আলম রায়হান
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩, ০২:২৯ এএম
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৩, ১১:২১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আলোচিত হিরো আলম এবং এরশাদীয় তরিকা

আলোচিত হিরো আলম এবং এরশাদীয় তরিকা

হিরো আলম হিসেবে পরিচিত আশরাফুল আলম সংসদ সদস্য হতে চেয়েছেন। এ জন্য কাগজপত্রের বিধান অনুসারে সব শর্ত পূরণ করে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে অংশও নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তবে উপনির্বাচনে। বগুড়ার পর ঢাকা-১৭ আসনে অংশ নিয়েই তিনি পৌঁছে গেছেন আলোচনার শীর্ষে। শুধু তাই নয়, তার ওপর হামলার ঘটনা কেন্দ্র করে জাতিসংঘের প্রতিনিধির টুইট থেকে শুরু করে ১৩ দেশের কূটনীতিকদের বিবৃতির প্রভাবে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ত্রাহি মধুসূদন দশা। পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কূটনৈতিক তরিকায়। আর যথারীতি অকূটনৈতিক শব্দবাক্য ব্যবহার করেছেন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, হিরো আলম কেন যেতে চান সংসদে এবং তাকে নিয়ে কেনইবা ‘মহা’ তোলপাড়? প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, হিরো আলম কেন সংসদ সদস্য হতে চান। তার মনের গহিনের বাসনা তো আর জানা সম্ভব নয়। তবে তাকে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা ‘অমলকান্তি’র সঙ্গে তুলনা করা যায়। অমলকান্তি রদ্দুর হতে চেয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবসম্মত হবে না। বরং তাকে মোহাম্মদ রফিকের কবিতার সঙ্গে তুলনা করা বোধকরি একশতে একশ হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের মেধাবী শিক্ষক কবি মোহাম্মদ রফিকের বেশ আলোচিত একটি কবিতার কয়েকটি পঙক্তি হচ্ছে—‘সব শালা কবি হবে, পিঁপড়ে গোঁ ধরেছে উড়বেই, দাঁতাল শুয়োর এসে রাজাসনে বসবেই।’ সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদকে উদ্দেশ্য করে লেখা দীর্ঘ এ কবিতা অতি গোপনে ছাপানো হয়েছিল। এটি হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বলা হয়, এ কবিতায় বিরক্ত হয়েই জেনারেল এরশাদ আরও অনেক অপকর্মের সঙ্গে কবিতা লেখার গতিও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। অবশ্য তার অপকর্ম অন্তহীন। এমনকি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খোয়াব দেখা মসজিদে পরদিনই জুমার নামাজ আদায় করেছেন জেনারেল এরশাদ।

সেনাবিদ্রোহে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার প্রভাবে গোলমেলে পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রের মসনদ দখল করেন। সেদিন কোনো রক্তপাত হয়নি। আর এর কোনো প্রয়োজনও ছিল না। সে সময় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতার মসনদে ছিলেন অতি বয়োবৃদ্ধ মেরুদণ্ডহীন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। জেনারেল এরশাদের ভাষায়, তার হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে। এ হিসেবে তার অভ্যুত্থান ছিল রক্তপাতহীন। এরপর তিনি নানান ছলাকলায় ৯ বছর রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রেখেছেন। প্রায়ই হাত দেখিয়ে বলতেন, ‘আমার হাতে রক্তের দাগ নেই।’ কিন্তু সবাই জানেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার দায়ে আটক জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলা বিচারাধীন থাকাকালেই প্রধান আসামি জেনারেল এরশাদ পরপারে যাত্রা করেছেন। প্রমাণিত সত্য, রক্তের সিঁড়ি মাড়িয়েই জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসেছিলেন। ক্ষমতায় থাকার জন্যও একপ্রকার রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছেন। কেড়ে নিয়েছেন অসংখ্য প্রাণ। যার সূচনা হয়েছে তার ক্ষমতা দখলের এক বছরের মধ্যেই। চলেছে তার মেয়াদের শেষ পর্যন্ত। মজার বিষয় হচ্ছে, এত কিছুর পরও জেনারেল এরশাদ জনপ্রিয় ছিলেন এবং ছিলেন রাজনীতির হিরো। তিনি খুবই চতুর। জেল খাটলেও জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় তাকে গলায় ফাঁসির দড়ি পরতে হয়নি। তার আগেই তিনি অজানার পথের যাত্রী হয়েছেন বেশ পরিণত বয়সেই। তিনি ভাগ্যবান। সব মিলিয়ে জেনারেল এরশাদ যেমন অনেক অপকর্মের নায়ক, তেমনই রাজনীতির ঘুঘু খেলোয়াড়। বলা হয়, সৈয়দ শামসুর হকের ‘খেলারাম খেলে যা’ উপন্যাসের শিরোনাম পুরোটাই মিলে যায় জেনারেল এরশাদের সঙ্গে। তিনি রাজনীতিতে নানান ধরনের খেলার প্রবর্তক। সে ক্ষেত্রে তিনি তার পূর্বসূরি জেনারেল জিয়ার চেয়েও কয়েক ডিগ্রি সরেস বলে প্রমাণিত।

