খায়রুল আনোয়ার
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৭ এএম
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ডিম-সবজির দাম: টুইডেলডাম রাজার কথা

ডিম-সবজির দাম: টুইডেলডাম রাজার কথা

গত সপ্তাহে বাজার থেকে ১৮০ টাকায় এক ডজন ডিম এবং ৩২০ টাকায় দুই কেজি আলু, হাফ কেজি করে বেগুন, পটোল ও দুটি লেবু কিনে বাসায় ফেরার পথে অন্নদাশঙ্কর রায়ের ছড়ার কয়েকটি লাইন মনে পড়ে গেল। ভাবছিলাম ১৮০ টাকা দামের ডিম না খেলে কী হয়? মাছের বাজারে মাছ উঠছে কম, দাম মানুষের নাগালের বাইরে। পাতে ইলিশের কথা তো ভাবাই যায় না। ১৫০-১৬০ টাকা ইলিশের টুকরো বিক্রি হচ্ছে মর্মে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। সবজির দামও বেশ চড়া (সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছে ‘শাকসবজিও এখন বিলাসী পণ্য’, সমকাল ১১ অক্টোবর)। তাহলে খাবোটা কী?

বাজারের এ হাল দেখে প্রখ্যাত লেখক ও ছড়াকার অন্নদাশঙ্কর রায়ের একটি ছড়ার কথা মনে হলো। ছড়ার লাইনগুলো হচ্ছে—‘না খাবো তো খাবো কী? এ বাজারে পাবো কী? আকাশছোঁয়া দর যেখানে, সস্তা পাওয়া যাবে কী?’ অন্নদাশঙ্করের আরেকটি ছড়া এমন যে, রাজা যায়, রাজা আসে অর্থাৎ রাজা বদল হয়, নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসে না। প্রজারা দাম কমার আশায় একবার টুইডেলডিকে রাজা বানায়। দাম না কমায় হতাশ প্রজাকুল রাজা বদলিয়ে টুইডেলডামকে রাজা করে। ছড়াটি মোটামুটি এরকম—

‘কেন এমন ভাগ্যি হল সর্ষের তেল মাগগি হল, কেউ জানেনা মাখনের কী খবর। সর্ষের তেল নাকে দিয়ে, রাজা ঘুমোন নাক ডাকিয়ে। টুইডেলডাম রাজা তোমায় ছি ছি ছি। এখন থেকে রাজা হবেন টুইডেলডি। কেন এমন ভাগ্যি হলো শাকসবজি মাগগি হল, কেউ দেখেনি মাছের এত দর। কেউ জানেনা কী আছে এরপর, টুইডেলডি রাজা আরে রাম রাম রাম। এখন আবার রাজা হবেন টুইডেলডাম।’

১৯৯৪ সালের দিকে লেখা এই ছড়ায় টুইডেলডি ও টুইডেলডাম রাজার কথা বলা হয়েছে। দেশে কোনো রাজার শাসন নেই, ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হয়েছে এবং দলীয় কোনো সরকারও এখন নেই। ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার দেশ পরিচালনা করছে। তবে অন্নদাশঙ্কর ছড়ার মাধ্যমে নিত্যপণ্যের জন্য ক্রেতাদের যে হাহাকারের কথা তুলে ধরেছেন, যা এত বছর পরও বাংলাদেশে এখনো প্রাসঙ্গিক। মানুষ বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে দিশেহারা অবস্থায় আছে। পরিবারের বাজেট ছোট থেকে ছোট করেও কুলাতে পারছেন না। কেন এ অবস্থা? এককথায় এর জবাব পাওয়া যাবে না। সরকারের উপদেষ্টা এক কথা বলেন তো পণ্যের উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতারা বলেন ভিন্ন কথা। দাম নিয়ে কথা চালাচালি হচ্ছে, সংবাদপত্রের শিরোনাম হচ্ছে। বাস্তব অবস্থা হলো ডিম সবজিসহ নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের লাগাম কিছুতেই টেনে ধরা যাচ্ছে না। উপদেষ্টার বাজার পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের দৌড়ঝাঁপ, কোনো ফল বয়ে আনছে না, সাধারণ মানুষ অসহায় অবস্থার মধ্যে আছে।

তবে হঠাৎ করে পণ্যের দাম বাড়া নিয়ে কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনসূত্রে পেয়েছেন বিপর্যস্ত ও দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনীতি। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ১২ দিনের মাথায় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার সঙ্গে ফসল ও সবজির ক্ষেত ডুবে যায়। এতে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে চলতি মাসের শুরুতে অস্বাভাবিকভাবে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুরে বন্যা হয়। এ বন্যায় ফসল ও সবজির ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া এই বছর ঘন ঘন বৃষ্টিতে সবজির ক্ষতি হওয়ায় দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন উৎপাদক ও বিক্রেতা।

