মাসুদ রানা
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৪, ০২:৪৩ এএম
আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দ্রুত বিচারে দুর্গতি

ট্রাইব্যুনালের চিত্র
দ্রুত বিচারে দুর্গতি

ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্র ও জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মোমিনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ২০০৫ সালে কাফরুল থানায় মোমিনের বাবা হত্যা মামলা করেন। বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে ওসি রফিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। পরে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এ বিচার শুরু হয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী, ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০১০ সালে পূর্বের আদালতে ফেরত পাঠানো হয়।

শুধু এ মামলাটি নয়, আইনে বেঁধে দেওয়া সময়ে বিচার শেষ করতে না পারায় গত দুই দশকে ঢাকার পৃথক চারটি ট্রাইব্যুনাল থেকে দুই শতাধিক মামলা এভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে পূর্বের আদালতে। অথচ এসব ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচার আইনের মামলারও তীব্র সংকট চলছে। চারটি ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচার আইনের মাত্র ১১টি মামলা বিচারাধীন। দ্রুত বিচারের মামলা এত কম থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে বিচার শেষ করতে না পারায় মামলা ফেরত যাওয়াকে প্রসিকিউশন ও পুলিশের গাফিলতি এবং বিচার ব্যবস্থার সার্বিক দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। ব্যহত হচ্ছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের উদ্দেশ্য। দ্রুত ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক বিচারপ্রার্থী।

জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর হত্যা, ধর্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্য-সংক্রান্ত অপরাধের মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন পাস হয়। সে বছরই ঢাকার প্রথম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করে। পরের বছর আরও তিনটি ট্রাইব্যুনাল যোগ হয়। গুরুতর অপরাধের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রথমে মনিটরিং কমিটি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায়। সেখান থেকে যায় আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর প্রজ্ঞাপন জারি করে এগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। শুরু হওয়ার পর থেকে ঢাকার চারটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ৯৭০টি মামলা বিচারের জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালগুলো থেকে আইনে নির্ধারিত সময়ে বিচার শেষ করতে না পারায় ২০২টি মামলা ফেরত পাঠানো হয়েছে পূর্বের আদালতে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আবু কালবেলাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে মামলা নিষ্পত্তি না হলে তো ফেরত যাবেই। তবে মামলা ফেরত যাওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা প্রত্যাশা করি, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসা মামলাগুলো দ্রুত শেষ হোক। কিন্তু সাক্ষী অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তাদের পাওয়া যায় না। সাক্ষীদের হাজিরে পুলিশও চেষ্টা করে। আমাদের সবাইকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। যেসব মামলা বিচারাধীন, সেগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করবে, শুধু সেই মামলাই এ ট্রাইব্যুনাল বিচার করবেন। জনস্বার্থে, হত্যা, ধর্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং মাদকদ্রব্য-সংক্রান্ত অপরাধের বিচারাধীন কোনো মামলা, যে কোনো পর্যায়ে ক্ষেত্রমত, দায়রা আদালত বা বিশেষ আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারবে বলে আইনের ৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে।

