রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা। এই এলাকার মান্দাইল মসজিদ ঘাটের পাশে নদীর পাড় ঘেঁষে কয়েকটি টিনশেড বাড়ি। স্বাভাবিকভাবে দেখে মনে হবে বস্তি এলাকা। তবে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য হলো, এসব বাড়িতে উৎপাদন করা হচ্ছে বিশ্বখ্যাত নানা ব্র্যান্ডের চকলেট এবং ট্যাং। একজন শ্রমিকের আত্মীয় সেজে একটি কারখানায় গিয়ে দেখা মেলে রোলানা, কিটক্যাট, লাভ ক্যান্ডি, সাফারি, ফাইভ স্টার, ক্যাডবেরি, বাবলিসহ নানা ব্র্যান্ডের চকলেট। নকল মোড়কে আবৃত এসব চকলেট দেখতে ঠিক আসলের মতোই।
কেবল এই একটিই নয়, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়রা বলছেন, জিনজিরা এলাকায় এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের নামি খাদ্যপণ্য উৎপাদন হয় নকল মোড়কে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ভেজাল উপাদান মিশিয়ে এসব পণ্য তৈরি হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় বিদেশি পণ্য হিসেবেই।
৪৩৩ একরের জিনজিরা ইউনিয়নের ২৩টি গ্রামে লক্ষাধিক লোকের বাস। এখানকার ঘিঞ্জি পরিবেশে অলিগলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভেজাল ও অনিরাপদ পণ্য উৎপাদনের কারখানা। এসব কারখানায় দিনরাত চলে বিভিন্ন অনিরাপদ পণ্যের উৎপাদনযজ্ঞ। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালালেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না অনৈতিক এই কর্মকাণ্ড। জিনজিরার পাশেই কামরাঙ্গীরচর, সাভারসহ রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে দেদার চলছে বিভিন্ন নকল পণ্যের উৎপাদন। আর এসব পণ্য কিনে প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। নকল ও নিম্নমানের এসব পণ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য।
চরম হুমকির মুখে পড়ছে শিশুদের স্বাস্থ্য।
জিনজিরা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাত নামলেই অনেক বাড়িতে চলে নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চকলেট ও ট্যাং তৈরির কাজ। রাত যত গভীর হয় তাদের কর্মযজ্ঞ তত বাড়তে থাকে। তখন নানা ধরনের কেমিক্যালের ঝাঁজালো গন্ধে আশপাশের বাড়িতে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টিনশেডের এসব বাড়ির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় ‘লাভক্যান্ডি’। এ ছাড়া আরও কয়েক ধরনের চকলেট তৈরি করা হয় এই বাড়িগুলোতে। পাশেই আর একটি কক্ষে রং আর কেমিক্যালে মিশিয়ে তৈরি করা হয় ট্যাং। দিনের বেলা এসব বাড়িতে থাকে সুনসান নীরবতা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে নদীর পাড় ঘেঁষে তৈরি এসব বাড়ি।
গত ২৬ মার্চ দুপুরে বুড়িগঙ্গার ওয়াকওয়ে ঘেঁষে গড়ে ওঠা একটি বাড়িতে যান এ প্রতিবেদক। অভিযোগ রয়েছে, জামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি ওই বাড়িতে গড়ে তুলেছেন নকল চকলেট এবং ট্যাং তৈরির কারখানা। সরেজমিন তাকে পাওয়া না গেলেও সেখানে দেখা মেলে নকল খাদ্যপণ্য তৈরির কর্মযজ্ঞ। ভেজা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে উৎপাদন হচ্ছে নানা শিশুখাদ্য।
এ ছাড়া জিনজিরায় বিভিন্ন স্থানে নিভিয়া, ভেসলিন, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি, ডাভ, সানসিল্ক, গার্নিয়ার, হিমালয়, ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার, পেনটিন, হ্যাভক প্রভৃতি নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী তৈরি করা হয়। মোড়কে মেড ইন আমেরিকা, দুবাই, ইউকে, ভারত ইত্যাদি লেখা এসব পণ্য দেশের নামিদামি শপিংমলেও বিক্রি করা হয়।
