অন্তু মুজাহিদ
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৩:০১ এএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিশেষ সাক্ষাৎকারে সমন্বয়ক তারিকুল

বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীরা দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. তারিকুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. তারিকুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

মো. তারিকুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও সংগঠক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেন। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে ৪৮ দিন জেলবন্দি ছিলেন। ২০১৯ সালে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে। ডাকসু নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়, অধিভুক্ত আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার, এনআরসিসিএ-বিরোধী আন্দোলন, আবরার ফাহাদের স্মরণসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ছিলেন সরব। সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয় নিয়ে

কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অন্তু মুজাহিদ

কালবেলা : রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে আপনারা কোন পরিবর্তনগুলো দেখতে চান এবং কীভাবে তা বাস্তবায়ন করতে চান? ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন?

মো. তারিকুল ইসলাম : দেশবাসীর উদ্দেশে একটি কথা বলতে চাই, আমরা আমাদের জায়গা থেকে বাংলাদেশের মানুষকে আশার বাণী শুনিয়েছি, বিষয়টি এমন নয়। আমরা মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছি এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমরা অবশ্যই করব। আমরা বাংলাদেশের বুক থেকে চাকরিতে বৈষম্য দূর করতে চেয়েছি। কিন্তু আমরা যখন খেয়াল করলাম যে, এ বৈষম্য গোটা রাষ্ট্রের মধ্যে রয়েছে, পুরো রাষ্ট্রের একটি সংস্কার প্রয়োজন; সে জায়গা থেকে এই আওয়ামী লীগ সরকার যেহেতু বৈষম্যগুলো সৃষ্টি করে রেখেছে, সেহেতু আমরা কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সেই আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়েছি।

আমরা চাই, এমন এক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব, যে বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আমরা গত ৫৩ বছরে সেই মূল লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। তাই আমরা ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা সবাই একযোগে কাজ করুন। বর্তমানে যে সময়টি আমরা পার করছি, সেটি হলো রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের একটি সময়। রাষ্ট্রের সংস্কারের সময়। রাষ্ট্রের সংস্কার তখনই হবে, যখন আমরা সবাই আমাদের জায়গা থেকে দায়বদ্ধতা অনুভব করে এবং আন্তরিকতা প্রদর্শন করে একযোগে কাজ করব। তাই আমরা বলব, ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যারা যে যেখানে আছেন, সবাই সবার জায়গা থেকে আপনারা রাষ্ট্র সংস্কারে অংশ নিন। দুর্নীতি কোনোভাবেই বাংলাদেশে করা যাবে না। আমরা বাংলাদেশকে এমন এক রাষ্ট্রে পরিণত করব, আমাদের বাংলাদেশই হবে সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশ থেকে কোনো নাগরিক চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাবে না, বাংলাদেশের কোনো শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য ইউরোপ-আমেরিকায় যাবে না। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশকে আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। যেন আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।

কালবেলা : শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বেশ কয়েকজনের নামে মামলা প্রসঙ্গে...

