আঙ্গুর নাহার মন্টি
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:২১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের নির্বাচনী খেলায় ভারত যুক্তরাষ্ট্র চীন

বাংলাদেশের নির্বাচনী খেলায় ভারত যুক্তরাষ্ট্র চীন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে নানা তৎপরতা। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বন্ধুদেশ ভারত এবং উন্নয়ন সহযোগী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এই নির্বাচনী খেলায় বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক খেলায় বাংলাদেশ যার সঙ্গে থাকবে, শক্তির পাল্লা তারই ভারী হবে। তাই এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকারী তিন শক্তিই বাংলাদেশকে তাদের পাশে চাইছে, যার প্রভাব নির্বাচনী কূটনীতিতেও দৃশ্যমান হচ্ছে।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে না আসতে পারলেও উন্নয়ন, গণতন্ত্র এবং ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ আজ প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা, সরকারি বাহিনীর গুম-খুন, দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ-সমালোচনা সত্ত্বেও বিশ্বে বাংলাদেশের নাম আজ সমাদৃত। আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তি ভারতের সঙ্গে ভৌগোলিক নৈকট্য ও ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব, বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম শক্তি চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত অবস্থানের কারণে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আজ সব শক্তিধরই নিজেদের পাশে চায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব পালন করছে। চতুর্থ মেয়াদে তারা ক্ষমতায় আসবে নাকি সরকার পরিবর্তন হবে সেই হিসাব-নিকাষও শুরু হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে। আর এ কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ও ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসবে এমন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সংলাপ, দেন-দরবার ও লবিং ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। এদেশের নির্বাচনে জনগণের ভোটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা মেরূকরণ বরাবরই ভূমিকা রেখেছে। চীন নির্বাচন ইস্যুতে কথা না বললেও তাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়। তবে এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বরাবরই ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তাই আগামী নির্বাচনে ভারতের মনোভাব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আওয়ামী লীগ সরকারও বুঝতে পারছে আগামী নির্বাচন আগের নির্বাচনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন হবে। সরকারপ্রধানও বিভিন্ন বক্তব্যে এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সরকারও চাইছে, আগামী নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়।

ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের সুসম্পর্ক ঐতিহাসিক। আর গত ১৪ বছরে সেই সুসম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে, নিবিড় সম্পর্ক অটল হয়েছে। তিস্তা চুক্তি না হওয়া ও সীমান্ত হত্যাসহ নানা দ্বিপক্ষীয় ইস্যু কখনো ঢাকা-দিল্লি আস্থার সম্পর্কে দেয়াল হয়ে উঠতে পারেনি। ভারত বরাবরই বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার, নির্বাচন কমিশন ও জনগণের সিদ্ধান্তকে তারা চূড়ান্ত বলে মনে করে। তবে ভারতের নীতি-গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম ভারতের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।

সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এবারের নির্বাচনে ভারতের গুরুত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা। দুদেশের সম্পর্ক এখন যে মাত্রায় উন্নীত হয়েছে এর অবনতি চায় না দেশটি। একই সঙ্গে ভারত চায়, বাংলাদেশের মাটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেন আশ্রয়-প্রশ্রয় না পায় এবং শেখ হাসিনার সরকারের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিটিও অব্যাহত থাকে; যাতে সাম্প্রদায়িক, উগ্র ও

মৌলবাদীরা অতীতের মতো মাথাচাড়া দিতে না পারে। একই সঙ্গে পরীক্ষিত বন্ধুদেশটি নিশ্চিত হতে চায়, অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম অংশীজন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সীমিত থাকবে। উপরন্তু দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কের কারণে হলেও ভারত এবার বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়, যেখানে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে। যদিও সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে সুস্পষ্টভাবে বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়েছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। ভারত এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে পরম মিত্রের মর্যাদায় রেখেছে। জি-২০ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারত এরই মধ্যে সবাইকে সেই বার্তাই দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কূটনীতিক তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য না করলেও সব সময়ই অনেক বেশি উদ্বিগ্ন থেকেছে ভারত। নিকট প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এটি অস্বাভাবিক নয়। তারা বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের প্রভাব বলয়ের অংশ মনে করে। আর এদেশের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বও রয়েছে। বর্তমান সরকারের সঙ্গেও বরাবরই ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের উদ্বেগের ইস্যুগুলোতে সবসময় সরব ভূমিকা রাখে। চীনের দৃষ্টি তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখা। তাই নির্বাচন কেন্দ্র করে সবারই নিজস্ব স্বার্থকেন্দ্রিক চাওয়া-পাওয়া রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ও এর জনগণই নির্বাচন ও এদেশের ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোর মধ্যে ভূ-রাজনীতি, কৌশলগত ও প্রভাববলয় সৃষ্টির প্রতিযোগিতা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এসব বলয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য ধরে রাখতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার বন্ধুদের নিয়ে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ (আইপিএস) গঠন করেছে। আইপিএসের আওতায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরাম’ (আইপিইএফ) গঠিত হয়েছে। একই কৌশলের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত সামরিক সহযোগিতা জোরদারে কোয়াড গড়ে তুলেছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন এসব জোটের লক্ষ্য হচ্ছে, চীনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বলয় গঠন করা। আর এ বলয়ে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও চায় যুক্তরাষ্ট্র। ভারতও চায় তাদের সঙ্গে আইপিইএফে থাকবে বাংলাদেশ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশের বিরুদ্ধে জোটে তো নয়ই, কোনো সামরিক জোটেও যায়নি বাংলাদেশ। যদিও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য আইপিএসে যুক্ত হওয়ার সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে আওয়ামী লীগ সরকার।

এ ছাড়াও মার্কিন বার্মা অ্যাক্ট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে বিভিন্ন প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নিজেদের পক্ষে চায়। যদিও বাংলাদেশ নিজের স্বতন্ত্রতা ও পররাষ্ট্র নীতি অনুসারে এ পর্যন্ত সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন প্রস্তাবে কখনো রাশিয়ার পক্ষে আবার কখনো রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এদিকে বার্মা অ্যাক্টেও বাংলাদেশকে পাশে রাখতে চায় বাইডেন প্রশাসন। তাদের দাবি, এই অ্যাক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনা সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার এলে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ নানা ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছে। এলিট ফোর্স র‌্যাব ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে ও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সফরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের পালে হাওয়া লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্রও বক্তব্য-বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে, তারা কোনো দলের পক্ষে নন। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলে থাকেন। উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু হিসেবে তারা চান, বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশকে নিজেদের পাশে রাখতে মরিয়া মার্কিন প্রশাসন চাপে রাখাকে কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারকে নমনীয় রাখতে আগামী নির্বাচন তাদের জন্য একটি মোক্ষম অস্ত্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন বার্তায়ও বাংলাদেশের সবার জন্য উন্মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এদিকে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পে সহায়তাকারী চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’ (বিআরআই) বাংলাদেশ মেরিটাইম সহযোগিতায় চুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়। ২০০২ সালে স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তির পর চীন থেকে বাংলাদেশ অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনে। দেশটির সঙ্গে গত দেড় দশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছে। তারা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করে না। তবে আইপিএস ও কোয়াড নিয়েও উদ্বিগ্ন চীন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মেরূকরণের সঙ্গে মিলিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের কৌশল ঠিক করছেন। আর এ কৌশলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বড় প্রভাব রাখছে। অন্তত আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভারতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখছে। অন্যদিকে নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না সরকার। আর এ কারণেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার রুশ জাহাজ সরকার বাংলাদেশে ভিড়তে দেয়নি। এতে নাখোশ রাশিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেও সুসম্পর্ক সত্ত্বেও মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানায়। অন্যদিকে মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন কূটনৈতিক আমন্ত্রণ ও আলোচনায় বিরোধী রাজনীতিকের পাশাপাশি সরকারি প্রতিনিধিদের বিচরণ বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত দুবছরে বিশ্ব পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তন লক্ষ করলে দেখা যাবে, বিশ্বের সব শক্তিধর দেশই বাংলাদেশ ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি এটি দৃশ্যমান হয়েছে। আর এ কারণেই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের অভিনন্দন বার্তায় আঞ্চলিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব ও ভূমিকার কথা উঠে এসেছে। যদিও ভারতের কাছে নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কাছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন বড় ইস্যু নয়। তাদের গুরুত্ব যারা বাংলাদেশের সরকারে আছে বা ভবিষ্যতে সরকার গঠন করবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখা। এক্ষেত্রে চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের কৌশল নিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র কখনো চাপে রাখছে, কখনো কাছে টেনে নিচ্ছে। দুই বড় শক্তির আধিপত্যের লড়াইয়ে এই কৌশল নতুন নয়। অতীতেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অনেক চাপে রেখেছে, শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক অব্যাহত রাখাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

২৭ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ

নাটোরে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

ছাত্র ইউনিয়নের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত 

ভোট দেওয়ার শর্তে কোরআন ছুয়ে নিতে হবে টাকা, কল রেকর্ড ভাইরাল

‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম ভয়াবহ সঙ্কটকাল পার করছে’

 ছেলের কিল-ঘুষিতে শিক্ষক পিতার মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ১০ বছর আজ

‘ভয়াল ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ স্মরণ ও প্যারাবন নিধন প্রতিবাদ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

১০

শাহ আমানতে ৯০ হাজার দিরহামসহ যাত্রী আটক

১১

আবুধাবিতে চালু হচ্ছে উড়ন্ত ট্যাক্সি, ৩০ মিনিটেই দুবাই

১২

গরু চোরাচালানে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি

১৩

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ চায় খেলাফত মজলিস

১৪

বাংলাদেশ এসএসসি ৯৮ ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু

১৫

চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় গেলেন আমির খসরু 

১৬

উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র নিয়ে চীনা বন্দরে রুশ জাহাজ

১৭

বর্জ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় নিহতের ঘটনায় ব্যবস্থা : তাপস

১৮

বর্ণিল আয়োজনে রূপায়ণ সিটি উত্তরায় সামার ফেস্ট-২০২৪ অনুষ্ঠিত

১৯

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা 

২০
*/ ?>
X