দুই সৎভাইয়ের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন ময়মনসিংহের ভালুকার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। মূলত সৎভাইদের ফাঁসাতেই মামলা করেছিলেন কামাল।
পারিবারিক, রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনো বিরোধ কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে এভাবেই হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দায়ের হচ্ছে। তদন্ত পর্যায়েই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় অনেক মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিচ্ছে পুলিশ। আবার অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের মামলা আদালতেও মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে।
গত বছর আগস্টে আইন কমিশনের দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আদালতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের ‘মহামারি’ আকার ধারণ করেছে। এজন্য অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি বিনা কারণে কারাভোগ, অহেতুক হয়রানি ও নানা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে ফৌজদারি মামলায়।’
পুলিশের এক গবেষণা প্রতিবেদনেও মিথ্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে দেশে কী পরিমাণ মিথ্যা মামলা দায়ের হয়, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।
আইনজ্ঞরা বলছেন, মিথ্যা মামলা দায়ের করলে আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। মিথ্যা অভিযোগকারী কিংবা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, ওই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে হবে। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের যদি মনে হয়, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন, তুচ্ছ, বিরক্তিকর বা হয়রানিমূলক এবং আসামির প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে মামলাটি করা হয়েছে, তাহলে এ ধরনের মামলা মিথ্যা হিসেবে গণ্য হবে। মামলা মিথ্যা বা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মামলা দায়েরকারীকে দণ্ড দিতে পারেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট স্বপ্রণোদিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিতে পারেন। আমলযোগ্য নয়—এমন মামলায় কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা প্রতিবেদন দিলে তার বিরুদ্ধেও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট স্বপ্রণোদিতভাবে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বাদী হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করতে পারেন। পুলিশ রেগুলেশন্স বেঙ্গল, ১৯৪৩-এর ২৭৯ ধারা অনুসারে তদন্তকালে কোনো মামলা বিদ্বেষপ্রসূতভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের কাছে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৮২ বা ২১১ ধারা অনুসারে প্রসেস ইস্যুর জন্য আবেদন করবেন বলে বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘২০ থেকে ২৫ বছর আগে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা বড় কোনো সমস্যা ছিল না। এখন এ প্রবণতা বেড়েছে। মিথ্যা মামলা করলে সারা বিশ্বে বাদীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। যদি প্রমাণিত হয় মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা, তাহলে বাদীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করার ব্যবস্থা করতে হবে।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রচলিত আইন অনুযায়ী আদালত থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা মামলাকারীকে শাস্তি দেওয়ার নজির খুবই কম। আবার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলায় উল্লেখ করা ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যা হলেও প্রায় ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে ২১১ ধারায় ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন না। প্রসিকিউশনও মিথ্যা মামলাকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যথাযথ ভূমিকা রাখেন না। অথচ মিথ্যা মামলায় আদালতের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে বিবাদীপক্ষের জীবন হয়ে ওঠে অতিষ্ঠ। কোনো প্রতিকার পান না হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা। মিথ্যা মামলা দায়েরকারীরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশ্য হয়রানির শিকার ব্যক্তি পাল্টা মামলা করতে পারেন। কিন্তু মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন আদালতের বারান্দায় ভোগান্তির পর ফের নতুন মামলায় জড়ানোর মানসিকতা থাকে না।
২০২২ সালে প্রকাশিত পুলিশের করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিথ্যা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ও প্রসিকিউশনের সঠিক উদ্যোগ নেই। আবার কাজের চাপ, মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি, লোকবলের অভাবসহ নানা কারণে আদালতও ২১১ ধারায় করা আবেদন কম মঞ্জুর করে থাকেন। এসব কারণে মিথ্যা অভিযোগের মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রে কাগুজে নিয়মে পরিণত হয়েছে। অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার আকাঙ্ক্ষা কিংবা বাদী-বিবাদীর আপসরফার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা বাদীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চান না। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনের ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতেও কখনো কখনো প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা। গবেষণায় উঠে এসেছে, মিথ্যা অভিযোগের মামলার কারণে আদালতের সময় নষ্ট, বিবাদী আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিচারিক কার্যক্রম নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠছে। আইনের শাসনের প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছে। গবেষণার জন্য সাত মহানগর ও পুলিশের আট রেঞ্জের একটি করে ১৫টি থানা বেছে নেওয়া হয়। এসব থানায় ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দায়ের হওয়া মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে একশ্রেণির মানুষ মিথ্যা মামলার ‘ভাড়াটে’ বাদী হিসেবে কাজ করছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় নারী নির্যাতন, মানব পাচার, অ্যাসিড নিক্ষেপ, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে ৬০টি পর্যন্ত মামলা হয়েছে। এতে বলা হয়, মিথ্যা অভিযোগের ৬২২টি মামলার মধ্যে ১৮৮টি বা ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ হয়েছে চুরির অভিযোগে। মারামারি, হুমকির অভিযোগে ১০ শতাংশের বেশি মামলা হয়েছে। এর বাইরে চাঁদাবাজি, অনধিকার প্রবেশ, আটক, খুনের চেষ্টা, জালিয়াতি, ক্ষতির চেষ্টা, প্রতারণা, নারীর শ্লীলতাহানি, অপহরণ ও আত্মসাতের অভিযোগেও মামলা হয়েছে। বিষ প্রয়োগ, অবৈধ গর্ভপাত, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, খুন, ডাকাতি, দস্যুতা অপরাধে অপেক্ষাকৃত কম মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। অবশ্য ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী খুন কিংবা আত্মহত্যায় সহায়তার অপরাধে কোনো মিথ্যা মামলা হয়নি।
