প্রভাষ আমিন
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৯ এএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

স্বস্তি ফিরেছে, শঙ্কা কাটবে কবে

স্বস্তি ফিরেছে, শঙ্কা কাটবে কবে

কয়েক বছর আগে আমি একবার সপরিবারে সিলেট এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সিলেটে বেড়ানো শেষে ইচ্ছা ছিল এক রাত শ্রীমঙ্গলে থেকে চা বাগান দেখে ঢাকায় ফিরব। শ্রীমঙ্গলে পৌঁছতে পৌঁছতে আমাদের রাত হয়ে যায়। শ্রীমঙ্গলে তখন এখনকার মতো ভালো হোটেল-রিসোর্ট ছিল না। ভেবেছিলাম যে কোনো একটা হোটেলে উঠে যাব। কিন্তু শ্রীমঙ্গলে ঘুরেও থাকার মতো কোনো হোটেল পেলাম না। কোনো চা বাগানে থাকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে সিদ্ধান্ত নিলাম, তার চেয়ে ঢাকায় ফিরে যাই। শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকায় ফিরতে গিয়েই বিপাকে পড়লাম। শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত রাস্তাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনুপম প্রদর্শনী যেন। দুই পাশেই বিস্তীর্ণ চা বাগান আর টিলায় ঢেউ খেলানো। কিন্তু অত রাতে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো মানসিক অবস্থা আমাদের ছিল না। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই, আলো নেই, আশপাশে কোনো বাড়িঘরও নেই। গাড়িতে থাকা স্ত্রী মুক্তি এবং আমাদের একমাত্র সন্তান প্রসূন ভয় পাচ্ছিল। আমি তাদের সাহস দিচ্ছিলাম বটে। কিন্তু ভয় আমিও পাচ্ছিলাম। কোনো দুর্ঘটনা বা চোর-ডাকাতের কবলে পড়লে জানাজানি হতেও দুদিন লাগবে। সাবধানে আসতে আসতে একপর্যায়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উঠলাম। ভয় কিছুটা কাটল। একপর্যায়ে দেখলাম সামনে একটি পুলিশ চেকপোস্ট। এমনিতে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা চেকপোস্ট দেখলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের একধরনের অস্বস্তি হয়। কিন্তু জীবনে প্রথম সেদিন পুলিশ চেকপোস্ট দেখে আমার ঘাম দিয়ে জ¦র ছাড়ল। চেপে বসা অস্বস্তিটা নিমেষে দূর হয়ে গেল। পুলিশ আমাদের গাড়ি তল্লাশি করতে না চাইলেও আমরা গাড়ি থামিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললাম। কিছু হাসি-ঠাট্টা করে নিজেদের পরিস্থিতিটা হালকা করলাম। তারপর ঢাকায় ফিরতে আর কোনো সমস্যা হয়নি, অস্বস্তিও ছিল না।

গত শুক্রবার রাতে যখন কারফিউ জারি এবং সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হলো, তেমনই একটা অনুভূতি হলো আমার। শুধু আমার একার নয়, গোটা জাতির ওপর চেপে বসা ভয়ংকর এক অস্বস্তি এক লহমায় দূর হয়ে গেল সেই মধ্যরাতে। এমনিতে সাধারণত কারফিউ বা সেনা মোতায়েনের খবরে মানুষ আতঙ্কিত হয়। কিন্তু এবার ঘটল উল্টো ঘটনা। সবাই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। সবাই যেন এমন একটা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সোমবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জানিয়েছেন, সেনা মোতায়েনের চাপ তার ওপরও ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা রাজপথ থেকে সম্পূর্ণ সরে যাওয়ার পরই তিনি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি করতে চাননি। আসলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা এবং দুর্বৃত্তদের কবল থেকে জাতিকে রক্ষায়। গত শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে আরও কঠোর হওয়া, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের পরামর্শ দেন। সে বৈঠক থেকেই কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আসে। সিদ্ধান্তের পর শুক্রবার রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি হয়, সেনাবাহিনী রাস্তায় নামে ভোররাতে। পরদিন সরকার রবি ও সোমবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। মঙ্গলবার এই লেখা যখন লিখছি, তখনো সাধারণ ছুটি চলছে, চলছে কারফিউ, রাস্তায় আছে সেনাবাহিনীও। পেশাগত কারণে আমাকে প্রতিদিনই বেরোতে হয়, কাজে যেতে হয়। রাস্তায় কারফিউ ও সেনা মোতায়েন নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখেছি। আগের তিন দিন মানুষ ভয়ে ঘরে বন্দি থাকলেও কারফিউ দেওয়ার পর অনেকে ঘর থেকে বেরিয়েছে। বাজার, হাসপাতালের মতো জরুরি প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় নামছে। সেনাবাহিনী সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রয়োজন বুঝে অনেককে যেতেও দিচ্ছে। মানুষ সেনাবাহিনীকে বন্ধুর মতো পাশে পেয়েছে।

কারফিউ ও সেনা মোতায়েনের পর পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসে। স্বস্তি ফিরিছে জনজীবনে। তবে তার আগের চার দিন বাংলাদেশে যা হয়েছে তা নজিরবিহীন। ২০১৩-১৪ সালে আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে আগুন সন্ত্রাস দেখেছে মানুষ। তবে এবারের নৃশংসতা, নির্মমতা, নাশকতা ছাড়িয়ে গেছে আগের সব ঘটনাকেই। আগের চার দিনের সহিংসতা, নির্মমতা, আর্থিক ক্ষতির অস্বস্তি কবে কাটবে তা কেউ জানে না। হয়তো আমাদের স্মৃতি থেকে এ অস্বস্তি কখনোই কাটবে না। শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের নামে শুরু হলেও বুধবার দুপুরের পর থেকে আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ হারায় শিক্ষার্থীরা। তারপর যা হয়েছে তা আন্দোলন নয়, বিক্ষোভ নয়; নাশকতা, স্রেফ নাশকতা। শিক্ষার্থীদের বা সাধারণ বিক্ষুব্ধ মানুষের ভাঙচুর বা সহিংসতার ধরন আর এবারের নাশকতার ধরন এক নয়। ক্ষুব্ধ মানুষ সামনে যা পায়, তাই ভাঙে বা আগুন দেয়। কিন্তু এবার চার-পাঁচ দিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যা হয়েছে, তা সুপরিকল্পিত নাশকতা। সরকারের অর্জন ধরে ধরে হামলা হয়েছে। জাতির গর্ব পদ্মা সেতুর নিয়ন্ত্রক ভবন সেতু ভবন পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মানুষের স্বস্তির অন্য নাম হয়ে ওঠা মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন এমনভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, এক বছরের আগে তা চালু করা সম্ভব নয়। মিরপুর ও কাজীপাড়ার মানুষকে এক বছর এ দায় বহন করতে হবে। মহাখালীতে ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ইন্টারনেটশূন্য করে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। ডাটা সেন্টার কোথায় সেটা সাধারণ কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দুর্বৃত্তরা তালিকা করে নাশকতা চালিয়েছে। গণমাধ্যম, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার গাড়ি কোনো জরুরি পরিষেবাও নাশকতাকারীদের টার্গেটের বাইরে ছিল না। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সমালোচনার অন্ত নেই। কিন্তু এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম। রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর স্থাপনা। সেই বিটিভি ভবন পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিটিভির সম্প্রচার বন্ধ রাখতে হয়েছে। বেছে বেছে হামলা করা হয়েছে থানা, পুলিশ ফাঁড়িতে। নরসিংদীতে কারাগার ভেঙে অস্ত্র-গুলি লুট করা হয়েছে। জঙ্গিসহ সব বন্দিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল টানা চার দিন। স্রেফ আর্থিক ক্ষতি কত হয়েছে, তা নিরূপণ করতে হয়তো আরও সময় লাগবে। ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বিটিভির পুড়ে যাওয়া আর্কাইভের ক্ষতি কখনোই পূরণ করা সম্ভব নয়।

শুধু নাশকতাতেই শেষ নয় আর্থিক ক্ষতি। পাঁচ দিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় কত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে, তার হিসাব বের করাও মুশকিল। তবে ডাটা সেন্টার পুড়ে গিয়ে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সরকারের জন্য শাপেবর হয়েছে। ইন্টারনেট থাকলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। ইন্টারনেট না থাকা অবস্থাতেও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর গুজব ছড়িয়েছে, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে। শেখ হাসিনা যে পালাননি, সেটা তো সবাই দেখছেন। বরং দেশের পরিস্থিতির কারণে তিনি পূর্বনির্ধারিত স্পেন ও ব্রাজিল সফর বাতিল করেছেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ হাসিনা কখনো পালায় না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া ভালো আছেন। ইন্টারনেট থাকলে এ কদিনে দেশ গুজবের কারখানায় পরিণত হতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়তো এত সহজ হতো না। তবে ইন্টারনেট মানে তো শুধু ফেসবুক আর ইউটিউব নয়। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, ব্যাংকিং সবকিছুই এখন ইন্টারনেট নির্ভর। বাংলাদেশ কার্যত বিচ্ছিন্ন। ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না, অর্ডার সরবরাহ করতে পারছেন না। এটিএম মেশিন, ক্রেডিট ব্যবহারেও সমস্যা হচ্ছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা বেকার বসে আছেন। কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সারদেরও কোনো কাজ নেই। বিশাল ই-কমার্স খাতও থমকে আছে। মোবাইল লেনদেন, গ্যাস-বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে নানা সমস্যা হচ্ছে। আসলে আমরা এখন এমনভাবে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে গেছি, ইন্টারনেট ছাড়া কীভাবে জীবনযাপন করতে হয়, আমরা ভুলেই গেছি। ইন্টারনেটবিহীন জীবন কেমন, সেটাও অনেকের দেখা হয়ে গেছে এবার।

শুধু ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থনীতি নয়, সাধারণ অর্থনীতিও বড় ধাক্কা খাবে এ নাশকতায়। দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, খেটেখাওয়া মানুষদের সংকট তীব্র। সাধারণ ছুটি থাকায় থমকে আছে অর্থনীতির চাকা। একবার করোনার কারণে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবার অর্থনীতিকে চাপের মুখে ফেলে। প্রবল চাপের মুখে থাকা অর্থনীতি এখন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়তে পারে। সাধারণ মানুষের ওপর দ্রব্যমূল্যের চাপও বাড়বে।

অর্থনীতির ক্ষতি হয়তো একদিন সামাল দেওয়া যাবে, কিন্তু এ কদিনে যে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, তাদের আর কখনো ফিরে পাব না। নির্মমতা আর নাশকতার এই ভয়াবহ স্মৃতি, স্বজন হারানোর বেদনার ভার আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে সারাজীবন। সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, স্বস্তিও ফিরেছে জনজীবনে। কিন্তু অস্বস্তির দগদগে ক্ষত কবে শুকাবে?

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X