জানতে চাইলে একজন ব্যবসায়ী কালবেলাকে বলেন, এসব নকল পণ্য হাজি একরাম উল্লাহ মার্কেট, ওয়াহেদ ম্যানশন, মুনসুর খান প্লাজা, দেলোয়ার প্লাজা, খান মার্কেট, তাজমহল মার্কেট, খাতুন মার্কেট, আশিক টাওয়ার, জাহাঙ্গীর মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হয়।
আর এক বিক্রেতা বলেন, ‘ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় গড়ে উঠেছে নকল পণ্যের অত্যাধুনিক সব কারখানা। এসব কারখানায় এমন কোনো পণ্য নেই যা নকল হয় না। দামে সস্তা পেয়ে দোকানিরা এসব কিনছেন এবং ক্রেতাদের আসল বলেই বিক্রি করছেন। এতে দোকান মালিক অতিরিক্ত লাভ করলেও প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাটাসুর এলাকার ঢাকা রিয়েল এস্টেট হাউজিংয়ের ৩ নম্বর রোড। এই রোডের ৬৬ নম্বর বাড়ির নিচতলায় রয়েছে একটি নকল সস তৈরির কারখানা। ৬ তলা এই ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাটগুলোতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের টমেটো ও তেঁতুলের সস। এ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটির নামেও রয়েছে নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘আরিফা তেঁতুল সস’ ‘আরিফা টমেটো সস’। এই কারখানা থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, কৃষি মার্কেট, হাজারীবাগ এলাকার সব হোটেল এবং দোকানে সস সরবরাহ করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের চাহিদামতো লোগো সংবলিত সস তৈরি করে দেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, নিচতলার তিনটি ফ্ল্যাটই ভেতর থেকে আটকানো। তবে ভেতরে ফ্যান ঘোরার এবং কাজ করার শব্দ শোনা যায়। দরজার নক করলেই ভেতরে সব নীরব হয়ে যায়। এরপর প্রায় ২০ মিনিটের মতো বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ কোনো সাড়াশব্দ করেনি।
পাশের এক ব্যবসায়ী জানান, এই বাড়িতেই দিনরাত নিচতলার ফ্ল্যাটগুলোতে সস তৈরি করা হয়।
আরেক ব্যবসায়ী জানান, এই সস কারখানার মালিক আরিফ নামে একজন। তিনি এখন মসজিদে এতেকাফে আছেন।
এ ছাড়া সাভারের বাড্ডা, নামাবাজার ও ভাটপাড়া এলাকায় মিষ্টির পচা গাদের সঙ্গে সুজি ও চিনি মিশিয়ে বানানো হয় উৎসব আয়োজনের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত সন্দেশ। এই এলাকায় ছোট ছোট বাসাবাড়ির ভেতরে তৈরি করা হয় এসব সন্দেশ। একটি কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, প্লাস্টিকের ড্রামে করে পচাগলা মিষ্টি, গাদ ভরে রাখা হয়েছে। পাশেই কয়েকজন নারীকে ফ্লোরে ফেলে হাতে হাতে সন্দেশ প্যাকেট করতে দেখা যায়। কারখানার ভেতরে গিয়ে এক শ্রমিককে এসব সন্দেশ খেতে বললে তিনি রাজি হননি।
পাশেই আরও কয়েকটি কারখানার খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব সন্দেশ বানাতে দেখা গেছে। এগুলোর প্যাকেটে উপাদান হিসেবে লেখা আছে দুধ, চিনি, নারিকেল, এলাচ ও দারচিনি। তবে কারখানায় এসব উপাদানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। সব ফ্যাক্টরিতেই অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব সন্দেশ তৈরি হচ্ছে। একজন শ্রমিক বলেন, মিষ্টির গাদ এবং সুজি দিয়ে এসব সন্দেশ বানানো হয়।
তবে এসব কারখানায় খোঁজ করে মালিকদের পাওয়া যায়নি। এমনকি কেউ তাদের টেলিফোন নম্বরও দিতে রাজি হননি। তবে একটি কারখানার সুজন নামে একজনের দেখা মেলে। তিনি নিজেকে সেখানকার ম্যানেজার পরিচয় দেন। জানতে চাইলে সুজন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টির শিরা কিনে এনে নগদ নগদ বানিয়ে ফেলি। তিনি সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘ছোট থেকে এ কাজই শিখছি। এখন এটা করতে না পারলে মইরা যাইতে হবে। এখন আপনারা খবর প্রকাশ করলে যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কই যাব?’
এ ছাড়া দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় পচা, নষ্ট, লেবেলবিহীন খেজুর, সেমাই এবং অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমার উৎপাদন কারখানা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হাবিবা ফুড প্রোডাক্টস, সাইফুল ফুড প্রোডাক্টস, আর টি আর কেবল লিমিটেড, বেটকো পাওয়ার লিমিটেড ও সিটি আইস অ্যান্ড কোল্ডস্টোরেজ। গত ২০ মার্চ এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গত ২২ মার্চ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে সরেজমিন ঘুরে সাফওয়ান হাসপাতাল গলিতে কদমফুল সেমাই কারখানা, খালপাড় রোডের কবুতর হাট সংলগ্ন মিতালি সেমাই কারখানা, মাদ্রাসাপাড়া সংলগ্ন তিতাস সেমাই কারখানা, নাসির ফুড কারখানা নামের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদন করতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেট্রোপলিটনের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মেহরীন যারীন তাসনিম কালবেলাকে বলেন, ‘যখনই যেখানে ভেজাল খাদ্যের তথ্য পাচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করছি। মনিটর করছি, জরিমানা করছি। তবে সমস্য হলো, একবার জরিমানা করা হলে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জায়গা বদল করে অন্যত্র আবার ব্যবসা শুরু করে, যে কারণে জরিমানা করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অসম্ভব। এজন্য দরকার সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক মূল্যবোধ। এ দিকটি বিবেচনা করেই আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
এদিকে নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল ও নকল পণ্য কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। ভেজাল খাদ্যের প্রভাবে মানবদেহে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগ। বিশেষ করে এসব ভেজাল পণ্যে শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে, অনিরাপদ খাদ্য থেকে মানবদেহে দুইশর বেশি অসুখ হতে পারে।
জানা গেছে, ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সংশ্লিষ্ট রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেজাল খাদ্যের কারণে প্রতি বছর দেশে কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ ক্যান্সারে, ২ লাখ মানুষ কিডনি রোগে এবং দেড় লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও ১৫ লাখ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হচ্ছে।
জানতে চাইলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘সব নকল খাবারেই কেমিক্যাল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া নকল খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য টেস্টিং সল্ট দেওয়া থাকে, প্রচুর পরিমাণ চিনি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ধরনের রংও দেওয়া থাকে। এসব কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বাংলাদেশে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গঠন করা হয়। বিএফএসএর আইনে বলা হয়েছে, ‘খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ’ করবে বিএফএসএ। তবে প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি সংস্থাটি। বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১তম।
জানা গেছে, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে ১৮টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪৮৬টির বেশি প্রতিষ্ঠান জড়িত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখে, এমন আরও অসংখ্য দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এখনো এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঠিকঠাক সমন্বয় করে উঠতে পারেনি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া দেশে হোটেল-রেস্তোরাঁর খাদ্যের নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গ্রেড দেয় বিএফএসএ। খাবারের মান খুব ভালো হলে ‘এ প্লাস’, ভালো হলে ‘এ’, গড়পড়তা হলে ‘বি’ এবং গড়পড়তার নিচে গেলে ‘সি’ অথবা গ্রেড দেওয়া হয় না। তবে গত পাঁচ বছরে সারা দেশে মাত্র ৩০৬টি রেস্তোরাঁকে গ্রেড দিতে পেরেছে সংস্থাটি। অথচ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী দেশে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৪ লাখের বেশি।
এ ছাড়া ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে বিএফএসএ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও তা যথেষ্ট নয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেলিভিশন ক্যামেরা নিয়ে এ ধরনের লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। এর জন্য সংস্থাটিকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
যোগাযোগ করা হলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জাকারিয়া কালবেলাকে বলেন, ‘এটি একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। জনবল কম। তবে এই সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো জেলা পর্যায়ে আছি, উপজেলা পর্যায়ে ঢুকতে পারিনি। আমরা উপজেলা পর্যায়ে ঢুকতে পারলে হয়তো আরও জোরালো অভিযান পরিচালনা করতে পারব। তখন ভেজাল ও নকল পণ্য নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে।’