মনজুরুল আহসান বুলবুল
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৪, ০২:১২ এএম
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বেহাল আওয়ামী লীগ, দেউলিয়া বিএনপি

বেহাল আওয়ামী লীগ, দেউলিয়া বিএনপি

বিষয়টি দৃশ্যমান হলো সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ‘দুর্যোগে’র সময়।

দেড় দশকের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ এখন ‘ক্ষমতা এবং অর্থ-সম্পদের ভারের ক্লান্তি’তে (পাওয়ার ফ্যাটিগ ও মানি ফ্যাটিগ) ভুগছে বলে মনে করেন এক পশ্চিমা কূটনীতিক। তার কথার সত্যতা পাওয়া গেল সাম্প্রতিক সংকটে।

একটা ছোট বিষয় যে ধীরে ধীরে বড় সংকটে রূপান্তরিত হচ্ছে, এ বিষয়টি বুঝতেই পারল না দলটি। অথবা বুঝতে পারলেও গুরুত্বই দিল না। দল এবং সরকার একাকার হয়ে গেছে অনেক আগেই। দলের কোনো মুখপাত্র নেই। যে কয়েকজন কথা বলেন, তাদের বক্তব্য কতটা দলের, কতটা সরকারের, পৃথক করা মুশকিল। সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী কি এসব বিষয়ে সরকারকে কোনো আগাম আভাস দিতে পেরেছিল? উপদেষ্টারা? এটা আমাদের জানার কথা নয়। তবে দিয়ে থাকলেও তা খুব একটা আমলে নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।

প্রথমে দলটি মনে করল ছাত্রলীগ দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে। ছাত্রলীগ মাঠে নামলও, হ্যান করেঙ্গা-ত্যান করেঙ্গা বলে ‘সাউন্ড গ্রেনেড’ও ছুড়ল। দলের নেতারাও সেই ‘সাউন্ড গ্রেনেডে’র শব্দে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন। কিন্তু প্রতিরোধের প্রথম প্রহরেই ভেঙে গেল সব। ছাত্রলীগের শীর্ষরা হাওয়া, হলে হলে বিব্রত-বিপর্যস্ত হলেন মাঝারিরা। সেই যে নেতারা আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলেন, গোটা সংকটকালে তাদের চেহারা আর কোথাও দেখা গেল না। মাঠের কর্মীরা কেন্দ্রের কোনো নির্দেশনা পেলেন না। দেশের নানা ক্যাম্পাস, নানা প্রান্ত থেকে খবর মিলল ছাত্রলীগের অনেক ‘নওজোয়ান’ পদত্যাগ করছেন। অথচ কত ত্যাগীদের বঞ্চিত করে এদের পদ দেওয়া হয়েছে! পদ পাওয়ার পর কত কত আয়োজন ছিল তাদের। এক নেত্রীর জন্মদিনে ছাত্রী হলে রাজকীয় আয়োজন তো ভাইরাল। যে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের এত দাপট, এত প্রটোকল, সেই ক্যাম্পাসে তারা কেন এতটা অসহায়, এতটা অবাঞ্ছিত হলেন—এই প্রশ্নের জবাব তো তাদেরই খুঁজতে হবে। কতবার যে শুনেছি সাইবার যোদ্ধা তৈরির কথা, কত টাকা ব্যয় হয়েছে এক লাখ সাইবার যোদ্ধা তৈরিতে? ‘তাহারা’ কোথায় এই সংকটের সময়?

ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদেরই যখন এ অবস্থা, তখন দেখা গেল ‘কমান্ড সেন্টারে’ আরও বেহাল অবস্থা।

ছাত্রদের আন্দোলন ততক্ষণে ছিনতাই হয়ে গেছে। আগ্রাসী চেহারা নিয়ে মাঠে নেমেছে সরকার ও দেশবিরোধী চক্র। দলের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকে মাঝেমধ্যে দেখা যায় টেলিভিশনে, পাশে গুটিকয়। মাঠ কেন চলে গেল ‘ওদের’ দখলে? মাঠে নেই কেন মন্ত্রী-এমপিরা? কারণ, ওই যে ক্ষমতায় থাকার ক্লান্তি! ডিসি-এসপি-পুলিশ পাহারায় চলতে চলতে তারা এতটাই ক্লান্ত যে, একক উদ্যোগে এলাকায়ও চলতে পারেন না! দল কি নিজস্ব উদ্যোগে একটি অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান করতে পারে, কোন এমপি বা কোন মন্ত্রীর এলাকায় কত বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে? সেই এমপি-মন্ত্রী বা তার সমর্থকরা ‘দুর্যোগের’ সময় কোথায় ছিলেন? এসব মন্ত্রী-এমপির পায়ে পায়ে ঘোরেন যে পাতি নেতারা, তারাই বা কোথায়? তাদের গুঁতায় ত্যাগী নেতারা তো এমপি-মন্ত্রীদের কাছেই ঘেঁষতে পারেন না। বলছি না তারা মাঠে থেকে সংঘর্ষে জড়াবেন, কিন্তু তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি পরিস্থিতি বদলে দিতে পারত। দলের সুবিধাভোগীরা কোথাও ছিল না। কারণ, সবাই নানা সুযোগ-সুবিধা ও টাকার ভারে ক্লান্ত (মানি ফ্যাটিগ)। পিয়নের চারশ কোটির মতো; এদের এত টাকা, বিদেশে বাড়ি-সম্পদ হয়েছে যে, পারলে তারা চলেই যেতেন; কিন্তু তারা চলে গেলে এই ‘অভাগা দেশের হইবে কী’—এজন্যই দেশে গাড়িতে পতাকা ওড়াচ্ছেন। যারা পতাকা পাননি তারা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। খাচ্ছেন ক্ষমতার চর্ব, চুষ্য, লেহ্য। এক বেহাল আওয়ামী লীগকে দেখলাম আমরা, যেখানে দলটিই নেই আর সবকিছুই আছে। দলের ভেতরে যুক্তিসংগত ভিন্নমত তুলে ধরতেও নাকি অনেকে সাহস পান না। উপদেষ্টারাও নাকি পদ ও বেতনভোগী অলংকার মাত্র। ১৪ দলের বৈঠক করার আগে আওয়ামী লীগ এই দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি—এমন তথ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।

