ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ এএম
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

ব্যবহার দোষে নামের বদনাম

ব্যবহার দোষে নামের বদনাম

আজ যা সংস্কার, কাল হয়তো তাই কুসংস্কার। সংস্কারের নামে সংসার সাজিয়ে বসলে জনতা পছন্দ করে না। অস্থির প্রকৃতির লোকজনও আশা করে তার অভিভাবক হবে ধীরস্থির। পরিমিতিবোধে অনন্য থেকে অন্যদের জন্য কাজ করবে। কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য ভবিষ্যতে কোনো খোটা খাবে না বলে প্রত্যাশা করে নতুন দিনের বাংলাদেশ

‘নামে কীবা যায় আসে’। ‘গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সে তার সুগন্ধ বিতরণ করবেই’। ‘নামে নামে যমে টানে’। নাম নিয়ে স্বনামে-বেনামে এরকম প্রচুর প্রবচন প্রচলিত আছে আমাদের সমাজে। রসিকতা এবং দার্শনিকতাপূর্ণ প্রবচনগুলো কোনো কোনোটা স্ববিরোধী। কোনোটা আবার পরস্পরবিরোধী। উদাহরণ হতে পারে—‘মনে এক, মুখে আরেক’। ‘মনের কথাই মুখে চলে আসে’। ব্যবহারিক জীবনে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় প্রতিমুহূর্তে হাজারো নামাবলির মুখোমুখি হতে হয় মানুষকে। এসব বাক্য ব্যবহারে আবার ব্যক্তির মুনশিয়ানা প্রকাশ পায়। একই বাক্য সব মানুষের মুখে একরকম লাগে না। কথা বললে লোক চেনা যায়। বিখ্যাত সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায় (যাযাবর) বলেছেন, ‘মানুষের পরিচয় লুকিয়ে থাকে তার জিহ্বার নিচে।’ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জিহ্বার ব্যবহারে সদা সতর্ক ও সংবেদনশীল থাকতে হয়। অতি আত্মবিশ্বাস ও অতি প্রগলভতায় অনেক সময় ভুল বার্তা পায় মানুষ। এ ব্যাপারে নাম এবং বদনাম দুটোই অর্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সে যাই হোক, নামের কথা বলছিলাম। সন্তান, প্রতিষ্ঠান, প্রকল্প; যে কোনো কিছুর নামকরণই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে পিতা-মাতা বা কর্তাব্যক্তির পছন্দ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। তারা অযোগ্য-অদক্ষ হলেও, তাদের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান জানানো হয়। তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আচরণ ও কর্মকাণ্ডে নামকরণের সার্থকতা নির্ভর করে। ব্যবহারের কারণে অনেক সময় অর্থও পাল্টে যেতে পারে। আরবি নাম মীর জাফরের অর্থ সৎ শাসক, কৃতী ব্যক্তিত্ব, ন্যায়পরায়ণ রাজা। অথচ, পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে বিশ্বাসঘাতকের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে মীর জাফর। ভারতে ‘মাওবাদী’ বলতে প্রশাসন বোঝে ‘সন্ত্রাসী’। সাধারণ জনগণের মধ্যে রয়েছে ভীতি ও মিশ্র অনুভূতি। একই নামের গ্রুপ একসময় নেপালে ছিল নিষিদ্ধ। এখন দেশটির সরকার পরিচালনা করছে মাওবাদীরা। স্থান-কাল-পাত্র ভেদেও অর্থ পাল্টে যায়।

