কয়েকদিন আগে থেকেই বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ছিল। ঈদের আগমুহূর্তে এসে সেটা আরও ঝাঁজালো হয়ে উঠেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে দুদিনে পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাজধানীর সবচেয়ে বড় দুটি কাঁচাবাজার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮২ থেকে ৮৫ টাকা। মাঝখানে এক দিন যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সেটা বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৮৮ টাকায়। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজিতে। যেটা আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বেশি বাজারে। ভারতীয় পেঁয়াজ কম। হঠাৎ দাম বাড়ার বিষয়ে শ্যামবাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা সাকিব আকন্দ বলেন, ‘আমি বলতে পারব না। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরেই অল্প অল্প করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা পাইকারি কিনছি ৮৪ টাকা কেজি।’
শ্যামবাজারের আড়তদার মানিক মিয়া বলেন, ভারতীয় ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৪১০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে ৮২ থেকে ৮৪ টাকা কেজি পড়ছে।
লক্ষ্মীবাজার এলাকায় ভ্যানে করে পেয়াঁজ বিক্রি করেন আমিন। তিনি বলেন, এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজি পাইকারিভাবে ৬ থেকে ৮ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১০ টাকা বেড়েছে। রোববার যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭৬ টাকা, সেটি সোমবার রাতে বিক্রি হয়েছে ৮৪ টাকায়। বর্তমানে ভালোমানের বাছাই করা দেশি পেঁয়াজ ৯০ এবং ফরিদপুর ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের কারণে দাম আরও বাড়বে।
ক্রেতা নূরনাহার বেগম জানান, তিনি দুই কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ১৭০ টাকায়। এক কেজি কোষ ছাড়ানো রসুন কিনেছেন ১৯০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, গত মাসের শেষে পেঁয়াজ কিনেছি ৭০ টাকা করে। কয়েকদিনের ব্যবধানে কী এমন হলো কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গেল। এভাবে হঠাৎ করে দাম বাড়লে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ বিপদে পড়ে।
এদিকে, ভারতের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহে ঘাটতি থাকায় ভারতীয় বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সাধারণত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের মজুত করা পেঁয়াজই এই জুন মাসে বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। তবে এবার কৃষক এই সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন।