হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:০০ এএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কাঙ্ক্ষিত সময়ে সফল এক সফর

ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। পুরোনো ছবি
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। পুরোনো ছবি

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে দ্রুত বর্ধনশীল বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে ভারত। এসএজিএআর (আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধি) মতবাদ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন ছাড়াও বাংলাদেশ ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ (প্রতিবেশী অগ্রাধিকার) এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ (পূর্বমুখী) নীতির একত্র বিন্দু।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নেও বাংলাদেশ অপরিহার্য। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ‘প্রধান প্রতিবেশী’, ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায়) এবং প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে মূল্যায়ন করে। এশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজারও ভারত।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই শেখ হাসিনার ভারত সফর বিস্ময়কর ছিল না। গত ১০ বছরের ব্যবধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ৪০ বছরের তুলনায় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও বেশি সুনির্দিষ্ট ফল অর্জন করেছেন। দুই প্রধানমন্ত্রীই সম্পর্কের এই সময়কে ‘সোনালি অধ্যায়’ বা সুবর্ণ যুগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে একটি সংক্ষিপ্ত সফর করেছেন।

সংক্ষিপ্ত সফর হলেও এটি ছিল পর্যাপ্ত তাৎপর্যপূর্ণ উপাদানে পূর্ণ; যেখানে দশক ধরে গড়ে ওঠা সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কূটনৈতিক পরিভাষায় এ সফরকে রাষ্ট্রীয় সফর বলা হয়, যেখানে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগদানের দু সপ্তাহ পর এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের সফরটি কেবল মোদির তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফরই নয়; বরং এটি জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর তার প্রথম কোনো বিদেশ সফরও। এটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। এটা মোটেও বাহুল্য নয়, বিগত এক দশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা, যোগাযোগ, জ্বালানি, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন—প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে।

দুই দেশের মধ্যকার ভাষা ও সংস্কৃতিগত ঐতিহাসিক মিল সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি আধুনিক শক্তিশালী অংশীদারত্ব বিকশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়া এবং এর বাইরেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য একটি মডেল হিসেবে গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক স্তরে টেকসই সংলাপ এ সম্পর্কে অবদান রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই উল্লেখ করেছেন, গত এক বছরে দুই নেতা ১০ বার সাক্ষাৎ করেছেন।

এবারের সফরে দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী ১০টি চুক্তি সই করেন। এর মাধ্যমে চলমান গতিশীল সম্পর্কের পরবর্তী অধ্যায়ের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। এটি দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে দিকনির্দেশনা ও প্রেরণা জোগায়। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, দুই দেশের রয়েছে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি। ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার ‘বিকশিত ভারত’ এবং বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে চায়। ‘ভবিষ্যতের জন্য ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি: সমৃদ্ধির জন্য যোগাযোগ, বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি’ পরিবেশ, স্থায়িত্ব ও নীল অর্থনীতির মতো ক্ষেত্রগুলোতে অংশীদারত্বের কথা বলা হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যায় ভুগছে। এ বিবেচনায় দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বে মনোযোগ দেওয়া কেবল সময়োপযোগী নয়; বরং অপরিহার্য। সুতরাং ইন্দো-প্যাসিফিক ওশেন ইনিশিয়েটিভের (আইপিওআই) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, তা ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে সহযোগিতা করতে উভয় দেশের পক্ষে সম্মত হওয়াও স্বাভাবিক বিষয় ছিল।

ভারত ও বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। উভয় দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এসব নদীর ওপর নির্ভরশীল। জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা উভয় দেশের কাছে অগ্রাধিকার পায়। আলোচনার সময় দুই প্রধানমন্ত্রী তথ্য বিনিময়ে অগ্রাধিকার এবং যৌথ নদী কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন পানিবণ্টনের কাঠামো প্রণয়নে সম্মত হন। ১৯৯৬ সালে গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি চুক্তি (ফারাক্কা বাঁধ) হয়। ২০২৬ সালে চুক্তিটির ৩০ বছর পূর্ণ হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির পুনর্নবীকরণের জন্য আলোচনা শুরু করতে দুই দেশ একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করেছে।

এ চুক্তি স্বাক্ষরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি কয়েক দশকের উত্তেজনা-দুশ্চিন্তা কমানো এবং ভারতের সুনাম তৈরিতে সহজ করবে। আরেকটি বিষয় হলো, দুই প্রধানমন্ত্রী ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্যও সম্মত হয়েছেন। এ সফরে নতুন একটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য দুই দেশ হাত মিলিয়েছে। তা হলো, মহাকাশ খাত। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সাহায্য করবে ভারত।

উভয় দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জ্বালানি ও ডিজিটাল খাতে সহযোগিতার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যৌথ ভিশন অনুযায়ী—ভারত, নেপাল ও ভুটানে ‘ক্লিন এনার্জি প্রকল্প’ থেকে উৎপন্ন আন্তঃআঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য অর্থাৎ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জ্বালানি সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ বিদ্যুৎ বাংলাদেশ হয়ে বিহার ও আসামের মধ্যে একটি নতুন ৭৬৫ কেভিওয়াট উচ্চক্ষমতার আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। এ লাইন তৈরিতে অর্থায়ন করবে ভারত। নতুন লাইনটি শুধু ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল থেকে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ প্রেরণের সংক্ষিপ্ততম রুট নয়; বরং সংকীর্ণ শিলিগুড়ি করিডোরে ট্রানজিট চাপও কমিয়ে দেবে। এ ছাড়া বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে দুই দেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।

