লেখার সঙ্গে সংযুক্ত ছবিটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে ছোট দুই মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। এই দুজন হচ্ছেন টিউলিপ সিদ্দিক ও তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক (রূপন্তী)। ২৭ বছর আগের ছবিটি দেখে বোঝা যায়, টিউলিপ সিদ্দিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জন্মসূত্রে। রাজনীতি হঠাৎ করে চাপিয়ে দেওয়া নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশে এসেছিলেন একবারই। ১৯৯৭ সালের মার্চে তিনি ঢাকায় আসেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। ওই অনুষ্ঠানে ম্যান্ডেলা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরেল। ১৯৯৭ সালের ২৫ থেকে ২৭ মার্চ, তিন দিনের এ সফরটিই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিকামী মানুষের নেতার প্রথম ও শেষ ঢাকা সফর। ওই সফরে আসার আগে শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না ম্যান্ডেলার। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি ঢাকায় আসতে দ্বিধা করেননি। স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের আত্মত্যাগে শ্রদ্ধা জানাতে ম্যান্ডেলার জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো উপলক্ষ ছিল না। যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েন টিউলিপ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীর চেয়ে টিউলিপ প্রায় দ্বিগুণ ভোটে জিতেছেন। টিউলিপ পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে গ্রিন পার্টির লরনা রাসেল। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট। টিউলিপের মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। টিউলিপ প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে তার কন্যা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর পত্র যোগাযোগ ও রাজনীতির পরিবেশে বেড়ে ওঠার ইতিহাস আমরা পাঠ করেছি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাজনীতির ইতিহাস আমরা জানি। ঠাকুরদা দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বাবা সাবেক বিদেশমন্ত্রী। তাহলে কি রাজনীতির সাতসতেরো উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছিলেন শিনজো আবে? জাপানের অন্দরমহলে কান পাতলে হয়তো এমন শোনা যাবে। তবে উত্তরাধিকার সবকিছু তাকে থালায় সাজিয়ে দেয়নি। ২০০৬-২০০৭ সাল। তারপর ২০১২ থেকে ২০২০। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের ইতিহাসে দীর্ঘতম (longest serving) সময় প্রধানমন্ত্রী (prime minister) পদে থাকার ‘সুবাদে’ কঠিন থেকে কঠিনতর চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছিল নোবুসুকে কিশির নাতিকে। একদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি, অন্যদিকে সে দেশের সংবিধানের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন ঘিরে তুমুল বিতর্ক। সঙ্গে একের পর এক রাজনৈতিক দোলাচল। সবমিলিয়ে টালমাটাল হয়েছিল শিনজোর কেরিয়ার। কিন্তু থামেননি তিনি। পিছিয়েও যাননি। বিশেষত জাপানের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে তার ভাবনা-চিন্তা ‘আবেনমিক্স’ নামে জনপ্রিয়তা পায়। একই সঙ্গে জাপানের বৈদেশিক নীতি মসৃণ করতেও দুরন্ত ভূমিকা ছিল তার। এই ইতিহাস একটুখানি তুলে ধরলাম পারিবারিক রাজনীতির ধারাবাহিকতা বোঝানোর জন্য। ১৯২৮ সালে জহরলাল নেহরু যখন জাতীয় রাজনীতিতে ব্যস্ত, অধিকাংশ সময় তিনি এলাহাবাদে থাকতেন, তখন তার একমাত্র কন্যা ১০ বছরের ইন্দিরা তার নিঃসঙ্গ শৈশব কাটাচ্ছিল। চিঠির মাধ্যমে মেয়েকে কিছুটা সাহচর্য ও সঙ্গ দেওয়ার জন্য পাশাপাশি জীবজগৎ ও মানুষ সম্পর্কে নিজের উপলব্ধিকে মেয়ের কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি প্রথম পর্যায়ে বেশকিছু চিঠি লেখেন। প্রসঙ্গত, জওহরলাল নেহরুর কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিঠিগুলোর বৈশিষ্ট্য দেখে নেহরুকে চিঠিগুলো বৃহত্তর পাঠকের সামনে তুলে ধরার পরামর্শ দেন। ১৯২৯ সালে প্রায় ৩১টি চিঠি সংকলিত করে ১১৯ পৃষ্ঠার একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন ‘Letters from a father to his daughter’ শিরোনামে। আমরা সবাই জানি, টিউলিপের মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। টিউলিপ প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। শেখ রেহানা আরেক স্মৃতিচারণে বলেছিলেন, ‘লন্ডনে আসার পর চাকরির জন্য যখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি, তখন কত পরিচিতজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, সবাই এড়িয়ে যেতে চায়। চাকরি নিলাম একটি লাইব্রেরি ও পাবলিশার্স কোম্পানিতে। এরপর তো অনেক পথ পাড়ি দিলাম। আমাদের বাসায় রাত-দিন আসা-যাওয়া করত এমন ব্যক্তিও রাস্তায় দেখা হলে চোখ ফিরিয়ে নিতেন। অবশ্য কেউ কেউ সাহায্যও করেছেন। এর মধ্যে একজন শিপিং করপোরেশনের বড় অফিসার এ জেড আহমেদ আমাকে খুবই সাহায্য করেছেন। আব্বার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রুহুল কুদ্দুস ও মঈনুল ইসলামও আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন নিয়মিত। আমার বিয়ের উকিল ছিলেন মঈনুল ইসলাম। ড. শহীদুল্লাহর নাতি মনসুরুল হক, তাকে আমরা হীরা মামা বলে ডাকি, তিনিও আমার জন্য অনেক করেছেন।’
সাদাসিধে ছোট একটি আড়ম্বরহীন ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন তিনি। ছিমছাম জীবন ও সাধারণভাবে চলাফেরা করেন তিনি। ড. শফিক সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন ছেলেমেয়ে। ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক এবং ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
