মাসুদ রানা 8
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০২:২১ এএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আপিলে রাষ্ট্রপক্ষের অনীহায় পার পেয়ে যায় জঙ্গিরা

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা
২০২৩ সালের ২৩ জুলাই নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়া’র তিন সদস্য র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। ফাইল ছবি
২০২৩ সালের ২৩ জুলাই নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়া’র তিন সদস্য র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। ফাইল ছবি

পাঁচ বছর আগে হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ চারজনকে একটি মামলায় বেকসুর খালাস দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা ওই মামলাটির রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর আপিল করা হবে বলে সেই সময় জানিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আজ পর্যন্ত সেই মামলায় কোনো আপিল দায়ের হয়নি। শুধু এটিই নয়, সন্ত্রাসবিরোধী দমন আইনের ৮৬ শতাংশ মামলায় আসামিরা খালাস পেয়ে গেলেও পরবর্তী আর কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি রাষ্ট্রপক্ষ। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়নি একটি মামলায়ও। যদিও এসব মামলার অভিযুক্তরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষেরই। বিপুলসংখ্যক মামলায় অভিযুক্তরা খালাস পেয়ে যাওয়ায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ কারণেই হিযবুত তাহরীর কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বারবার মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

জানা যায়, ১২ বছর আগে রাজধানীর গুলশান থানাধীন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে—এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে আসামি নাজমুল হক চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও রাশেদ গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর চার আসামির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালীন এ মামলায় মাত্র দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় গত বছরের ১০ জানুয়ারি রায়ে চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরপর বছর পার হলেও এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো আপিল করেনি।

একইভাবে ২০১২ সালের মে মাসে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর লিফলেট বিতরণ করার সময় ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে হিযবুত তাহরীরের ৭২টি লিফলেট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ২০১৪ সালের ২১ মে এ মামলায় তাদের বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালীন আদালত ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২১ সালের ৯ মার্চ এ মামলার রায়ে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। দুই বছর পার হলেও এ মামলায় আপিলের কোনো উদ্যোগ নেয়নি রাষ্ট্রপক্ষ।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে যান। এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় আমরা আপিল করিনি এবং মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আপিলের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। তবে ঊর্ধ্বতনরা পরামর্শ দিলে আমরা আপিল করব।’

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল্লাহ আবু কালবেলাকে বলেন, ‘যদি সাক্ষ্য প্রমাণে দুর্বলতা থাকে তাহলে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে আসামিরা বেরিয়ে যায়। যেসব মামলার রায়ে আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। আপিল করলে মামলা টিকবে কি না এবং আইনগতভাবে কোনো ক্রটি ছিল কি না সেগুলো বিশ্লেষণ করা হবে। সন্ত্রাসীবিরোধী আইনের দুর্ধর্ষ আসামিরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হতে না পারে রাষ্ট্রপক্ষ সে বিষয়ে কাজ করবে। এ ছাড়া আপিলের প্রয়োজন হলে আমরা রায় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জঙ্গিবাদের মতো অপরাধে অভিযুক্ত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইন করে সরকার। আইনটি ২০০৮ সালের ১১ জুন থেকে কার্যকর করা হয়। আইনটি ২০১১ ও ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়। সংশোধনী আইনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিলে সরকার ঢাকাসহ সাতটি বিভাগীয় শহরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করে। এসব ট্রাইব্যুনালের মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলা সবচেয়ে বেশি ঢাকার ট্রাইব্যুনালে। বাকি বিভাগীয় শহরে স্থাপিত ট্রাইব্যুনালগুলো জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের মামলা খুবই কম।

জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ৪২৪টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৬টি মামলায় খালাস ও ৮৯ মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৫৯ মামলায় আসামিদের সাজা দেওয়া হয়েছে, যা মোট নিষ্পত্তি হওয়া মামলার ১৪ শতাংশ। শুরু থেকেই এই ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ পরিচালনা করে আসছেন বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো. মজিবুর রহমান।

২০১৮ সালে ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে ৩৫৫টি মামলা পাঠানো হয়। ওই বছর ১৪৪ মামলা নিষ্পত্তি হলেও মাত্র ২৬টিতে সাজা হয়। ১১৮ মামলায় সব আসামিকে খালাস ও আট মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে বিচারের জন্য ৭৯টি মামলা পাঠানো হয়। ওই বছর মাত্র ২১ মামলা নিষ্পত্তি হয়। যেখানে ১২টিতে সব আসামির খালাস পায়। এ ছাড়া পাঁচ মামলায় সাজা ও চারটিতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে বিচারের জন্য ৩৬টি মামলা পাঠানো হয়। ওই বছর করোনার কবলে মাত্র আট মামলা নিষ্পত্তি হয়। যেখানে দুটি মামলায় সব আসামির সাজা হয়। এক মামলায় সব আসামিকে খালাস ও পাঁচ মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালে বিচারের জন্য ৬১টি মামলা পাঠানো হয়। ওই বছর মাত্র ১৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। যেখানে চার মামলায় সাজা হয়। তিন মামলায় আসামিদের খালাস ও ছয় মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়।

