বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১
ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ এএম
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শুনে না

এতদিন কোথায় ছিলেন

এতদিন কোথায় ছিলেন

সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়ার গ্রেট হলে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন নিকিতা ক্রুশ্চেফ। তিনি জোসেফ স্টালিনের প্রধান সহচর হিসেবে ক্ষমতার উত্তরাধিকারী হন। বক্তৃতার একপর্যায়ে লাখ-লাখ মানুষ গুম-খুনের জন্য় স্টালিনকে দায়ী করেন তিনি। দর্শক সারি থেকে সে সময় একজন বলে ওঠেন, আপনি তখন কোথায় ছিলেন? সঙ্গে সঙ্গে হলজুড়ে পিনপতন নীরবতা। ক্রুশ্চেফ এদিক-সেদিক তাকিয়ে খুঁজছিলেন আর চিৎকার করে জানতে চাইছিলেন; কে, কে বললেন? কোনো জবাব না পেয়ে ক্রুশ্চেফ ক্রুদ্ধ স্বরে অজ্ঞাত প্রশ্নকারীর উদ্দেশে বলেন, আপনি এখন যেখানে আছেন; আমিও সেখানে ছিলাম। এটা এক দারুণ অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। সব যুগে সবসময়। ক্ষমতার বলয়ে থেকেও কেন্দ্রীয় চরিত্রকে অনবরত সমর্থন দিয়ে যেতে হয়। অন্য়থায় আঁস্তাকুঁড়ে হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। সমস্য়াটা শুধু ব্য়ক্তি বিশেষের নয়। আমজনতার ক্ষেত্রেও ঘটে। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী শাসক বা ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে সবাই প্রকাশ্য়ে প্রতিবাদ জানাতে পারে না। জীবন-জীবিকা, সন্তান-সম্পদ নানা বাস্তবতার বাধা সামনে এসে দাঁড়ায়। তবে, মনে মনে অক্ষমও ঘৃণা করে অত্য়াচারীকে। জুলুমকারীর পতনে তাই সব শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রগলভ হয়ে ওঠে। মুক্তির উচ্ছ্বাসে আপন অনুভূতি প্রকাশ করে। এ দেখে বেরসিক অনেকে প্রশ্ন তোলে। আগে চুপ থেকে এখন কৃতিত্ব আদায়ের চেষ্টা বলে উপহাস করে। মানুষের স্বাভাবিক আচরণও রাজনৈতিক উপাচারে পরিণত হয়। বাক্য়বাণে জর্জরিত করে নিষ্ঠুরতা দেখাতেও কসুর করে না সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণীর দাবিদার—মানুষ। জিঘাংসা চরিতার্থ করতে রাজনীতিতে ধর্ম ও বাণিজ্য়ের অপব্য়বহার করে।

উপমহাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের ব্য়বহার অনেক পুরোনো। এমনকি সুসভ্য় ব্রিটিশ জাতিও শাসন ব্য়বস্থা নিষ্কণ্টক রাখতে ভারতবর্ষে এই অসভ্য়তা করে গেছে। যুগের পর যুগ শোষণ অব্য়াহত রাখতে কুখ্য়াত বিভক্তি নীতি (ডিভাইড অ্যান্ড রুল) প্রয়োগ করেছে। যে কারণে স্বাধীনতার উষালগ্নে লাখ লাখ হিন্দু-মুসলিম-শিখের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে এই জনপদ। তাদের পোঁতা ঘৃণার বীজ পরিণত হয় সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষে। তড়িঘড়ি করে ভারত-পাকিস্তানকে স্বাধীনতা দেওয়ার নামে দুদেশের মধ্য়ে চিরশত্রুতা পত্তন করে ব্রিটিশরাজ। কোটি কোটি মানুষ হয় বাস্তুচ্য়ুত। লাখ লাখ মানুষের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সুশিক্ষিত, রুচিবান, জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্ব জওহরলাল নেহরু ও মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ। স্বাধীনতার অনুষ্ঠান এড়িয়ে শোকে স্তব্ধ মহাত্মা গান্ধী দাঙ্গা সামলাতে পড়ে থাকেন কলকাতায়। অথচ উনারা সবাই জানতেন দেশভাগের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে। উদার-সংস্কৃতিবান লোকগুলো ক্ষমতার রাজনীতির স্বার্থে মানুষকে দেখেছেন ধর্মীয় সংখ্য়া হিসেবে। আধুনিক জীবনযাপনে অভ্য়স্ত নেতারা দেশভাগ করেছেন দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে। কিন্তু, নেহেরু-জিন্নাহ মোটেও ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন না। ইতিহাসের কী নিষ্ঠুর রসিকতা! ধর্মীয় উন্মাদনায় এক সময়ের সহযোদ্ধা শত্রুতে পরিণত হয়। জিন্নাহকে ভারতীয় নেতারা জেদি এবং দেশভাগের জন্য় দায়ী করেন। আর জিন্নাহ মনে করেন, মুসলমানদের জন্য় আলাদা রাষ্ট্র না হলে নিয়তিই হতো হিন্দুদের হাতে নির্যাতিত হওয়া। সংখ্য়াগুরু আর লঘুর দাঙ্গায় সবসময় জড়িয়েছে ষন্ডামার্কা লোভী লোক। ধর্মীয় বিধিনিষেধ কখনোই দমাতে পারেনি তাদের। ধর্ম গেল গেল বলে তারাই অধর্ম করে সবসময়। দখলদার পাকিস্তানিরাও একই কায়দায় দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে বাংলাদেশকে। মুখে মুসলমান ভাই ভাই বললেও দেখেছে ছোট নজরে। আড়ালে হিন্দুমার্কা মুসলমান বলে হেয় করেছে। প্রতিবেশী হিন্দুকে শত্রুজ্ঞান করতে উৎসাহ দিয়েছে। এই বিরোধ তো এক-দুদিনের নয়। রাজনৈতিক প্রয়োজনে মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ভারত-বাংলাদেশে। সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও রাজনীতির বাইরে কিছু নয়।

বাণিজ্য় প্রসারে প্রথম বিশ্বের তথাকথিত সভ্য দেশগুলো, দুনিয়াজুড়ে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে ধর্মীয় প্রচারণা, স্বাস্থ্য় ও শিক্ষা সেবার নামে গোয়েন্দাগিরি অন্য়তম। সব পথ ব্য়র্থ হলে লুট ও যুদ্ধকেও অনুমোদন দেওয়া হতো রাষ্ট্রীয়ভাবে। এ ধরনের পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্য়োগ বলে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। একসময় লুটতরাজে পারঙ্গম জলদস্য়ুদের নাইট উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছেন ব্রিটিশ রানী। আধুনিক বিশ্বে মানবতার কথা জোরেশোরে ধ্বনিত হলেও দখল বাণিজ্য় চলছে মধ্য়যুগের মতোই। অস্ত্র বিক্রির প্রয়োজনে অহেতুক যুদ্ধের কৌতুক করছে সাম্রাজ্য় ও আগ্রাসনবাদীরা। যুদ্ধ বাণিজ্য়ের আয় দিয়ে লোক দেখানো দরিদ্র সেবা করছে তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালারা। মুক্তচিন্তার যুগে অত্য়াধুনিক তথ্য়প্রযুক্তি ব্য়বহারের মাধ্য়মে মানুষকে রাখা হয়েছে নজরবন্দি করে। ২০০৪ সালে প্রকাশিত ‘কনফেশনস অব এন ইকোনমিক হিটম্য়ান’ বইয়ে মার্কিন লেখক জন পার্কিন্স দেখিয়েছেন তার দেশের হিতকর কর্মসূচির আড়ালে নানা আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বীভৎসতা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্য়াস-বিদ্য়ুতের বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। উঁচু বেতন, বিলাসী জীবনযাপন পেলেও নিজেকে তিনি ‘আর্থিক ঘাতক’ বলে মনে করেন। অনুশোচনা থেকে এই বই লেখেন পার্কিন্স। তিনি লেখেন, উন্নয়নের নামে ঋণবন্দি করা হয় তৃতীয় বিশ্বের ফাঁদে পড়া দেশগুলোকে। রঙিন স্বপ্ন দেখিয়ে নিষ্ঠুরভাবে খনিজসম্পদ আহরণের নামে ধ্বংস করা হয় প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। ক্ষতিপূরণের টাকায় কোনোদিন ঋণই শোধ হয় না গরিব দেশগুলোর। মার্কিন কোম্পানিগুলোর মুনাফার লোভে আঁকা হয় তাদের ভবিষ্য়তের মানচিত্র। প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়মিত ব্য়াপার হয়ে গেছে। কখনো কখনো এর জন্য় সরকারও বদল করে থাকে তারা। লক্ষ্য় পূরণে বাধা হওয়ায় জীবনও দিতে হয়েছে কোনো কোনো নেতাকে। নিরাপত্তা নিশ্চিতের নামে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সার্বভৌমত্ব। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্র একাই করছে, এমন নয়। পৃথিবীজুড়েই দুর্বলের ওপর সবল রাষ্ট্রের আগ্রাসন চলমান রয়েছে।

এদিক থেকে সোনার বাংলা বারবার টার্গেট হয়েছে সাম্রাজ্য়বাদী, লুটেরা শাসকের কাছে। ডাচ, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ, মোগল সবারই লোভী দৃষ্টিতে পুড়েছে রূপসী বাংলা। তেপ্পান্ন বছর আগে সর্বশেষ পাকিস্তানি নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। সেই জন্মলগ্ন থেকেই ষড়যন্ত্র, আধিপত্য় ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে আছে প্রিয় স্বদেশ। অপার সম্ভাবনা থাকলেও আর্থিক মুক্তি মেলেনি আজও। স্বাধীনতা-গণতন্ত্র-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একের পর এক অভ্য়ুত্থান ঘটেছে এই জনপদে। নিরন্ন-বিপন্ন অবস্থায়ও আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে চায় বাংলাদেশিরা। কিন্তু, রাজনৈতিক, বাণিজ্য়িক, ধর্মীয়, নানা তরিকার স্বার্থান্বেষী মহলের তৎপরতায় জাতিকে বিভ্রান্তের অপচেষ্টা করা হয় সবসময়। গত রোববার পঞ্চগড়ে জনসভায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, ‘ওপারে পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা ওখান থেকে ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের মিথ্য়া অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তার কথায় কান না দিয়ে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সবাইকে মিলেমিশে থাকার অনুরোধ করেন। কেউ যেন দেশকে বিভক্ত করতে না পারে, সে ব্য়াপারে সবাইকে ঐক্য়বদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক উসকানির একাধিক ঘটনা ঘটেছে দেশে। বিষয়টি মোটেও সুখকর নয়। সচেতন ও বিবেকবান মানুষকে উপলব্ধি করতে হবে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কার লাভ? অস্থিরতায় অর্থনৈতিক ক্ষতি কার হয়? কথায় কথায় ভারতপন্থি বা পাকিস্তানপন্থি ট্য়াগ দেওয়া লোকগুলো কি বাংলাদেশপন্থি? বিবেচনায় নিতে হবে এসব পারস্পরিক দোষাদোষীর প্রবণতাকে।

গত দেড় দশকে আওয়ামী শাসন ব্য়বস্থায় ভারতীয় প্রভাব প্রকাশিত। লুকোনোর কিছু নেই। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ ব্য়ক্তি ও মন্ত্রীবর্গের বিভিন্ন সময়ের স্বীকারোক্তিতে তা পরিষ্কার। গণঅভ্য়ুত্থানে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় লাভ এবং রাজনৈতিক প্রশ্রয়দানে সে কথা প্রমাণিত। তাদের অনুসারীরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ করছে প্রকাশ্য়ে। কথা বলার স্বাধীনতা পেয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য়ে স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়েছে অনেকে। এই অভিযোগও অনভিপ্রেত। এক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আরেক প্রভাবকের প্রভুত্ব মেনে নিতে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়নি। যারা দুই শক্তির মধ্য়ে তুলনামূলক ভালো-মন্দ খোঁজেন, তারা উভয়েই ঔপনিবেশিক মানসিকতা ধারণ করেন। এর মধ্য়ে তৃতীয় একটি ধারা উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ধর্মান্ধ শাসনের উন্মাদনায় ভুগছে। ভয়ংকর ভবিষ্য়তের ছবি আঁকছে। তাদের বোঝা উচিত, ইসরায়েল-আফগানিস্তান কেউই শান্তি-স্বস্তিতে নেই। সম্প্রতি ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য় ইকোনমিস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ইসলামী চরমপন্থা আসবে না। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণরা খুবই পক্ষপাতহীন।’ তার এই আশ্বাসে সব ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ ভরসা রাখতে চায়। আধুনিক বিশ্বে কাউকে অস্বীকার বা শিকার করে মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। নিজস্ব ঐতিহ্য়-সংস্কৃতি ধারণ এবং আধুনিকতাকে বরণ করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশ গঠনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অবদান আছে। ভবিষ্য়তেও তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। সমাজে ধর্মীয় ব্য়ক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখার পাশাপাশি অপব্য়বহৃত হওয়ারও নজির আছে। তাই ঢালাওভাবে দোষী করা বা খুশি হওয়ার কারণ নেই। সংখ্য়ালঘুকে নিপীড়ন নয় নিরাপত্তা দেওয়াতেই সংখ্য়াগুরুর মাহাত্ম্য প্রকাশ পায়। এ কথা শুনে অনেকে প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিয়ত সংখ্য়ালঘু নির্যাতন, ফিলিস্তিনের ধারাবাহিক গণহত্য়ার কথা তুলে ধরে। চোখে-মুখে রুক্ষতা নিয়ে যুদ্ধংদেহি আচরণ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উদারতারই জয় হয়।