মো. তারিকুল ইসলাম : আমরা বারবারই বলেছি, শেখ হাসিনার পতন এবং এই ফ্যাসিজমের বিলোপ চাই। শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিজমের বিলোপ হয়নি। ফ্যাসিবাদের বিলোপ করার জন্য শেখ হাসিনাকে যারা গত ১৬ বছর এ রাষ্ট্রযন্ত্রে কাজ করেছে, এই রাষ্ট্রযন্ত্রে তাদের বসিয়ে রেখেছে, সেসব দোসরেরও আমরা পদত্যাগ চাই। তাদের বিলোপ চাই, শুধু বিলোপই নয়, তাদের পদত্যাগই নয়, আমরা চাই রাষ্ট্রীয় আইনে প্রত্যেক দোসরের, ফ্যাসিবাদ দালালের বিচার। সে হিসেবে আমরা আমাদের জায়গা থেকে আমাদের ভাইকে যারা হত্যা করেছে, আমাদের বোনদের যারা হত্যা করেছে, শিশুদের যারা হত্যা করেছে, শ্রমিকদের যারা হত্যা করেছে, বৃদ্ধদের যারা হত্যা করেছে, সেসব হত্যাকারীর বিচারের জন্য আমরা একটি কর্মসূচি রেখেছিলাম। সারা দিন, মামলা দিন। সন্ত্রাসীদের মামলা দিন, খুনিদের মামলা দিন। সে ধারাবাহিকতায় আমরা সারা বাংলাদেশে প্রতিটি জেলায় জেলায় যেসব খুনি আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, আন্দোলনকারীদের যারা হত্যা করেছে, তাদের মামলা দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে আমরা নির্দেশনা প্রদান করেছি। যারা হত্যার হুকুমদাতা, সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, তাকে গেলেই হবে না। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে এনে তার বিচার আমরা করব। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনে তার বিচারের জন্য এরই মধ্যে কয়েকটি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা হত্যার হুকুম দিয়ে পালিয়ে গেছেন এবং হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হচ্ছিল। গত ৫ আগস্টে শহীদ মিনারে স্নাইপার দিয়ে গুলি করা হয়েছে। স্নাইপার দিয়ে গুলি করে করে সেখানে ১০-১২ জন ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আমরা সবাই মিলে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ আরও যারা জড়িত রয়েছেন, সবাইকে আমরা আসামি করে মামলা দায়ের করেছি। আশা করব আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম ১৯৭১ সালে, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা গত ৫৩ বছরে বাস্তবায়ন করতে পারিনি, সেই বাংলাদেশ আমরা ইনশাআল্লাহ এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাস্তবায়ন করব। রাষ্ট্রের তুলনামূলক সংস্কার করব, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য, স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য রাষ্ট্রকে যেভাবে পুনর্গঠন করা প্রয়োজন, ছাত্রসমাজ জনতার সঙ্গে মিলে সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা কায়েম করব। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ আমরা প্রতিষ্ঠা করব। যেখানে শেখ হাসিনার বিচার হবে, যেখানে যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিচার হবে। যেখানে ক্ষমতার দাপট থাকবে না। ক্ষমতা সেখানে কোনোভাবেই কুক্ষিগত হবে না। সে জায়গা থেকে আমরা বাংলার ছাত্রসমাজ জনতাকে সঙ্গে নিয়ে এখন পর্যন্ত রাজপথে আছি। শেখ হাসিনার কোনো দালাল যেন মাথা উঁকি দিতে না পারে, উঁচু করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সরব ভূমিকায় রাজপথে আছি।

কালবেলা : বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কী ধরনের পরিবর্তন বা সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন?

মো. তারিকুল ইসলাম : বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাটি এমন হয়ে গিয়েছে, এখানে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু কেন। কারণ আমরা কর্মমুখী শিক্ষা আপনাদের দিতে পারছি না। আজকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিভাগ খোলা হয়েছে, যে বিভাগের কোনো কর্মক্ষেত্র নেই। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বেকারত্ব বরণ করছেন, কিন্তু কেন। কারণ সে যে বিভাগে পড়াশোনা করেছে, সে বিভাগের কোনো চাকরির ক্ষেত্র নেই। যার কারণে সেখানে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা, বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কর্মসংস্থান তৈরি করা যাচ্ছে না। সে জায়গা থেকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে, যেন আমরা কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারি। আমরা এমন এক শিক্ষা বাস্তবায়ন করব, যেখানে পড়াশোনা করে আমাদের শিক্ষার্থীরা মনে করে যে, আমি এখানে পড়াশোনা করে রাষ্ট্র গঠনে, রাষ্ট্রের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারব। সে জায়গা থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে অর্থাৎ যে শিক্ষা কারিকুলাম তারা প্রণয়ন করেছে, তা বাতিল করে উন্নত আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা, শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন।

কালবেলা : আপনাদের সংগঠনের নাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কী ধরনের বৈষম্যের বিরোধিতা আপনারা করছেন? কীভাবে সেসব বৈষম্য দূর করবেন?

মো. তারিকুল ইসলাম : আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব তারা গ্রহণ করেছে, এই বাংলাদেশের রাষ্ট্রকে পুনরায় সংস্কার করার জন্য। তারা আবশ্যকীয় যে সংস্কারগুলো রয়েছে, যেমন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, একটি স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, সাংবিধানিক যত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি কাঠামো গঠন করে দিয়ে যাওয়া। যেন পরবর্তীকালে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাও যেন এসে এ কাঠামোর পরিবর্তন করতে না পারে। সে জায়গা থেকে আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আবশ্যকীয় যে সংস্কারগুলো করা প্রয়োজন, অবশ্যই সেটা তারা তাদের জায়গা থেকে করবে।

কালবেলা : আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত সাফল্যগুলো কীভাবে রক্ষা করা যাবে এবং স্থায়ী পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে বলে মনে করেন?

