ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ এএম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

জাপাকে ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ

জাপাকে ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ

সংসদীয় গণতন্ত্রের যুগে প্রবেশের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্য়াপক ইতিবাচক প্রত্য়াশা জাগে। একানব্বইয়ে বিএনপি আর পরেরবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, ওই দুটি সরকার মোটামুটিভাবে মানুষের মন জয় করতে পেরেছিল। বিশ্লেষকরা বলেন, তুলনামূলক ‘ভালো’ সরকার ছিল। দুর্নীতি কম হয়েছে। দেশপ্রেম ও যোগ্য় নেতৃত্বের মূল্য়ায়নের চেষ্টা ছিল। পরেও দল দুটি একাধিকবার সরকার গঠন করে। কিন্তু সেই ভালোত্ব আর ধরে রাখতে পারেনি। দুটি দলেরই বেশ কিছু সংসদ সদস্য়ের মধ্যে দ্রুত টাকা কামানোর প্রবণতা দেখা যায়। এটা করতে গিয়ে কোনো কোনো এমপি নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে ফেলে। এতে করে রাজনীতিতে প্রকাশ্য়ে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এসব নিয়ে সংসদে জবাবদিহির নামে বিতর্কের চর্চা হতো। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য়রা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পার পেয়ে যেতেন। এ অবস্থায় কেউ কেউ রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ও এরশাদ আমলের কথা স্মরণে আনেন। সংসদীয় গণতন্ত্র থাকলেও অভ্য়াসবশত প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হয় সাবেক রাষ্ট্রপতির মতোই।

১৯৯৬-এর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জেলায় জেলায় গডফাদার তৈরি হয়। এই গডফাদারদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য়। তাদের বাহিনী সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির পাশাপাশি বিরোধী দল দমনে ভূমিকা রাখত। সে কারণে প্রায়ই প্রচলিত আইনের আওতামুক্ত থাকত তারা। এ নিয়ে গণমাধ্য়মে প্রচুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পরিণামে প্রতিশোধের শিকার হয়েছে সাংবাদিকরা। কোনো কোনো এলাকায় রীতিমতো আদালত বসিয়ে বিচার-সালিশ করেছে এমপির লোকেরা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে গডফাদার কালচার। মাত্র ৩২ সদস্য়ের বিরোধী দল হয়ে বিএনপি পাঁচ বছর প্রায় কোণঠাসা হয়ে থাকে সংসদে এবং রাজপথে। এদিকে, বিরোধী দল দমনে প্রশাসন নতুন মাত্রা যোগ করে। পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা রাজনৈতিক জোশে বিরোধী দলের চিফ হুইপকে রাজপথে পিটিয়ে নতুন নজির স্থাপন করে। নিরঙ্কুশ সংখ্য়াগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনকে প্রায় আত্তীকরণ করে ফেলে। এসব দেখে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এতে যেন খুশি হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একানব্বইয়ের পর কোনো দলই পরপর সরকার গঠনের সুযোগ পায়নি।

উপচেপড়া আসন নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নামসর্বস্ব কিছু দল নিয়ে গঠিত জোটের কারণে সরকারের নাম হয় মহাজোট সরকার। জাতীয় পার্টিও এ জোটের অন্য়তম শরিক ছিল। মহাজন আওয়ামী লীগ একক কর্তৃত্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ঘোষণা করেন। সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক হযবরল নজির স্থাপিত হয়। সংসদীয় ঐতিহ্য়, নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খেয়ালখুশির গণতন্ত্র চালু করেন শেখ হাসিনা। ক্ষমতার মোহে সাধারণ চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে ফেলে দক্ষ, অভিজ্ঞ সংসদ সদস্য়রা। এদিকে, বিএনপি সংসদে নেই। রাজপথেও দাঁড়াতে পারে না পুলিশি বাধায়। এ যেন জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পুরোনো লেনাদেনা। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারী এরশাদের ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করেছিল আওয়ামী লীগ। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পিঠে ছুরি মেরে আওয়ামী লীগ তখন জাতীয় বেইমান হিসেবে নিন্দিত হয়। জাতীয় পার্টি তারই প্রতিদান দেয় ২০১৩ সালে।

