সানাউল হক সানী
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হলমার্ক সাম্রাজ্যে শুধুই শূন্যতা

জনমানবহীন এলাকাটিতে গা ছমছমে ভূতুড়ে পরিবেশ
সাভারের হেমায়েতপুর-সিংগাইর রোডের তেঁতুলঝোড়ায় হলমার্ক গ্রুপের শিল্প পার্কের একাংশ। ছবি: কালবেলা
সাভারের হেমায়েতপুর-সিংগাইর রোডের তেঁতুলঝোড়ায় হলমার্ক গ্রুপের শিল্প পার্কের একাংশ। ছবি: কালবেলা

প্রায় ১০০ একর জায়গাজুড়ে হলমার্ক গ্রুপের বিশাল শিল্প পার্ক। সাভারের হেমায়েতপুর-সিংগাইর রোডের তেঁতুলঝোড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে এর অবস্থান। ভেতরে সারিবদ্ধ ৪৩টি কারখানা। আছে মসজিদ, বিশ্রামাগার, ফায়ার সার্ভিসসহ নানা আয়োজন। রয়েছে উন্নত জাতের গাভি পালনের শেড। এত কিছুর পরও সেখানে এখন রাজ্যের নীরবতা। কারখানায় কোনো মেশিনপত্র নেই। কোথাও কোথাও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ভবন। ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে অনেকটাই। জনমানবহীন এলাকাটিতে গা ছমছমে ভূতুড়ে পরিবেশ। রাত হলেই জমে অপরাধী আর মাদকসেবীদের আড্ডা। কে বা কারা লুটে নিয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। বেহাত হওয়ার পথে অনেক জমিও।

এই শিল্প পার্কের মালিক বহুল আলোচিত হলমার্ক গ্রুপ। জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল পোশাক কারখানাসহ নানা প্রতিষ্ঠান। ২০১২ সালে উদ্ঘাটিত হয় দেশের ব্যাংকিং খাতের সর্ববৃহৎ এই অনিয়ম। সব মিলিয়ে ৩৮টি মামলা করে দুদক। গ্রেপ্তার করা হয় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। এরপর একে একে বন্ধ হয়ে যায় সব প্রতিষ্ঠান। এক দশক পর বিশাল সেই সাম্রাজ্যে শুধুই শূন্যতা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হলমার্কের শিল্প পার্কের কারখানার যন্ত্রপাতি লুটপাটে জড়িত এলাকার কয়েক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি। লুটেরারা প্রভাবশালী হওয়ায় এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউই।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং হলমার্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, দুদক যখন হলমার্কের বিরুদ্ধে মামলা করে, তখন হলমার্কের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক হয়নি। দেখভালের জন্য বিশেষ কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন প্রভাবশালীরা।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদের সর্বমোট ৪৩টি শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করতেন প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক। তবে তানভীরের গ্রেপ্তারের পরই বন্ধ হয়ে যায় এসব কারখানা। যদিও বেশ কয়েকবার আলোচনায় উঠেছিল তানভীর ও জেসমিন ইসলাম জামিনে বের

হয়ে ব্যবসা পরিচালনা এবং সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের দেনা শোধ করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত আর বিষয়টি এগোয়নি। যদিও হাজার কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, হলমার্ক শিল্প পার্কের চারপাশ উন্মুক্ত। কোনো প্রবেশপথেই নিরাপত্তারক্ষী নেই। সাধারণ মানুষ দেদার কারখানা এলাকা দিয়ে যাতায়াত করছেন। ভেতরে গড়ে উঠেছে কয়েকটি দোকানও। বেশ কয়েকটি ভবনের মধ্যে আবাস গড়েছেন কিছু মানুষ। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হলমার্কের কারখানা এলাকা ঘুরে আরও দেখা গেছে, বেশিরভাগ ভবনই ব্যবহার অনুপযোগী। অনেক কারখানা ভবন ভেঙে পড়েছে। বেশ কয়েকটি মিশে গেছে মাটির সঙ্গে। এসবের মধ্যে একসময় মূল্যবান যন্ত্রাংশ থাকলেও এখন কিছুই নেই। পুরো এলাকার কোনো ভবনেই যন্ত্রপাতির দেখা মেলেনি। কোথাও কোথাও ভবন থেকে লোহার পাত খুলে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি গত বছরের শেষ দিকে কারখানা এলাকায় খুন হন একজন নিরাপত্তারক্ষীও।