মো. তারিকুল ইসলাম : আমরা একটি কথাই বলেছি, শেখ হাসিনার পতন আমাদের আংশিক বিজয়। আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে তখনই, যখন আমরা এই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের শিকড়কে উপড়ে ফেলতে পারব। শিকড় উপড়ে ফেলার লড়াই কিন্তু বর্তমানে চলছে। সেই জায়গা থেকে শেখ হাসিনার যেসব দোসর, যারা এখনো ক্ষমতার চেয়ারে বসে রয়েছে, সেসব দোসরকে চিহ্নিত করে করে তাদের সেখান থেকে সরানো এবং দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের সেখানে বসিয়ে আমরা রাষ্ট্রকে সংস্কার করব। আমরা চাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রের যে সংস্কারে হাত দিয়েছে, এবং রাষ্ট্রের সংস্কারে যে কাজ করছে, এই ফ্যাসিবাদের বিলোপ করার আগপর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।

কালবেলা : এ আন্দোলনে যুক্ত হতে ছাত্রসহ যত মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, এগুলোর বিচারের আপনাদের ভূমিকা কী? আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করেছেন কি না?

মো. তারিকুল ইসলাম : আমরা বারবারই বলেছি, আমরা বর্তমানে যে চার দফা দাবিতে রাজপথে আছি, সে দাবির একটি দফা হলো, আমাদের যেসব ভাই শহীদ হয়েছেন, যেসব ভাই আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, চোখ হারিয়েছেন বা এমন একপর্যায়ে গিয়েছেন যে, তাদের পক্ষ থেকে আর কর্মজীবনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই, সেসব ভুক্তভোগী পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। সে জায়গা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার যেন নিশ্চিত করে, সে ব্যাপারে আমরা রাজপথে সরব ভূমিকা পালন করছি।

এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় টিমের পক্ষ থেকে আমরা একটি মেডিকেল দল গঠন করেছি। তারা বাংলাদেশের সব হাসপাতালে যাচ্ছে। যারা আহত শিক্ষার্থীদের সেবা করতে চান বা শহীদদের পরিবারকে সেবা করতে চান, তারা তাদের মাধ্যমে এরই মধ্যে সেবা করছেন। আমরা ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু হাসপাতালসহ অনেক জায়গায় আমরা গিয়েছি। যারা আমাদের আহত ভাইদের সাহায্য করতে চান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। তারা তাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করছেন। শুধু আমরা করলেই হবে না, আমরা চাই, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের জন্য যেন ভাতার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২৪ সালে শেখ হাসিনার যে পতন ঘটিয়েছে, এটি একটি বিপ্লব। এই বিপ্লব অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছে, তারা দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। এসব যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা। ঠিক একইভাবে যারা শহীদ হয়েছেন, এসব শহীদ পরিবারের ভাতার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি পেশ করেছি।

আমাদের জায়গা থেকে এখন পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছেন তাদের তালিকা আমরা তৈরি করছি। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এ তালিকা অনেক বেশি দীর্ঘ। যে তালিকাগুলো আমরা পেয়েছি, সেগুলো নিতান্তই কম। শিগগিরই আমরা এ তালিকা প্রকাশ করব।

কালবেলা : আপনারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করছেন। আবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে তাদের বাধা দেওয়ার খবর পাচ্ছি। এ ব্যাপারে কিছু বলুন।

মো. তারিকুল ইসলাম : এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করে তারা বাংলাদেশে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে তারা লুট করেছে। আমরা তো এমন বাংলাদেশ চাইনি। জনগণের ওপর খবরদারি করার পরিণাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে, শেখ হাসিনা তার জায়গা থেকে খুব ভালোভাবেই সেটা টের পেয়েছেন। আমরা ছাত্রজনতাকে বারবার করেই বলছি, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যে অধিকার লুট করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার লুট করেছেন, ভোটের অধিকার লুট করেছেন, যে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া মেনে না নিয়ে তাদের ওপর খবরদারি করেছেন, তার এই বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। সে জায়গা থেকে ছাত্রসমাজ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিল, বর্তমানে রাজপথে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকার যেসব এলাকায় আজ মার্কেট বন্ধ

আজকের নামাজের সময়সূচি

প্রথম দিনে উইন্ডিজ তুলল ২৫০ রান

গাঁজা-জাল নোটসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ

উইন্ডিজের প্রতিরোধ ভেঙে বাংলাদেশের স্বস্তি

টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস / ট্রাম্প ব্যবসায়ী, আমরাও একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই

২০২৪ সালের হাইয়েস্ট কালেকশন দরদের : শাকিব 

নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত

রাজনীতিতে আ.লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর

১০

নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল

১১

খাসজমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত

১২

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াঙ্গন অন্যতম একটি মাধ্যম : আমিনুল হক 

১৩

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

১৪

আহত রানার পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

১৫

ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

১৬

একদিকে প্রশান্তি, অশান্তিও বিরাজ করছে: শামা ওবায়েদ

১৭

চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

১৮

র‍্যানকন মটরসের সঙ্গে ক্র্যাক প্লাটুন চার্জিং সলুশনের চুক্তি

১৯

জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য : নয়ন

২০
X