কুষ্টিয়া-পাবনার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর সাদিপুর ঘাট এলাকায় দুদিন ধরে পড়ে ছিল একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি। গতকাল শনিবার সকালে গাড়ি থেকে গন্ধ বের হওয়া শুরু করলে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে কুমারখালী থানা পুলিশ গাড়ি থেকে চালক সম্রাটের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বন্ধু আবদুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, তাকে পাবনার ঈশ্বরদী এলাকায় হত্যা করে গাড়িসহ লাশ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাদিপুর ঘাট এলাকায় রেখে যাওয়া হয়। আবদুল মমিন বর্তমানে পলাতক।
নিহত সম্রাট পাবনার ঈশ্বরদী থানার আলাস ক্যাম্প এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথ কোম্পানির পরিচালক ইউরি ফেদারোপের গাড়ি চালাতেন। ওই গাড়ি থেকেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আবদুল মমিনও ওই কোম্পানির গাড়িচালক।
পুলিশ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিকিমথ পরিচালকের গাড়িটি চালাতেন সম্রাট। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় জানালে পুলিশ তার খোঁজ শুরু করে। পরে মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে নিকিমথ কোম্পানির আরেক গাড়িচালক আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমাকে আটক করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, সীমা খাতুনকে বাঁশেরবাদা থেকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার স্বামী আবদুল মমিন পলাতক। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সীমা জানিয়েছেন, সম্রাটকে বাড়িতে হত্যার পর তার লাশ বস্তাবন্দি করে গাড়িতে নিয়ে বের হন আবদুল মমিন।
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে গাড়িটি পদ্মার পাড়ে পড়ে ছিল। প্রথমে এলাকাবাসী বিষয়টিতে আগ্রহ দেখাননি। ওই জায়গায় প্রতিনিয়ত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। সকালে গাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।