রীতা ভৌমিক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ এএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জনসংখ্যাকে উন্নয়নের কেন্দ্রে রাখতে হবে

জনসংখ্যাকে উন্নয়নের কেন্দ্রে রাখতে হবে

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান। আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। জনসংখ্যা নীতি পরিমার্জন, সংশোধন বা সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা, জনসংখ্যা ও প্রজনন হার, মাতৃমৃত্যু ইত্যাদি বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রীতা ভৌমিক

কালবেলা: এবারের জনসংখ্যা দিবসের আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’। এ প্রতিপাদ্য আমাদের দেশের জন্য কতটা যুক্তিসংগত বা উপযোগী?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: এটি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশের জন্যই প্রাসঙ্গিক ও যুক্তিযুক্ত। বিশ্বের দেশগুলো এখন ১৭টি টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক জনসংখ্যা উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলনের (আইসিপিডি) ৩০ বছর উদযাপন চলছে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অগ্রগতি পরিমাপে আমাদের উপাত্তের ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে প্রামাণ্যনির্ভর সমাধান, নির্ভরযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্তের ব্যবহার দরকার। তবে উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ উপকরণ যথেষ্ট উন্নত হলেও তাৎপর্যময় তথ্য ঘাটতি ও সম্ভাব্য ঝুঁকিও রয়েছে। আমরা যে অবস্থানেই থাকি না কেন, এমনকি জটিল পরিস্থিতিতেও উপাত্ত সংগ্রহে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্তের ব্যবহারে সহনশীল ব্যবস্থা নির্মাণের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধিময় ভবিষ্যৎ অর্জন করা সম্ভব।

কালবেলা: জনসংখ্যা নীতি আপডেট করার দরকার আছে কি না?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: বাংলাদেশ জনসংখ্যা নীতি ২০১২-এর রূপকল্প ও উদ্দেশ্য জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলন (আইসিপিডি) এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টর আলোকে পরিমার্জন ও সংস্কার করা প্রয়োজন। তা ছাড়া ২০১৫ সাল পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল, যা বর্তমানে অপ্রাসঙ্গিক। এ ছাড়া জনমিতিক লভ্যাংশ করার বিষয়টিও ওই নীতিতে অনুপস্থিত। নীতি বাস্তবায়নেও রয়েছে সমস্যা। ফলে জনমিতিক বৈচিত্র্যময়তার সব দিক বিবেচনায় এরকম জনসংখ্যা নীতিকে পরিমার্জন, সংশোধন বা সংযোজন করা দ্রুত প্রয়োজন।

কালবেলা: আমাদের দেশে জনসংখ্যার যে হার, প্রজনন হার ঠিক আছে কি না? নাকি এটা বাড়াতে-কমাতে হবে বলে আপনি মনে করেন?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: সরকারের বিভিন্ন উপাত্ত অনুযায়ী প্রজনন হারের ভিন্নতা রয়েছে। বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০২২ অনুযায়ী মোট প্রজনন হার ২.৩, যা ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্থিত অবস্থায় রয়েছে। তবে আমাদের প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রজনন হার ২.১-এ পৌঁছতে হবে এবং তা ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি বয়সভিত্তিক প্রজনন হার, যা বেশি রয়েছে বিশেষ করে ২০ থেকে ২৪ এবং ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সকে বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কালবেলা: পরিবার পরিকল্পনা গঠনে এর কর্মীরা ডোর টু ডোর গিয়ে সেবা দিতেন। এখন তারা সরাসরি সেবা দেন না। পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা ডিজিটাইল সেবা দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো পরামর্শ আছে কি না?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনায় বাংলাদেশের যুগান্তকারী সাফল্য ছিল, বিশেষ করে মোট প্রজনন হার হ্রাস এবং জন্মনিরোধক ব্যবহারের হার বৃদ্ধিতে। পরবর্তীকালে এক ধরনের স্থিতাবস্থা দেখা গেছে। জনসংখ্যা নীতি ২০১২-এর যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটিও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পরিবার পরিকল্পনার সেবা প্রদানকারীর সংখ্যায় ঘাটতি। রয়েছে অনেক শূন্য পদ। এখনো তা পূরণ হয়নি। অন্যদিকে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীকে কমিউনিটি ক্লিনিকেও সেবা দিতে হয়। বাড়ি বাড়ি সেবা প্রদানের বিষয়ও রয়েছে। সেই অনুপাতে জনবল নেই। সে ক্ষেত্রে সময়ের প্রেক্ষাপটে ও যুগের চাহিদায় তারা ডিজিটাল সেবা দিতেই পারেন। তা ছাড়া জরুরি মুহূর্তে (যেমন কভিড-১৯) ডিজিটাল সেবার গুরুত্বও রয়েছে। তবে জনসংখ্যার সব উপগোষ্ঠী ডিজিটালের সেবার আওতায় নেই। চর, হাওর, অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্গম এলাকায় সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত রাখা দরকার রয়েছে। সেবা প্রদানে সবার প্রবেশগম্যতা, গুণগত সেবা, অসমতা ও নগর পরিবার পরিকল্পনা, বহুমুখী অংশীজনের ভূমিকা এবং পরিবীক্ষণ, পর্যালোচনা ও গবেষণা করার দরকার রয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে বিবেচনায় নিয়ে প্রথমবারের মতো ২০২৩ থেকে ২০৩০ সময়কাল বিবেচনায় খসড়া জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কৌশল তৈরি করা হয়েছে, যেখানে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের পরামর্শক হিসেবে খসড়া তৈরির দায়িত্ব ছিল আমার, যা আমি ডিসেম্বর ২০২৩ সম্পন্ন করি। আমি মনে করি, চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে এ কৌশলটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত। ডিজিটাল সেবার বিষয়টিও এখানে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

কালবেলা : একসময় পরিবার পরিকল্পনায় বিদেশিরা সহযোগিতায় ছিল। সেই সহযোগিতা বন্ধ হওয়ায় অনেক কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। দেশ এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি নিচ্ছে। এ ছাড়া দাতাগোষ্ঠীর অগ্রাধিকার এলাকা ও কাজের পরিসরেও পরিবর্তন আসছে। বিদেশি সংস্থার সহায়তা হ্রাসের ফলে সরকারের নিজস্ব বিনিয়োগ ও তহবিল-অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নয় বরং জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবতে হবে। এনজিও ও স্থানীয়ভাবে বেসরকারি পর্যায়ে যারা কাজ করে তাদের একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে যৌথভাবে কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখতে হবে।

কালবেলা: বাংলাদেশে কাগজ-কলমে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস হয়েছে। বাস্তবে কতটা হয়েছে বলে মনে করেন?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: মাতৃমৃত্যু প্রতি এক লাখ জীবিত শিশুর বিপরীতে হিসাব করা হয়। ২০১৬ সালে সর্বশেষ মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপে এ হার ছিল ১৯৬। আগে এটি ছিল ১৯৪। এরপর আর কোনো মাতৃমৃত্যু জরিপ হয়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে মাতৃমৃত্যুর যে তথ্য পাওয়া যায়, বিশেষ করে স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসে ২০২২ সালে ছিল ১৫৩, এক বছর পর ২০২৩ সালে তা নেমে এসেছে ১৩৬; যেখানে গ্রামে ১৫৭ এবং শহরে ৫৬। তবে এটি পর্যাপ্ত নমুনা আকারকে যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করে না। ফলে সরকার ১৩৬কে বিবেচনায় নিয়ে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চাইলে তা সঠিক হবে না। আমাদের নিয়মিত মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ অব্যাহত রাখতে হবে অথবা স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসে নমুনা আকার বাড়াতে হবে যথাযথ প্রাক্কলনে।

কালবেলা: ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে যদি কিছু বলেন?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: টেকসই উন্নয়নের ১৭টি অভীষ্টের সঙ্গে জনসংখ্যা কোনো না কোনোভাবে জড়িত। জনসংখ্যার সমগ্র উপাত্ত, বিভাজিত উপাত্তের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠী, উপগোষ্ঠীকে ভাগ করা যায়। এখানে যুব, কিশোর-কিশোরী, বয়স্ক গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, স্থানান্তরিত-সবাই অন্তর্ভুক্ত। নগর আর গ্রামের জনমিতিতে পার্থক্য রয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে, গ্রাম থেকে শহরে মানুষ স্থানান্তরিত হচ্ছে। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে ১০ লাখের অধিক মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। উন্নয়ন অভীষ্টে বলা হয়েছে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে টেকসই উন্নয়ন করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে জনমিতিক পরিবর্তনকে টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সংযুক্ত করে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিয়ে মানুষের গুণগত জীবন নিশ্চিত করতে হবে।