দলের এ অবস্থার পাশাপাশি সরকারও যে ঢিলেঢালা চলছে, তার প্রমাণ বিটিভির দায়সারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিটিভির স্টুডিওতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা কোনো ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি কেমন হতো? এরা তো খুনি ডালিমদেরই অনুসারী। কেপিআইগুলোর এই অবস্থা অগ্রহণযোগ্য। যেসব প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটা দুর্বল ছিল কেন, সেটাও জানা জরুরি।

সরকারি মহলের এই যখন অবস্থা, তখন বিরোধী ফ্রন্টে দেখি বিএনপির দেউলিয়া চেহারা। দলের সাইনবোর্ড বা বক্তৃতার মঞ্চ বিএনপির দখলে—এ কথা সত্য, কিন্তু তাদের আন্দোলন করার পুরো শক্তি জামায়াত-শিবিরনির্ভর। বিএনপির মনের বাসনা সরকারের পতন হোক, কিন্তু সেই বাসনা পূরণ করার সামর্থ্য ও কৌশল দুটিই দুর্বল। তাদের আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যর্থতার এক ডজন উদাহরণ দেওয়া যাবে। বরাবরই তারা নির্ভর করে মাঠে অন্য কোনো শক্তি আন্দোলন গড়ে তুললে তার ওপর। যেমন—স্কুল ছাত্রদের আন্দোলনের সময় তারা বললেন, সরকার উচ্ছেদ না করে ছাত্ররা ঘরে ফিরবে না। কিন্তু ছাত্ররা ঘরে ফিরল, তাদের দেউলিয়াত্ব স্পষ্ট হলো। এবারও ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে মাঠে। বিএনপি বলল, এই প্রধানমন্ত্রী আর সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। দেউলিয়াত্ব আর কাকে বলে! বিএনপির সরকারবিরোধী এই অবস্থানের সুযোগে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করেই মাঠ নিয়ে নিল জামায়াত-শিবির-জঙ্গিগোষ্ঠী। তারা সুকৌশলে কোটার স্লোগানের মধ্যেই ছাত্রদের মুখে তুলে দিল স্বৈরাচার-রাজাকার। রাজাকারের বধ্যভূমি শাহবাগে নেমে এলো রাজাকারের প্রেতাত্মা।

এরপর ধারাবাহিকতা দেখুন: নরসিংদী জেলে হামলা চালিয়ে বের করে নেওয়া হলো জঙ্গিদের, আক্রান্ত হলো ডাটা সেন্টার, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অন্ধকারে দেশ, আক্রমণ করা হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক অগ্রযাত্রার স্মারক মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সরকারি ত্রাণ ভান্ডার, ইনডোর স্টেডিয়াম, বিটিভির মতো কেপিআই, সড়ক ভবন, স্বাস্থ্য দপ্তরসহ নানা সরকারি স্থাপনা। এসব স্থাপনায় হামলা একেবারেই পরিকল্পিত, সংগঠিত। যারা এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালিয়েছে তাদের টার্গেট গোটা বাংলাদেশ। যারা বাংলাদেশটাকেই নিজের দেশ মনে করে না, তাদের কাছে এই দেশের যে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতির কোনো মূল্য থাকবে না—সেটাই তো স্বাভাবিক।

পর্যবেক্ষণ এই সাক্ষ্য দেয়: বিএনপি-জামায়াত চক্র ছাত্রদের আন্দোলন ছিনতাই করে প্রথমে এটাকে রূপ দেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে, পরে এটা রূপান্তরিত হয় বাংলা নামের দেশটির বিরুদ্ধেই। এই আন্দোলন চাঙ্গা করতে দেশবিরোধী এই চক্রের দেউলিয়াত্ব কোন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, মাঝেমধ্যেই গুজব রটিয়ে দেওয়া হয়—খালেদা জিয়া মারা গেছেন! যাতে অন্ধ দলীয় সমর্থকদের আরও হিংস্র করে তোলা যায়। হায় খালেদা জিয়া, হায় বিএনপির রাজনীতি! হায় নেতৃত্ব!

