আমরা নিশ্চিত করেই বলতে পারি, কোটার রাজনীতি জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। যখন আমরা বিশ্লেষণ করি নির্মোহ বিশ্লেষণ করি না। অগ্র পশ্চাৎ না ভেবেই কথা বলি। মাঝেমধ্যে মনে হয় আমরা কি সবাই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি। কেউ কেউ জোরেশোরে বলে যাচ্ছেন, ৫৬ শতাংশ কোটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা খুব জোর দিয়ে ৫৬ শতাংশ ৫৬ শতাংশ বলতে থাকেন কেন জানি মনে হয় এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ আছে। এমন একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় যে, ৫৬ শতাংশ কোটা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই গুণীজন কি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত সরকারি চাকরি নিয়োগে কত শতাংশ মেধা ও আর কত শতাংশ কোটা ছিল। আমরা কি সবাই জানি, এই ৫৬ শতাংশ কোটা ১৯৮৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে। তার আগে জিয়া সরকার ছিল, তারপর খালেদা জিয়া সরকার অন্তত দুবার ক্ষমতায় ছিল। কোনো সময়ে কেউ কোটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। আমি ব্যক্তিগতভাবে গত দেড় মাস থেকে দুই মাসের মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত দেড় হাজারের মতো নিবন্ধ পাঠ করেছি। জানার আগ্রহ থেকে পাঠ করেছি দেখি না কজন গুণী ব্যক্তি কোটা সংস্কার নিয়ে কথা বলেছেন। সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। উল্লেখ করা যায়, ওই প্রবন্ধগুলোর প্রদানকাল ১৯৯০ এর জানুয়ারি মাস থেকে ১৯৯০ সালের জুন মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত। অবাক করার মতো বিষয়, তখন কোটার কারণে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তা কেউই লেখেন না। গত দুই সপ্তাহব্যাপী রাজপথের আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক নতুন নতুন তথ্য-উপাত্ত প্রদান হতে দেখেছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র নাকি কোটা বিরুদ্ধে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথচ তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কোটা ক্যাটাগরিতে। তার ভর্তি পরীক্ষা ফলাফলের তালিকাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে। আচ্ছা ভালো কথা, সাবেক আমলাদের মধ্যে যারা চলমান আন্দোলনকে সমর্থন করছেন, তাদের যতজন কোটা প্রথার সুযোগ নিয়ে সরকারি চাকরিতে সুযোগ পেয়েছিলেন জেলা কোটার সুবিধার কারণে অনেকে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন, তারা তো অনেক আগেই অবসর গিয়েছেন। তাদের সন্তানরা এখন কোন অবস্থানে আছেন? সুকুমার রায় লিখেছিলেন, ‘মাথায় কত প্রশ্ন আছে দিচ্ছে না কেউ জবাব, তার সবাই বলে মিথ্যে বাজে বকিস নে আর খবরদার।’
দুই. আচ্ছা আমরা একটু হিসাব করে দেখি, গত পাঁচ বছরে নারীরা সরকারি চাকরিতে যোগদানের সুযোগ বেড়েছে না কমেছে। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৩২ জন। আবেদন করার ক্ষেত্রে কোনো কোটা নেই। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ জন। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যও কোনো কোটা নেই। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করেছে মাত্র ১৫ হাজার ২২৯ জন। মনে রাখবেন, এখানেও কোনো কোটা নেই। এই ১৫ হাজার ২২৯ জনের সবাই লিখিত পরীক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, লিখিত পরীক্ষায় সবাই অংশগ্রহণ করতে আসেন না। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন মোট ১৩ হাজার ৬৭১ জন। দয়া করে মনে রাখবেন, এখানেও কোনো কোটা নেই। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন মাত্র ৯ হাজার ৮৪০ জন।
এখন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই ৯ হাজার ৮৪০ জন থেকে (যদিও সবাই অংশগ্রহণ করেন না) মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পাবেন মাত্র ২ হাজার ১৬৩ জন। এবং ঠিক এখানেই কোটা হিসাব করা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৯ হাজারে ঠাঁই করে নেওয়া এই তালিকার কাকে কাকে আপনি মেধাহীন বলবেন? নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বাঙালি, মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ পরিবার নির্বিশেষে এরা প্রত্যেকেই মেধাবী এবং চাকরি পাওয়ার যোগ্য নয় কি? আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই ৯ হাজার ৮৪০ জনের একজনও কম মেধাবী বা অযোগ্য নয়। সে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হোক বা না হোক, নারী হোক বা না হোক, প্রতিবন্ধী হোক বা না হোক, আদিবাসী হোক বা না হোক। সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি চালুর ইতিহাসটি অবশ্য বেশ পুরোনো। স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণির চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা চলে আসছিল। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হতো। বাকি ৮০ শতাংশ পদে কোটায় নিয়োগ হতো। ১৯৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করা হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, জেলাভিত্তিক কোটা ১০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’র জন্য ৫ শতাংশ কোটা ছিল। পরে ১ শতাংশ কোটা প্রতিবন্ধীদের জন্যও নির্ধারণ করা হয়। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে প্রবল আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালে। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের অক্টোবরে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তিন. ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন। ২০২৪ সালের ৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে আবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এখানে একটি বিষয়ে অগ্রগতি খুবই প্রণিধানযাগ্য। ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই ২০২৪) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন। আগের দিন গত ১০ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্রের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানান আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বাভাবিকভাবেই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট করে বলা যায়, আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে আন্দোলন অযৌক্তিক। বর্তমানে বাংলাদেশে ৯ম-১৩ম গ্রেডের চাকরির নিয়োগে কোটা ব্যবস্থা চালু নেই। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারির মাধ্যমে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। সংক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর রিট ও পাল্টা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ বিষয়ে স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। ফলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের কোটা বাতিদের পরিপত্রই এখনো বহাল আছে, যা এরই মধ্যে বাতিল অবস্থায় আছে, তা বাতিলের আন্দোলন করা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি এ নিয়ে যেহেতু আদালতে বিচার চলমান, তাই বিচারাধীন বিষয়ে আন্দোলন করা আদালত অবমাননারও শামিল।
আমাদের পবিত্র সংবিধানের ২০ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষণ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বাস্তবের বাস্তবতা হচ্ছে, ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পর নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও অনগ্রসর জেলার মানুষ বিসিএসের চাকরিতে পিছিয়ে পড়েছে। গত ৫টি বিসিএসে নারীরা কোটা থাকার সময়ের বিসিএস থেকে গড়ে ৩.৪৩ শতাংশ পিছিয়ে পড়েছেন। কোটামুক্ত কোনো কোনো বিসিএসে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজনও চাকরি পাননি। ৫০টি জেলায় নারী প্রার্থীর সংখ্যা কোটা থাকার সময়ের তুলনায় কমে গেছে। একটি বিসিএসে (৪০তম) ২৪টি জেলা থেকে একজনও পুলিশ ক্যাডারে চাকরি পায়নি।
কোটা থাকার সময়ে ৪৪ শতাংশ মেধা কোটা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ৬৬.২ শতাংশ মেধা থেকে নিয়োগ হয়েছে। কারণ কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকে শূন্য আসন পূরণ করার বিধান আগে থেকেই কার্যকর আছে।
চার. আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে রাজপথে আন্দোলন করা বিএনপি-জামায়াতের স্বভাব। খালেদা জিয়ার শাস্তি কিংবা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের মতো সিদ্ধান্তগুলো আদালতের মাধ্যমে এলেও বিএনপি তা আদালতে নিষ্পত্তি না করে রাজপথে সহিংসতা-সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোটা আন্দোলনেও বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে, পলাতক তারেক রহমান ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন, যা দেশের অর্থনীতি সংকটে ফেলছে। ঢাকায় বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেওয়ায় সাধারণ মানুষ তীব্র যানজটে পড়েছেন। শাহবাগে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছেন। কুমিল্লায় দৈনিক আমাদের সময়ের অনন মজুমদার ও চ্যানেল আইয়ের সৌরভ সিদ্দিকীর ওপর হামলা হয়েছে। ঢাকায় আন্দোলনকারীদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি থেকে সময় টিভির রিপোর্টার ত্বোহা খান তামিম এবং ক্যামেরাম্যান প্রিন্সের ওপর হামলা করা হয়েছে।
আমাদের কেন বুঝতে কষ্ট হচ্ছে—উচ্চ আদালত ৭ আগস্ট পর্যন্ত যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন, তখন যে রায় আসবে তা সবার জন্য অবশ্যই পালনীয়। তখন রায়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। কোটা বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। সুতরাং সব পক্ষকে এখন শান্তি বজায় রাখতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায়ের একাংশ প্রকাশ হয়েছে। পুরো রায় আসার পর, সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যে সিদ্ধান্ত হবে সংবিধানের আলোকে বৈষম্য নিরসন ও সব জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করে। আদালতের রায় এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করাই সভ্যতা। কবি জীবনানন্দ দাসের এক বিখ্যাত কবিতা ‘অদ্ভুত আঁধার’। সেই কবিতার কটি লাইন এমন—
‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ / যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা; / যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুণার আলোড়ন নেই / পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।’
বিশিষ্টজনের কেউ বলছেন, ‘সরকার চাইলে নির্বাহী আদেশে কোটা সংস্কার করতে পারেন। এসব কারণে বলতে বাধ্য হই, অতিজ্ঞানীদের সাধারণ জ্ঞান থাকে না। কেননা বিচারাধীন বিষয়ে নির্বাহী আদেশ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবার কেউ কেউ বলেন, রায় তো আগেও পরিবর্তন করা হয়েছে, এখন কেন হবে না? যুদ্ধাপরাধী মামলায় কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা পরিবর্তন করে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। ওই ক্ষেত্রে রায় পরিবর্তন করা হয়নি। আইন সংশোধন করা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে না। সে সময় আইন পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার বিধান রাখা হয়েছে, যা হোক কেউ যদি বুঝতে না চান, বোঝাবে কে?
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক