ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ এএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

রাজনৈতিক দলের হারমোনিয়াম পার্টি

রাজনৈতিক দলের হারমোনিয়াম পার্টি

ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন হাত ধরাধরি করে এগিয়েছে। ইতিহাস বলে, ব্রিটিশ শাসনামলে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাড়নায় এবং আত্মিক সাধনা সক্রিয় রাখতে সংঘবদ্ধ হতে বাধ্য হয় সব দল-মত-ধর্ম-বর্ণের ভারতবাসী। জাতীয় প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিকভাবে গড়ে ওঠে নানা সংগঠন। জমিদারের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠে বিভিন্ন প্রতিবাদী সংঘ। ঐতিহ্য রক্ষা ও সুকুমার বৃত্তির চর্চায় শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সমাজের অগ্রণী প্রতিনিধিরা। খেলাধুলা ও শরীরচর্চার ক্লাব সৃষ্টি হয় আধুনিক জীবনের প্রয়োজন ও ধর্মীয় সংস্কৃতি অনুসরণে। শাসন-শোষণের প্রয়োজনে কোনো কোনো সংগঠনকে সে সময় সহযোগিতাও করেছে ব্রিটিশরাজ। জাতীয়তাবোধ ও স্বাধীনতা অর্জনে সংগঠনগুলোর ভূমিকা অসামান্য। দেশমাতৃকার জন্য তাদের ত্যাগ কিংবদন্তি হয়ে আছে। রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময় সমৃদ্ধ হয়েছে এসব সংগঠনের মাধ্যমে। রাজনৈতিক চেতনা বিকাশে গণমাধ্যম গড়ে তুলেছে দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, মওলানা আকরম খাঁ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শাহেদ সোহরাওয়ার্দী, কাজী নজরুল ইসলাম, কমরেড মোজাফ্ফর আহমদ, সত্যেন সেনসহ অনেকেই পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান আমলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া পত্রিকায় সংশ্লিষ্ট হন। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই বক্তব্য প্রকাশে নিজেদের একটি পত্রিকার প্রয়োজন অনুভব করতেন। তাদের কর্মসূচি সফল করতে এগিয়ে এসেছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলো। স্বকীয়তা বজায় রেখে এক আশ্চর্য রকমের মেলবন্ধন রচনা করেছিল গণমাধ্যম ও সংগঠনগুলো। দলীয় কর্মী না হয়েও রাজনীতি সচেতন থাকত তারা। দেশের প্রয়োজনে যুগের পর যুগ এ জয়যাত্রা অব্যাহত ছিল।

বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি অসাধারণ অবদান রেখেছে গণমাধ্যম, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও পেশাজীবীদের বিরাট ভূমিকা ছিল। দুই নেত্রীর ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের সেতুবন্ধ রচনার পুরোভাগে ছিলেন গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি অঙ্গনের দিকপাল ফয়েজ আহমেদ, নির্মল সেনের মতো দক্ষ, নির্লোভ সৃষ্টিশীল অনেক ব্যক্তি। এভাবে দেখতেই অভ্যস্ত ছিল বাংলাদেশের মানুষ। বিশ্ব বেহায়াকে তাড়াতে গড়ে ওঠে ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট’, ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’-এর মতো সংগঠন। এরশাদ পতনের পর সংগঠন দুটি বিলুপ্ত ঘোষণার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হন ফয়েজ আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা। দিনে দিনে সংগঠন দুটি ব্যবহার দোষে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়। চেতনা বিক্রি ছাড়া তাদের নিজেদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। হাসিনা সরকারের হাজার অনাচারেও প্রতিবাদী কোনো পরিবেশনার উদ্যোগ নেয়নি তারা। উল্টো বিরোধী মত দমনে সরকারকে সহযোগিতা করেছে। নির্যাতিত, নিপীড়িত মজলুমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজেদের স্বকীয়তা হারিয়েছে। ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’ স্বৈরাচারী এরশাদের আতঙ্ক হলেও গত দেড় দশকে ফ্যাসিস্ট সরকারের বশংবদ তকমা পেয়েছে। চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্বৈরাচারী এরশাদের আমলের নানা অসংগতি নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র শোভা পেয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে নিয়ে পবিত্র আড়াল রচনা করেছে আয়োজকরা। অথচ খালেদা জিয়াও রেহাই পাননি প্রগতিশীল(!) ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমির হাত থেকে।

