আবু মুহাম্মাদ মুকাম্মেল
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:০০ এএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নাথান কমিটির ঐতিহাসিক প্রস্তাবনা

নাথান কমিটির ঐতিহাসিক প্রস্তাবনা

১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। শতাধিক বছরের প্রাচীন এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মূল কারিগর ছিল নাথান কমিটি। এ কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করে। ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তা সরকারি ইশতেহারে প্রকাশিত হয়। ৪ এপ্রিল ভারত সরকারের শিক্ষা বিভাগ জানায় যে, গভর্নর জেনারেল ঢাকায় টিচিং ও রেসিডেনশিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৭ মে বাংলা সরকার এক পত্রে আর. নাথান, ব্যারিস্টার অ্যাট-ল’কে প্রেসিডেন্ট করে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠন করে, যা পরবর্তীকালে নাথান কমিটি নামে পরিচিতি লাভ করে। আর. নাথান ১৮৮৮ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে ১৯০৭ সালে ঢাকার পুলিশ কমিশনার হন।

নাথান কমিটির কার্যক্রম শুরু:

নাথান কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন বেঙ্গল পাবলিক ইন্সট্রাকশনের পরিচালক জি. ডব্লিউ কুচলার, কলকাতা হাইকোর্টের উকিল ড. রাসবিহারী ঘোষ, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, কলকাতা হাইকোর্টের উকিল নবাব সিরাজ-উল-ইসলাম, ঢাকার জমিদার বাবু আনন্দ চন্দ্র রায়, আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজের ট্রাস্টি মোহাম্মদ আলী, প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রিন্সিপাল এইচ আর জেমস, ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল ডব্লিউ এ জে আর্চজবোল্ড, সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল সতীশ চন্দ্র আচার্যি বিদ্যাভূষণ, কুচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রিন্সিপাল ড. ব্রজেন্দ্র নাথ শীল, জগন্নাথ কলেজের প্রিন্সিপাল বাবু ললিত মোহন চ্যাটার্জি, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি ডব্লিউ পিক এবং ঢাকা মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট শামস উল-উলামা আবু নসর মুহাম্মদ ওয়াহেদ।

নাথান কমিটি পুরাতন ফেডারেল পদ্ধতির পরিবর্তে টিচিং ও আবাসিক পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে ১৯১২ সালের ২০ জুন প্রথম কলকাতায় মিলিত হয়। পরবর্তী সময়ে কমিটির ১৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গঠিত ২৪টি উপকমিটির কাছে তা পুনঃপরীক্ষা ও পূর্ণাঙ্গতার জন্য প্রেরণ করা হয়। উপকমিটি উপস্থাপিত প্রায় সব পরামর্শ প্রতিবেদনে গ্রহণ করা হয়। ৯ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যবিবরণীগুলো নিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন ও নভেম্বরের শেষে চূড়ান্ত বৈঠক হয়। কমিটি স্থাপত্য, প্রকৌশল, স্বাস্থ্যরক্ষা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাদি নিয়ে অভিজ্ঞদের সঙ্গেও পরামর্শ করে। নানাবিধ জটিল প্রশ্নে কমিটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখার্জির পরামর্শ গ্রহণ করে।

কমিটির প্রস্তাবনাসমূহ:

১৯১২ সালের ১০ ডিসেম্বর কমিশন তাদের প্রতিবেদন বাংলা সরকারের কাছে জমা দেয়। প্রতিবেদনে ২৬টি অধ্যায় স্থান পায়। ১৫৬ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা পদ্ধতির অগ্রগতি, কমিটির নিয়োগ ও তার কার্যবিবরণী, প্রস্তাবিত বিভাগসমূহ, কলেজ ও শিক্ষার্থী, কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তি যোগ্যতা, কোর্স বিবরণী, শিক্ষা ও নির্দেশনা ধারা, পরীক্ষা, শিক্ষক তথা স্টাফ নিয়োগ, জায়গা ও যন্ত্রপাতি, ছাত্র বেতন ও বৃত্তি, আবাসিক পদ্ধতি, শৃঙ্খলা, শারীরিক শিক্ষা, সামাজিক জীবন, বিভিন্ন কলেজ ও তার বিভাগসমূহ, প্রশাসন, ভবনসমূহ এবং স্কিমের ব্যয় নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করা হয়।

মূল প্রতিবেদন শেষে কমিটির কয়েকজন সদস্যের পৃথক পাঁচটি সম্পূরক কার্যবিবরণী সংযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া পরিশিষ্টে ১৩টি বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রতিবেদন শেষে ইলাস্ট্রেশন হিসেবে বিষয়ভিত্তিক ৩৫টি চিত্র, নকশা বা নির্দশন সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে তৎকালীন গভর্নর অব বেঙ্গলের কনসালটিং আর্কিটেক্ট Henry A. Crouch F.R.IBA প্রণীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনার একটি মহামূল্যবান নকশা স্থান পেয়েছে।

জমাকৃত প্রতিবেদনে কমিটি ঢাকায় সাতটি বিভাগ খোলার প্রস্তাবনা রাখে। সেগুলো হচ্ছে—কলা, বিজ্ঞান, ইসলামিক স্টাডিজ, আইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল ও টিচিং। ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজসহ আটটি কলেজ ও তিনটি বিশেষ বিভাগের অধীনে ২ হাজার ৮৯০ শিক্ষার্থীকে পাঠদানের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্কিম জমা দেওয়া হয়। তিনটি সাধারণ কলেজ ও মোহামেডান কলেজের পাশাপাশি কলেজ ফর উইমেনস এবং কলেজ ফর ওয়েল-টু-ডু ক্লাস প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব রাখা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন প্রতিটি কলেজের নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকবে। কলেজগুলোর মধ্যে সুস্থ আন্তঃযোগাযোগ গড়ে উঠবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে। কলকাতা ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে পরিগণিত হবে। উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। মোট ১২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রতিবেদনে ঢাকা কলেজ, নিউ কলেজ, জগন্নাথ কলেজ ও মোহামেডান কলেজের প্রায় দুই হাজার জন ছাত্রের জন্য দেড় হাজার আবাসনের সুপারিশ করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের আবাসন ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করবে। আবাসন ফি নেওয়া হবে না, তবে অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য মাসিক ২-৮ রুপি হারে ফি প্রদান করতে হবে।

ছাত্র-শিক্ষক আন্তঃসম্পর্ক নিবিড় করার জন্য শিক্ষকদের বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বসবাস করবেন। প্রতিটি ছাত্র শারীরিক শিক্ষা গ্রহণ করবে। অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজের আদলে ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইউনিয়নের সঙ্গে একটি ডিবেটিং সোসাইটি গঠন করা হবে। অ্যামেচার ড্রামাটিক ক্লাবের উদ্যোগে নাট্য বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য বছরে ৬০০ রুপি অনুদান বরাদ্দ দেবে। উঁচু শরিফ (অভিজাত) ও জমিদারদের সন্তানকে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার অধীনে আনার লক্ষ্যে ‘কলেজ ফর দ্য ওয়েল-টু-ডু ক্লাসেস’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মেডিকেলের ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘প্রথম এমবি’ করবে। বাকি অংশ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে সম্পন্ন করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইন শিক্ষা দেওয়া হবে, তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।

চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, কনভোকেশন ও কাউন্সিলের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ করা থাকবে। বাংলার গভর্নর হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। চ্যান্সেলর কনভোকেশনের জন্য কিছু লোক মনোনয়ন দেবেন, বাকিরা নির্বাচন করে সদস্য হবেন। তিনি কলেজ গভর্নিং বডির বহিস্থ সদস্যদেরও নিয়োগ দেবেন। চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর এবং সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসরকে নিয়োগ দেবেন। চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের দ্বারা নির্বাচিত ২৫ জন সদস্য, মুসলিম গ্র্যাজুয়েট দ্বারা নির্বাচিত ৫ জন মুসলিম সদস্য, চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত বাংলা ও আসাম প্রদেশের ১০ জন মুসলিম গ্র্যাজুয়েট এবং চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত ২১ জন ব্যক্তিসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে ১৪০ জনের কনভোকেশন গঠিত হবে।

ভাইস চ্যান্সেলর, ঢাকা বিভাগের কমিশনার, অধিভুক্ত কলেজসমূহের প্রিন্সিপাল, চ্যান্সেলর নিয়োগপ্রাপ্ত ৬ জন অধ্যাপক এবং কনভোকেশনে নির্বাচিত ৬ জন নিয়ে কাউন্সিল গঠিত হবে। ভাইস চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হবেন। তিনি উঁচু মর্যাদার একজন শিক্ষা অফিসার হবেন

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনে প্রতিবেদন জমা:

১৯১৩ সালে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলেও বিশ্বযুদ্ধ, আর্থিক সমস্যা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ইত্যাদি কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প কাজের গতি হারায়। তবে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীসহ কতিপয় নেতার লাগাতার প্রচেষ্টায় ব্রিটিশ সরকার আইন পরিষদে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ঘোষণা করে।

এরই ধারাবাহিকতায় সরকার ১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির রিপোর্টটি বিবেচনার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের হাতে অর্পণ করা হয়। কমিশন বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন, নথি পর্যবেক্ষণ, মৌখিক ও লিখিত প্রমাণাদি সংগ্রহ এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। কমিশন ১৭ মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাঁচটি বৃহৎ ও আটটি সংযুক্তিসহ ১৩ খণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেয়।

কমিশন নাথান কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার, লিডস ও লিভারপুলের মতো আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে একক, টিচিং ও আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে। কমিশন প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ভারত সরকারের দ্বারা না দেওয়া হতো, তবুও বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচির সুপারিশে ওই শহরে জরুরি ভিত্তিতে অথবা শিগগিরই একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ সামনে চলে আসত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন নাথান কমিটির কিছু প্রস্তাবনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তাদের নতুন প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারিকরণের প্রস্তাবনার সঙ্গে একমত না হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করে। তারা সুপারিশ করে যে, ইন্টারমিডিয়েট ক্লাস বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, স্কুলের অংশ হওয়া উচিত এবং তাদের শিক্ষা ইন্টারমিডিয়েট নামের বিশেষ কলেজে প্রদান করা দরকার।

কমিশন আরও সুপারিশ করে যে, সেকেন্ডারি ও ইন্টারমিডিয়েট বোর্ড দিয়ে ম্যাট্রিকুলেশন ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা আয়োজন করা উচিত। কমিশন ইন্টারমিডিয়েটের ওপরের শ্রেণির শিক্ষা সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর স্থানান্তরের সুপারিশ করে মতামত দেয় যে, টিচিং ইউনিট কলেজ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগসমূহ হবে।

১৯১৯ সালের ১৮ মার্চ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল ভারতীয় আইন সভায় উত্থাপিত হয়, ১৯২০ সালের ১৮ মার্চ অ্যাক্টে পরিণত হয় এবং ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেলের অনুমোদন লাভ করে।

অবশেষে ১৯২১ সালের ১ জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ভারতে নতুন ধরনের আবাসিক ও টিচিং পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের কাছে মাত্র সাত মাসেরও কম সময়ে নাথান কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া ছিল বিস্ময়কর ঘটনা। কিন্তু আরও বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আলোর মুখ দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রায় সাড়ে আট বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।

লেখক: সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ইমেইল: [email protected]

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নায্য পেনাল্টি দেওয়া হয়নি ব্রাজিলকে, কনমেবলের ভুল স্বীকার

সিনিয়র ক্রিকেটারদের কারণেই পাকিস্তানে পরিবর্তন সম্ভব নয়!

কোয়ার্টার ফাইনালেই ক্রুসকে অবসরে পাঠাতে চায় স্পেন

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা মিথ্যা : বরকত উল্লাহ বুলু

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা

অপুকে ছাগলের বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করলেন বুবলী

উইম্বলডন ২০২৪ / দ্বিতীয় রাউন্ডে জোকোভিচ, ভন্দ্রোসোভার বিদায়

আওয়ামী লীগ নয়, জিয়া, খালেদা, এরশাদ দেশ বিক্রি করেছেন : প্রধানমন্ত্রী

ফল উৎসব আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ : আব্দুস সালাম 

সমুদ্রসম্পদ আহরণে সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

১০

এমপি আনার হত্যা, যেভাবে পালিয়ে যান ফয়সাল

১১

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দুই কোরিয়ার

১২

যমুনার গর্ভে বিলীন ৫ শতাধিক বাড়িঘর

১৩

প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে উন্নয়ন ইস্যু প্রাধান্য পাবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মুম্বাইয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রোহিতদের সংবর্ধনা

১৫

এমপি আনার হত্যা : এবার ফয়সালের দোষ স্বীকার

১৬

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

১৭

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার পরিকল্পনা নেই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

১৮

দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার : নিতাই রায়

১৯

সুনীল অর্থনীতিকে মূল অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে হবে : প্রতিমন্ত্রী

২০
X