে আলাদা সার্ভিস হিসেবে রাখা যায় কি না, সে প্রস্তাবও আছে খসড়া প্রস্তাবে। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, সব ক্যাডার কর্মকর্তা উপসচিব হওয়ার অবারিত সুযোগের পক্ষে এবং প্রশাসন তাদের জায়গা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর।

সংস্কার প্রয়োজন, কিন্তু সেটি কি কোনো নির্দিষ্ট ক্যাডার সমিতি বা সরাসরি কোনো গোষ্ঠীর চাওয়ায়? সিভিল সার্ভিস সংস্কার কি সত্যিই এত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব? কলোনিয়াল হোক বা মডার্ন হোক, সংস্কারের জন্য একটি মাঝারি আকারের স্টাডি, গবেষণা হওয়া একান্ত জরুরি। শুধু উপসচিব নয়, মাঠপর্যায়ে নানা পদে, নানা সার্ভিসে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সংকট রয়েছে। এ সমস্যাগুলো আবার ধারাবাহিকভাবে জন্ম হয়। মানে এমন কোনো উপায় নেই যে, আপনি একবারে বসে দশ বছরের সমস্যা একসঙ্গে সমাধান করে দেবেন। সিভিল সার্ভিসে একটি স্থায়ী সংস্কার কমিশন আসলে থাকা উচিত। প্রতিনিয়ত নিয়োগ, বদলি, সুযোগ-সুবিধা, আন্তঃক্যাডার সমন্বয়, প্রটোকল, বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে সম্পর্ক নানা বিষয়েই আসলে আলোচনা হওয়া উচিত। এখনো আমরা ডিবেট করি বিশেষ দিবসে কে পতাকা তুলবে, কে কার আগে বসবে, কে কোথায় দাঁড়াবে, কার থেকে কে বড়। এ ক্ষেত্রে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। এখনো অনেক কিছু অস্পষ্ট রয়ে গেছে, আরও অনেক অস্পষ্টতার জন্ম হবে আগামীতে। এ কারণে প্রশাসনিক সংস্কার বা সিভিল সার্ভিসে সংস্কার নিয়ে আলোচনা করা, টকশোতে কথা বলা, এমনকি এক্সপার্ট মন্তব্য করার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা, পড়াশোনা করা এবং একটি দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সরকার কাঠামোর ঐতিহাসিক বিবর্তন সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখাটা খুব জরুরি। প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে যে বিষয়গুলোতে অন্যান্য ক্যাডার সদস্যদের এবং সিভিল সোসাইটির সদস্যদের সবচেয়ে বেশি আপত্তি সেগুলো মোটামুটি এরকম—জেলা প্রশাসক ও ইউএনও নিজেদের লাট মনে করে, তারা তাদের অধিক্ষেত্রে প্রায় ৩০০টি কমিটির সভাপতি, তারা অন্য ক্যাডারদের প্রমোশন বঞ্চিত করে, টেকনিক্যাল নলেজ না থেকেও সব টেকনিক্যাল ক্যাডারদের মন্ত্রণালয় তারা পরিচালনা করে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইত্যাদি। আমি এ বিষয়গুলো নিয়ে একাডেমিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু বিষয়ের অবতারণা করতে চাই। কিন্তু সমস্যা হলো, এরই মধ্যে এগুলো নিয়ে এত রকমের ন্যারেটিভস দাঁড়িয়ে গেছে যে, আমার এ আলাপ খুব সহজে তাদের যুক্তি খণ্ডন করতে পারবে না যদি না আমি সব ন্যারেটিভ ধরে ধরে আলাদা আলাদা করে লিখি। তবুও একাডেমিক ডিসকাশন লাগবেই। ডিসি ও ইউএনওরা তাদের অধিক্ষেত্রে ৩০০টির বেশি কমিটির সভাপতি। তারা এত কাজ কীভাবে করবে? এ প্রশ্নে উত্তর হলো বেশিরভাগ কমিটি বাস্তবে কন্টেক্সচুয়াল। অর্থাৎ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা সেই কমিটির সভা আহ্বান করেন। যেমন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ কমিটির কাজ তখনই যখন একটি প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝাট দেখা দেয়। দুর্যোগ না হলে কমিটির স্বাভাবিকভাবে কোনো কাজ নেই। আবার উপজেলা লবণ কমিটি। একসময় লবণ নিয়ে দেশে খুব হাঙ্গামা হতো, সিন্ডিকেট হতো, তখন সেই কমিটি করা হয়েছিল। অনেক কমিটির এখন আর তেমন কাজই নেই। আইনশৃঙ্খলা কমিটি, সড়ক নিরাপত্তা কমিটি, শিক্ষা সম্পর্কিত কমিটি, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির মতো অনেক কমিটি আবার নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে। সরকার যদি কাল মনে করে মাঠপর্যায়ে একটি বিশেষ কাজ হাতে নেবে, হতে পারে সেটি দরিদ্র মানুষদের গরু-বাছুর সম্পর্কিত, বা ঘরবাড়ি নির্মাণ সম্পর্কিত, অথবা তৃতীয় লিঙ্গ সম্পর্কিত। এখন কমিটির সভাপতি স্বাভাবিকভাবেই ডিসি ও ইউএনওকে করা হয় কারণ কাজটি লাইভ স্টক, সমাজসেবা বা এলজিইডি সম্পর্কিত হলেও এখানে জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অন্যান্য দপ্তর এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে করতে হবে। ইউএনও ও ডিসি যেহেতু আইনশৃঙ্খলা, স্থানীয় সরকার ও অন্যান্য দপ্তরের কাজগুলো সমন্বয় করে, ফলে তাদের দ্বারাই সবাইকে দ্রুততম সময়ে সমন্বয় করানো সম্ভব। অন্যদের দিয়ে সম্ভব নয় আমি সেটি বলছি না কিন্তু প্রচলিত ব্যবস্থায় অন্য দপ্তরগুলোর সেই প্রশাসনিক ক্যাপাসিটি নেই। এর বিপরীতে অনেকেই বলতে পারে প্রশাসনিক ক্ষমতা দিলেই তো হয়ে যায়। তাহলে আসলে এরকম নানামুখী কাজের জন্য প্রতি দপ্তরকেই সেই প্রশাসনিক ক্ষমতা দিতে হবে, আলাদা আলাদা অফিসে প্রকল্প ও কর্ম বাস্তবায়নের মিটিং হবে, তাদের সেই লোকবল, কারিগরি সক্ষমতা, অফিসার ও অফিস সেটআপ ইত্যাদি লাগবে। দুনিয়ায় সবই সম্ভব। সরকার চাইলে কৃষি অফিসার, লাইভ স্টক অফিসার, সমাজসেবা বা শিক্ষকবৃন্দকেও এমন কমিটির সভাপতি করতে পারবে। কিন্তু সে কাজই স্বল্পতম সময়ে হবে কি না, সমন্বয় করা যাবে কি না, ব্যর্থ হলে তার দায়দায়িত্ব নিতে সরকার প্রস্তুত কি না; সেটিও দেখার বিষয় আছে। অন্তত এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যাপক হোমওয়ার্ক, টেবিলওয়ার্ক ও ফিজিবিলিটি স্টাডি করার দরকার আছে। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গবেষণা শুরু হোক, স্থায়ী সংস্কার কমিশন গঠিত হোক, কিন্তু স্টাডি ব্যতীত কোনো সংস্কার টেকসই হবে বলে মনে হয় না।

