এম আবদুল্লাহ
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ এএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

লুটপাটতন্ত্রের রাজা-রানীদের শাস্তি হোক

লুটপাটতন্ত্রের রাজা-রানীদের শাস্তি হোক

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে এরই মধ্যে কয়েকজন শীর্ষ লুটেরা আটক হয়েছে। রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা, শেখ পরিবারের সদস্যসহ অধিকাংশ লুটেরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১৫ বছর লুটেরা শাসকশ্রেণির চশমা পরে বিরোধীদের দাবড়াতে ব্যস্ত থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) হালে নড়েচড়ে বসতে দেখা যাচ্ছে

ভোগবাদ একটি ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধি। ভোগের স্পৃহা একজনকে দেখে আরেকজনের মধ্যে জেগে ওঠে এবং শুধু জেগে ওঠে না, আরও বেশি ভোগের আকাঙ্ক্ষা জাগে, জাগায়। অন্যদিকে কৃচ্ছ্রসাধন ও নীতিপরায়ণতা সাধনাসাপেক্ষ। একজন মানুষ বা একটি পরিবারের বিলাসী জীবনযাপন করতে কী পরিমাণ টাকার দরকার? কতটা সম্পদ তার নিজের ও বংশধরদের জন্য প্রয়োজন? হাল জামানায় প্রশ্নগুলোর জুতসই উত্তর খোঁজা বা পাওয়া দুষ্কর।

তৃতীয় বিশ্বে শাসক দলের দলের নেতাকর্মীরা, এমনকি সমর্থকরা পর্যন্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা বেশি ভোগ করেন। সবসময়, উন্নয়শীল সব দেশে কমবেশি এটা দেখা গেছে। মানুষ এটাকে অনেকটা স্বাভাবিক প্রথা হিসেবেই মেনে নিয়েছে। ছোটখাটো দলপ্রীতি-স্বজনপ্রীতিতে মানুষ তেমন কিছু মনে করে না। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে দলতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা হয়েছে সব শাসন আমলেই। কখনো সীমিত, আবার কখনো ব্যাপক-বিস্তৃত পরিসরে।

১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলোপের আগপর্যন্ত বড় জমিদাররা প্রজাদের শোষণ করে খুবই বিলাসী জীবনযাপন করেছেন। তা করার ভেতরেও মানুষ কোনো অস্বাভাবিকতা খুঁজতে যায়নি। জমিদার বলে কথা! গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে শাসনতান্ত্রিকভাবে জমিদারতন্ত্র ফিরে আসেনি। কিন্তু জমিদারি স্টাইলে শোষণ, বেপরোয়াভাবে রাষ্ট্রকে লুটে, শুষে ছোবড়া বানিয়ে দেওয়ার অঘোষিত লুটতন্ত্র কায়েম হয়েছিল গত দেড় দশকে। প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে প্রজা-শোষণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বেশ শক্তপোক্তভাবেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের পর পতিত শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের মন্ত্রী, এমপি, আমলা, কামলা ও বরকন্দাজদের সম্পদের যে ফিরিস্তি পাওয়া যাচ্ছে, তা বিস্ময়কর। রূপকথার গল্পে রাজ্য দখলের পর সম্পদ লুটের যে বর্ণনা পাওয়া যায় তাকেও হার মানাচ্ছে। শেখ হাসিনা প্রায় কাঁদো কাঁদো ভঙ্গিতে বলতেন, ‘আমি তো নিজের জন্য কিছু করছি না, সন্তানের জন্যও না। আমি জনগণের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত, জীবন দিতেও প্রস্তুত।’ গণবিস্ফোরণের মুখে পদত্যাগ করে জীবন নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার দুর্নীতির কিয়দাংশ এরই মধ্যে প্রকাশ হতে শুরু করেছে।

১৭ আগস্ট দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রধান সংবাদ অনুযায়ী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশনের বরাতে এ তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

‘আউস্টেড বাংলাদেশ’স প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা, হার সান সজীব ওয়াজেদ জয় অ্যান্ড নিস টিউলিপ সিদ্দিক এমবেজেলড ৫ বিলিয়ন ডলার্স ফ্রম ওভারপ্রাইজড ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার্স রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট থ্রো মালয়েশিয়ান ব্যাংকস’ শিরোনামে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রাশিয়ার রোসাটম মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দিয়েছে। এতে মধ্যস্থতা করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক।

শেখ হাসিনা পরিবারের রাজউকের প্লট লুটের আরেকটি খবর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক আরেকটি শীর্ষ সংবাদ থেকে জানা গেল, রাজউকের আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে স্বয়ং নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। শুধু তিনি একা নন, প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়) ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এ ছাড়া প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকায় আছেন হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলেমেয়ে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার বিশেষ ক্ষমতাবলে তাদের প্লট দেওয়া হয়। ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না। হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের মোট ৬০ কাঠার প্লট নিয়েছেন।

শুধু প্লট বা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পেই নয়, দেড় দশকে দুর্নীতি, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে প্রতিটি খাতে। জ্বালানি খাত এ ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। গণরোষে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাই ১৫ বছর ধরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) গত সপ্তাহে জানিয়েছে, শুধু ২০২২ সালেই বিদ্যুৎ খাত থেকে লুট করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে তার শাসনামলের লুটপাট, অনিয়ম, দুর্নীতির কোনো না কোনো খবর প্রকাশিত হচ্ছে। মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে কে দুর্নীতি করে বিপুল অঙ্কের টাকার মালিক হননি, তা খুঁজে পাওয়াই এখন এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বস্তা ভরে টাকা ঘুষ নিতেন। একেকজনের বাসাবাড়ি হয়ে ওঠে টাকার খনি। ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা ভারতে পালানোর সময় ২ লাখ ডলার নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে তাকে হত্যা করে ডলার লুট করেছে সীমান্ত পারাপারকারীরা।

শেখ পরিবারের লুটপাট এক ধরনের দায়মুক্তি পেয়েছিল। রাষ্ট্রীয় সম্পদ, অর্থ ‘চাহিবা মাত্র তাদের দিতে বাধ্য থাকিবে’ ধরনের অলিখিত বিধান হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে ব্যয় কয়েকগুণ করে লুটে নেওয়া হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। শেখ পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির খুব ছিটেফোঁটাই এর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এখনো সংবাদমাধ্যম হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি লুটপাট প্রকাশে দ্বিধাগ্রস্ত। শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল বড় কোনো নেতা বা পদে ছিলেন না। তার ও সন্তানদের সম্পদ সাম্প্রতিক অতীতে রূপকথার মতো বেড়েছে। শেখ হেলালের স্ত্রীর নামেই নরসিংদীতে ১৩২২ শতক জমির পাওয়ার খবর এসেছে সংবাদপত্রে। হেলাল ভাই জুয়েল ও ছেলে তন্ময়ও অবৈধ ক্ষমতা চর্চায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

শুধু ব্যাংক খাতের দিকে তাকালেই দেখা যাবে লুটের ভয়াবহ চিত্র। এক হিসাবে ১৬ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১১ লাখ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এস আলম গ্রুপ ছয়টি ব্যাংক কবজায় নিয়ে লাখো-কোটি টাকা লুট করে নিয়েছে। শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই লুট করা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। তাদের লুট ও পাচারের অঙ্ক যে কত বড়, তা এখনো পর্যন্ত আন্দাজ করা যাচ্ছে না। তবে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘এস আলমের মতো ব্যাংক লুটেরা পৃথিবীতে নেই।’ আরেক লুটেরা বেক্সিমকো গ্রুপ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সিআইডির তদন্তে এরই মধ্যে তার প্রমাণ মিলেছে। বস্তুত শেখ হাসিনার গোটা শাসনজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকই চালিয়েছেন এস আলম ও সালমান এফ রহমান।

লুট থেকে রেহাই পায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। দেশ-বিদেশে ঝড় তোলে রিজার্ভ লুট। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার গায়েব হয়। এর সঙ্গে তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান ও কয়েক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জড়িত বলে সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু তাদের কাউকে এখনো বিচারের মুখোমুখি করতে দেখা যায়নি।