দুই. টিউলিপ সিদ্দিকের নামের কারণে খালেদা জিয়ার জামায়াত-বিএনপি সরকার কী কাণ্ডই না করেছে। ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক চলছিল। খালেদা জিয়া সাধারণত মন্ত্রিসভার বৈঠকে কথাবার্তা বলতেন না। চুপচাপ বসে থাকতেন। এই ক্যাবিনেটে এসেছিল শিক্ষকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রস্তাব। নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক অনুদানে বাংলাদেশে ৭ হাজার ৭০০ শিক্ষককে আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য নেদারল্যান্ডসের টিউলিপ কম্পিউটার বাংলাদেশে ১১ হাজার কম্পিউটার এবং প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে। এই প্রকল্পে ব্যয় ১০ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে ডাচ সরকার। এই চুক্তিটি হয়েছিল শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন। বাংলাদেশ- নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০০০ সালে, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডাচ সরকার টিউলিপ কম্পিউটারকে কম্পিউটার সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের কাজ দেয়। সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে প্রতিষ্ঠান। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় এটা মন্ত্রিসভায় এসেছে পুনঃঅনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতার জন্য। সরকার পরিবর্তন হলেও এ ধরনের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অটুট থাকে। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘টিউলিপ কম্পিউটার্স’ নাম শোনা মাত্র খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন। তিনি বললেন, এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। বিএনপি সরকারের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা সচিব বলেছিলেন, ‘নেদারল্যান্ডস ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিশালী সদস্য। বছরে দেশটি বাংলাদেশকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়।’ প্রধানমন্ত্রী রেগে গিয়ে বললেন, ‘এই চুক্তি বাতিল করতেই হবে।’ এ কথা বলেই তিনি ক্যাবিনেট মিটিং থেকে উঠে গেলেন। খালেদা জিয়া বললেন, “টিউলিপ’ শেখ রেহানার মেয়ের নাম। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কেন কম্পিউটার কিনতে হবে?” ‘টিউলিপ নেদারল্যান্ডসের একটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান। এর জন্ম ১৯৭৯ সালে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেখ রেহানা বা তার পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা। খালেদা জিয়া বললেন, ‘এই চুক্তি বাতিল করতে হবে।’ খালেদা জিয়াকে এ-ও জানানো হয়েছিল, এই চুক্তি বাতিল করলে বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু খালেদা জিয়া বলেছিলেন, টিউলিপ নামে কোনো কিছু বাংলাদেশে হবে না। নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত বিস্ময়ে হতবাক, বাংলাদেশে ১১ হাজার কম্পিউটার আসবে, প্রায় ৮ হাজার শিক্ষক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পাবেন, আর তারা শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শেখাবেন। এ রকম একটি চুক্তি কেন সরকার বাতিল করবে? যাই হোক, শেষ পর্যন্ত সরকার চুক্তি বাতিল করল। টিউলিপ লিমিটেড বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চাইল। কিন্তু আবার বেঁকে বসলেন খালেদা জিয়া। তিনি বললেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে না। খালেদা জিয়া অনঢ়। টিউলিপ লিমিটেড মামলা করেছিল। আদালত বাংলাদেশ সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। কোর্টের আদেশও মানলেন না খালেদা জিয়া। এরপর আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা বন্ধের আদেশ দিলেন। বন্ধ হয়ে গেল বাংলাদেশে ডাচ অনুদান ও সহায়তা। বাংলাদেশের শিশু ও নারীরা ৫৬৭ কোটি টাকার সাহায্য থেকে বঞ্চিত হলো। খালেদা জিয়া শুধু চুক্তি বাতিলই করেননি, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে খবর নিয়েছিলেন যে, টিউলিপের মালিকানা কার? গোয়েন্দা সংস্থা যখন জানায়, এই টিউলিপের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপের কোনো সম্পর্ক নেই, ততক্ষণে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস সরকার তার সব সহায়তা বন্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রীর দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল খুবই উচ্চশিক্ষিত। অনেক কষ্টে লেখাপড়া করতে হয়েছে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আজ একজন বিশ্বখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই তিনি অটিস্টিক শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। কেউ ভাববেন না প্রধানমন্ত্রীর কন্যা হিসেবে তিনি এই সুযোগ পেয়েছেন। একজন স্বীকৃত মনোবিজ্ঞানী এবং অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবেই তার এ অর্জন। স্কুল মনস্তত্ত্বেও রয়েছে তার ডিগ্রি। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্ব সংস্থা তাকে ‘হু অ্যাক্সিলেন্স’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
শেখ রেহানা খুব ভালো করেই জানেন ক্ষমতার চেয়ার অনেক সময় অনেক মানুষকে বদলে দেয়। সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন তিনি। তাই তার তিন সন্তানকে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ায় যোগ্য করেই গড়ে তুলেছেন। তারই সুযোগ্য পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। বিশ্বখ্যাত লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে স্নাতক রাদওয়ান মুজিব একই প্রতিষ্ঠান থেকে কমপ্যারেটিভ পলিটিক্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন। স্নাতক পর্যায়ে তার অধ্যয়নের প্রধানতম বিষয়গুলো ছিল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড হিস্টোরি, পলিটিক্যাল থিওরিজ, ইন্টারন্যাশনাল হিস্টোরি। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তার অন্যতম পাঠ ছিল কমপ্যারেটিভ পলিটিক্স, কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেগুলেশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি। অন্য রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সন্তানরা কে কতটুকু শিক্ষিত, তা দেশের মানুষ জানেন।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক