আলী ইব্রাহিম
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:১৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

৩০ হাজার কোটি টাকার দ্বন্দ্বে এনবিআর-পেট্রোবাংলা

৩০ হাজার কোটি টাকার দ্বন্দ্বে এনবিআর-পেট্রোবাংলা

সরকার পরিচালনা ও বাজেট বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের সিংহভাগ জোগান দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রতি অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে কী পরিমাণ বাড়তি রাজস্ব আয় করতে হবে, তার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যা মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করে দেন এনবিআরের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা।

তবে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে প্রায় বছরই লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। অথচ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে কিংবা মাসওয়ারি আদায় হিসাবে পিছিয়ে থাকলে রাজস্ব আদায়কারী এ প্রতিষ্ঠানটির কর্মদক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে নানাভাবে সমালোচনা হয়। এমনকি এ বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে হয়, সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী স্তরেও। ফলে বছরজুড়েই লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব আয়ে সংস্থাটিকে থাকতে হয় বড় ধরনের চাপে।

এই যখন পরিস্থিতি, শুধু একটি সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কাছেই এনবিআরের রাজস্ব বকেয়া পড়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পেট্রোবাংলার লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি কার্যক্রমেই কোনো বকেয়া পরিশোধ করেনি সরকারি এ সংস্থাটি। এতে মাত্র ১৪ মাসে এলএনজি আমদানি বাবদ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কাছে শুল্ককর বাবদ রাজস্ব বকেয়া হয়েছে ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। ৮৬টি চালানের বিপরীতে এলএনজি আমদানির বিল অব এন্ট্রিও দাখিল না করায় এই পরিমাণ রাজস্ব বকেয়া পড়েছে। বাকি ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া রাজস্ব পায় এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (ভ্যাট) বিভাগ।

বিপুল পরিমাণ এই বকেয়ার কারণে একদিকে মাঠপর্যায়ে এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্ব বিভাগের ক্যালকুলেটিভ ফিসক্যাল ডিসিপ্লিনও বিঘ্নিত করছে।

পাওনা আদায়ে মাসের পর মাস চিঠি চালাচালি, দাপ্তরিক ফোনে দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা সত্ত্বেও বকেয়া আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বেজায় চটে থাকা এনবিআর রীতিমতো পেট্রোবাংলার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। ক্ষুব্ধ এনবিআর সম্প্রতি পেট্রোবাংলার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের হুমকি দিয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস গত ২৬ জুন পেট্রোবাংলাকে দেওয়া চিঠিতে এমন হুমকি দিয়ে জানায়, বকেয়া পরিশোধ ও আইনের পরিপালন করা না হলে কাস্টমস আইন ও মূসক আইন অনুযায়ী, পেট্রোবাংলার ব্যবসা শনাক্তকরণ নাম্বার বা বিন, পণ্য খালাস বন্ধ ও ব্যাংক হিসাবের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। জানা গেছে, এর আগে গত বছর ২০ জুন পেট্রোবাংলাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়

চট্টগ্রাম কাস্টমস। এরও কোনো জবাব দেয়নি পেট্রোবাংলা। পরে পুনরায় ওই বছর ২৬ জুন চিঠি দেওয়া হয়। এর পরও পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে বকেয়া পরিশোধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত বছর ৭ জুলাই ও ২১ সেপ্টেম্বর পেট্রোবাংলা থেকে চিঠির মাধ্যমে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে জানানো হয়, অর্থ বিভাগ থেকে ভর্তুকি পেলে এলএনজি আমদানি পর্যায়ে বকেয়া শুল্ককর পরিশোধ করা হবে।

একইভাবে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট) বকেয়া ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধেও চলছে টালবাহানা।

দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রের সবশেষ দেওয়া তথ্যমতে, এখনো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি বৈঠক করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে এনবিআর।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টম পলিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য মো. মাসুদ সাদিক এ প্রসঙ্গে কালবেলাকে বলেন, পেট্রোবাংলার বকেয়া আদায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। আশা করছি শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে বৈঠকে বসব।’

শুল্ক কর নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাস্টমস আইনে আমদানির বিপরীতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে পণ্য শুল্কায়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বকেয়া শুল্ককর পরিশোধের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চলতি মাসে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হওয়ায় গ্যাস পরিবহনকারী কার্গো জাহাজ থেকে মহেশখালীতে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনালের ভাসমান টার্মিনালে এলএনজি খালাস করা হয়। পরে ভাসমান টার্মিনাল থেকে সরাসরি জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। যে কারণে পেট্রোবাংলার কাছ থেকে আমদানি সংক্রান্ত শুল্ক কর আদায় করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না।

কাস্টম হাউসের হিসাবে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পেন্ডিং বিল অব এন্ট্রির সংখ্যা ৮৮টি, যাতে বকেয়া রাজস্বের পরিমাণ ৬ হাজার ৯৭৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দুটি পেন্ডিং বিল অব এন্ট্রিতে বকেয়া ১২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৪টি বিল অব এন্ট্রিতে ৭৫৮ কোটি আট লাখ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৯৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, মার্চে পাঁচটিতে ২৩২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, মে মাসে ১০টিতে ৪৫৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, জুনে ১৫টিতে ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, জুলাইয়ে একটিতে ৪৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ও আগস্টে ১০টি বিল অব এন্ট্রিতে বকেয়া ৭৭১ কোটি ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ডিসেম্বরে ১৪টি বিল অব এন্ট্রিতে বকেয়া ১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে জানুয়ারিতে ১৫টি বিল অব এন্ট্রিতে বকেয়ার পরিমাণ ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যেসব ইমপোর্ট জেনারেল মেনিফিস্টের (আইজিএম) বিপরীতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি, এমন আইজিএমের সংখ্যা ১৬টি। এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ হিসাব করা হয় ৯৬০ কোটি টাকা।