হলমার্কের দুজন সাবেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘদিন এই গ্রুপে চাকরি করেছি। তাই মাঝেমধ্যে কারখানা এলাকায় যাই। তবে সেখানে এখন কিছুই নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এখন জমি বিক্রির অপচেষ্টা চলছে।

ওই দুই কর্মকর্তার কথার সত্যতাও মিলেছে সরেজমিন। কারখানা এলাকার একটি ভবনের মধ্যে গড়ে উঠেছে আমেনা মাখনুস মাদ্রাসা ও এতিমখানা। মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তবে ভেতরের একজন দোকানি বলেন, কারখানার সম্পদ এখন পাবলিকের। স্থানীয় একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তার অনুমতি পেলে যে কেউ যা কিছু করতে পারে। শুধু ওই মাদ্রাসা নয়, কয়েকটি ভবনে স্থানীয় কয়েকজন মালিক হিসেবে নিজেদের নামফলক টানিয়েছেন। যদিও হলমার্কের মালিকপক্ষের অবর্তমানে ওইসব জমি নিয়ে আদালতে বিচার চলছে।

হলমার্কের মালপত্র লুটের বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে অভিন্ন তথ্য। স্থানীয় এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির প্রত্যক্ষ মদদেই এসব মালপত্র লুটপাট হয়েছে। কোটি কোটি টাকার সম্পদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে রাতের আঁধারে। হলমার্ক গ্রুপে কাজ করা সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারের কিছুদিন পরই জামিনে বের হয়েছিলেন জেসমিন ইসলাম। ওই সময় তিনি কিছু মেশিন ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করেছিলেন। এরপর থেকে হলমার্কের কারখানাগুলো থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিয়মিতভাবে নানা মেশিনারিজ ও দ্রব্যাদি বিক্রি করছেন দেদার।

স্থানীয়রা বলেন, প্রভাবশালীরা যে যার ইচ্ছামতো হলমার্কের মালপত্র সরিয়ে বিক্রি করেন। জমি আর পরিত্যক্ত ভবন ছাড়া তেমন কোনো মেশিনারিজ এখন আর নেই। শুধু একটি কারখানা সচল রয়েছে। পুরো হলমার্ক এলাকা বর্তমানে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া হলমার্কের তানভীর গ্রেপ্তার হওয়ার সময় কয়েকটি কারখানা ভবন নির্মাণাধীন ছিল। পরিত্যক্ত অবস্থায় সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তেঁতুলঝোড়ায় হলমার্কের প্রকল্পের শেষ প্রান্তে ছিল গরুর খামারের সাতটি বড় বড় শেড। এর মধ্যে একটি শেডে লোহার অ্যাঙ্গেল দৃশ্যমান রয়েছে। বাকি ৫টি শেডের টিন ও লোহার সব মালপত্র লুটেরারা কেটে নিয়ে গেছে।

আনসার ক্যাম্পের এক সদস্য জানান, হলমার্ক গ্রুপের অনেক বড় একটি স্পিনিং মিল ছিল। ওই মিলের জন্য জার্মানি ও জাপান থেকে অত্যাধুনিক মেশিন আমদানি করা হয়েছিল। হলমার্ক গ্রুপের কর্ণধার তানভীর মাহমুদ আটক হওয়ার সময় মেশিনগুলো নতুন অবস্থায়ই প্যাকেট করা ছিল। এসব মেশিনারিজ রাতের আঁধারে স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতার লোকজন কারখানা থেকে নিয়ে গেছেন।

