অ্যারিস্টটল কি তবে ভুল বললেন? তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র হচ্ছে গরিবতন্ত্র। কথাটা কি ভুল, নাকি ঠিক? তার গুরু প্লেটো বলেছিলেন মূর্খতন্ত্র। গণতন্ত্র হচ্ছে মূর্খদের রাজত্ব। অধিকাংশ লোকই মূর্খ, গণতন্ত্রের অসিলায় এ মূর্খরাই রাজত্ব কায়েম করে। গুরু প্লেটোর এ কথার সঙ্গে শিষ্য অ্যারিস্টটলের বক্তব্যের তফাত আছে, আবার নেইও। নেই বলছি এজন্য যে, যেখানে দারিদ্র্য, সেখানেই তো অজ্ঞতা। লোকে শখ করে মূর্খ হয় না, বাধ্য হয়েই হয়, দারিদ্র্যই তাদের বাধ্য করে। গরিব বলেই মূর্খ হয়, মূর্খ বলে গরিব হয়। কাজেই গরিবের রাজত্ব বললেই মূর্খের রাজত্ব বোঝাবে এবং গরিবতন্ত্র বলে যদি গণতন্ত্রের পরিচয় দিতে চান কেউ, তবে সেই পরিচিতির মধ্যে মূর্খের শাসনের উপাদানটিও রয়ে যাবে।
কিন্তু কথাটা কি ঠিক? গণতন্ত্র মানে কি দরিদ্রের রাজত্ব? এটা অবশ্যই যথার্থ যে, গরিবরা গণতন্ত্র চায়। চায় এই বিশ্বাসে যে, গণতন্ত্র তাদের স্বাধীনতা দেবে, সাম্যও দেবে আর দেবে ক্ষমতা। ভোট খুব মূলবান তাদের কাছে। কেন? বাজারে বেচা যায় বলে? না, সেজন্য নয়। ভোট তাদের মর্যাদা দেয়, গুরুত্ব দেয়, ক্ষমতাবান করে তোলে। আত্মবিশ্বাসও দিয়ে থাকে। এ বোধটা সৃষ্টি হয় যে, রাষ্ট্রশাসনে তাদেরও মতামত আছে এবং সেই মতের দাম রয়েছে। মূল্যের এ বোধটা কম মূল্যবান নয়। কিন্তু ধনীরাও তো গণতন্ত্র চায়, আজকাল। তাহলে? এমনকি অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যদি ক্ষমতায় আসে কোনো সরকার, তখনো অচিরেই দেখা যায় যে, সে ভারি গণতন্ত্রমনা হয়ে পড়ে। বলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করে ছাড়ব না কিছুতেই। ওদিকে সরকারবিরোধীরা তো চায়ই, চাইবেই। সরকারকে দরিদ্র বললে অপমান করা হবে, বিরোধীরাও গরিব নয় মোটেই। তবে কি ভুল বলেননি ওই গ্রিক দার্শনিক? মিথ্যে প্রমাণিত হয়নি ওই ‘জ্ঞানীদের গুরুর বক্তব্য’? না, মিথ্যে বলেননি অ্যারিস্টটল। ধনীর গণতন্ত্র ও গরিবের গণতন্ত্রে বিস্তর ব্যবধান। তা ছাড়া ধনবানরা যেভাবে গণতন্ত্র চায়, দরিদ্ররা সেভাবে চায় না। ধনীদের জন্য গণতন্ত্র হচ্ছে শাসনের সুযোগ, গরিবদের জন্য তো বাঁচার আশা। ব্যবধান আসমান-জমিনের। দেশে গণতন্ত্র এলে কোনো গরিব মন্ত্রী হবে না, গাড়ি পাবে না, নিশান ওড়াবে না (দরিদ্রের নিশান একটাই, জাতীয় নিশান)।
অ্যারিস্টটল অবশ্য লুকোছাপা করেননি। তিনি গরিবের রাজত্ব কায়েম করতে চাননি, ধনীর রাজত্বই চেয়েছেন। পারলে অভিজাততন্ত্রই থাকুক, না পারলে কতিপয়তন্ত্র পর্যন্ত যাওয়া যেতে পারে, কিন্তু গণতন্ত্র কখনোই নয়। কতিপয়তন্ত্রও ধনীর শাসনই, গণতন্ত্র হচ্ছে এই কতিপয়তন্ত্রের বিকৃতি। সে যেন কখনো না আসে কোনো দেশে। আব্রাহাম লিঙ্কন যে গণতন্ত্র সম্পর্কে বলেছেন—জনগণের শাসন, জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা—সে তো এই সেদিনের ঘটনা, মাত্র ঊনবিংশ শতাব্দীর। অ্যারিস্টটলের সঙ্গে যদি দেখা হয় লিঙ্কনের, তবে ওই গ্রিক দার্শনিক বলবেন তাকে—‘ভুল বলেছেন, হে রাষ্ট্রপতি, গণতন্ত্র হচ্ছে দরিদ্রের শাসন, দরিদ্রের জন্য, দরিদ্রের দ্বারা।’ না, যে অর্থে আজ আমরা বলি সে অর্থে নয়। প্রশংসার অর্থে নয়, নিন্দার অর্থে। বলে গম্ভীর হয়ে যেতেন তিনি, গুরু যিনি জ্ঞানীদের।
অ্যারিস্টটল ছিলেন সে যুগের অভিজাততন্ত্রের পক্ষে। গণতন্ত্র বলতে তিনি অনেকের শাসন বোঝেননি, গরিবের শাসনই বুঝেছেন। সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি তার রাজনীতির বইতে। বলেছেন, কোনো রাষ্ট্রে যদি এক হাজার তিনশ নাগরিক থাকে, যাদের মধ্যে এক হাজারজন ধনবান—তিনশজন গরিব, তখন এমন যদি হয় যে ওই ধনবান এক হাজারজন রাষ্ট্রশাসন করছে, তাহলে ওই ব্যবস্থাকে কি আমরা বলব গণতান্ত্রিক? না, তা বলা যাবে না। অন্যপক্ষে এমন যদি হয় যে, দরিদ্র তিনশজন তাদের শাসন কায়েম করল এবং ধনবানরা মেনে নিল সেই শাসন (তর্কের খাতিরে বলা, বাস্তবে ঘটে না কখনো) তাহলে কতিপয়ের সেই শাসনকেও কতিপয়তন্ত্র বলার উপায় নেই। ধনই মাপকাঠি, সংখ্যা নয়। এখনকার দিনে আমরা বলি উল্টো কথা। লিঙ্কনেরও পরের যুগের মানুষ আমরা, আমাদের পক্ষে না বলে উপায় কি যে, গরিব বা ধনী নয়, আসল কথা সংখ্যা; গণতন্ত্র হচ্ছে অধিকাংশের শাসন, অধিকাংশ বিত্তবান কি বিত্তহীন সে প্রশ্ন অবান্তর। কিন্তু অবান্তর কি সত্যি সত্যি? বোধহয় নয়। যেসব দেশে ধনবৈষম্য রয়েছে, সেখানে গণতন্ত্র অর্থ যে গরিবতন্ত্র; এমন কথা অত্যন্ত বড়মাপের গণতন্ত্রীও বলবেন না, মানবদরদিও নয়। মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, আইন পরিষদের সদস্য সেখানে ধনীরাই হবেন। নিশান তারাই ওড়াবেন বিজয়ের। গণতন্ত্রের কথা না বলেও রাজত্ব কায়েম করা যাবে এবং স্থির থাকা যাবে ক্ষমতায়—এরকম নিশ্চয়তা যদি পেতেন তারা কোথাও, তাহলে গণতন্ত্রের কথা ভুলেও মুখে আনতেন না।
তবে গণতন্ত্র বলতে তারা মোটেই তা বোঝেন না, যা অ্যারিস্টটল বুঝতেন। তাদের কাছে গণতন্ত্র দরিদ্রের শাসন নয়, তাদের গণতন্ত্র ধনীর শাসন। তাদের গণতন্ত্রে আজ যারা ক্ষমতায় আছেন, আগামীকাল হয়তো তারা থাকবেন না, কিন্তু পরশু দিন যে আসবেন না সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। সোজা পথে না আসতে পারলে বাঁকা পথে ঠিকই এসে যাবেন। আর যারাই আসুক, ধনীরাই আসবেন, গরিবরা নয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো ‘গণতন্ত্র গণতন্ত্র’ করে, সেখানকার অধিকাংশ দেশে কখনো ‘গণতন্ত্র’ আসে, কখনো সামরিক শাসন। তাতে ধনীদের কোনো কষ্ট হয় না। গণতন্ত্রের কালে যারা মন্ত্রী ছিলেন, সামরিক শাসনের কালেও তাদের অনেকে মন্ত্রী হয়ে যান, বাকিদের ব্যবসা-বাণিজ্য-পেশাগত কর্মকাণ্ড সমানে চলতে থাকে। দল ভাঙেন। আমরা বলি ডিগবাজি খেলেন। একেবারেই ভুল বলা, ঈর্ষাকাতরের সান্ত্বনাধ্বনি, ভাবি হাড়গোড় ভাঙল বুঝি, চিকিৎসা লাগবে। আসলে ওসব কিছু নয়, সামান্য পাশফেরা, বড়জোর এক দরজা দিয়ে বের হয়ে এসে অন্য দরজা দিয়ে ঢোকা। তারা ঠিকই থাকেন, অবস্থা