এনবিআরকে পাঠানো চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের চিঠিতে আরও বলা হয়, কাস্টম আইনের ৭৯(এ) ধারা ও একই আইনের ৮০ ধারা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রেরিত বিল অব এন্ট্রি এবং এনবিআরের ২০০১ সালের এক আদেশ অনুযায়ী বিল অব এন্ট্রিসহ আনুষঙ্গিক দলিলাদি সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউসে দাখিল করা বাধ্যতামূলক। সে অনুযায়ী পণ্য শুল্কায়ন ও শুল্ককর পরিশোধ করে খালাস করা হয়। কিন্তু পেট্রোবাংলার পণ্যচালান আমদানি হওয়ার ছয় মাস পরও বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি, যা কাস্টমস আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, পেট্রোবাংলার এমন কার্যকলাপের কারণে কাস্টমসে ব্যবহৃত অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে এলএনজির আমদানি-খালাসের তথ্য-উপাত্ত না থাকায় পুরো অটোমেশন প্রক্রিয়ায় নানা তথ্যগত ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। সরকারি দপ্তরের আইন নিয়মনীতি পরিপালনে দায়িত্বশীল হওয়া সমীচীন। আইজিএমের বিপরীতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করেই পণ্যের হোম কনজাম্পশন কাস্টমস আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সেজন্য নির্ধারিত সময়ে বিল অব এন্ট্রি দাখিল ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পেট্রোবাংলাকে বাধ্য করতে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

ভ্যাটের বকেয়া

ভ্যাট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ২০০৯ সাল থেকে আমদানি পর্যায়ে, গ্রাহক পর্যায়ে ভ্যাট থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি টাকা সরকারের অর্থনৈতিক কোডে অর্থাৎ ট্রেজারিতে জমা দিচ্ছে না। এতে প্রতিবছর ভ্যাট বকেয়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। পেট্রোবাংলা ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ভ্যাট দেয় না। আলোচ্য সময়ে এনবিআরের এলটিইউর ভ্যাটের পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেট্রোবাংলার সাপোর্ট ফর শর্টফল সংশ্লিষ্ট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। আর জানুয়ারি ২০১৯ থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত রেয়াত বাতিল সংশ্লিষ্ট বকেয়া ৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুলাই ২০২১ পর্যন্ত আটটি কর মেয়াদে মূসক-৯.১ অনুযায়ী বকেয়া ৭৮৩ কোটি টাকা। সব মিলে পেট্রোবাংলার ভ্যাট বকেয়ার পরিমাণ ২২ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা।

ভ্যাটের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার কালবেলাকে বলেন, দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। ভ্যাটের বকেয়া রয়েছে, এটা শুনেছি। এই সময়ে আমাদের অর্থ সংকট রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করা হবে বলেও জানান পেট্রোবাংলার এই চেয়ারম্যান।

ভ্যাট কর্মকর্তারা বলছেন, বকেয়া ভ্যাটের টাকা আদায় করতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলটিইউ ভ্যাট। বৈঠকে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ থেকে পাওয়া সম্পূর্ণ অর্থের ওপর ভ্যাট আইন ও সম্পূরক শুল্ক আইন অনুযায়ী যথাযথ ভ্যাট আদায় ও সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই ২০০৯ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত সময়ে এনবিআরের নিরঙ্কুশ বকেয়া বাবদ ১৬ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা বুক এডজাস্টমেন্টের মাধ্যমে দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর অবিশিষ্ট নিরঙ্কুশ বকেয়া ৫ হাজার ৮১০ কোটি টাকা পরিশোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে পেট্রোবাংলার সঙ্গে করা সর্বশেষ বৈঠকেও।

বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ভ্যাটের কমিশনার ফারজানা আফরোজ বলেন, গ্রাহকের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করে অর্থনৈতিক কোডে জমা না দিয়ে অন্য খাতে ব্যয় করা আইনানুগ নয়। তাই দ্রুত বকেয়া অর্থ জমা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা মানুষের জন্য বড় সুযোগ : প্রতিমন্ত্রী

বায়ুদূষণের শীর্ষে কাঠমান্ডু, ঢাকার অবস্থান কত?

কলকাতা-পাঞ্জাবের ম্যাচে রেকর্ডের পর রেকর্ড

ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় তিল চাষে ঝুঁকছে সদরপুরের কৃষকরা

আমেরিকা ছাড়িয়ে ইউরোপে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন

আগামী ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা চুয়েট

ক্ষমতার জন্য বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পটকা ফাটানো নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

দেশের মানুষের প্রধান চাওয়া সুষ্ঠু নির্বাচন : ইসি হাবিব

শেরেবাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

দুর্ঘটনার কবলে ইসরায়েলি নিরাপত্তামন্ত্রী

১১

প্রেমের জন্য দিনটি ভালো

১২

নরসিংদীতে হিটস্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু 

১৩

রাজধানীর যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না

১৪

বৃষ্টিতে ভিজল সিলেট

১৫

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৬

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৭

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

১৮

২৭ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৯

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ

২০
*/ ?>
X