তবে যেভাবে যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, তার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি আছে। বাজারে সবজির কোনো কমতি নেই। সবজি বিক্রেতার দোকানে থরে থরে সাজানো সবজি। ডিমের দাম নিয়ে চলছে তেলেসমাতি। ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা; কোথাও কোথাও ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা করেও ডিম বিক্রি হয়েছে। দিনকয়েক আগে অনেক খুচরা বাজারে উধাও ছিল ডিম। বাজারে বাজারে অভিযান ও ব্যবসায়ীদের জরিমানার মুখে রাজধানী তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার বড় পাইকাররা গত সোমবার ডিম বেচাকেনা বন্ধ করে দেন। হঠাৎ করে এভাবে বেচাকেনা বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন ক্রেতারা। অনেক খুচরা বাজারে ডিম না পাওয়ায় তাদের খালি হাতে ফিরতে হয়। এ ব্যাপারে পাইকারদের বক্তব্য, খামার পর্যায়ে ডিমের দাম বেশি। বড় পাইকার পর্যায়ে ডিমের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা ডিম সংগ্রহ ও বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কারওয়ান বাজার পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দাম বেড়েছে সেটা স্বীকার করছি। তবে দাম বাড়ার কারণও আছে। চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম। বাজারে বর্তমানে সবজি সরবরাহে বেশ সংকট রয়েছে। গত কয়েকটি বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে।’

বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে ডিমের দাম বেশি, এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে উপদেষ্টা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘ডিম কি আমি মেশিনে তৈরি করব?’ প্রতিদিনের চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন ও সরবরাহ কম বলে জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা। এর কয়েক দিন আগে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘ডিমের দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে ৭০ শতাংশ দাম ফিডের খরচের ওপর নির্ভর করছে। এই ফিডের দাম তো এ সময় বাড়েনি। তাহলে দামটা বাড়ল কেন? বাজারে দাম বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি আছে। এটাকে অপরাধ হিসেবে দেখা উচিত।’

ডিম নিয়ে দুই উপদেষ্টা দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা উৎপাদন ও সরবরাহ কম হওয়ার কথা বলেছেন। আর প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দাম বাড়ার পেছনে কারসাজি আছে বলে মনে করেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ কারণ খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব কার? সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরকেই এর কারণ বের করতে হবে এবং তা যত দ্রুত সম্ভব। অবশ্য এরই মধ্যে ডিমের দাম নিয়ে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতে কিছুটা সুফলও দেখা যাচ্ছে বাজারে। তবে স্থায়ী সুফল পাওয়ার দিকে হাটা জরুরি।

ডিমের বাজারের অস্থিরতা নিয়ে সংবাদপত্রের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইলের বড় পাইকাররা কারসাজি করে ডিমের অস্বাভাবিক দাম বাড়াচ্ছেন। এ তথ্য প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার বক্তব্যকেই যথার্থ প্রমাণ করে। ১৫ অক্টোবরের সমকালে ‘নয়ছয়ে টাঙ্গাইলের বড় পাইকাররা’ শিরোনামে জসীমউদ্দীন বাদলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘টাঙ্গাইলের আশপাশ এলাকার সব ডিম আসে টাঙ্গাইলে। সেখানে প্রতিদিন দাম নির্ধারণ করেন বড় পাইকাররা। দাম ওঠানামা করে তাদের মতে। চাইলেও কোনো পাইকারি ব্যবসায়ী সরাসরি খামারির কাছ থেকে ডিম কিনতে পারবেন না। খামারি এবং বড় পাইকারদের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী খামারিরা শুধু বড় পাইকারকেই ডিম সরবরাহ করতে পারবেন। ফলে মূল কারসাজির সঙ্গে জড়িত বড় পাইকাররা।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত ১৩ অক্টোবর সংবাদপত্রে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে আড়তদারদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আড়তদারদের যোগসাজশে পাইকারি, বেপারি ও খুচরা ব্যবসায়ী—সবাই একত্র হয়ে দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কারওয়ান বাজারে প্রায় এক হাজার অবৈধ ফড়িয়া ব্যবসায়ী আছেন। তাদের কোনো ধরনের নিবন্ধন, রসিদ বই বা অন্য কোনো অনুমোদন নেই। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং সরকার গঠিত টাস্কফোর্স মাঝেমধ্যে কারওয়ান বাজার বা রাজধানীর কিছু বাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে নামে। নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি না করলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জরিমানা করা হয়। অভিযান শেষে টাস্কফোর্স বা ভোক্তা অধিকার চলে গেলে আবার বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হয়। এ যেন ক্রেতাদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ ও বিক্রেতাদের নির্মম রসিকতা। মাঝেমধ্যে বাজার পরিদর্শন ও কিছু অর্থদণ্ড করা ছাড়া সংশ্লিষ্টদের যেন আর কোনো ভূমিকা নেই। ভোক্তা অধিকারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে তাদের কাছে জানাতে ইচ্ছা করে, কারওয়ান বাজারে তাদের উল্লিখিত ১ হাজার ২০০ অবৈধ ফড়িয়া, ব্যবসায়ী যে কোনো ধরনের অনুমোদন না নিয়ে নিবন্ধন ও রসিদ বই ছাড়া বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ক্রেতাসাধারণের পকেট কেটে পণ্যের বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। তাদের কি জবাবদিহির আওতায় নেওয়া একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার? কারসাজির এই উৎস মুখ কি বন্ধ করা যায় না?

