ড. মইনুল ইসলাম
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৮ এএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ঋণ করে ঘি খাওয়ার ক্ল্যাসিক নজির

ঋণ করে ঘি খাওয়ার ক্ল্যাসিক নজির

আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে পনেরো বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি প্রশংসনীয় গতিতে বাড়ার গল্প সাজিয়ে দেশটা লুটপাট করেছে। মাথাপিছু জিডিপি প্রকৃতপক্ষে একটি মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ কনসেপ্ট। এটার সবচেয়ে মারাত্মক সীমাবদ্ধতা হলো, এটা একটা গড় যেটা স্বল্পসংখ্যক ধনী এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক অবস্থানের দরিদ্র জনগণের আয়ের বণ্টনের ক্রমবর্ধমান বৈষম্যকে লুকিয়ে ফেলে। এর মানে, একজন কোটিপতির আয়ের সঙ্গে একজন ফকিরের শূন্য আয়ের গড় করলেও ওই ফকিরের মাথাপিছু আয় পঞ্চাশ লাখ টাকা হয়ে যাবে। মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যদি দেশে আয়বণ্টনে বৈষম্যও বাড়তে থাকে তাহলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল সমাজের কয়েক হাজার উচ্চবিত্ত জনগোষ্ঠীর কাছে পুঞ্জীভূত হওয়ার প্রবণতা ক্রমশ শক্তিশালী হতে থাকে, যার ফলে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ প্রবৃদ্ধির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। বাংলাদেশের গত সাড়ে পনেরো বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল একচেটিয়াভাবে পুঞ্জীভূত হয়ে গেছে কয়েক হাজার কোটিপতি ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছে, যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘ওয়েলথ এক্স’-এর প্রতিবেদন ওয়ার্ল্ড আল্ট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট-২০১৮ অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে ২০১৭—এ পাঁচ বছরে অতি ধনী বা ধনকুবেরের সংখ্যা বৃদ্ধির দিক দিয়ে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে পেছনে ফেলে সারা বিশ্বে এক নম্বর স্থানটি দখল করেছিল বাংলাদেশ। এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হলো বাংলাদেশের জনগণের আয়বৈষম্য-পরিমাপক জিনি সহগ, যা ১৯৭৩ সালে ছিল ০.৩৬, সেটা বিংশ শতাব্দীর আশির দশক থেকে বাড়তে বাড়তে ২০২২ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপে পর্বতপ্রমাণ ০.৪৯৯ এ পৌঁছে গিয়েছিল। কোনো দেশের জিনি সহগের মান ০.৫ হলে সে দেশকে ‘উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশ’ বলা হয়। অতএব, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে একটি ‘উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশে’ পরিণত হয়েছে।