মিথ্যা মামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গবেষণাপত্রে বলা হয়, প্রতিপক্ষকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা; আসামিপক্ষের দায়েরকৃত মামলার দায় থেকে বাঁচার জন্য পাল্টা কৌশল হিসেবে মিথ্যা মামলা করা; জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের; প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা; দায়-দেনা থেকে অব্যাহতি পাওয়া; প্রভাবশালী মহল দুর্বলকে কষ্ট দেওয়ার জন্য; অজ্ঞ বিচারপ্রার্থী টাউট-বাটপাড়দের কুপরামর্শে; রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে এবং আর্থিক লাভের আশায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতের হস্তক্ষেপ:
জানা গেছে, মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে আদালত হস্তক্ষেপ করে থাকেন। তবে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের হস্তক্ষেপ তেমন দেখা যায় না। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার এক ব্যক্তির আবেদনে গত বছর চট্টগ্রামের আদালত এক নারীকে তিন বছরের সাজা দেন। গত বছরের ১১ অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ জয়নাল আবেদিন এ রায় দেন। দণ্ডিত সায়রা বানু চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার আধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা।
ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি জিকো বড়ুয়া বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় সায়রা বানু তার সৎছেলে মাহবুবুল আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় আসামিরা খালাস পান। পরে মাহবুবুল আলম মিথ্যা মামলার অভিযোগে সায়রা বানুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার বিচার শেষে আজ আদালত আসামি সায়রা বানুকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেন।’
এ ছাড়া মিথ্যা মামলা করায় গত বছর হাইকোর্ট এক মামলার বাদীকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। গত বছরের ২৪ আগস্ট বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এ রায় দেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এ কে এম গোলাম ফারুকের কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ দুটি চেক চুরি করে ২০১১ সালে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। পরে সাবেক মালিক কে এম গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর ১ লাখ ৮ হাজার টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে প্রথম মামলাটি করেন। মামলা চলমান সত্ত্বেও ২০১৩ সালে ২০ লাখ টাকা চেক ডিজঅনারের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলা চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের যথাক্রমে যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় এবং সপ্তম আদালতে বিচার হয়। ২০১১ সালে দায়েরকৃত প্রথম মামলাটিতে আসামি এ কে এম গোলাম ফারুকের সাজা হয় এবং ২০১৩ সালে দায়েরকৃত দ্বিতীয় মামলাটিতে আসামি খালাসপ্রাপ্ত হন। পরে খালাস আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন। অন্যদিকে সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আসামি এ কে এম গোলাম ফারুক প্রথমে চট্টগ্রামে আপিল এবং পরে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন। মামলা দুটির একত্রে শুনানি শেষে হাইকোর্ট উভয় মামলায় আসামি এ কে এম গোলাম ফারুককে খালাস প্রদান করেন এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে মামলার আসামি এ কে এম গোলাম ফারুককে হয়রানি করার জন্য বাদী ইউনুসকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
হাইকোর্ট ও আইন কমিশনের সুপারিশ:
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা কমাতে কয়েকটি সুপারিশ করেছে আইন কমিশন। গত বছর ২৯ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কমিশনের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলা দায়ের করার সময় মিথ্যা, ফলহীন ও হয়রানিমূলক মামলা করার বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। নালিশি মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে মামলার আবেদনকারী ব্যক্তির (ফরিয়াদি) অভিযোগ যাচাইয়ের মাধ্যমে মামলার রক্ষণীয়তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলা দায়ের হলে বাদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের ২১১ ধারার আওতায় মামলা করার বাধ্যবাধকতা আনতে হবে এবং দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এতে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রবণতা কমবে এবং মামলার সংখ্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।
আইন কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা রোধে প্রচলিত আইন, বিশেষ করে পেনাল কোড ও কোড অব সিভিল প্রসিডিউরের ক্ষতিপূরণ-সংক্রান্ত সংস্কার করা জরুরি। মিথ্যা মামলা দায়েরের কারণে যেসব নিরপরাধ ব্যক্তিকে কারাগারে আটক থাকতে হয়েছে, তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইনি পরিকাঠামো প্রণয়ন করাও আবশ্যক। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের আদলে মিথ্যা, হয়রানিমূলক, অযৌক্তিক ও হেতুবিহীন দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ/খরচ প্রদান-সংক্রান্ত আইন ও বিধি প্রণয়ন করার সুপারিশ করেছেন হাইকোর্ট। মো. জালাল উদ্দিন মিয়া ও অন্যান্য বনাম আলহাজ আবদুল আওয়াল ও অন্যান্য মামলার রায়ে এমন পরামর্শ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল। এক সিভিল রিভিশনের ওপর জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই রায় দেন।