সৃষ্টির শুরু থেকেই শুভ-অশুভের লড়াই চলছে এবং চলবে। প্রতিনিয়ত মানুষের মতো দেখতে অমানুষের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সচেতন সমাজ। এ লড়াইয়ে মানুষ সাধ্যমতো অংশগ্রহণ করে। কেউ জীবন দেয়, কেউ জীবন রক্ষায় সহযোগিতা করে। কেউ সম্মুখ সমরে আবার কেউবা নিরাপদ বিবরে থেকে সমর্থন দেয় শুভর পক্ষে। এজন্য কাউকে বা কোনো গোষ্ঠীকে টার্গেট করা ঠিক না। এটা অসহিষ্ণু সমাজের লক্ষণ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এসব ঘিরে নানা উপকথা চালু হয়েছে। গত পাঁচ মাসে বেশ কিছু মেরুকরণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এতদিন কোথায় ছিলেন? এ কথা শুনলে আগে রোমান্টিক অনুভূতি হতো। যেন পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন জানতে চাইল। এখন অপরাধী অনুভূতি হয় অনেকের। এটাও এক ধরনের মব জাস্টিস। আসলে যার যার অবস্থান থেকে ইতিবাচক চিন্তা এবং নিজ নিজ কাজ করলেই দেশ গঠনে ভূমিকা রাখা যাবে। অতএব বিভক্তি নয়, দেশপ্রেমে যুক্ত থাকাই হোক সব নাগরিকের কর্তব্য়।

লেখক: যুগ্ম সম্পাদক, কালবেলা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ

স্বামীর কবর দেখতে গিয়ে ‘মারধরের’ শিকার জুলাই শহীদের স্ত্রী

বিএনপি কারো কাছে মাথা নত করেনি, করবে না : এ্যানী

ঈদে মামা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না’

চাঁদপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

ঈদ মিছিল নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি

সিলেটে মধ্যরাতে বিএনপি-যুবদল সংঘর্ষ

প্রতারণার শিকার জবি শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রদল নেতা

১০

৩২ শহীদ পরিবারের সঙ্গে জামায়াত আমিরের ঈদ উদযাপন

১১

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চেষ্টা প্রকৌশলী হাবিবের

১২

৩ যুগ ইমামতি শেষে রাজকীয় বিদায়

১৩

আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই : ডা. শফিকুর রহমান

১৪

রুনা লায়লাকে নিয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে যে কথা হয়েছিল শাহবাজ শরিফের

১৫

চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গল পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত

১৬

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চাওয়া ফ্যাসিবাদের অংশ : সারোয়ার তুষার 

১৭

আজ থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম শুরু

১৮

ইন্ডিয়া টুডেকে মাহফুজ আনাম / ‘বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, ছাত্রদের অনাগ্রহ, অস্পষ্টতায় জামায়াত’

১৯

কেউ আ.লীগকে পুনর্বাসিত করতে পাববে না : হান্নান মাসউদ

২০
X