হাসিনা রেজিমে বাংলাদেশের গণমাধ্যম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনের চরম সর্বনাশ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতির ঐতিহ্যবাহী প্রতিবাদী সত্তায় ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত দেড় দশকে দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা ইচ্ছা-অনিচ্ছায় স্বৈরাচারের দোসর হয়ে ওঠে। গুম-খুন-হামলা-মামলার ভয় আর প্লট-ফ্ল্যাট-পদ-প্রকল্পের লাভ ও লোভ দেখিয়ে এক নতুন সংস্কৃতি গড়ে তোলা হয়। সমাজে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বেশিরভাগই লিখিত-অলিখিতভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সাংবাদিক-সাহিত্যিক-শিল্পী-খেলোয়াড় সবার মধ্যে মন্ত্রী-এমপি হওয়ার উদগ্র বাসনা জাগে। তারকা জনপ্রিয়তা নিয়ে যেন বসে থাকতে রাজি নয় কেউ। মন্ত্রী-এমপি হতে না পারলেও, কোনো দপ্তরের ডিজি বা কোনো একটা লাভজনক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথম শ্রেণির সৃষ্টিশীল মানুষও লজ্জা-শরম ভুলে তৃতীয় শ্রেণির নেতার পেছনে ঘুরঘুর করে। এমপি পদে মনোনয়ন না পেয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজি হয়ে দুর্নীতি করতে দেখা গেছে গোপালগঞ্জের এক ধর্ম ব্যবসায়ীকে। যুবলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার পরও অতৃপ্ত থেকেছেন দলীয় কার্যক্রম নিয়ে। শুধু সাংবাদিকতায় খুশি থাকতে না পেরে কেউ কেউ গণমাধ্যমের মালিক হয়ে গেছেন সরকারি আনুকূল্যে।

ঐতিহাসিকভাবেই গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও বামধারার লোক বেশি। তারা পড়াশোনা করেন। সৃষ্টিশীল কাজে তাদের মেধা সর্বজনস্বীকৃত। নির্লোভ ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত লোকগুলো অসাম্প্রদায়িক। নিপীড়িতের পক্ষে আমৃত্যু মানবাধিকারের ঝান্ডা তুলে নেয় হাতে। এই মিথ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বাংলাদেশে। গণমাধ্যমের মালিকানা বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীর হাতে থাকলেও, তার অফিসে একই চিত্র দেখা গেছে সবসময়। এবার সেই পৌরাণিক ময়ূরের পালক খসে তাদের ভেতরের কাক বেরিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার সঙ্গদোষে ওইসব নেতৃস্থানীয় সৃষ্টিশীল মানুষের ভেতরের কদর্য রূপ প্রকাশ পেয়েছে। লকলক করা লোভের বাতাবরণে গণমানুষের বিক্ষোভের লেলিহান শিখা চোখে পড়েনি। ভোগ-বিলাসে মত্ত থেকে ভুলে গেছে প্রলেতারিয়েত নিয়ে বানানো আর্ট ফিল্মের কথা। যে কারণে সহস্র মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার রক্তের স্রোত দেখেও চর্বিযুক্ত মগজ খোলেনি। শুধু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মুখস্থ করেছে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেসক্রিপশনে। এ পরিস্থিতির সামান্য ব্যতিক্রমও আছে। আওয়ামী লীগ সমর্থন করলেও চাটুকারিতায় পিছিয়ে থাকায় মোক্ষ লাভ হয়নি কারও কারও। তারাই মূলত আওয়ামী লীগকে সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী করেছেন। দিনের পর দিন নিজেদের মেধা-মনন ও সৃষ্টিকে অকাতরে আওয়ামী লীগের সেবায় নিবেদন করেছেন। দেশ-মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার মতো সর্বজনীন বিষয়কেও দলটির সম্পত্তি বানিয়ে হাতে তুলে দিয়েছেন। দলটি ফ্যাসিস্ট সরকারে রূপান্তরিত হয়ে সেই মেধাবীদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, আওয়ামী লীগ সমর্থন করলেও সমাজে ‘সুশীল’ ব্র্যান্ড ব্যবহার করেন তারা। গণমাধ্যমও তাদের ‘গুণী ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে মূল্যায়ন করে। দলীয় পরিচয় সামনে আনতে সংকোচ করেছেন তারা। সেজন্য হাসিনা সরকার সংস্কৃতিসেবীর নামে কাছে বসিয়েছে চাটুকার, দলান্ধ ও তৃতীয় শ্রেণির নট-নটী। স্থায়ী মঞ্চে সরকার বাহাদুরের মনোরঞ্জনে নর্দন-কুর্দন ছাড়া তাদের আর কোনো সৃষ্টি নেই। যে কারণে আওয়ামী লীগ ভেসে যাওয়ার আগে ধসে গেছে দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি-ক্রীড়াজগৎ। বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক নোয়াম চমস্কি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডা যখন শিক্ষিত শ্রেণির দ্বারা সমর্থিত হয় এবং সেই প্রোপাগান্ডার বাইরে কোনো স্বাধীন চিন্তাকে প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না, তার প্রভাব হয় ভয়াবহ। হিটলার এবং আরও অনেক ডিক্টেটরের কাছ থেকে এই শিক্ষা নেওয়া, যা এখন পর্যন্ত চলছে।’

এদিকে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি বরাবরই এ ক্ষেত্রে দুর্বল। তারা সাংস্কৃতিক চর্চার চেয়ে ধামাকা আয়োজনে আগ্রহী বেশি। তিলে তিলে সমৃদ্ধ হওয়ার চেয়ে তাল আমদানিতে উৎসাহ দেখায়। তবে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শিক্ষা-সংস্কৃতি-ক্রীড়ার গুরুত্ব বুঝে সংগঠন সৃষ্টিতে ব্রতী হয়েছিলেন। সে সময় দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি আল মাহমুদকে জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা—জাসাসের প্রধান হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। কবি মাহমুদ শর্ত জুড়ে দেন। জাসাসকে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন করা যাবে না। শিল্প-সাহিত্যের কীর্তিমানদের দিয়ে স্বাধীনভাবে সংগঠন চালাতে হবে। রাজনৈতিক খবরদারি করা যাবে না। শর্ত পূরণ করায় আল মাহমুদ মনোযোগ দিয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি চর্চার বিকাশে। কিন্তু ক্ষণজন্মা জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর দলীয় কমিটমেন্ট ঠিক রাখেননি দলের নীতিনির্ধারকরা। আল মাহমুদও সরে গেছেন একসময়। কালক্রমে জাসাস বিএনপির অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে। দলীয় নেতাদের মদদে শিল্প-সাহিত্যের তৃতীয় শ্রেণির সংগঠকরা নেতৃত্ব নিয়েছেন। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। আওয়ামী লীগ বা বামধারায় পরিপুষ্ট হয়েও দেশে কেউ কেউ আগ্রাসনবিরোধী ভূমিকা রেখেছেন। উদার ও আধুনিক মনে করে বিএনপির পতাকাতলে সমবেত হয়েছিলেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আমজাদ হোসেন, চাষী নজরুল ইসলামের মতো অনেকে। শেষ পর্যন্ত তাদের ধরে রাখতে পারেনি বিএনপি। তারা সাংবাদিক-সাহিত্যিক-শিল্পীদের কাছেও দলীয় কর্মীদের মতো আনুগত্য চান। সত্যিকারের কোনো সৃষ্টিশীল মানুষ এ ধরনের অভ্যাসের দাস হতে চায় না। মনের স্বাধীনতার জন্যই সৃষ্টিশীলতায় অনন্য হয়ে ওঠে এক-একজন আলোকিত মানুষ।