হলমার্কের ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ধরা পড়ে। লুটেরা ওই প্রতিষ্ঠানের সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাবশালীদের তদবিরে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করা হয়। একইভাবে বিসমিল্লাহ গ্রুপ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে পুরোটাই বিদেশে পাচার করে। ক্রিসেন্ট গ্রুপ ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট করে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে। আর প্যাসিফিক গ্রুপ ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ৪৩০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। অন্য প্রতিষ্ঠান ইমাম গ্রুপ ৮০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি করে ১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে।

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লুট করেছেন। জনতা ব্যাংক থেকে বহুল আলোচিত এননটেক্সের ৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় তোলপাড় হলেও তা ফেরত বা দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হয়নি। ব্যাংক লুটের বড় ঘটনার মধ্যে আরও রয়েছে মিরপুরের আওয়ামী লীগদলীয় এমপি আসলামুল হকের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩ হাজার ৭৪ কোটি টাকা ঋণ তুলে নেওয়ার ঘটনা। কোনো অর্থ ফেরত না দিয়ে তিনি মারা গেছেন। মাইশা গ্রুপের এ ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয় বলে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

বস্তুত শেখ হাসিনার লুটের শাসনে ব্যবসায়ী নামধারী মুষ্টিমেয় লুটেরার কবজায় চলে গেছে দেশের সিংহভাগ সম্পদ। অথচ হাস্যকরভাবে শেখ হাসিনা প্রায়ই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপ্তবাক্য আওড়াতেন। অন্তঃসারশূন্য হুংকারও ছাড়তেন মাঝেমধ্যে। কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষকে নিঃস্ব করে লুটের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন শেখ হাসিনা নিজে এবং তার সহযোগীরা। অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে লুটেরাদের আশকারা ও প্রশ্রয় দিয়েছেন। তার সময়ে একশ্রেণির লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও ক্ষমতালোভীর হাতে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। সর্বগ্রাসী লুটপাটের যেসব খবর এখন পাওয়া যাচ্ছে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে এরই মধ্যে কয়েকজন শীর্ষ লুটেরা আটক হয়েছে। রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা, শেখ পরিবারের সদস্যসহ অধিকাংশ লুটেরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১৫ বছর লুটেরা শাসকশ্রেণির চশমা পরে বিরোধীদের দাবড়াতে ব্যস্ত থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) হালে নড়েচড়ে বসতে দেখা যাচ্ছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দুদক আওয়ামী লুটেরাদের দিকে কিঞ্চিৎ নজর দিতে শুরু করেছে। যদিও পাচারকৃত অর্থ ফেরত ও ব্যাংক ডাকাতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করা কতটা সম্ভব হবে, তা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাবেক সভাপতি, বিএফইউজে

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা প্রদীপ গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ববি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

সরিষাবাড়ীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

পীরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

দায়িত্ব অবহেলায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এমডিকে তিনমাসের বাধ্যতামূলক ছুটি

কেশবপুরে পূজা উদযাপন ফ্রন্টের প্রতিনিধি সভা

শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে উইন্টার ও স্প্রিং সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের অধিকাংশ হিন্দু দাবি করে ভারতীয় মিডিয়ার গুজব

নিহত ছাত্রদল নেতা সবুজ হাসানের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

১০

রমজানে ঢাকার ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হবে ডিম-মুরগি

১১

সুবাতাস বইছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের পালে

১২

ডেঙ্গুতে বছরের প্রথম মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬

১৩

রাঙামাটিতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প নিয়ে আইএসপিআরের দাবি নাকচ ইউপিডিএফের

১৪

ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

১৫

উঠান বৈঠকে বিএনপি, আবেদের কোম্পানিগঞ্জ দিয়ে শুরু

১৬

নদীতে আফগান বাঁধ, ইরানের প্রতিবাদ

১৭

তাহসানের হবু শ্বশুর শীর্ষ সন্ত্রাসী পানামা ফারুক

১৮

ছেলের বউকে উত্ত্যক্ত, প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল শ্বশুরের

১৯

৬৫ পণ্যে ভ্যাট : যে ব্যাখ্যা দিল এনবিআর

২০
X