এদিকে মোংলা ও মিরসরাইয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাথমিক কার্যক্রম, নতুন সীমান্ত-হাট খোলা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য সুবিধা, সড়ক, রেল, বিমান ও সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামোর উন্নতি, ‘আমাদের ভৌগোলিক নৈকট্যকে আমাদের জনগণের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তর করতে’ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আলোচনার অধীনে রয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার মূল ভিত্তি হলো আন্তঃসংযোগ। এটি বাণিজ্য এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্কের ওপর বহুগুণ প্রভাব ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালের আগে যেসব আন্তঃসীমান্ত সড়ক ও রেল সংযোগ চালু ছিল সেগুলো আবারও চালু করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিরামহীনভাবে যাত্রী ও পণ্য পরিষেবা চালু করতে আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি। এই সংযোগ বৃদ্ধিতে উপ-আঞ্চলিক উদ্যোগও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ফলে ভারতের রেলপথ ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন করতে পারবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন এই রেল ট্রানজিট চুক্তিতে রাজশাহী-কলকাতার মধ্যে একটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা এবং গেদে-দর্শনা থেকে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ও হাসিমারা হয়ে ভারত-ভুটান সীমান্তে ডালগাঁও পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালুর কথা বলা হয়েছে। দুই দেশ উপ-আঞ্চলিক সংযোগকে উন্নীত করার জন্য দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল) মোটর যানবাহন চুক্তি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতিও জোরদার করেছে। কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি নতুন বাস সার্ভিসেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব বৃদ্ধির কথাও আলোচনা করেছে দুই দেশ। বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা করবে ভারত। যৌথ সামরিক মহড়া, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা উন্নয়নেও কাজ করা হবে।

এক দশক বা তারও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশ। ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে প্রদত্ত সফট লোনের পরিমাণ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। দুই দেশ এখন একটি নতুন ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিতে কাজ করছে। ফলে দেশ দুটির যৌথ প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতাকে আরও প্রসারিত করবে। বাংলাদেশ ও ভারতের এই ঘনিষ্ঠ সংযোগ অবশ্যই একটি দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়ানো উভয় সরকারের অন্যতম একটি অগ্রাধিকার। বিশেষ করে দেশ দুটি এখানে তাদের যুবসমাজকে প্রাধান্য দিয়েছে। আন্তঃসংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে একটি স্বাগত এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ঘোষণা ছিল—চিকিৎসার জন্য আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা সুবিধা সম্প্রসারণ। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের জনগণের জন্য কনস্যুলার এবং ভিসা পরিষেবা দ্রুততর করার লক্ষ্যে রংপুরে ভারতের একটি নতুন সহকারী হাইকমিশন খোলার ঘোষণাও দিয়েছে দিল্লি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর এবং ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্থিতিশীল অবস্থায় দেখা গেলেও উভয় পক্ষকেই সচেতন থাকতে হবে। ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হুমকি সদা বর্তমান। পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোও এই হুমকির বাইরে নয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাব ভারতের জন্য উদ্বেগের। এই উদ্বেগগুলো ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ককে বিরূপ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই দুই দেশের অংশীদারত্বকে সামনে রেখে এগোতে হবে সচেতনভাবেই।

বাংলাদেশ ভারতের সব থেকে ঘনিষ্ঠ এবং মূল্যবান প্রতিবেশী। একই সঙ্গে দেশটি ভারতের জন্য একটি অপরিহার্য অংশীদার। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক সক্ষমতা খুব দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এটা স্বাভাবিক—ভারত দুদেশের এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠভাবে লালন করতে চাইবে। বাংলাদেশের জন্যও ভারত এমন একটি অংশীদার যে, প্রয়োজনে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে, দেশটির প্রয়োজনে পণ্য সরবরাহ করেছে। নিঃসন্দেহে দুই দেশের মধ্যে পরীক্ষিত এই বন্ধুত্ব আরও এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ঘোষিত উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে এ বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

লেখক: ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব

বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার

(নিবন্ধটি বাংলাদেশের ডেইলি সান থেকে অনূদিত)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নায্য পেনাল্টি দেওয়া হয়নি ব্রাজিলকে, কনমেবলের ভুল স্বীকার

সিনিয়র ক্রিকেটারদের কারণেই পাকিস্তানে পরিবর্তন সম্ভব নয়!

কোয়ার্টার ফাইনালেই ক্রুসকে অবসরে পাঠাতে চায় স্পেন

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা মিথ্যা : বরকত উল্লাহ বুলু

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা

অপুকে ছাগলের বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করলেন বুবলী

উইম্বলডন ২০২৪ / দ্বিতীয় রাউন্ডে জোকোভিচ, ভন্দ্রোসোভার বিদায়

আওয়ামী লীগ নয়, জিয়া, খালেদা, এরশাদ দেশ বিক্রি করেছেন : প্রধানমন্ত্রী

ফল উৎসব আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ : আব্দুস সালাম 

সমুদ্রসম্পদ আহরণে সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

১০

এমপি আনার হত্যা, যেভাবে পালিয়ে যান ফয়সাল

১১

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দুই কোরিয়ার

১২

যমুনার গর্ভে বিলীন ৫ শতাধিক বাড়িঘর

১৩

প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে উন্নয়ন ইস্যু প্রাধান্য পাবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মুম্বাইয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রোহিতদের সংবর্ধনা

১৫

এমপি আনার হত্যা : এবার ফয়সালের দোষ স্বীকার

১৬

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

১৭

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার পরিকল্পনা নেই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

১৮

দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার : নিতাই রায়

১৯

সুনীল অর্থনীতিকে মূল অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে হবে : প্রতিমন্ত্রী

২০
X