আরও ভালো হয়। কেননা তার হচ্ছেন ধনী গণতন্ত্রের কথা তাদের বলতে হয়। অন্য কথা বললে লোকে শুনবে না। ধনী হওয়ার জন্য লড়ছি না, গণতন্ত্রের জন্য লড়ছি—এ কথা বলা সম্মানজনক, নিজের পক্ষেও। সর্বোপরি আমি আছি আমার তালে—এমন ঘোষণা দিলে জনগণ, যাদের অধিকাংশই দরিদ্র, যেমন ছিল তারা অ্যারিস্টটলের কালে, তারা আমার সঙ্গে থাকবে কেন? গরিবকে আশা দেওয়া চাই, বলতে হবে ভাত পাবে, কাপড় পাবে, গণতন্ত্র পাবে—এসো আমার সঙ্গে। জনগণ তার সঙ্গে না থাকলে সরকার ভয় পায়, ভাবে বিদ্রোহ দেখা দেবে। ভয় পেয়ে দাতাদেশগুলো ঋণ দেবে না, ওসব দেশের মানুষও গণতন্ত্র পছন্দ করে (ধনবাদী যদিও)। ক্ষমতাবহির্ভূতরাও গণতন্ত্রের কথা বলেন, ওই একই কারণে। ক্ষমতার লোভে।
আমাদের মতো দেশে গণতন্ত্র এসেছে যদিও বলা হয়, তবু আদতে আসেনি। অ্যারিস্টটলের অর্থে আসেনি, কেননা গরিবতন্ত্র কায়েম হয়নি। গণতন্ত্রকে ধনীরা যে অর্থে বোঝে, অর্থাৎ ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা বেশ শান্তিপূর্ণভাবে হবে, পরমতসহিষ্ণুতা থাকবে দেশে, নিরাপত্তা পাওয়া যাবে—সেই অর্থেও আসেনি। তবে অ্যারিস্টটল-কাঙ্ক্ষিত কতিপয়তন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত বটে। যে নামেই আসুন, ধনীরাই আসছেন, এসে আরও বেশি ধনী হচ্ছেন। আমাদের দেশে ভ্রমণে এলে অ্যারিস্টটল খুশি হতেন কতিপয়তন্ত্র চালু আছে দেখতে পেয়ে।
মানুষের অসন্তোষের মূল কারণটা কী? ভুল করেননি অ্যারিস্টটল, ভুল করলে আড়াইশ বছর পর আজও যে তিনি প্রাতঃস্মরণীয় সেটি হতো না। মূল কারণ, তিনি দেখেছেন, অসাম্য। সেই অসাম্য দেখবেন তিনি বাংলাদেশে। তার কালে ধনবৈষম্য অতটা নিয়ামক হয়ে ওঠেনি, আজ যতটা হয়েছে। দেখতে পেতেন মানুষ কেমন ক্ষেপে উঠছে থেকে থেকে। ধনবৈষম্যের কারণে।
অসন্তোষ দূর করার নানান পথ রয়েছে। অ্যারিস্টটলের জানা ছিল সেসব পথের খবর। একটি পুরাতন পদ্ধতি হচ্ছে (বলেছেন তিনি) মাথাগুলো ছেঁটে ফেলো, স্বাধীনচেতাদের সরিয়ে ফেলো। এ কৌশল সে যুগেই যখন পুরাতন ছিল, একে তাই সনাতন বলতে বাধা দেখি না। স্বাধীনচেতারা মারাত্মক ব্যাধির মতো—স্বৈরশাসকদের দৃষ্টিতে। তারা থাকলে বিপদ আছে। এ তো গেল হাতুড়ে পদ্ধতি। সূক্ষ্ম ব্যবস্থাও রয়েছে।
অ্যারিস্টটল বলছেন, স্বৈরশাসকরা জনগণকে সাংস্কৃতিকভাবে মিলিত হতে দেয় না। কেউ বলতে পারবেন না যে, গ্রিক দার্শনিকের এ বক্তব্যটা মিথ্যে। না, মানুষকে তারা সাংস্কৃতিকভাবে সম্মিলিত হতে দেয় না। দিতে পারে না। দিলে বিপদ আছে, কেননা জনগণের সাংস্কৃতিক স্তর তখন উঁচু হয়ে যাবে, চোখ যাবে ফুটে, দৃষ্টি যাবে খুলে। সেকালের নগর রাষ্ট্রগুলোতে লোকসংখ্যা ছিল অল্প, সাংস্কৃতিকভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা তেমন কঠিন হতো না। একালে ব্যাপারটা কিছুটা কঠিন হয়েছে। তা হোক, কিন্তু অসম্ভব নয়। গণমাধ্যমগুলো সবসময়ই রয়েছে সরকারের নিয়ন্ত্রণে। পত্রপত্রিকা, নাটক, প্রকাশনা, সংগীত, চলচ্চিত্র এসবের ওপর কর্তৃত্ব করার প্রত্যক্ষ-অপ্রত্যক্ষ বহু পথ রয়েছে খোলা। সংস্কৃতির ব্যাপারে সরকারি অনীহার তাৎপর্য শুধু যে নেতিবাচক তা নয়, ইতিবাচকও বটে। ইতিবাচক ইচ্ছাটা হচ্ছে জনগণের বোধশক্তিকে স্তিমিত রাখা।