কালবেলা: জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের জন্য ব্যবহারিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যদি কিছু বলেন?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: জনসংখ্যাগত পরিবর্তনে তিনটি জনমিতিক প্রক্রিয়া কাজ করে। এক. জন্ম, দুই. মৃত্যু এবং তিন. স্থানান্তর। এই তিন কারণে একটি দেশের জনসংখ্যার আকার বাড়া বা কমা নির্ভর করে। ব্যবহারিকভাবে দেখলে এক দেশ বা জায়গা থেকে জনসংখ্যা স্থানান্তর করে অন্য জায়গায় চলে গেলে সেখানে জনসংখ্যার আকার কমবে। যেমন বরিশালের জনসংখ্যা অন্যত্র স্থানান্তর বেশি করে। ফলে সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যের কাছাকাছি। ফলে জনসংখ্যার পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে নীতি-কৌশল প্রণয়ন করাই হচ্ছে প্রায়োগিক দিক।

কালবেলা: বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জনসংখ্যার একটা ভূমিকা রয়েছে? এ নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: জনসংখ্যাকে সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে পারলে, কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারলে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা নেওয়া যাবে। মাত্র ছয় বছরে এতগুলো লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা বড় চ্যালেঞ্জ। এরপরও চেষ্টা করে যেতে হবে। আমাদের যে জনসংখ্যা রয়েছে, তার গুণগত জনসংখ্যায় রূপান্তর করতে হবে।

কালবেলা: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরী ও যুবদের বিকাশে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করেন?

ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম: ১৯৯৪ সালে কায়রোতে অনুষ্ঠিত জনসংখ্যা সম্মেলন-পরবর্তী থেকে ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ’ শব্দটি আর আমাদের জন্য যথার্থ নয়, যদিও আমাদের জনসংখ্যা নীতিতে ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ’ শব্দটি এখনো রয়েছে। প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারের কথা বলি। কিশোর-কিশোরী কিংবা যারা যুব রয়েছে, তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বাল্যবিয়ে, কিশোরী মাতৃত্ব, পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা পূরণ, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিরসনের মতো চ্যালেঞ্জ এবং যুব জনগোষ্ঠীর চাহিদাভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ ও বিনিয়োগ করতে হবে। উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে জনসংখ্যাকে রেখে পরিকল্পনা এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবি-জাবিতে দুই খুন, যা বললেন ফারুকী 

নাটোরে শিশু হত্যা মামলায় ৩ জনের ৪৪ বছর কারাদণ্ড

ইরাকে তুর্কি বিমান হামলা, ২৪ স্থাপনা ধ্বংস

দ্বিতীয় সেশনেও টাইগারদের দাপট

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষায় ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবি ঐক্য পরিষদের

ভিসার মেয়াদ শেষ আজ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে

লক্ষ্মীপুরে পিটিআই প্রশিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

সালমানকে নিয়ে যা বললেন শাবনূর

ট্রাম্পের তথ্য হ্যাক করে বাইডেনকে দিয়েছে ইরান!

শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয় বাংলাদেশের

১০

নামাজ পড়ে বাসায় যাওয়া হলো না পুলিশ সদস্য জহিরুলের

১১

বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের কানাডার দুঃসংবাদ

১২

পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাবি প্রশাসনের মামলা

১৩

জবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াস উদ্দিন

১৪

ঢাবিতে মব জাস্টিসের প্রতিবাদে ‘ব্রিং ব্যাক জাস্টিস’ কর্মসূচি

১৫

ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় মিলল

১৬

আ.লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডল ৭ দিনের রিমান্ডে

১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫

১৮

ঢাবি ও জাবিতে ‘পিটিয়ে হত্যা’ দুঃখজনক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত দাবি ঐক্য পরিষদের

২০
X