সুভাষ সিংহ রায়
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৪, ০২:১২ এএম
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:২০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যা দেখি যা শুনি

আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে ক্ষতি কার

আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে ক্ষতি কার

গত কয়েকদিনে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। গণমাধ্যমের ভাষায় বলতে হয় ‘মিশ্র প্রতিক্রিয়া’। এ কয়েকদিনের সহিংসতা ছিল জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত নাশকতা। কারা এই নাশকতাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল, দেশবাসী তা জানে। ৭৫ বছর বয়সী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সমালোচকের অভাব নেই। কিন্তু এ কথা সত্য প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগকে গতানুগতিক ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আর নেতাদের পেছনে পেছনে ঘোরার রাজনীতি থেকে পুরো দলকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। ক্ষেতে ফসলের চেয়ে যদি আগাছা বেশি হয়, তাহলে তো ভীষণ মুশকিল। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ রাজনীতির ধারার সূচনা করতে হবে। দুর্বলতার জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। এবারের ‘জুলাই ট্র্যাজেডি’র ক্রটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করতেই হবে। তা না হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আহমদ ছফার সেই উক্তি ‘আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে সমগ্র জাতি পরাজিত হয়।’

দেশবিরোধী শক্তি কীভাবে সাধারণ ছাত্রদের ফাঁদে ফেলতে পারল? এ ক্ষেত্রে কি কোনো ধরনের জনবিচ্ছিন্নতা কাজ করেছে? সাধারণ ছাত্ররা যদি বিভ্রান্ত হয়ে যায়, তার দায় দলের নেতাকর্মীদের কতটুকু ছিল? আচ্ছা আমাকে কেউ কি বোঝাতে পারবেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত কী নিয়ে? ২০১৮ সালের পর দেশে কি কোনো কোটাব্যবস্থা ছিল? হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কয়েকজন আপিল করেছিলেন। হাইকোর্ট সেই ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করেছিলেন। অর্থাৎ সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। সরকার সঙ্গে সঙ্গে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল। অর্থাৎ ২০১৮ সালের পরিপত্র আবার ফিরে এলো। এককথায় বলা যায়, দেশে কোনো কোটাব্যবস্থা নেই। তাহলে কোটা নিয়ে ঘোঁটা দিল কারা?

কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথম রাস্তায় নামে ২০১৮ সালে। সে সময় এই আন্দোলন কিছুদিনের মধ্যে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রূপ নেয়। তবে সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং এর সংলগ্ন এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। একসময় আক্রান্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং তার পরিবার। উপাচার্যের বাসভবনে চালানো হয় এক ভয়াবহ তাণ্ডব।

যদিও কোটা রাখা না রাখার সঙ্গে উপাচার্যের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ঢাকার জনজীবন হয়ে যায় বিপর্যস্ত। তখন প্রধানমন্ত্রী এক নির্বাহী আদেশবলে পুরো কোটাব্যবস্থাকে বাতিল করে দেন। বলতে হয়, বাতিল করাটা পদ্ধতিগতভাবে হয়তো ত্রুটিযুক্ত ছিল।

কারা দেশবিরোধী শক্তিকে মাঠে নামাল? দেশবাসীকে এর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃঢ়তায় এবং সেনাবাহিনী নামিয়ে তাদের তৎপরতা রুখে দেওয়া গেছে ঠিকই। কিন্তু তারা এখনো সক্রিয় আছে। যে কোনো সময় আরও বড় নাশকতা করতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এক বছর আগে থেকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের অর্থায়নে পরিচালিত জঙ্গি সংগঠনগুলো এই নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিভিন্ন স্থানে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা যায়, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সারা দেশ থেকে রাজধানীর আশপাশে অবস্থান নিয়েছে। তাদের টার্গেট ছিল ঢাকা দখল করা। জামায়াত-বিএনপির দীর্ঘদিনের ক্ষমতায় না থাকার যে ক্ষোভ এবং অপ্রাপ্তি রয়েছে, সেটির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তারা চাচ্ছিল যে, কোটা সংস্কার আন্দোলন যে কোনোভাবে ঘোলাটে হয়ে যাক। এই জঙ্গিদের অনেককে গত কয়েক মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। এবারের সহিংসতায় জেলখানায় হামলা চালিয়ে ৯ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়। সারা দেশে ২৩৫টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট করে। এবারে শিক্ষার্থীদের ঢাল বানিয়ে নৃশংসতার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটায় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের অর্থায়নে পরিচালিত জঙ্গিরা। কিছু শিক্ষার্থীও এই কর্মকাণ্ডে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা সামনে থাকায় পুলিশকে ধীরে ও সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। এই সুযোগে

সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায়। যার পরিণতিতে কিছু মানুষের মৃত্যু হয়।

গত বছরের ২৮ অক্টোবরে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। সে সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকাসহ সারা দেশে হাসপাতাল, ব্যাংক, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ইত্যাদি অসংখ্য স্থাপনায় হামলা চালায় তারা। পুলিশ সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। ৩৫ জন সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়। বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন

দেওয়া হয়। কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের হত্যা করা হয়। কিন্তু সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপে তাদের সেই চক্রান্ত নস্যাৎ হয়ে যায়। কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঢাল বানিয়ে ২৮ অক্টোবরের স্থগিত নাশকতা পুনরায় শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা। সারা দেশে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও সম্পদ ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করে। সারা দেশে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

নৃশংসভাবে হামলা করে হত্যা করা হয় পুলিশ সদস্যদের। তিনজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়, ৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়। শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

দুই. কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল, তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তার পরও তারা ক্ষণে ক্ষণে দাবি পরিবর্তন করে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। বেশ কিছু শিক্ষার্থী সরাসরি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। কোটা আন্দোলনের মিছিল থেকে বিভিন্ন ভবন ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা এবং হত্যার সঙ্গেও বেশকিছু আন্দোলনকারী জড়িত ছিল। এই সন্ত্রাসবাদে যারা জড়িত, যারা তাদের অর্থায়ন করেছে, যারা তাদের উৎসাহিত করেছে, যারা সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়েছে, তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দেশের মানুষের দাবি। জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করা এবং তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। যেসব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত বা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে সামাজিক-রাজনৈতিক বয়কটের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। বিচারের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এই তৎপরতায় হাত আছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদেরও। অনলাইনে গুজব ছড়ানো ও দেশের বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা নেয় সন্ত্রাসীরা। ১৪ জুলাই কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার দুজনের মৃত্যুর কথা বলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেন। আটলান্টিক মহাসাগরের ‘মুক্ত বাংলাদেশ’ বিশ্বাসীদের অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট করেন। পুরো পরিস্থিতিতে নীরব থাকা ড. ইউনূস হঠাৎ করে সক্রিয় হন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ চান তিনি।

যখন এমন ভয়াবহ হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন সেটি দেখে আর কারও বুঝতে বাকি থাকেনি যে, ওই হামলা এবং তাণ্ডব সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়েছে। বাংলাদেশকে যে কোনোভাবে অনিরাপদ প্রমাণ করতে মরিয়া হয়েছে বিএনপি-জামায়াত। প্রতিনিয়ত সরকারকে বিপাকে ফেলার টার্গেট নিয়েই তাদের রাজনীতি। আর সরকারকে বিপাকে ফেলার লক্ষ্য না থাকলে, কারও পক্ষেই দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং জানমালের ক্ষতি করার বিন্দুমাত্র চিন্তা মাথায় আসত না। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে শ-তিনেক কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।

গত ২৬ জুলাই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত রোকেয়া হল এবং স্যার এএফ রহমান হল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে হলগুলো সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।’ এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমগ্র শিক্ষাঙ্গনে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সময় উপযোগী কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। শিক্ষকদের পরামর্শ নিতে হবে।

মনে রাখতে হবে, ৪৩ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ছাত্রদের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন, সেটিই করেছেন। অথচ সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করার খেলায় নামা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারীরা বেশ কিছুটা সফলও হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ও বাস্তবায়নকারী, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের অপব্যবহারের চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল এই ‘জুলাই ট্র্যাজেডি’র সময়ে। বিগত ১৫ বছরে এই সরকারের আমলে যারা হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে, তাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তির স্ট্যাটাস দিয়েছে। কেন এমনটি হলো? সবাই বলছেন, সবসময় আওয়ামী লীগ মানুষ চিনতে ভুল করে। অবশ্যই ভুলত্রুটি সব খুঁজে বের করতে হবে।

আহমদ ছফার কথা আবারও বলি, ‘আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে সমগ্র জাতি পরাজিত হয়।’

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরাকে তুর্কি বিমান হামলা, ২৪ স্থাপনা ধ্বংস

দ্বিতীয় সেশনেও টাইগারদের দাপট

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষায় ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবি ঐক্য পরিষদের

ভিসার মেয়াদ শেষ আজ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে

লক্ষ্মীপুরে পিটিআই প্রশিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

সালমানকে নিয়ে যা বললেন শাবনূর

ট্রাম্পের তথ্য হ্যাক করে বাইডেনকে দিয়েছে ইরান!

শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয় বাংলাদেশের

নামাজ পড়ে বাসায় যাওয়া হলো না পুলিশ সদস্য জহিরুলের

বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের কানাডার দুঃসংবাদ

১০

পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাবি প্রশাসনের মামলা

১১

জবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াস উদ্দিন

১২

ঢাবিতে মব জাস্টিসের প্রতিবাদে ‘ব্রিং ব্যাক জাস্টিস’ কর্মসূচি

১৩

ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় মিলল

১৪

আ.লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডল ৭ দিনের রিমান্ডে

১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫

১৬

ঢাবি ও জাবিতে ‘পিটিয়ে হত্যা’ দুঃখজনক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত দাবি ঐক্য পরিষদের

১৮

ঢাবির হলে পিটিয়ে হত্যা, তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তার আহ্বান

১৯

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা নিয়ে আ.লীগের বিবৃতি

২০
X