এ ছাড়া আইনের ১০ ধারায় বলা হয়েছে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা স্থানান্তরের তারিখ থেকে নব্বই কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। অনিবার্য কারণে এ সময়ের মধ্যে কোনো মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কারণ লিপিবদ্ধ করে অতিরিক্ত ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে পারবেন এবং এ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন, যার একটি অনুলিপি সরকারের কাছে পাঠাতে হবে। এ বর্ধিত সময়েও শেষ না হলে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য সর্বশেষ আরও পনেরো কার্যদিবস সময় নিতে পারবেন। দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানোর পরও নিষ্পত্তি করতে না পারলে মামলাটি যে আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছিল, সেই আদালতে ট্রাইব্যুনাল কারণ লিপিবদ্ধ করে ফেরত পাঠাবেন। এ ছাড়া আইনে বলা আছে, এ ধরনের মামলার একবার বিচার শুরু হলে কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়াই মামলাটির বিচার শেষ করতে হবে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের এসব বিধান শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে আইনের এসব বিধানের কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না। একদিকে আদালতে হাজার হাজার মামলার চাপ, অন্যদিকে আসামিপক্ষের কালক্ষেপণে নির্ধারিত সময়ে কোনো মামলারই বিচার শেষ হচ্ছে না। আবার বিচার শেষ করতে না পারলে বিচারকও কাজের চাপে আইন অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট ও সরকারের কাছে শেষ করতে না পারার কারণ সংবলিত কোনো প্রতিবেদনও পাঠাতে পারছেন না। একপর্যায়ে মামলা ফেরত পাঠানো হচ্ছে পূর্বের আদালতে (যে আদালত থেকে পাঠানো হয়েছিল, সেই আদালতে)। আর বিচার শেষ না হওয়ার পেছনে, সাক্ষী না পাওয়া, বিচারক ছুটিতে থাকা বা বদলি হয়ে যাওয়া, আইনজীবীদের আবেদনে বারবার শুনানি মুলতবি করাসহ নানা কারণ কাজ করছে। বিচার বিলম্বে একপর্যায়ে বিচারের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মামলার কার্যক্রম যাতে নির্ধারিত সময়ে শেষ না হয় সেজন্য আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে যান। এতে অনেক মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়। কালক্ষেপণ চলে। তা ছাড়া দীর্ঘসূত্রতা থাকায় বাদীপক্ষও বিচারে অনীহা দেখায় এবং রাষ্ট্র এসব মামলার বিচার সচল করতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে না। পুলিশের গাফিলতিতে সাক্ষী যথাসময়ে হাজির করা যায় না। ফলে বিচার কাজ থমকে পড়ে। এভাবে আইনে নির্ধারিত ১৩৫ কার্যদিবস শেষ হয়ে যায়। নানা কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৮ নভেম্বর রাতে জেলা শহরের তেরী বাজার মোড়ে দুর্বৃত্তরা জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি স্বপন জোয়ারদারকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রঞ্জিত জোয়ারদার বাদী হয়ে নেত্রকোনা থানায় মামলা করেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিআইডি পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়। বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ পাঠানো হয়। একইভাবে নির্ধারিত সময়ে বিচার শেষ না হওয়ায় মামলাটি অন্য আদালতে ফেরত যায়। একইভাবে রাজধানীর পল্লবী থানায় ২০০৭ সালে একটি হত্যা মামলা হয়। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ১১ আসামির বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়। তবে মামলাটি নির্ধারিত সময়ে নিষ্পত্তি করতে না পারায় ট্রাইব্যুনাল মামলাটি ফেরত পাঠিয়ে দেন। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ১০ অক্টোবর রাজধানীর পল্লবী থানায় হত্যা মামলা হয়। এ মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়। ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর বিচারের জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ পাঠানো হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ মামলার বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় পূর্বের আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ ২২১টি মামলা পাঠানো হয়। তবে বিচার না হয়েই ফিরে গেছে ৪৮টি মামলা। চারটি ট্রাইব্যুনালের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ সবচেয়ে কম ১৯০টি পাঠানো হয়। বিচার না হয়েই ফেরত গেছে ৪৪টি মামলা। একইভাবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ ২৭৬টি মামলা আসে। বিচার না হয়ে ৭৪টি মামলা ফেরত গেছে এ ট্রাইব্যুনাল থেকে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ সবচেয়ে বেশি ২৮৩টি মামলা পাঠানো হয়। বিচার শেষ না হয়েই ফেরত গেছে ৩৬টি মামলা।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০০২ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রথম এক দশকে তুলনামূলক মামলা বেশি এলেও পরে সেই সংখ্যা কমতে থাকে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত দেড় বছরে দ্রুত বিচারের জন্য কোনো মামলা পাঠানো হয়নি। ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ ৪২টি মামলা আসে। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে এ সংখ্যা কমেছে। এ ছাড়া ২০১২ থেকে ২০১৪, ২০১৭, ২০২৩ সাল ও চলতি বছরের মে পর্যন্ত বিচারের জন্য কোনো মামলা আসেনি। একইভাবে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ ২০০৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৪৭টি মামলা পাঠানো হয়। এরপর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ১৮৫টি মামলা আসে। তবে পরে এক দশকে সেই সংখ্যা কমে মাত্র পাঁচটিতে পৌঁছায়। এ ছাড়া ২০১৩, ২০১৬ থেকে ২০১৯ এবং ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো মামলা পাঠানো হয়নি। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এ চালুর পর থেকে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছরে কোনো মামলা আসেনি। অন্য বছরগুলোতে কমবেশি মামলা এলেও ২০০৪ সালে সর্বোচ্চ ৪৬টি মামলা আসে। তবে গত ছয় বছরে মাত্র ছয়টি মামলা পাঠানো হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ পর্যন্ত ২৮৩টি মামলা এসেছে। এর মধ্যে ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ ৪৫টি মামলা আসে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চার বছরে এ আইনের কোনো মামলা বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আসেনি। সে হিসাবে গত সাত বছরে মাত্র চারটি মামলা এসেছে।