অ্যারিস্টটল বলেছেন বিদ্যালয় খুলতে দিতে নেই। কেন? না, ওই যে স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখা ওই উদ্দেশ্যে। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসক অ্যারিস্টটলের পাঠক তা নিশ্চয়ই নয়, কিন্তু সব স্বৈরশাসনেই দেখা যায় ওই একই ব্যবস্থা, বিদ্যালয় বাড়িও না। বাংলাদেশ তো স্বাধীন হয়েছে কিন্তু কটা বেড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়? কটি বাড়ল বিশ্ববিদ্যালয়? অক্ষর জানা লোকের শতকরা হার কতটা উঠল ওপরে? কেন বারবার শিক্ষানীতির গোলযোগ এ দেশে?
মস্তানি গণতন্ত্রের মিত্র নয়, নিকৃষ্ট শত্রু। চরিত্রে সে নিষ্কলুষরূপে ফ্যাসিবাদী। সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার এই যে, এককালে যারা রাজনীতি করত—কেউ জাতীয়তাবাদী, কেউ বিপ্লবী, তাদেরও অনেকে ওই পথ ধরেছে। কেউ কেউ এরই মধ্যে ধনী হয়ে গেছে। যারা বলেন যে, বাংলাদেশে নতুন যারা ধনী রয়েছেন চরিত্রগতভাবে সবাই তারা মস্তান, তারা কথাটা সত্য বা মিথ্যা বলেন সে হিসাব আমার কাছে নেই, তবে যারা ধনী তাদের অধিকাংশই যে মস্তানি থেকে দূরে নেই, এটা বোধহয় বলা যায় সাহস করে। মস্তানি নানা প্রকারের বটে, কিন্তু সব মস্তানিই গণতন্ত্রবিরোধী।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গরিবরাই ছিল প্রধান শক্তি। কিন্তু স্বাধীনতার পরে প্রবৃদ্ধি যা হয়েছে, তা পুঁজিবাদী লাইনেই। স্বাধীনতা-উত্তর আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস পুঁজিবাদের অপ্রতিহত অগ্রগতির ইতিহাস। গরিব মানুষ গরিব থাকতে চায় না, চায়নি, যেজন্য তারা সমাজতন্ত্রের দাবি তুলেছে, কিন্তু তারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু থেকে ক্রমাগত দূরে সরে গেছে, যেজন্য সমাজতন্ত্র এখনো অনেক দূরে। দূরেই ছিল, আরও দূরে সরেছে। তবে তাদের অসন্তোষ ও বিক্ষোভ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, অ্যারিস্টটল দেখলে, ওই যে বললাম, খুশি হতেন না, বরং খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়তেন এবং বলাই বাহুল্য, ওইটুকুই আশার খবর তাদের পক্ষে যারা গণতন্ত্র চান, তা গণতন্ত্র বলতে তারা দারিদ্র্যের শাসনই বুঝুন কিংবা অধিকাংশের শাসনই বুঝুন।
এ যুগে অবশ্য দরিদ্ররা যে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় সে দরিদ্র থাকার জন্য নয়, দারিদ্র্য দূর করার অভিপ্রায়েই। অ্যারিস্টটলের কালেও হয়তো তারা তা-ই চাইত, যদিও অ্যারিস্টটল তাদের সেই চাওয়ার প্রতি মোটেই সহানুভূতিশীল ছিলেন না। তিনি ধনীদের স্বার্থ দেখতেন এবং তাদেরই পরামর্শ দিতেন।
লেখক: ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্তের সম্পাদক, সমাজ রূপান্তর অধ্যয়ন কেন্দ্রের সভাপতি