করোনা মহামারির পর ২০২২ সালে ট্রাইব্যুনালে বিচারে গতি আসে। ওই বছর ১২৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। এর মধ্যে ৬৫ মামলায় সব আসামিকে খালাস ও ৪৯ মামলায় অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া ১৩ মামলায় সব আসামিকে সাজা দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে বিচারের জন্য নতুন ৭৫টি মামলা ট্রাইব্যুনালে আসে। ওই বছর ৯৯টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও মাত্র ৯টিতে সাজা হয়। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ৭৪টি মামলায় সব আসামিকে খালাস দেন বিচারক। এ ছাড়া ১৫টি মামলায় অব্যাহতি পায় আসামিরা। চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত বিচারের জন্য নতুন ১৬টি মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। তিন মাসে ছয়টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও কোনো সাজার রায় নেই। এর মধ্যে তিন মামলায় সব আসামিকে খালাস ও তিনটিতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলাগুলো খুবই স্পর্শকাতর। এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা তাৎক্ষণিভাবে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়ে মামলা করবেন এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবেন। এ ছাড়া সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো আদালত এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করবেন না। এসব মামলা দায়ের হওয়া থেকে নিষ্পত্তি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হয়। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে মামলার মেরিট নষ্ট হয়ে যায়। তা ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে সাক্ষীরা মামলার তথ্য বা ঘটনা ভুলে যান। জব্দ তালিকায় থাকা বিষয়গুলো সাক্ষীদের জবানিতে সঠিকভাবে উঠে আসে না। এসব কারণে বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়। এতে আসামিরা অনায়াসে খালাস পেয়ে যায়। আপিলেও আসামিদের সাজা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ আর পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ নেয় না।

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অবহেলা থাকে এবং উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে রাষ্ট্র অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে না। রাষ্ট্রপক্ষ কেন আপিল করে না—সেটা তারা ভালো বলতে পারবেন।’

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় আসামিরা কেন খালাস পেয়ে যাচ্ছে সেটা বলতে পারব না।’

তদন্তে কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হেমায়ত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী জঘন্য প্রকৃতির অপরাধকে দমন ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে এই আইন প্রণয়ন করা হয়। তবে নানা কারণে চার্জশিটে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও আসামিরা খালাস পেয়ে যান। তার মধ্যে দীর্ঘসূত্রতা, সঠিক সময়ে সাক্ষীর আদালতে উপস্থিত না হওয়া, বর্তমান ঠিকানায় সাক্ষীকে খুঁজে না পাওয়া, আদালতে এসে সাক্ষ্য প্রদানে অনীহা, দালিলিক ও সঠিক তথ্য উপস্থাপনে রাষ্ট্রপক্ষের দায় রয়েছে। কেন আসামিরা খালাস পেল, সেটা বিশ্লেষণে মনিটরিং সেল থাকতে হবে। আপিল করতে হলে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এভাবে আসামিরা খালাস পেয়ে যাবে। আপিল করলেও কোনো লাভ হবে না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাসিনার সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে : জোনায়েদ সাকি

২০২৫ সালে মাধ্যমিকে ছুটির তালিকা প্রকাশ

এক অর্থ বছরে বিমানের আয় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

উন্নয়ন সমন্বয়ের সেমিনারে বক্তাদের অভিমত / সিগারেটে করারোপের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার তীব্র প্রতিবাদ জেএসডির 

তাহলে কী ইমরানের সঙ্গে আঁতাত করল পাকিস্তান সরকার?

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : প্রিন্স

নারায়ণগঞ্জে বয়লার কারখানায় আগুন

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদুল আলমের সম্পদের পাহাড়

১০

ইমরান ও বুশরার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

১১

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৫৯৪ মামলা

১২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল

১৩

গাজীপুরে কারখানার গুদামে আগুন

১৪

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল

১৫

প্রেমের টানে পাকিস্তানি যুবক মাটিরাঙ্গায়

১৬

‘ছাত্র-জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের অর্জিত বিজয় যেন হাতছাড়া না হয়’

১৭

আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইল বাংলাদেশ

১৮

পদ্মায় ধরা পড়ল বিশাল বোয়াল, ৫২ হাজারে বিক্রি

১৯

রাজশাহীর মেসগুলোতে নির্যাতিত ছাত্রীরা, বিচারহীনতায় বেপরোয়া মালিকরা 

২০
X