‘অন্য আইনের মামলায় দখল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল’

বর্তমানে ঢাকার চারটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচার আইনের মাত্র ১১টি মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া উচ্চ আদালত থেকে এসব ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ১৭টি মামলার বিচারের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। তবে দ্রুত বিচারের জন্য গঠিত এসব ট্রাইব্যুনালে অন্য আইনে দায়ের হওয়া হাজার হাজার মামলার বিচার চলছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ দ্রুত বিচার আইনের মামলা রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে ৬টি মামলা বিচারাধীন। বাকি ৮টি মামলা স্থগিত রয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালে অন্য আইনের ১ হাজার ৩৯৫টি মামলার বিচার চলছে।

ট্রাইব্যুনাল-২-এ মোট আটটি মামলা থাকলেও মাত্র একটি মামলা বিচারাধীন। সাতটি মামলা উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালে অন্য আইনে ২ হাজার ২৫১টি মামলা বিচারাধীন। ট্রাইব্যুনাল-৩ এ দ্রুত বিচার আইনে মাত্র দুটি মামলা বিচারাধীন। সম্প্রতি এ মামলা দুটি পাঠানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালটিতে অন্য আইনের ১ হাজার ৯০২টি মামলা বিচারাধীন। ট্রাইব্যুনাল-৪ এ চারটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি বিচারাধীন। দুটি মামলা উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে। তবে এ ট্রাইব্যুনালে অন্য আইনের ১ হাজার ২৫০টি মামলা বিচারাধীন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক কালবেলাকে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে বিচার না হওয়া অবশ্যই আইনের ব্যত্যয়। পুলিশের দায়িত্ব সাক্ষী হাজির করা। সাক্ষী না এলে তো বিচার হবে না। তখন নির্ধারিত সময় শেষ হলে বিচারক তো মামলা ফেরত পাঠাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে পুলিশের প্রচণ্ড গাফিলতি এবং প্রসিকিউশন বিভাগের জবাবদিহি না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে প্রসিকিউশন হচ্ছে ক্যাডার সার্ভিস। যেখানে জবাবদিহি রয়েছে। আমাদের দেশে সেটা নেই। যে কারণে পুলিশও প্রসিকিউশন বিভাগকে গুরুত্ব দেয় না। দিন দিন বিচার ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা মামলা করতেও ভয় পাচ্ছে।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর সাবেক পিপি ও বর্তমানে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, যে উদ্দেশ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে, সেটার শতভাগ প্রতিফলিত হচ্ছে না বরং এই ট্রাইব্যুনালে অন্য মামলার চাপে দ্রুত বিচারের মামলাগুলো পিছিয়ে পড়ছে। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে পারে না। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে বিচার শেষ হয় না। পরে মামলাটি পূর্বের আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। কোনো মামলার বিচার যদি একাধিক আদালতে চলে, তাহলে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

সাক্ষীর অভাবে নির্ধারিত সময়ে বিচার না হয়ে মামলা ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো দায় আছে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপির অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

রবিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক

খুবিতে তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনাল্সে চ্যাম্পিয়ন চবি

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি সমমনা জোটের

সিলেট কারাগারেই চিকিৎসা চলছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের

৬ কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মাহফুজ

রায় দিয়ে ‘বাবার ট্রাস্টে’ টাকা নেন বিচারপতি

‘সাংবাদিকরা সমাজে মেডিয়েটরের ভূমিকা পালন করে থাকেন’

দুর্গাপূজায় সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি : মাহবুবের শামীম

১০

নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জবি

১১

ষড়যন্ত্র বানচালে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : প্রিন্স

১২

কার হাতে কত সোনার মজুত?

১৩

পিএসসির চাকরির পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস

১৪

যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল

১৫

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৬

লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন টুকু

১৭

কলেজ অধ্যক্ষকে বাঁচাতে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

১৮

প্রতিটি শহীদ পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া উচিত : মেজর হাফিজ

১৯

সংসদের মেয়াদ ৪ বছর চায় গণঅধিকার পরিষদ

২০
X