মহাজোটের সরকার হলেও বিশেষ বিশেষ সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ এককভাবেই নিয়েছে। জাতীয় পার্টি বা অন্য় দলগুলো তৃতীয় বাচ্চার মতো অল্পে তুষ্ট থাকতে বাধ্য় হয়। মজা পেয়ে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করায় মন দেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উপদেষ্টারা। সাধারণ নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণে ব্রতী হয় তারা। জাতীয় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নেমে পড়ে হুজুগে। আওয়ামী লীগের এমপিরা এবার আর শুধু গডফাদার নয়, অনেকে রীতিমতো মাফিয়া বনে যায়। স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমতা ধরে রাখতে আইনের ফাঁকে আমলাদের দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছেন। টাকা ছড়িয়ে দুর্বৃত্তায়িত করেছেন রাজনীতিকে। আর কর্তৃত্বপরায়ণ শেখ হাসিনা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আইনই পরিবর্তন করে ফেলেছেন। নিজেদের লোক নিয়োগ দিতে, কাজ পাইয়ে দিতে বিভিন্ন দপ্তরের বিধিমালা পরিবর্তন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন যোগ করেছেন। পুরো নির্বাচনী ব্য়বস্থা পঙ্গু করে ফেলেছেন। এ ক্ষেত্রে এরশাদকে টপকে গিয়েছেন তিনি। যে কারণে ফ্য়াসিস্ট বলা হচ্ছে তাকে। একাদশ নির্বাচনে নানান দেন-দরবারের পর জাতীয় ঐক্য়ফ্রন্টের ব্য়ানারে নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। কিন্তু এতে বিচলিত হতে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগকে।

নির্বাচনী ফল ঘোষণার সময় তৎকালীন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন বিএনপির আসন সম্পর্কে প্রকাশ্য়ে বলেন, ‘এত কম কেন। আরও দেওয়ার কথা ছিল।’ ওই নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ছয়টি আসন পায়। নির্বাচনের আগের রাতে ভোট হয়ে গিয়েছিল বলে জোর আলোচনা ছিল বছরের পর বছর। এ নিয়ে সরকারকে কখনো জোরালো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। উল্টো মুখরোচক রসিকতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। রাতের ভোটের সরকার বলে বিরোধী দল ও মতের মানুষ প্রকাশ্য়ে সমালোচনা করত। যদিও ভিন্ন মতের মানুষের গুম-খুনের আতঙ্ক ছিল। এ নির্বাচন দেখে জাতীয় পার্টির নেতারাও বোকা হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক আড্ডায় তারা এ কথা বলতেন। এরশাদের শাসনামলে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা ছিল না। সেই এরশাদের অনুসারীরা শেখ হাসিনার নির্বাচনী ব্য়বস্থা দেখে হতবাক। নির্বাচন বড় নয়, মনোনয়ন পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে হাসিনা সরকার। জনপ্রতিনিধি নয়, বিজয়ী হলেই জমিদার। এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। দ্বাদশ নির্বাচনও ছিল অনেকটা পাতানো খেলা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শুধু নিজেদের আসন নয়, অন্য় দলের কে কোনটি পাবে তাও ঠিক করার দায়িত্বে ছিল। রাজনীতিতে গণতন্ত্রের বদলে এক ধরনের জমিদারতন্ত্র চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীরূপী সম্রাজ্ঞী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধবাণিজ্য়, স্বাধীনতাবিরোধী ট্য়াগ, উন্নয়নের গল্প ছিল তার ব্রহ্মাস্ত্র। ছুরির মতো জিহ্বা চালিয়ে অনেক প্রতিবাদী ভদ্রলোককে তিনি বাকরুদ্ধ করে রেখেছিলেন গত দেড় দশক। এখন সবাই কথা বলছেন।

নব্বইয়ে স্বৈরাচার পতনের পরও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা এরশাদ আমলের উন্নয়নের সাফাই গাইতেন। জেনারেল নূরউদ্দিনসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও গৃহপালিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের বেইমান বলে দোষারোপ করতেন। বিশ্ববেহায়া তকমা পেলেও পুরুষ নেতৃত্ব নিয়ে অশ্লীল রকমের গর্ব করত তারা। দুই নেত্রীকে নিয়ে অসভ্য়দের মতো সমালোচনা করত দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নেতারা। ৩৩ বছর কাটল। এখন একই চিত্র দেখা যাচ্ছে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আচরণে। তারাও হাসিনা সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত উন্নয়নের গান গাইছে। দুদিন আগের দম্ভ ভুলে ট্রাম্প-মোদির করুণার আশায় নির্লজ্জের মতো আস্ফালন করছে। এরশাদের চেয়ে সহস্রগুণ নৃশংসতা করলেও কোনো অনুশোচনা নেই। অমানুষিক হতাশায় অনুতপ্ত হওয়ার অনুভূতি লুপ্ত হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে তারা জাতীয় পার্টিকে ছাড়িয়ে গেছে। অথচ, তিন মাসের শিশু অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় খড়্গহস্ত তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্য়মে তাদের ব্য়ক্তিগত ওয়ালে সক্রেটিসের বাণী ঝোলে। সেখানে লেখা, ‘অন্য়ায় করে লজ্জিত না হওয়াটা আরেক অন্য়ায়’। একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে রাখা ভূমিকার জন্য় জামায়াত আজও ক্ষমা চায়নি। এই দাবিতে অন্য়দের মধ্য়ে আওয়ামী লীগ বেশ সোচ্চার। এদিকে, জুলাই-আগস্ট গণহত্য়ার পরও আওয়ামী লীগের কোনো বিকার নেই। হতে পারে আকস্মিক ক্ষমতা হারিয়ে মানসিক বৈকল্য় দেখা দিয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য় রাজনীতি করতে হলে আগে মানুষ হতে হবে।