এ কথা ঠিক, নানা কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। সেই সাধারণ মানুষ ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে, এ কথা নিশ্চিত। কিন্তু তারা এই দেশবিরোধী ধ্বংসযজ্ঞে অংশগ্রহণ তো করেইনি, সমর্থনও দেয়নি। যখন ছাত্ররা স্পষ্টই বলে দেয়, আমাদের ব্যানার নিয়ে যারা নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তখন বিএনপির অবস্থানটা কোথায় দাঁড়ায়? শোনা যায়, বিএনপির দেশজ অনেক নেতা নাকি প্রবাসী বড় নেতার ধমকের কাছে টিকতেই পারেন না। দলটা চলে কীভাবে? এবারের অপকৌশলে বিএনপি কতটুকু এগোল বা কতটুকু পেছাল—দল নিশ্চয়ই সেই অঙ্কটি কষবে।

আমাদের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, অভিভাবকদের দেউলিয়াপনার চিত্রটাও দেখি। তারা যখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান, নিশ্চয়ই সেটা সমর্থনযোগ্য। কিন্তু এই তারাই যখন দেশবিরোধী, জঙ্গিদের জেলমুক্ত করার ধ্বংসযজ্ঞ বিষয়ে চুপ থাকেন, তখন কি তাদের চরিত্রটা স্পষ্ট হয় না?

দেশে রাজনীতি থাকবে, সমর্থন ও বিরোধিতা থাকবে, এভাবেই আমাদের অপূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র হয়তো একদিন পূর্ণতা পাবে।

সাম্প্রতিক সংকট স্পষ্ট করেছে: দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো একেবারেই বেহাল অবস্থায়। দল ও সরকার একাকার হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে লেজেগোবরে অবস্থা। ঘুরে দাঁড়াতে হলে ভেতর থেকে নিজেদেরই প্রশ্ন করতে হবে, কেন এমন হলো? খুঁজতে হবে এর যুক্তিনিষ্ঠ সমাধান। ৭৫ বছর বয়সী দলটি নিশ্চয়ই এমন বেহাল অবস্থায় চলতে পারে না। পরিস্থিতি বাধ্য করলেও সেনা মোতায়েন, কারফিউ জারি, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ—এসব আওয়ামী লীগের সঙ্গে যায় না।

নিজেদের দেউলিয়াপনার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে বিএনপিকেও। বিএনপি নিশ্চয়ই দলের অভ্যন্তরে অনুসন্ধান করবে, এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে কতটা লাভবান হলো দলটি? আগুন সন্ত্রাসীর যে তকমা বিএনপির গায়ে, তা থেকে তারা বেরিয়েই আসতে পারছে না। এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে সেই তকমা তাদের জন্য আরও কতটা স্থায়ী হয়ে গেল, সেটার মূল্যায়ন করাও জরুরি।

চোরাগোপ্তা পথে বা অন্যের আন্দোলনের কাঁধে ভর করে নয়, নিজস্ব আন্দোলন ও কৌশল প্রয়োগই হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ।

আর রাজনীতির মাঠের চিয়ার লিডাররা থাকবেন, গ্যালারি গরম করবেন, যদি কোনোদিন ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে, তাহলে মাঠের কোনো দলে জায়গা পেতেও পারেন!

কিন্তু যারা অগ্রগতির সব স্মারক গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলা নামের দেশটিকেই নিশ্চিহ্ন করতে চায়, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সবাইকে একাত্ম হতে হবে। যে কোনো দাবি আদায়ের আন্দোলন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন আর ধ্বংসাত্মক দেশবিরোধী সন্ত্রাসী তৎপরতাকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না।

লেখক: সাংবাদিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

ডিএমপির ২ থানায় নতুন ওসিসহ ৭ পুলিশ পরিদর্শকের পদায়ন

১৮ সেপ্টেম্বর : নামাজের সময়সূচি

এমবাপ্পে-এনড্রিকে ভর করে রিয়ালের জয় 

মহাসড়ক অবরোধ করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিক্ষোভ

সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ গ্রেপ্তার

বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু মার্তিনেজের ভিলার

শিক্ষায় ৩১ বছরের বৈষম্যের অবসান চান মাউশির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

১২ জেলারসহ ৩৪ কারা কর্মকর্তাকে বদলি

১০

ডিএমপির ৮ কর্মকর্তাকে বদলি

১১

মাজার ভাঙার প্রতিবাদে হরিরামপুরে সমাবেশ

১২

ভারতবিরোধী পোস্ট শেয়ার করায় বিএনপি নেতার ভিসা বাতিল

১৩

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান মো. শাহজাহানের

১৪

সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণালংকারসহ মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক

১৫

অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

১৬

আবাসিক হলের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের মতবিনিময়

১৭

বরিশাল মেট্রোপলিটনে চার থানায় নতুন ওসির যোগদান

১৮

পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ / পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৯

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

২০
X