হলমার্ক শিল্প পার্কের পাশের একটি কারখানার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’। হলমার্কের মালপত্র আশপাশের প্রায় সব কারখানায় বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া বড় বড় কয়েকটি কারখানায়ও হলমার্কের উন্নতমানের মেশিনগুলো বিক্রি করা হয়েছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের হলমার্কের কারখানার মেশিনারিজ বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বিক্রি করতে কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারও টাকা-পয়সার প্রয়োজন হলেই হলমার্কের কারখানার কিছু না কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রথমদিকে রাতের আঁধারে এসব বিক্রি চললেও পরে দিনের আলোতেও লুটপাট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হলমার্কের যেসব উন্নতমানের মেশিনারিজ ছিল, চাইলে সবকটি কারখানা আবার সচল করা যেত। কিন্তু এখন আর সেটা সম্ভব নয়। কয়েকটি মেশিন থাকলেও দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় তা আর সচল হবে না।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব খামারে একসময় প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার গরু ছিল। এখন কিছুই নেই। তবে পাশেই গরুর খামার গড়ে তুলেছেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব। সেই জমিটি এখন তিনি নিজের বলে দাবি করছেন। যদিও হলমার্ক গ্রুপ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘জমি হলমার্কের। এখন উপজেলা চেয়ারম্যান রাজিব তার বলে দাবি করছেন। এসব নিয়ে কিছু করার নেই।’

জানতে চাইলে সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব কালবেলাকে বলেন, ‘আমার গরুর খামার হলমার্কের জমির বাইরে। এসব জমির বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে আছে।’

কারখানার যন্ত্রপাতিসহ হলমার্কের সম্পদ লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি কি এত দৈন্যদশায় আছি যে, হলমার্কের পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতি বিক্রি করতে হবে। আর এসব মেশিনপত্র কিনবেই বা কে? এরপরও আপনার কাছে কেউ অভিযোগ করলে আপনি যাচাই করে সত্যটা লিখবেন।’

তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা তথ্য’ লিখলে মামলা করবেন বলেও হুমকি দেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান।

সম্পদের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে হলমার্ক গ্রুপের ম্যানেজার এইচ এম শামীম কালবেলাকে বলেন, ‘আমি মূলত মামলার বিষয়গুলো দেখি। গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কারাবন্দি আছেন। জামিনের চেষ্টা করছি।’

হলমার্কের সম্পদ দেখভালের দায়িত্বে কারা আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূলত আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেখভাল করা হয়। নিরাপত্তার জন্য আমাদের নিজস্ব লোক আছে। তারা দায়িত্ব পালন করেন। তবে পর্যাপ্ত লোকজন নেই।’

তিনি বলেন, ‘কারখানা থেকে হলমার্কের পক্ষ থেকে কোনো কিছুই বিক্রি করা হয়নি।’

হলমার্ক গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হক বলেন, ‘আমরা অসহায়! কী করব আমরা? অনেক নিরাপত্তারক্ষী দরকার, কিন্তু টাকার অভাবে রাখতে পারছি না। প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে। থানা-পুলিশকেও জানিয়েছি। কারখানাগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেক কিছু মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যেসব ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল, তারা এগিয়ে এলে অবস্থা এমন হতো না। সরকারের দিক থেকে কোনো উদ্যোগ নিলেও সম্পদ রক্ষা করা যেত।’

তিনি বলেন, ‘গরুর খামার ছিল। সেখানে এখন কিছু নেই। ১০-১২টা লিকলিকে গরু আছে। ঠিকমতো খাবার দিতে পারি না।’

হলমার্কের সম্পত্তি বেহাত হওয়া নিয়ে কথা বলতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বিষয়গুলো আমার জানা নেই। দুদকের যেসব মামলা রয়েছে, আমি শুধু সেগুলো দেখি।’

দুদকের আইনজীবী রুহুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কারাবন্দি। তাদের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে। শিগগির এসব মামলার কার্যক্রম শেষ হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দি, মৃত্যু ৫

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১০

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

১১

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১২

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

১৩

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৪

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

১৫

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৬

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক

১৭

খুবিতে তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনালসে চ্যাম্পিয়ন চবি

১৮

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি সমমনা জোটের

১৯

সিলেট কারাগারেই চিকিৎসা চলছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের

২০
X