এদিকে রাজনীতিতে এরশাদীয় খেলার ধারা থেকে পরের ক্ষমতাসীনরা মুক্ত হতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। অথবা মুক্ত হতে চাননি। বরং বলা চলে, একই ধারায় হেঁটেছেন। মত ও পথ যেন একটিই। একই বৃন্তে দুটি নয়, অনেক ফুল। এ ধারায় এখন পর্যন্ত সর্বশেষ নগ্ন সংযোজন হচ্ছে সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম হিসেবেখ্যাত আশরাফুল আলম। গভীরে গেলে অনুধাবন করা মোটেই কঠিন নয়, হিরো আলম আসলে অপরাজনীতির এক ধরনের বাস্তবতা। যার সূচনা করে গেছেন সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ। তার অনেক অপকর্মের কথা মানুষের জানা। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে রাজনীতিকদের নীতি-নৈতিকতার দফারফা করা। এ ধারায় অসময়ের কলরব হিসেবে পরিচিত আ স ম আবদুর রবকে শিখণ্ডী বানিয়ে তিনি জাতীয় সংসদকে এক ধরনের ফুটপাতে বানানো স্টাম্পে পরিণত করেছিলেন, যা সংসদ প্রসঙ্গে মার্ক্সের উচ্চারণও ছাড়িয়ে গেছে সম্ভবত। এর আগে চিরকালের রাজনীতিক মিজানুর রহমান চৌধুরী, কাজী জাফর আহমেদ, ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন থেকে শুরু করে আতাউর রহমান খানের নাক কেটেছেন। শুধু তাই নয়, সংসদীয় আসনের কাভারেজে সংসদে এমন সব নারীর প্রবেশ করিয়েছেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ সে সময় অন্ধকারের রানি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ বিষয়টি কৌশলে উপস্থাপন করেছিলেন মেধাবী ব্যক্তিত্ব শফিক রেহমান। তার সাপ্তাহিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রচ্ছদ রিপোর্ট-এর শিরোনাম ছিল ‘ত্রিশ সেট গহনা’। ব্যস, খেপে গেলেন জেনারেল এরশাদ। ঘাগু এ খেলোয়াড় ঠিকই বুঝেছিলেন, শিরোনামের অন্তর্নিহিত মাজেজা।

পরে অবশ্য সংরক্ষিত আসনের কাভারেজে অনেক রাজনৈতিক ও বিদুষী সংসদে স্থান পেয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচক্ষণতায় যে ধারা শুরু হয়েছিল ১০ জন সদস্য দিয়ে। সেই সময়ের বাস্তবতায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সরাসরি নির্বাচন করার অবস্থানে ছিলেন না। এ জন্যই সংসদে নারীর সংরক্ষিত আসনের বিধান রাখা হয়। এ সংরক্ষিত আসনব্যবস্থা বিরাজমান থাকারও একটি মেয়াদ ছিল। যে মেয়াদ এরশাদ আমলে সংবিধান সংশোধন করে বাড়ানো হয়েছে। পুরো ব্যবস্থার বাজানো হয়েছে বারোটা। পরে অবশ্য খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনেকেই সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হয়েছেন, যারা সংসদীয় কার্যক্রমে ভূমিকা রেখেছেন এবং নিজেদের রাজনৈতিক বাস্তবতায় গড়ে তুলেছেন। তবে কেউ কেউ নায়িকা-গায়িকার সীমানা ছাড়াতে পারেননি। কাজেই সাবেক নায়কের শূন্য আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম নির্বাচিত হতে চাইবেন, তা আর বিচিত্র কি! এদিকে হিরো আলমকে নিয়ে ডামাডোলের আড়ালে থেকে গেছে নেত্রকোনা-৪ আসনের উপনির্বাচন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান ১ আগস্ট থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বলে পরিগণিত। তিনি এতই ‘জনপ্রিয়’ যে, তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কেউ সাহস দেখায়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়ে গেছেন সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান। কী বিচিত্র সংসদীয় রাজনীতি! আর জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীদের আধিক্যের কথা তো পরিসংখ্যানই বলে। ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য হলে যে কী অবস্থা হয় তা তো জাতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে গুণধর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে দিয়ে। তার গুণের কীর্তনের অন্ত নেই। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, তার সমকক্ষ আর কোনো বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন না। ব্যবসায়ী থেকে সংসদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী হলে যে নিদারুণ অবস্থা হতে পারে, তার ভয়ানক এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করার দোরগোড়ায় গিয়েছিলেন খালেদা সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি টিসিবি বন্ধ করে দেওয়ার পাকা ব্যবস্থা করছিলেন। এ ব্যাপারে শেষ ধাপের অনুমোদনের জন্য ফাইল যায় প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশের বাজার ব্যবস্থার সেই মরণ পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেননি। ফাইল ফিরিয়ে দেন। অবশ্য তার সরকারের আমলে বিএডিসির কার্যক্রম সীমিত করে আনা হয়েছিল। বিদেশি প্রেসক্রিপশনের লক্ষ্য ছিল, সরকারি এ সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু পরের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় বিএডিসির লাশ জিন্দা করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী হিসেবে মতিয়া চৌধুরীর দশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ সংস্থা শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য ও কৃষি প্রেক্ষাপটে দেশ রক্ষা পেয়েছে মহাবিপর্যয়ের গ্রাস থেকে। তা না হলে এখন টের পাওয়া যেত, খাদ্যসংকট কত প্রকার ও কী কী! দাঁড়াচ্ছে এই, যার কাজ সে করলে রক্ষা, না হলে বিপর্যয়। তা নাপিতের কাজ ডাক্তারে করুক, অথবা রাজনীতিকের কাজ করুক নায়ক-নায়িকা-গায়ক-গায়িকা-ব্যবসায়ী অথবা আমলা-কামলা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যার যে কাজ নয়, সে সেই কাজ করার উল্টো ধারার প্রভাবে বাংলাদেশ আক্রান্ত। আর এর গ্রাসে আছে আমাদের মহান জাতীয় সংসদ। রাজনীতিও প্রায় নিমজ্জিত। মোদ্দা কথা হচ্ছে, দেশের রাজনীতি ও জাতীয় সংসদ নিয়ে জেনারেল এরশাদ যে খেলা খেলেছেন তা থেকে খুব একটা বেরিয়ে আসা যায়নি। স্মরণ করা যেতে পারে, সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ রাজনীতি ও জাতীয় সংসদ নিয়ে শুধু নয়, এই খেলারাম খেলেছেন গণভবন নিয়েও। যে গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অফিস করতেন, সেই গণভবনে অফিস করতে দিয়েছিলেন তৎকালীন ডাকসু জিএস অপরিপক্ব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে। সেই সময় যার পদ ছিল জেনারেল এরশাদের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার। তার কাজ ছিল ছাত্রদের ক্যাবচালক বানিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা। অনেকে আবার বিষয়টি জিয়াউর রহমানের আমলে হিজবুল বাহার জাহাজে মেধাবী ছাত্রদের খানাপিনার এন্তার আয়োজনসহ নৌবিহারের সঙ্গে তুলনা করতে চান। অনেকেই জানেন, সেই নৌবিহারে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ পরে বেশ আলোচনায় এসেছেন। কেউ হয়েছেন সংসদ সদস্য। আবার দেশান্তরিত হয়েছেন মডেল হত্যা মামলার আসামি হয়ে। কেউ আবার টিভি টকশোতে কথার খই ফোটাচ্ছেন, যেন মহাপণ্ডিত। এসব কাকের ময়ূরপুচ্ছ পরার বিষয়টি হচ্ছে রাজনীতিতে সামরিক সরকারগুলোর ‘কাটা লাইন’ তরিকার প্রভাব। একই ধারায় সম্প্রতি আলোচনার শীর্ষে পৌঁছেছেন হিরো আলম। যার সূচনা বগুড়া দিয়ে এবং ক্লাইমেক্সে পৌঁছেছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন দিয়ে। সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ না পেলেও শোবিজের হিরো আলম এখন শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক হিরো। তাকে আন্তর্জাতিক মাপের ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা না করে উপায় নেই বলে মনে করেন অনেকেই। আর এ শুধু মনে করার বিষয় নয়। এটি পরিষ্কার বাস্তবতা। কারণ হিরো আলমের ওপর কিলঘুসির হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো হয়েছে বিবৃতি। ১৭ জুলাই এ বিবৃতিতে ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। পশ্চিমা মিশনগুলোর বিবৃতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বলেই তারা একটা মগের মুল্লুক পেয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া ১৩ পশ্চিমা দেশের ঢাকার কূটনীতিকদের ২৬ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। যাকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ‘তলব’ না বলে আমন্ত্রণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়। তবে যেভাইে আখ্যায়িত করা হোক না কেন, পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের হয়েছে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। বরং যাহা বাহান্ন তাহাই তেপান্ন অবস্থায় রয়ে গেছে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘মগের মুল্লুক’ আওয়াজও বেফজুল। বাংলাদেশ আসলে সেই প্রাচীন গল্পের বাস্তবতায় বিরাজমান। যে গল্পে জলধারার ওপর থাকা নেকড়ে নিচে থাকা খরগোশকে দোষারোপ করেছে পানি ঘোলা করার অভিযোগে। একই রকম চাপিয়ে দেওয়া বিরাজমান কঠিন পরিস্থিতি বাংলাদেশ কতটা দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে পারবে সেটিই হচ্ছে এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। বিশেষ করে যেখানে আবার আগুন সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়েছে। সাম্প্রতিক এলোমেলো পরিস্থিতি ঘটনাপ্রবাহকে কোন দিকে নিয়ে যায় তা বলা কঠিন। অবশ্য আশাবাদী মানুষরা, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ভরসা অটুট রাখতে চান।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X