বাম রাজনীতিতে সাংস্কৃতিক চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে তারা সফলও। কখনো কখনো মূল রাজনৈতিক দলের চেয়ে তাদের সাংস্কৃতিক ফ্রন্টই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে ‘উদীচী’র নাম নেওয়া যেতে পারে। তবে রাজনীতিতে শেষ পর্যন্ত বাম দলগুলো আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপির জোটসঙ্গী। আর কোনো দল জোটে না গেলে নিঃসঙ্গ জটে পড়ে থাকে। যে কারণে অপার সম্ভাবনা থাকার পরও দেশের জন্য, সব মানুষের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেনি তারা। অন্যদিকে ধর্মীয় তাফসিরের সীমাবদ্ধতা থাকায় কোনো ইসলামী দলের সাংস্কৃতিক গ্রুপই দেশে তেমন কোনো জনপ্রিয়তা পায়নি।

রাজনৈতিক সমাবেশের আগে-পরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনেক পুরোনো রেওয়াজ। এর মধ্য দিয়ে বার্তা, স্তুতি, ক্ষোভ, দাবি এমনকি তিরস্কারও জানানো হয়। নেতাকর্মীরা বিনোদিত হয়, চাঙ্গা হয়। অনেক সময় জনপ্রিয় শিল্পীর উপস্থিতি জনসভার বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে দেখা হয়। এসবই রাজনীতির বাড়তি অনুষঙ্গ। কিন্তু দেশ-জাতির জন্য সাংস্কৃতিক চর্চা হতে হয় মুক্ত। সত্যিকারের গণমাধ্যম ও শিল্পীসমাজ বেড়ে ওঠে স্বাধীন পরিবেশে। রাজনৈতিক দলের হারমোনিয়াম পার্টি হলে সাময়িক আলোর ঝলকানি দেখা দিতে পারে মাত্র। সেটি একটি জাতির সাংস্কৃতিক ভিত্তি মজুবত করে না। জনগণের মনন তৈরিতে দেশের ঐতিহ্য ও আধুনিক সংস্কৃতির মুক্তচর্চার বিকল্প নেই। বিশ্বের কাছে নিজেদের তুলে ধরতে মানুষের মধ্যে সত্যিকারের হারমোনি গড়তে হবে। তাহলেই একটি সহনশীল, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বাংলাদেশ।

লেখক: যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক কালবেলা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কিমকে সিংহ উপহার দিলেন পুতিন

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজে নিউট্রিশন ক্লাব প্রতিষ্ঠিত

আলু বীজের চড়া দামে দিশাহারা হাওরের চাষিরা

ট্রাম্প প্রশাসনে বড় দায়িত্ব পেলেন মুসলিম চিকিৎসক

ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

নির্বাচন কমিশন গঠন

আরশের সঙ্গে জুটি ভাঙার কারণ জানালেন তানিয়া 

রোনালদোর ‘ইন্টারনেটে ঝড় তোলা’ অতিথির নাম প্রকাশ্যে

সিইসি হলেন সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন

নোবিপ্রবির ১২ বিভাগে শিক্ষক সংকট চরমে

১০

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধ, দুর্ভোগ চরমে

১১

গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব : যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, শান্তির পথে বাধা

১২

রাসিকের ১৬১ কর্মীকে অব্যাহতি, ৩৮ জনকে শোকজ

১৩

ড. ইউনূসের নামে করা ৬ মামলা বাতিল

১৪

মোটরসাইকেল চাপায় মা-মেয়ে নিহত

১৫

পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে সার্বিয়ার ভয়ংকর বার্তা

১৬

ইউক্রেনে পুনরায় চালু মার্কিন দূতাবাস

১৭

ব্যারিস্টার সুমন ২ দিনের রিমান্ডে

১৮

মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া

১৯

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে ট্রাম্পের বক্তব্যের ফ্যাক্ট চেক

২০
X