মারি কুরি বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী। তিনিই প্রথম নারী বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের দুটি ভিন্ন শাখায় দুবার নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মারি কুরি ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর পোল্যান্ডের ওয়ারশতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্যারিসে বৈজ্ঞানিক কাজকর্ম পরিচালিত করেন। ১৯০৩ সালে তার স্বামী পিয়েরে কুরি এবং পদার্থবিদ হেনরি বেকেরেলের সঙ্গে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান। তিনি এককভাবে ১৯১১ সালে রসায়নেও নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান তেজস্ক্রিয়তার ওপর কাজ করে। আর রসায়নে নোবেল পান পিচব্লেন্ড থেকে রেডিয়াম পৃথক করার জন্য।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হাসপাতালগুলোতে এক্স-রের সরঞ্জামের ঘাটতি ছিল। যুদ্ধাহত রোগীদের সঠিকভাবে এক্স-রে করানোর অর্থ জোগাতে মারি কুরি তহবিল সংগ্রহে নামেন। এ সময় অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি ২২০টি রেডিওলোজি স্টেশন গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ২০০টি বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী ছিল এবং ২০টি ছিল ভ্রাম্যমাণ। এগুলো তিনি বিভিন্ন ধনী নারীর কাছ থেকে গাড়ি ধার নিয়ে তৈরি করেন। নিজেও বিভিন্ন স্টেশনে এক্স-রে করতে সাহায্য করতেন এবং যুদ্ধের সময় তার গড়া এ রঞ্জনবিদ্যা ইনস্টিটিউটগুলোয় প্রায় ১০ লাখ যুদ্ধাহতের এক্স-রে করা হয়। ফ্রান্সের নাগরিক হিসেবে থাকা অবস্থায়ও মারি কুরি কখনোই তার পোলিশ পরিচয় ভুলে যাননি। তিনি নিজে প্রথম যে মৌলটি আবিষ্কার করেন, তার জন্মভূমির নামানুসারে ওই মৌলের নাম দেন পোলনিয়াম। ১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই বিখ্যাত এ বিজ্ঞানী মারা যান।