তাত্ত্বিকভাবে জিডিপি হলো (ভোগব্যয়+বিনিয়োগ ব্যয়+সরকারি ব্যয়+রপ্তানি আয়+আমদানি ব্যয়)। আর মোট জিডিপিকে দেশের মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ দিলে পাওয়া যায় মাথাপিছু জিডিপি। মাথাপিছু জিডিপিকে বাড়িয়ে দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগ সরকার একদিকে ‘ডাটা ডক্টরিং’ করে মোট জিডিপিকে বাড়িয়ে দেখাত, অন্যদিকে দেশের মোট জনসংখ্যাকে প্রকৃত জনসংখ্যার তুলনায় কমিয়ে দেখাত। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যখন ২০১৪-১৮ মেয়াদে পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে ‘ডাটা ডক্টরিং’-এর কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছিলেন। সত্য তথ্য পরিবেশনের পরিবর্তে ভুয়া তথ্য-উপাত্ত ম্যানুফেকচার করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল ব্যুরোকে। ‘ডাটা ডক্টরিং’-এর সহায়তায় মোট জিডিপি বাড়িয়ে দেখানো এবং জনসংখ্যা কমিয়ে দেখানো পরিকল্পনা ব্যুরোর খাসলতে পরিণত হয়েছিল। পরিকল্পনামন্ত্রীর নির্দেশে এহেন ‘ম্যানিপুলেটেড’ তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রতি বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বাড়িয়ে দেখিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরের বিনিয়োগ ব্যয় গত এক দশক ধরে জিডিপির অনুপাত হিসেবে ২৩-২৪ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু সরকারি খাতে অজস্র ঋণ করে ঘি খাওয়ার মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের অর্থ ব্যয় করায় প্রতি বছর মোট জিডিপি বেড়ে গেছে। সরকারি রাজস্ব আহরণ এ দেশে কমতে কমতে জিডিপির শতাংশ হিসেবে ৮ শতাংশে নেমে যাওয়া সত্ত্বেও বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের অর্থে প্রতি বছর সরকারি ব্যয় বাড়ানোয় জিডিপি দ্রুত বেড়ে গেছে। সরকারি ঋণ বাড়লে তা জিডিপিকে বাড়িয়ে দেয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধির পথে কোনো বাধা হয় না। কারণ, ঋণের হিসাব জিডিপিতে থাকে না। আওয়ামী লীগের সাড়ে পনেরো বছরের শাসনামলে ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের’ মাধ্যমে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, দলীয় নেতাকর্মী, কয়েকজন অলিগার্ক-ব্যবসায়ী এবং পুঁজি-লুটেরাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি খাতের প্রকল্প থেকে যে লাখ লাখ কোটি টাকা লুণ্ঠনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, তার ভয়াবহ কাহিনি তার পতনের পর উদ্ঘাটিত হতে শুরু করেছে। একটি দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের দাবি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অথচ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার দিনে বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এর মানে, এই দুই ঋণের স্থিতির অঙ্কের পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণের সাগরে দেশের জনগণকে নিমজ্জিত করে প্রতি বছর মাথাপিছু জিডিপির উচ্চপ্রবৃদ্ধি দেখিয়ে চলেছিলে আওয়ামী লীগ, যাকে এক কথায় বলা চলে ‘নিকৃষ্টতম শুভঙ্করের ফাঁকি’ ও জনগণের সঙ্গে ভয়ানক প্রতারণা। ফলে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিজন বাংলাদেশির মাথার ওপর এক লাখ টাকার বেশি ঋণ নিজেদের ওপর চেপে বসে গেছে।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার অজুহাতে একের পর এক মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি সারা দেশে লাগামহীনভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে শত শত উন্নয়ন প্রকল্প। প্রতিটি মেগা প্রকল্পে প্রকৃত ব্যয়ের তিন-চারগুণ বেশি ব্যয় দেখানোর মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে লাখ লাখ কোটি টাকা, যেজন্য এসব প্রকল্পের ব্যয় ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ’ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দেশের এমন একটি প্রকল্পের নাম করা যাবে না যেটার খরচ প্রতিবেশী দেশ ভারতের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি ছাড়া কম নয়। গত সরকার বাংলাদেশে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে মেগা-প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত করেছে কিংবা বাস্তবায়ন করছিল তার তালিকাটা দেখুন—পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা বন্দর, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাঁশখালী বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঢাকা বিআরটি প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া উড়াল সড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়ক, মিরসরাই-ফেনীতে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা-পায়রা-যশোর রেলপথ, যমুনা রেলসেতু, পতেঙ্গা নিউমুরিং টার্মিনাল, আখাউড়া-লাকসাম ডবল লাইন রেলপথ এবং চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ। এগুলো ছাড়া সারা দেশের গ্রাম ও শহরগুলোতে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে গত সাড়ে পনেরো বছরে শত শত প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতদসত্ত্বেও আওয়ামী লীগরে সরকার জনগণের বিশাল বৃহদংশের মন জয় করতে পারেননি, তার সরকারকে উৎখাত করেছে গণঅভ্যুত্থান। কারণ, এ প্রকল্পগুলোকে জনগণ পুঁজি-লুণ্ঠনের মেগা-মওকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এভাবে লুটপাটের অর্থনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিশ্বের নিকৃষ্টতম ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’ গড়ে তুলছিল। গত সাড়ে পনেরো বছর ছিল দেশে দুর্নীতি ও পুঁজি-লুণ্ঠনের মহোৎসবকাল। কয়েকটি নিকৃষ্ট প্রকল্পের উদাহরণ দেখুন—পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-মাওয়া-যশোর-পায়রা রেলপথ, চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ এবং ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প নিঃসন্দেহে নিকৃষ্ট প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলোতে প্রকৃত ব্যয়ের তিন-চারগুণ বেশি অর্থ ব্যয়িত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের নিকৃষ্টতম ‘সাপ্লায়ার’স ক্রেডিট প্রকল্প’ ১২ বিলিয়ন ডলার রাশিয়ান ঋণে নির্মীয়মাণ রূপপুর প্রমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। এটি আক্ষরিকভাবেই ‘সাদা হাতি প্রকল্প’। দুই ইউনিটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ১৩৫০ কোটি ডলার। এর দুটো ইউনিট থেকে নাকি ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ১৩৫০ কোটি ডলারের মধ্যে ১২০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে রাশিয়া। রাশিয়ার ঋণের সুদের হার হবে ৪ শতাংশ, যা ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৮ বছরে বাংলাদেশকে সুদাসলে পরিশোধ করতে হবে। অনেকেরই জানা নেই যে মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার রাশিয়ান ঋণে ভারতের তামিলনাড়ুর কুদান কুলামে ২০০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে কয়েক বছর আগে। অথচ আমাদের ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ প্লান্টের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলার রাশিয়ান ঋণ নিতে হচ্ছে কেন? উল্লিখিত মহলগুলোর পুঁজি-লুণ্ঠন কি এর জন্য দায়ী নয়?

সম্প্রতি সালমান এফ রহমান রিমান্ডে স্বীকার করেছেন, এস আলম বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি লুট করেছে, তার অর্ধেকটাই দিতে হয়েছে জয় ও টিউলিপকে! সালমান রহমান নিজেও তার মালিকানাধীন বেক্সিমকোর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩৬ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেননি। তিনি জনতা ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ২৩ হাজার কোটি টাকা আর আইএফআইসি ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ১১ হাজার কোটি টাকা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে যে, দেশের চলমান ৮২টি প্রকল্পে শেখ হাসিনার কোনো না কোনো আত্মীয়স্বজন জড়িত রয়েছেন, যেগুলোর প্রকল্প-ব্যয় ৫১ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের খামখেয়ালিভাবে গৃহীত নানা প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হিড়িক তিন বছরের মধ্যেই বিদেশি ঋণকে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উল্লম্ফন করিয়েছে। দেশের একটি ইংরেজি দৈনিক জানিয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদাসলে কিস্তি পরিশোধ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২.৭৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের এহেন উচ্চপ্রবৃদ্ধি ২০২৯ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। আরও দুঃখজনক হলো, এসব ঋণের অর্থে চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন যখন সম্পন্ন হবে তখন প্রকল্পগুলোর আয় থেকে ঋণের কিস্তির অতি সামান্য অংশ পরিশোধ করা সম্ভব হবে। বাকি অর্থ জনগণের ওপর দীর্ঘমেয়াদি বোঝা হিসেবে চেপে বসবে। দুঃখজনকভাবে আওয়ামী শাসনামলে বাংলাদেশে সাপ্লায়ার’স ক্রেডিট শাসকমহলের দুর্নীতি ও পুঁজি-লুণ্ঠনের সবচেয়ে মারাত্মক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল। সেজন্য বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্টগুলোর ব্যয় বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক হয়ে যাচ্ছিল, কারণ এসব প্রকল্প থেকে পুঁজি-লুণ্ঠন শাসক দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন ও পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের লোভনীয় ধান্দা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি জানিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ১৪৯.২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে।

লেখক: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে : এলডিপি মহাসচিব

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা, পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় স্কুল বন্ধ

‘শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে’

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে খুমেক হাসপাতাল, বন্ধ হয়ে গেছে অনেক সেবা

জনবল নেবে সেভ দ্য চিলড্রেন, থাকছে না বয়সসীমা

নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় পরিণত

প্যারিসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ব্যাপক বিক্ষোভ

পটুয়াখালীতে নারীসহ যুবলীগ নেতা আটক

পপুলার ফার্মায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

পুতিন-মোদি বৈঠক, পারস্পরিক সাহায্যে জোর

১০

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, উত্তাল সাগর

১১

আজ টিভিতে দেখা যাবে যেসব খেলা

১২

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

১৪

২৩ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি 

১৫

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৬

‘সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে’

১৭

ইউএনএফপিএ এবং জাপান সরকারের মাঝে ৪০ কোটি টাকার সহায়তা চুক্তি

১৮

‘রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে কোনো চক্রান্ত করার সুযোগ দেওয়া হবে না’

১৯

বুলগেরিয়ায় পড়তে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

২০
X