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সঙ্গে চাঁদাবাজি জড়িত আছে। উৎপাদক থেকে বিভিন্ন হাত বদল হয়ে রাজধানীর বাজারে মাছ, মুরগি, সবজি, ডিম প্রবেশ করা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি চলে। পুলিশের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে অভিযোগ থাকলেও ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ এখন চাঁদাবাজিতে নিষ্ক্রিয় বলে শোনা যায়। রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী এবং মাস্তানরা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। নিত্যপণ্য কারওয়ান বাজারে আসার পরও চাঁদাবাজি অব্যাহত থাকে। সংবাদপত্রে ফলাও করে ছাপা হয়েছে, পতিত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় সন্ধ্যার পর কারওয়ান বাজার থেকে বস্তাভর্তি টাকা যেত। এটা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। এখন বস্তাভর্তি না হলেও আবারও কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার কি অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে একেবারে গোড়ায় যাবে? কোন পণ্যের সঙ্গে কোন সিন্ডিকেট জড়িত, তা খুঁজে দেখা কি অসম্ভব কোনো ব্যাপার? চাহিদার তুলনায় সব পণ্যের সরবরাহ কম কি না, তা দেখা দরকার। কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় কোথায় চাঁদাবাজি হয়, কারা এর সঙ্গে জড়িত তা নিবিড় অনুসন্ধানে চিহ্নিত করা জরুরি। মাঝেমধ্যে বাজার পরিদর্শন বা মনিটরিং করে কোনো ফল পাওয়া যাবে না। আমাদের জানা নেই, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা নিত্যপণ্যের বড়, মাঝারি ও ছোট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধি বা সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কি না? বৈঠক না করে থাকলে অতিদ্রুত এদের সঙ্গে উপদেষ্টাদের এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বসা দরকার। পণ্যের অতি মূল্য নিয়ে তাদের বক্তব্য শোনা এবং তাদের বক্তব্যের যথার্থতা যাচাই করে দেখতে হবে। ক্রেতাদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। তাদের বক্তব্যও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জানা দরকার। ডিম-সবজিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছেন অনেকে। শুধু এখনকার বাজার পরিস্থিতি নয়, আগামী দিনগুলোতে চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের চাহিদা ও উৎপাদন পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তার আগাম মূল্যায়ন সরকারকে এখনই করতে হবে। কোনো পণ্যের ঘাটতি হলে তার চাহিদা অনুযায়ী পূরণের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করে রাখা দরকার। প্রয়োজনে যথাসময়ে আমদানি করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে জিনিসপত্রের দামের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রথমত ডিম-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। দ্বিতীয়ত গোড়ায় গিয়ে সিন্ডিকেটের কার্যক্রম অচল করে দেওয়া। সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধ করতে হবে। জিনিসপত্রের দামের পাগলা ঘোড়া থামাতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দিন দিন বাড়তেই থাকবে। অর্থ ও বাণিজ্যের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয় একজনের হাতে না রেখে বাণিজ্য উপদেষ্টা পদে একজন যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিকে অবিলম্বে খুঁজে বের করা দরকার।

লেখক: সাংবাদিক ও বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকরির সুযোগ

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর জানাজায় অসুস্থ হয়ে জামায়াত নেতার মৃত্যু

আজকের দিনটি কেমন কাটতে পারে? জেনে নিন রাশিফলে

থানচিতে জরায়ু ক্যানসারের টিকা পাবে ১২৩৫ কিশোরী

কিউবায় তিন দিন পর বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আশরাফুল মুনিম

আজ টিভিতে দেখা যাবে যেসব খেলা

২২ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি 

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

ঢাকার যেসব এলাকায় আজ মার্কেট বন্ধ

১০

চাঁদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

১১

অটোমেটেড মেশিনের দিকে ঝুঁকছে পোশাক কারখানার মালিকরা

১২

ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার

১৩

মধ্যরাতে ব্যারিস্টার সুমনের ভিডিও বার্তা

১৪

ব্যারিস্টার সুমন কি গ্রেপ্তার হয়েছেন?

১৫

আইটেক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ভারতে গেলেন ১০ কর্মকর্তা

১৬

চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩

১৭

শুরু হলো আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ৭১ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প

১৮

বাবা হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

১৯

দৌলতদিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক

২০
X