গুড় বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সাধারণত আখ ও খেজুর গাছের রস থেকে গুড় তৈরি হয়ে থাকে। গুড় দিয়ে পায়েস, পিঠা, নাড়ু, মোয়া, জিলাপি ও অন্যান্য মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়। বিশেষ করে শীতকালে পিঠাপুলি তৈরিতে গুড়ের ব্যবহার প্রচুর।
তবে বর্তমানে খাঁটি গুড় পাওয়া বড়ই দুষ্কর। বাজারের বেশিরভাগ গুড়ই ভেজাল গুড়। অসাধু ব্যবসায়ীরা লোকচক্ষুর আড়ালে তৈরি করছে টনকে টন ভেজাল গুড় এবং সরবরাহ করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ভেজাল গুড়ে মেশানো হয় চিনি, আটা, চুন, গোখাদ্য লালী, চিটাগুড়, প্রাণীর চর্বি, হাইড্রোজ, কাপড়ের রং, ফিটকিরিসহ বিভিন্ন রাসায়নিক। এসব মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ভেজাল গুড় গ্রহণে লিভারের সমস্যা, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অধিকন্তু সবার খাঁটি গুড় ও ভেজাল গুড়ের মধ্যে পার্থক্য জানা উচিত। যেমন খাঁটি গুড় নরম হয়। দেখতে লালচে বা গাঢ় বাদামি রঙের হয়। স্বাদ হয় খুব মিষ্টি। অন্যদিকে, ভেজাল গুড় দেখতে হলদেটে, শক্ত, স্বাদে কিছুটা নোনতা। তিতাও হয়ে থাকে। এ ছাড়া ভেজাল গুড় পানিতে গুলিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিলে তলানিতে ময়লা জমে। ভেজাল গুড় বন্ধে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে সবার সচেতনা বৃদ্ধিও জরুরি।
সজল চৌহান
শিক্ষার্থী, রংপুর নার্সিং কলেজ, রংপুর