মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩১ এএম
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

আজ তোমার কাল আমার

আজ তোমার কাল আমার

আকস্মিক সরকার পরিবর্তনের পর আকস্মিক বন্যায় দুর্ভোগ এবং অভিযোগ চলছে সমানতালে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের রাহুগ্রাস থেকে সমগ্র বাংলাদেশ মুক্ত হয় এ মাসের প্রথম সপ্তাহে। নানা বয়সী হাজারখানেক শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয় এই জনপদ। সে দাগ মুছতে না মুছতেই তৃতীয় সপ্তাহে অতিবৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে প্লাবিত হয় দেশের ছয় ভাগের এক ভাগ। হঠাৎ বন্যায় দিশেহারা ১২ জেলার অর্ধকোটি মানুষ। ভেসে গেছে দৃশ্যমান সম্পদের সঙ্গে সঙ্গে অগুনতি স্বপ্ন। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ জন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। ভেঙে পড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো বিচ্ছিন্ন। এ রকম পরিস্থিতিতে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুরো দেশ। যদিও সংগত কারণে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দৃশ্যমান উপস্থিতি নেই। তবে, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৃদুস্বরে প্রতিনিধিত্ব করছেন আওয়ামীপন্থি পেশাজীবীরা।

তাদের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীর সংখ্যাই বেশি। শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের রাজত্বে বিত্তবান হয়েছেন নামে-বেনামে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। তারা এখন কারাগারে অথবা আত্মগোপনে। গ্রুপিংয়ের কারণে একই সময় চাকরিচ্যুত হয়েছেন, বছরের পর বছর বেকার থেকেছেন কোনো কোনো আওয়ামীপন্থি সাংবাদিক। নিজেদের সংগঠনে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েও অনুমোদন পাননি দলের কাছ থেকে। উল্টো রাষ্ট্রীয় এজেন্সির হাতে নাজেহাল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘনিষ্ঠদের নির্দেশে। মজার ব্যাপার হলো, আওয়ামী লীগের এই দুর্দিনে তারাই কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব রয়েছেন। কৌতূহলীরা ভাবছেন, এরাই বোধহয় প্রকৃত চেতনার অনুসারী। কদিন আগের পরিস্থিতি ভুলে গিয়ে এখন গণহারে মামলা, গ্রেপ্তার, নিরাপত্তা ইস্যুতে কথা বলছেন তারা। যে কোনো ইস্যুতে রাজপথের আন্দোলনকারীদের বঞ্চনায় সহমর্মিতা ও দাবির পক্ষে সোচ্চার অবস্থান নিচ্ছেন। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সময়ে এসব দাবিকে বেমানান ঠেকছে না তাদের কাছে। এমনকি, ত্রাণের ট্রাক আটকে আনসারদের আন্দোলনকেও সমর্থন করছেন সম্প্রতি সুশীল হওয়া এসব পেশাজীবী। প্রতিদিন শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, সচিবালয় এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে রাখলে তারা বিরক্ত না হয়ে মজা দেখছেন। ফেসবুকে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। স্বাধীনতার সুফল নিয়ে অতীতের মতো দায়িত্বশীল আচরণ ভুলে গেছেন। এ নিয়ে অবশ্য বিপ্লবী সরকার সমর্থকরাও থেমে নেই। সম্পর্ক বুঝে জবাব দিচ্ছেন। এতে করে তিক্ততা বাড়ছে। পানি নেমে গেলে ক্ষতস্থান প্রকাশ পায়। তেমনি বিতর্ক থেমে গেলে বিভাজন আরও স্পষ্ট হবে।

গত দেড় দশকের আওয়ামী শাসনামলে ‘ভারতীয় আশীর্বাদ’ বহুল আলোচিত বিষয়। প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তে দুদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্কে যদিও এরকম কোনো দালিলিক প্রমাণ থাকে না। কিন্তু নেতৃবৃন্দের শারীরিক ভাষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে তা প্রকাশ পায়। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সময়ে বেশিরভাগ ভারতীয় গণমাধ্যমের অবস্থান ছিল নেতিবাচক। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দান করায় সে ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাবেন বলে মনে করেন গণঅভ্যুত্থানকারীরা। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকেই এ অভিযোগ করে আসছেন। যে কারণে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। অতীতে ভোটে পরাজিত হয়ে বিরোধী দলে থেকে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এক মুহূর্তের জন্য সরকারকে শান্তিতে থাকতে দেবেন না। বিশ্বাসের পারদ যখন এ অবস্থায়, তখন আকস্মিক বন্যার আগ্রাসন! সাধারণ মানুষ মনে করে, হাসিনাকে দেশছাড়া করার প্রতিশোধ হিসেবে ডুবিয়ে মারতে চাইছে তারা। এ নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও বিশ্বাস করতে চায় না মানুষ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা হচ্ছে। ত্রিপুরার বাঁধ উপচে উজান থেকে পানি নেমেছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এ কথা লিখে কোনো আওয়ামীপন্থি স্ট্যাটাস দিলে, ভারতীয় দালাল বলে গালি খাচ্ছেন তারা। আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে পলায়ন প্রবণতা দেখে এ কথার সত্যতা দাবি করছেন অনেকে। আসলে অবিশ্বাস প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে প্রণয় কথাও ব্যর্থ হয়। আস্থা ফেরাতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হয়। অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াতকে পাকিস্তানপন্থি বলে গালি দিলেও তারা কেউ ওই দেশে যাচ্ছেন না, অতীতেও যেতে দেখা যায়নি। এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক প্রায় অসামাজিক স্তরে চলে যাচ্ছে।

অফিস-আদালতের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা দৃশ্যমান হচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না গতানুগতিক আমলাতন্ত্র। তবে এ নিয়ে ভিন্ন কথাও বলছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘ ১৫ বছরে ঐতিহ্যবাহী আমলাতন্ত্র গড়ে উঠেছে ‘আমলা লীগ’ হিসেবে। তারা কেউ কেউ পলাতক থেকে ঘোঁট পাকাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার, শরমিন্দা হওয়ায় খোলস পাল্টাতে সময় নিচ্ছেন অনেকে। ব্যতিক্রমও আছে কিন্তু। এরই মধ্যে দ্রুত পতিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার চিহ্ন মুছে ফেলে বঞ্চিত সেজে পদোন্নতি বাগিয়ে নিচ্ছেন সুযোগসন্ধানীরা। তবে, ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনায় বাধ্য হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এভাবে কতদিন? প্রথম স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারও দক্ষতার অজুহাতে পাকিস্তানপন্থি আমলাদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে মুজিব প্রশাসনকে নাকাল হতে হয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে গিয়ে দ্রুত অজনপ্রিয় হয়েছেন শেখ মুজিব। প্রশাসনে আত্মীয়করণ, দলীয়করণের কলঙ্ক আজও বয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এদিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পুলিশকেও আগের মতো দায়িত্ব পালন করতে দেখছে না দেশবাসী। ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা সদস্যরা ছায়াতে বসে মোবাইল টেপেন। দু-তিনজন মিলে গল্পগাছা করেন। যানজট হলেও অভিমানী বেকার তরুণের মতো উদাস হয়ে থাকেন। ট্রাক থামিয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে চাঁদা আদায়ের শারীরিক ভাষা আজ অনুপস্থিত। কমিশনের লোভে গাড়ি থামিয়ে মামলা দেওয়ার ক্ষেত্রেও উৎসাহ নেই চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার। উল্টো সাধারণ নাগরিকদের মামলা নিতে অনীহার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের কথা বললে অনিচ্ছায় মামলা নিচ্ছে কোনো কোনো থানা। তবে, মামলা সাজানোর ক্ষেত্রে আগের সরকারের নির্দেশনাই মেনে চলছে। কিন্তু তদন্ত কাজে মন নেই। স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোনো অগ্রগতি নেই। এসব পর্যবেক্ষণ সুশীল সমাজ থেকে সাধারণ নাগরিকদের। তারা বলছেন, পুলিশের মনোবল ভেঙে গেছে। বড় কর্তাদের দলান্ধ ভূমিকার খেসারত দিতে হচ্ছে তাদের। এ অজুহাত পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয়। কেননা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নৃশংস ভিডিওগুলো দেশবাসী দেখেছে। নির্ভার অবস্থায় থেকে শিশু-কিশোরদের বুকে-মাথায় গুলি করেছে। ধরে ফেলার মতো দূরত্বে থেকে পাখির মতো মানুষ মেরেছে। এটা অতি উৎসাহ ছাড়া আর কিছু নয়। দীর্ঘদিন সরকারের পেটুয়া বাহিনী হিসেবে দাসত্ব করতে করতে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বই ভুলে গিয়েছিল তারা। গত দেড় দশকে অনেক আমলা এবং পুলিশ নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের আনুকূল্য পেতে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় দলীয় স্লোগান দিয়েছেন। জনগণের বদলে দলীয় সরকারকে প্রভু হিসেবে মেনেছেন। বিভিন্ন লাভ-লোভে তৈরি এই বিশ্বাসকে চিরস্থায়ী রূপ দিয়েছিলেন। এখন রাষ্ট্রীয় কাজে তাদের নির্লিপ্তিতা দেখে এ সন্দেহ প্রকট হচ্ছে। আনসারদের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ। শুধু তাই নয়। দেশজুড়ে নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। উপজেলা প্রশাসন চাইলে সঠিক সময়ে পুলিশ পাচ্ছে না। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত হলে পুলিশ ভূমিকা রাখছে। সংকট দেখা দিলে নির্বাহী বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। এসব দেখে রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী-এমপি-আমলাদের সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দেশকে নতুনভাবে গড়তে হলে আস্থা ও বিশ্বাস হতে হবে ইস্পাতকঠিন।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে সব আমলাই তো সরকারের দোসর ছিলেন না। অনেকেই বাধ্য হয়ে অনুগত থেকেছেন। আবার, বঞ্চিত সব দায়িত্বশীলরাই দক্ষ-যোগ্য নন। এখানেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুনশিয়ানা দেখাতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে সারথি বাছাই করতে হবে। প্রয়োজনে কোটি কোটি শিক্ষিত বেকারকে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগাতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত, সন্দেহভাজন কর্মচারীদের বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে দমন না করে আলোচনার পথ খোলা রাখা জরুরি। সুশীল সমাজ বা পেশাজীবী সম্প্রদায়কেও দেশ গঠনে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গোপনে তৈরি হওয়ার চেয়ে দেশসেবার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ করা শ্রেয়। অথবা, নতুন দিনেও মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না বলে তফাতে থেকে শুধু সমালোচনা কাম্য নয়। দেখছি তোমাদের আস্ফালন। আমরাও অমুক করেছি, তমুক দেখেছি। দেখি কী করে? আমার লাভ কী? এসব আপ্তবাক্য ভুলে সব কিছু ‘আমাদের’ হতে হবে। ‘আজ তোমার কাল আমার’ এসব সিনেমা এখন চলে না। দেশ হোক সবার। আজকাল নয়, প্রতিদিন হোক সব মানুষের।

লেখক: যুগ্ম সম্পাদক, কালবেলা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্ধী রনি পেল হুইলচেয়ার

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে : আবু হানিফ

ক্রীড়াবিদ শওকত আলীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

রাসূল (স.) আদর্শ ধারণ করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে

ঝিনাইদহে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের গ্রেপ্তারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ভূমি উপদেষ্টার পরিদর্শন, হয়রানি ছাড়া নামজারি খতিয়ান পেয়ে উৎফুল্ল নাজিম  

১০

চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে মানুষের ঢল  

১১

বন্যা পরবর্তী প্রাণী চিকিৎসায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১২

‘দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে’

১৩

নার্সের ভুলে ৩ দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

১৪

‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ’ করার প্রস্তুতি বিএনপির

১৫

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

১৬

রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১৭

সিরাজগঞ্জে কবরস্থানে মিলল অস্ত্র ও গুলি

১৮

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমিরের মতবিনিময়

১৯

২৮ থেকে ৪২তম বিসিএসের বঞ্চিত সেই ক্যাডাররা ফের বঞ্চনার শিকার

২০
X