তোয়াহা হুসাইন
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর -০০০১, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রোজায় ঘরোয়া কাজে সহযোগিতা করুন

রোজায় ঘরোয়া কাজে সহযোগিতা করুন

রমজান মাসের সিয়াম সাধনা ও ইবাদতগুলো শারীরিকভাবে প্রভাব ফেলে। দিনভর উপোস থাকা ও রাতভর তারাবি-তাহাজ্জুদে সবাই ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকেন। এ সময় সবাই অন্যের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। পুরুষের তুলনায় নারীদের কষ্ট একটু বেশি হয়। নারীদের ঘরোয়া কাজে কিছু বাড়তি আয়োজন থাকে, সংসারের অন্যান্য দায়িত্ব ছাড়াও ইফতারি এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। রোজার দীর্ঘ উপবাসের কারণে অবসাদ ও ক্লান্তিও থাকে শরীরজুড়ে। তাই এ মাসে নারীদের ঘরের কাজে পুরুষের কিছুটা সহায়তা অনেকটা স্বস্তি এনে দেয়। সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমে এ মাসের ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব। রাসুল (সা.) বলেন, ‘রমজান মাস হলো সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মাস।’ (শুয়াবুল ইমান: ৩৩৩৬)।

ঘরের পুরুষ সদস্যদের কর্তব্য, রমজানে নারী সদস্যদের কাজে সহযোগিতা করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা মুমিন নরনারীদের পরস্পর বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘মুমিন নারী ও মুমিন পুরুষ পরস্পর বন্ধু।’ (সুরা তাওবা: ৭১)। আর ভালোবাসা বা বন্ধুত্বের দাবি হলো—কাজ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমে সুখে-দুঃখে অংশীদার হওয়া। ফলে পারিবারিক জীবন হয় অনিন্দ্য সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ। তা ছাড়া ঘরের নারীরাও রোজা রাখেন। এ মাসে বিভিন্ন নফল ইবাদতের প্রতি আগ্রহ তাদেরও থাকে। তাই ইফতারিতে খুব বেশি আইটেম তৈরি করার চাপ প্রয়োগ করাও অনুচিত। বরং তাদের কষ্ট লাঘব করে নফল ইবাদতে সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের কষ্ট দূর করে, আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিন তার একটি কষ্ট দূর করবেন।’ (মুসলিম: ৩৮)।

ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের চিত্র দেখুন। হাদিসে এসেছে, বর্ণনাকারী বলেন, আমি আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম রাসুল (সা.) ঘরে কী কাজ করতেন? প্রতিউত্তরে আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঘরোয়া মানুষদের সেবায় নানা কাজে অংশ নিতেন। নামাজের সময় হলে বেরিয়ে যেতেন।’ (বোখারি: ৫০৪৮)। আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) ইবনে হিব্বানের সূত্রমতে, আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। জুতা মেরামত ও সাংসারিক যাবতীয় কাজে অংশ নিতেন।’ (ফাতহুল বারি: ১৩/৭০)।

কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা মঙ্গলময় কাজে প্রতিযোগিতা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৮)। রোজাদারকে খাওয়ানো, খাবার তৈরি, পরিবেশন সবই ইবাদত। সওয়াব অর্জনের বসন্তকাল রোজায় পারিবারিক কাজে সহযোগিতা করেও সওয়াবের পাল্লা ভারী করতে পারি আমরা।

লেখক: মাদ্রাসা শিক্ষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন / টিউলিপের বিরুদ্ধে বোনের নামে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

ঢাকায় আজও বইছে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস

অলিম্পিকের প্রতিযোগীদের টক্কর দিচ্ছে ৯ বছরের শিশু

চাঁদা তুলতে গিয়ে ‘ভদ্র জ্বীনের বাদশা’ আটক

নিজ মালিককে গুলি করল কুকুর

শিক্ষার্থীদের সামনে কান ধরে উঠ-বস করলেন প্রধান শিক্ষক

মাকে কুপিয়ে হত্যার পর স্ত্রীর আঙুল কাটেন মাদকাসক্ত যুবক

‘দেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না’

রোহিঙ্গা সদস্যের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

আগামী দুই বছরে শরণার্থীর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বাড়বে 

১০

দুই বিভাগে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

১১

ভারত ও পাকিস্তান থেকে এলো ৪৮ হাজার টন চাল

১২

১৫ মার্চ : আজ টিভিতে দেখা যাবে যেসব খেলা

১৩

পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

১৪

ইফতার মাহফিলে পদপিষ্ট হয়ে রোহিঙ্গার মৃত্যু, আহত ২

১৫

আজ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক 

১৬

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

১৭

কক্সবাজারে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ১

১৮

১৫ মার্চ : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৯

১৫ মার্চ : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X