১৯৭১ সালে মুক্তিকামীদের দমনপীড়নে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ‘রাজাকার’ গঠন করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। ‘রাজাকার’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে ‘স্বেচ্ছাসেবক’। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বেচ্ছাচারিতা ও হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে ঘৃণ্য অপকর্মে লিপ্ত থাকে তারা। সেই থেকে জঘন্য গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ‘রাজাকার’ শব্দটি। আশ্চর্যের বিষয়, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গালিটি শ্লেষাত্মক স্লোগান হিসেবে দ্যোতনা তৈরি করেছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতিপুতি বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন শেখ হাসিনা। এতে বিক্ষোভে-বিদ্রূপে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। তারা স্লোগান দেয়—‘তুমি কে আমি কে/ রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে/স্বৈরাচার স্বৈরাচার’। বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ে এর প্রভাব। সরকার সমর্থকরা ছি ছি বলে নাক সিটকোয়। নিজেদের যারা রাজাকার বলতে পারে, তারা কেমন মেধাবী? তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। বিপরীতে আন্দোলনকারী ও তাদের সমর্থকরা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। অথবা, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ না বোঝার ভান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জনগণের কাছে হেয় করতে চাইছে। কেননা, গত দেড় দশকে গণজাগরণ মঞ্চ ছাড়া কোনো আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখেনি। সেটিও শেখ হাসিনার অনুমোদিত আন্দোলন ছিল বলে সমালোচনা আছে। নিত্যপণ্য বা গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানালেও ‘রাজাকার’ ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হতো শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে। গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানালে ‘উন্নয়নবিরোধী বিএনপি-জামায়াত’ পরিচিতি দিয়ে নাজেহাল করা হতো আন্দোলনকারীদের। দুটি ভিন্ন আদর্শের দল হলেও পরিকল্পিতভাবে ফ্যাসিস্ট সরকার একই তকমা লাগিয়ে দেয় গণমাধ্যমের সহযোগিতায়। পছন্দ না হলেও অব্যাহত প্রচারণার ফলে ‘বিএনপি-জামায়াত’ একসঙ্গে বলতে বাধ্য হয় সাধারণ মানুষ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতির গৌরবের ‘মুক্তিযুদ্ধ’ নিয়ে যথেচ্ছা বাণিজ্য করে হাইব্রিড অর্গালিকরা। এর মধ্যে ফুলেফেঁপে ওঠে ভুঁইফোর রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী পেশাজীবী, ফটকা ব্যবসায়ী, টাউট বুদ্ধিজীবী, দলদাস সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নিম্নমানের প্রচুর বই, সিনেমা, নাটক, ম্যুরাল বানানো হয় জনগণের টাকায়। স্বাধীনতা সংগ্রামে দলটির একক কৃতিত্ব, এক নেতার ক্যারিশমা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ইতিহাস বিকৃতি ঘটায় হাসিনা সরকার। অন্যদের ভূমিকা আড়াল করতে নতুন নতুন গল্পগাছা প্রচার করা হয় দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গুম-খুন, ভোটের নামে প্রহসন, বেপরোয়া ক্ষমতাসীন দল, গণতন্ত্রহীন দুঃশাসনে এসব আর সাধারণ মানুষ নিতে পারছিল না। জনগণের কাছে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধকে সিনেমা-নাটকের মতো অবাস্তব করে তুলেছিল পতিত সরকার। অতি প্রচারে হিতে-বিপরীত ফল পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার একগুঁয়েমিতে রক্তস্নাত ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটিও আজ হাস্যকরভাবে পরিচিতি পাচ্ছে। দেশের সব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা ধ্বংস করে গেছেন বলে অভিযোগ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এটাকে সাধারণ মানুষ বলছে, সব জয় বাংলা করে দিয়েছে। বিভিন্ন আলাপে-আড্ডায় সম্মান হারিয়েছে শব্দটি। লুটপাট আর টাকা পাচারকারীদের মুখে ঘন ঘন উচ্চারণে ধর্ষিত হয়েছে ‘জয় বাংলা’। লেখক-সাংবাদিক আবু সাঈদ খান তার ‘স্লোগানে স্লোগানে রাজনীতি’ বইয়ে বলেছেন, “১৯৬৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ওইদিন ঢাকায় ছাত্রলীগের কর্মিসভায় সংগঠনের কর্মীদের একাংশ প্রথম ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আফতাব উদ্দিন আহমদ প্রথম জয় বাংলা স্লোগান ধরেন। পরবর্তী সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই স্লোগান অনুপ্রেরণার বড় ‘অস্ত্র’ হয়ে উঠেছিল।” ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সেই আফতাবকেও জামায়াত ট্যাগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজের ফ্ল্যাটে খুন হলেও ন্যায়বিচার পায়নি আফতাব পরিবার।

বিরোধী মত দমনে লম্বা শাসনকালের বিভিন্ন সময় ‘শান্তি কমিটি’ গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। দলীয় লোকজন নিয়ে গঠিত কমিটির কাজ ছিল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া। অত্যাচার-নির্যাতনে পুলিশকে সহযোগিতা করা। যদিও প্রচারণা ছিল, জনগণের জানমাল রক্ষায় কাজ করছে তারা। এসব দেখে একাত্তরে পাকিস্তান সরকারের ‘শান্তি কমিটি’র কথা স্মরণে এসেছে অনেকের। তারাও একই অজুহাতে ‘শান্তি কমিটি’ বানিয়েছিল। কিন্তু তাদের ভূমিকার কথা মনে হলে আজও শিউরে ওঠে দেশবাসী। ৫৩ বছর আগের দগদগে স্মৃতিভ এখনো বাঙালির মনে অশান্তি সৃষ্টি করে। এ প্রসঙ্গে পাহাড়ের ‘শান্তি বাহিনী’র কথাও উল্লেখ করা যেতে পারে। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন করেছে তারা। গুম-খুন-অপহরণ-চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কাজেই ওই বাহিনীর নাম শুনলে সাধারণ মানুষ শান্তি নয়, আতঙ্ক অনুভব করেছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত বাহিনীর বাইরে ‘রক্ষী বাহিনী’ গঠন করে মুজিব সরকার। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে জাসদ গঠন করে ‘গণবাহিনী’। দুটি বাহিনীই সাধারণের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। অথচ, জনগণকে রক্ষার মহান উদ্দেশ্যে নিয়ে সংগঠন দুটি সৃষ্টি করা হয়েছিল। সুন্দর ও স্বস্তিকর নাম হলেও তাদের কর্মকাণ্ড আজও ভীতি ছড়ায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে। রক্ষী ও গণবাহিনীর সশস্ত্র সংগ্রাম ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা’ হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে ইতিহাসে। তা পাঠ করে দুই বাহিনীর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা খুনের ঘটনায় মর্মাহত হয় নতুন প্রজন্ম। প্রচলিত রাজনীতিতে তাই বিরক্ত; অনীহা ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের। অপার সম্ভাবনা থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকেই অপরাজনীতি চলছে এ দেশে। ‘আজ তোমার, কাল আমার’ মার্কা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতিবাচক রাজনীতির মাশুল দেয় সাধারণ জনগণ। যে কারণে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে সমাদৃত ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’ ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন আশা। রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সব প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজানোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না বলে সতর্ক করছেন সবাই। আগেও অবশ্য এরকম সুযোগের সদ্ব্যবহারে ব্যর্থ হয়েছে তৎকালীন দায়িত্বশীলরা। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সে দুঃসহ স্মৃতি এখনো হতাশায় নিমজ্জিত করে সংশ্লিষ্টদের।

সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিভিন্ন ধরনের সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের সংস্কারের বাইরে রাখেন। রাজনীতি নিয়ে নীতিহীন খেলায় মেতেছিলেন তারা। তাদের নির্দেশে প্রধান দুই দলের বেশ কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে ‘সংস্কার প্রকল্প’ চালু হয়। কিন্তু এতে জনসমর্থন না পাওয়ায় উল্টো ওইসব নেতা ‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে নিজ নিজ দলের কাছে নিন্দিত হন। তাদের ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়নকারী ষড়যন্ত্রী হিসেবে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। ‘সংস্কার’ শব্দটিই কলঙ্কিত করেন তারা। রাজনীতি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার অতি তৎপরতা সেদিন ভালোভাবে নেয়নি জনগণ। আজও অবশ্য নেয় না। সে ক্ষেত্রে সংস্কার না হওয়ায় আমিন-বারীর পর জিয়া-হারুন-বিপ্লব তৈরি হয়। যে কারণে দেশে বিনোদন সেক্টরের ‘এমিলির গোয়েন্দা বাহিনী’ জনপ্রিয় হলেও, রাষ্ট্রীয় কোনো গোয়েন্দা বাহিনীর প্রতি আস্থা নেই মানুষের। আছে ভীতি ও শঙ্কা।

গত দেড় দশকে ত্যাগী নেতাকর্মীর চেয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে বেশি আপন হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন বাহিনী। তার ফলও পেয়েছে হাতে-পায়ে। দুর্নীতির প্রয়োজনে বাজারদরের চেয়ে দশ-বিশগুণ বেশি খরচে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে পতিত সরকার। স্থান-কাল-পাত্রভেদে কোনো কোনো স্থাপনা ‘অহেতুক উন্নয়ন’-এর তকমা পেয়েছে। ঋণ করে ঘি খাওয়ার বাতিকে ‘উন্নয়ন’ শব্দটিকেও হাস্যকর বানিয়ে ছেড়েছে হাসিনা সরকার। শব্দটির মানের চরম অবনতি ঘটেছে গত এক দশকে। এর বিপরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘ভুয়া’ স্লোগানটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে, এ দেশে জনপ্রিয়তা অর্জনে এবং হারাতে সময় লাগে না। সবই ঘটে বাংলা সিনেমার মতো অসম্ভব দ্রুততায়। আজ যা সংস্কার, কাল হয়তো তাই কুসংস্কার। সংস্কারের নামে সংসার সাজিয়ে বসলে জনতা পছন্দ করে না। অস্থির প্রকৃতির লোকজনও আশা করে তার অভিভাবক হবে ধীরস্থির। পরিমিতিবোধে অনন্য থেকে অন্যদের জন্য কাজ করবে। কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য ভবিষ্যতে কোনো খোটা খাবে না বলে প্রত্যাশা করে নতুন দিনের বাংলাদেশ।

লেখক: যুগ্ম সম্পাদক, কালবেলা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘সব আসনে এককভাবে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ’

ঢাবির আওয়ামীপন্থি সিন্ডিকেট সদস্যদের পদত্যাগ দাবি

গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন ড. ইউনূস

মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ

প্রকাশ পেল ইকরাম কবীরের ‘খুদে গল্পের বই’

সৈনিক থেকে শিল্পপতি হাবিবুর

‘নবীর দেখানো পথে রাষ্ট্র উপহার দিতে চায় জামায়াত’

টাঙ্গাইলে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

১৬ বছর পর সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন সম্মেলন

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

১০

ঢাবিতে হত্যাকাণ্ডে ৮ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

১১

দলের নির্দেশনা না মানলে কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি নয়নের

১২

মোংলায় নিলামে উঠছে ৪০ গাড়ি

১৩

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না সিলেটের যেসব এলাকায়

১৪

একদিনে ৬ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল চীন

১৫

বগুড়া জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল

১৬

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন দাবিতে মোংলায় র‌্যালি

১৭

হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদল

১৮

‘হাসিনা লুকিয়ে থেকে তার প্রেতাত্মাদের উসকে দিচ্ছে’

১৯

পিটিয়ে মানুষ হত্যা ও ঢাবিতে রাজনীতি বন্ধে ইউট্যাবের উদ্বেগ

২০
X