ডিসি ও ইউএনওরা নিজেদের লাট মনে করে, ঔপনিবেশিক মনোভাব পুষে রাখছে এই কথা একেবারে মিথ্যে নয়। কিন্তু আগের চেয়ে প্রশাসন অনেক জনবান্ধব এবং জনমুখী হয়েছে এটা স্বীকার করতেই হবে।

এখন আসি মন্ত্রণালয়ে উপসচিব পদের বণ্টন নিয়ে; উপসচিব পদটি একটি মধ্যবর্তী পদ যেখান থেকে নীতি তৈরির প্রক্রিয়ার শুরু হয়। যদিও এ পদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিশেষ কোনো ক্ষমতা নেই। কিন্তু এখানে অর্থনীতি, জননীতি, বাজেট ব্যবস্থাপনা, আইন, পরিপত্র ইত্যাদি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা থাকতে হয় এবং সবচেয়ে ভালো হয় যদি তাদের মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে। বাংলাদেশের ‍২০০ বছরের সিভিল সার্ভিসের ইতিহাসে এ পদে প্রশাসন ক্যাডার ও সচিবালয় ক্যাডারের অফিসাররাই কাজ করে আসছিল। ১৯৯৮ সালে এসে অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাকে ২৫ শতাংশ কোটা দেওয়া হয়। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাদের এক রায়ে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, ‘উপসচিব’ প্রশাসন ক্যাডারের সহজাত পদ। অর্থাৎ সেই ২৫ শতাংশ দেওয়াও আসলে যুক্তিসংগত নয়। সেই থেকে ঘটনার আসলে শুরু। তদুপরিও সরকার যদি মনে করে আরও বেশি অন্যান্য ক্যাডার থেকে নেবে বা বড় একটা পরিবর্তন করবে বৃহত্তর জনস্বার্থে, সঠিক প্রক্রিয়া মেনে অনেক কিছুই করতে পারে। রাষ্ট্র মহাশক্তিশালী, লেভিয়াথা। রাষ্ট্র জনস্বার্থে সব করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বর্তমানে দাবি করা উপসচিব পদে প্রস্তাবিত ৫০-৫০ ভাগাভাগির আকস্মিকতা, অপ্রস্তুত অবস্থা এবং প্রশাসন ক্যাডার ও অন্যান্য ক্যাডারের যে মুখোমুখি অবস্থা তাতে কোনো জনস্বার্থ নয় বরং গোষ্ঠী স্বার্থই মুখ্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে। প্রতিটি ক্যাডারের সদস্যরা একে-ওকে ফ্যাসিবাদী প্রমাণের খেলায় লিপ্ত হয়ে গেছে, যে কোনো মূল্যেই একে অন্যকে ফ্যাসিবাদী হাসিনার দোসর প্রমাণ করতে হবে, এরা কদিন পর একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে কীভাবে?

নানা প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব। প্রশাসন ক্যাডারের নেতৃত্বে মেধাভিত্তিক একটি আমলাতন্ত্র দিয়েও চলছে, টেকনিক্যাল ক্যাডারের কর্মকর্তা দিয়েও মন্ত্রণালয় চলবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তখন টেকনিক্যাল ক্যাডারের সবাই উঠেপড়ে লাগবে উপসচিব হওয়ার জন্য। ডাক্তাররা মনোযোগ দেবে কীভাবে উপসচিব হওয়া যায়, শিক্ষকরা মনোযোগ দেবে কীভাবে মন্ত্রণালয়ে ঢোকা যায়, ইঞ্জিনিয়াররাও তাই, অন্যান্য সব ক্যাডার নিজ নিজ কাজ বাদ দিয়ে ছোটাছুটি করবে কলমের ক্ষমতার পেছনে। এতে করে যে অবস্থা সৃষ্টি হবে, তা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। যারা বলছেন এতে হয়তো ভালো হবে, সেটা কি কোনো স্টাডি করে গবেষণা করে বলা হয়েছে? কে করেছে সেই গবেষণা? যদি এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, যদি জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সেই স্টাডি টিমতে ধরতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে। মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন, এটি শুধু প্রশাসনিক সংস্কার নয়, মানুষের নিয়তি সংস্কারের প্রশ্ন। কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা যার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে কয়েকটি মিটিং করে, কিছু স্টেকহোল্ডারের দাবির ওপর ভিত্তি করে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে কি না, তা আবার ভেবে দেখা যায়। শত্রু শত্রু খেলা বন্ধ করে আসুন প্রশাসন ব্যবস্থা সংস্কার, নিয়োগ প্রক্রিয়া ইত্যাদি সংস্কার কমিশন স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করি। যারা প্রতি ছয় মাস অন্তর দেশের প্রচলিত ব্যবস্থায় কী কী সমস্যা রয়েছে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কী কী করা প্রয়োজন তার তালিকার সরকারের কাছে স্টাডি পেপার আকারে উপস্থাপন করবে। একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের সরকারি দপ্তরগুলোর কাঠামো কেমন হয়, কীভাবে পদ বণ্টন হয়, কারা কীভাবে কাজ করে এসবের বিস্তারিত ফিরিস্তি তৈরি করে সেটি জনগণের সামনে, সুশীল সমাজের সামনে ও সরকারি কর্মচারীদের সামনে তুলে ধরলে স্বচ্ছতা তৈরি হবে। স্বচ্ছতার মাধ্যমে সব করা যায়। কিন্তু কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কার স্বার্থে হচ্ছে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না গেলে যে কোনো উদ্যোগে সমর্থন ও সহযোগিতা পাওয়া যায় না। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রচলিত সরকার ব্যবস্থাকে জটিল না করে সহজীকরণ করবে সেটিই জনগণের প্রত্যাশা।

লেখক: সিনিয়র সহকারী সচিব (শিক্ষা ছুটি)

এমপিএ, ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার, ইউকে

পাবলিক পলিসি গবেষক, এআইটি, থাইল্যান্ড

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবর্জনার স্তূপ আর দখলে হারিয়ে যাচ্ছে সুরমার ভরা যৌবন

ইফতারে যেসব খাবার খেয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

মসজিদ থেকে বিচারকের জুতা চুরি, চোর গ্রেপ্তারের পর আদালতে

লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে জাতিসংঘ মহাসচিব

নতুন রহস্য নিয়ে ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’

বরখাস্ত কর্মীদের সুসংবাদ দিল মার্কিন আদালত

রাতের আঁধারে লেবু বাগানের গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

খাদ্যসহায়তা কমায় রোহিঙ্গারা ঝুঁকির মধ্যে : গুতেরেস

কঠোর হচ্ছেন এফডিসির এমডি 

চিকিৎসককে ‘ভাই’ সম্বোধন করায় সংবাদকর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ

১০

মামলা থেকে নাম সরাতে ঘুষ দাবি পুলিশ কর্মকর্তার, বাদীকে থানাতেই মারধর

১১

মহিলা আ.লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেপ্তার

১২

কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

১৩

বিমানবন্দরে ১৭৮ আরোহী নিয়ে বিমানে আগুন

১৪

আলভারেজের বিতর্কিত পেনাল্টি বাতিলের বিষয়ে মুখ খুললেন রেফারি

১৫

জামায়াতকে মানুষ নেতৃত্বে দেখতে চায় : রফিকুল ইসলাম খান

১৬

গরম নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

১৭

রোহিঙ্গাদের কথা শুনলেন জাতিসংঘের মহাসচিব

১৮

আরও ২শ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

১৯

জামায়েতের ইফতার মাহফিলে বিএনপির হামলা, আহত ১০

২০
X