গণমানুষের গড়া ঐতিহাসিক দলটিকে হাইব্রিড নেতারা ঝাঁজরা করে দিয়ে গেছে। শুধু দল নয়, দলের নেতা শেখ হাসিনাকেও ছাত্র-জনতার প্রতিপক্ষ ‘মালেকা হামিরা’র প্রতিরূপ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তার বিভিন্ন সময়ের দম্ভোক্তি ও ফাঁস হওয়া অডিও-ভিডিও দেখে হতভম্ব জাতি তাকে নিয়ে নতুন করে ভাবছে। তার মানসিক ভারসাম্য় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কওমি জননীর আড়ালে ‘এ কি রূপ হেরিনু’ অনুভূতি এখন সবার মাঝে। তার পিতা-মাতা, ভাই-বোনসহ পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য় পঁচাত্তরে হত্য়াকাণ্ডের শিকার হয়। সেই দুঃসহ ঘটনা ৪৯ বছর ধরে তাকে তাড়িত করে। নিজে হামলার শিকার হয়েছেন অনেকবার। ব্য়ক্তিগত জীবনের অশান্তি তাকে দিনে দিনে নিষ্ঠুর করে তোলে। এ ছাড়া ক্ষমতার মোহে পড়ে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে অনবরত ছেলেখেলায় ক্লান্ত হয়েছে সে। শত চাটুকারের মাঝে নিঃসঙ্গ বঙ্গবন্ধুকন্য়া শেখ হাসিনা ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে গিয়েছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় ভুলভাল করার পরও মুক্তির পথ ছিল রুদ্ধ। অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বাধা পড়েছিলেন দেশি-বিদেশি প্রভুর দরবারে। গণতন্ত্র নস্য়াৎ করে ক্ষমতা নামক বাঘের পিঠে সওয়ারি হয়েছিলেন তিনি। ভাবতে অবাক লাগে, এমন একটা ভয়ংকর মানুষের হাতে ছিল দেশ। কাজেই তার নামে আওয়ামী লীগ আর জাগবে না। এরই মধ্য়ে আওয়ামী লীগের চেয়েও পুরোনো ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাপা বা জামায়াতের বৈশিষ্ট্য় আওয়ামী লীগ থেকে দূর করতে হলে অনুশোচনার বিকল্প নেই। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন নেতৃত্বই কেবল পারে প্রাচীন দলটিকে আধুনিক করতে। বিকল্পহীনার বিকল্প এখন সময়ের চাহিদা।

লেখক: যুগ্ম সম্পাদক, কালবেলা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্কিন আদালতে অভিযুক্ত আদানি, পরোয়ানা জারি

হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে দাঁড়াতে চান জেড আই খান পান্না

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠকে ভুটানের রাষ্ট্রদূত

শীতকালীন সবজিতে বাজার সয়লাব হলেও দাম কমেনি

দেশে ফিরলেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

আইজিপির দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৬ কিলোমিটার যানজট

আগামী নির্বাচনের সময় জানালেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত

মানসম্পন্ন জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান জানাল বাংলাদেশ 

ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

১০

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সব ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত

১১

জামিন পেয়েছেন শফিক রেহমান

১২

রাশিয়ায় এবার যুক্তরাজ্যের তৈরি ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা 

১৩

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধ

১৪

বরিশালে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

১৫

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৬

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার খবর কী

১৭

বিচারের শুদ্ধতার জন্য ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা

১৮

গাজায় নিহত সেনার সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

১৯

ট্রাম্পের দলের নেতাদের বাংলাদেশ সফরের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

২০
X