জাকির হোসেন লিটন
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৮ এএম
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নির্বাচনী হলফনামা

তথ্য গোপন করেও পার পেয়েছেন প্রার্থীরা!

দ্বাদশ সংসদ
তথ্য গোপন করেও পার পেয়েছেন প্রার্থীরা!

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। তবে যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মামলা ও ঋণের তথ্য গোপন করেছেন। নির্বাচনী লড়াইয়ে ফিরতে গতকাল তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।

হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় একই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আহসান উল্লাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ আলীর মনোনয়নও বাতিল করা হয়। নোয়াখালী-৩ আসনে হলফনামায় মামলার তথ্য উল্লেখ না থাকায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তথ্য গোপনের অভিযোগে এভাবে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে সবক্ষেত্রে এই পন্থা অনুসরণ করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তথ্য গোপন করার পরও বহাল রয়েছে অনেকের প্রার্থিতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলফনামায় তথ্য গোপন করলেও বাছাইয়ে পার পেয়ে গেছেন ঝালকাঠি-১ আসনের আলোচিত নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ আসনের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী, নোয়াখালী-৪ আসনের প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ও কুমিল্লা-১০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জোনাকী হুমায়ূনসহ অনেকে। সংশ্লিষ্ট এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তা এসব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, এবারের নির্বাচনে ২ হাজার ৭১৬ প্রার্থীর মধ্যে তথ্য গোপন, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর, ঋণখেলাপিসহ নানা কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বতন্ত্রসহ ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বাকি ১ হাজার ৯৮৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন বাতিল ও বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে চলা আপিল আবেদন আজ শনিবার শেষ হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৪৩১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছেন। আগামীকাল রোববার থেকে এসব আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গণপ্রতিনিধি আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ১২ (৩বি) অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে হলফনামা সংযুক্ত করে জমা দিতে হয়। সেখানে প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফৌজদারি মামলার তথ্য, প্রার্থীর পেশা, প্রার্থী ও তার ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের উৎস, দায়ের বিবরণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণসহ ৮ ধরনের তথ্য দিতে হয়। এর মধ্যে কোনো তথ্য গোপন বা গরমিল বা এ আইনের বিধান প্রতিপালিত না হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে বা কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থীদের দেওয়া তথ্যের বিষয়ে একেক এলাকায় একেক রকম পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। কোনো কোনো জেলায় তথ্য গোপনের অভিযোগে প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও অনেক প্রার্থীর মনোনয়নের বৈধতা দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নির্বাচন বিশ্লেষকরা একে রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা নির্বাচন কমিশনের দ্বিমুখী আচরণ বলে মত দিয়েছেন। যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে, কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিলের সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর তার বিরুদ্ধেও অন্য প্রার্থী বা ভোটাররা আপিল করতে পারেন। সেখানে শুনানির মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া শাহজাহান ওমর এবারের হলফনামায় তার বিরুদ্ধে এক-এগারোর সময় দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ উপার্জনের মামলায় সাজা পাওয়া এবং বর্তমানে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে দুটি তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে তথ্য উল্লেখ করেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় রাজাপুর ও ঢাকার ২০০৭ সালের দুটি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এর মধ্যে রাজাপুর থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে খালাস এবং ঢাকার গুলশান থানার মামলায় খালাসের পর উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। এসব তথ্য গোপন করলেও তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ঝিনাইদহ-১ আসনে টানা চারবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আব্দুল হাই এবারের হলফনামায় তার কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাটের তথ্য দেননি। যদিও বর্তমানে রাজধানীর পূর্বাচলে সাড়ে ৭ কাঠার প্লট ও ডেমরায় ১৫ শতক জমি, ৫ বিঘা কৃষি জমিসহ অঢেল সম্পদ রয়েছে তার। তবে এসব তথ্য গোপন করলেও তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সম্পদ বিবরণী তুলে ধরলেও এবারের হলফনামায় কোনো তথ্যই দেননি। অনেকটা অসম্পূর্ণ হলফানামায় তিনি সম্পদ বিবরণীর তথ্যের জায়গায় শুধু ‘আয়কর রিটার্নে উল্লিখিত ও সংযুক্ত’ এ বাক্যটি লিখে দিয়েছেন। এর পরও তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর হলফনামায় স্ত্রীর নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কিংবা কোনো টাকাপয়সা নেই বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ চার বছর আগে কবিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার সময় তার স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলী হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, ৩ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ রয়েছে তার। ২০১৯ সালের অক্টোবরে কবিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুন নাহার শিউলী হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, তিনি শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটর ও ট্রান্সপোর্টের ব্যবসায় জড়িত। ব্যবসা থেকে তার বছরে আয় ৮৭ লাখ ৫০ হাজার ৯২৮ টাকা। এ ছাড়া শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, আমানত থেকে বছরে আয় ১ লাখ ৩০ হাজার ৭০৩ টাকা, নিজের পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও অন্যান্য খাতে আয় ৯ লাখ ৪ হাজার ৬৬ টাকা। নিজের নামে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৩ কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে তার। এবার নির্বাচনে স্ত্রীর সেই সম্পদের তথ্য গোপন করেও বৈধ প্রার্থী হন একরাম।

হলফনামায় স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদের তথ্য না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে একরামুল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমি সাংবাদিককে কেন এই তথ্য দেব?

নির্বাচনী হলফনামায় ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপন করায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনজুর আলম। তিনি উল্লেখ করেন, যাচাই-বাছাইয়ের সময় চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপত্তি তোলা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা তা আমলে না নিয়ে প্রার্থীর দাখিলকৃত হলফনামা প্রদর্শন না করে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনজুর আলম বলেন, ‘ফৌজদারি মামলা থাকলেও প্রার্থীর দাখিলকৃত হলফনামায় বিষয়টি গোপন করান হয়েছে। এ ছাড়া প্রার্থী হলফনামায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত অর্থের তথ্য গোপন করেছেন। বিষয়টি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তিনি আমলে নেননি। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও প্রার্থী মো. মুজিবুল হক চুন্নুর মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে আপিল করেছেন নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান। তিনি অভিযোগ করেন, ‘রুপালী ব্যাংক পুরানা পল্টন, করপোরেট শাখা থেকে ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টার মো. মুজিবুল হক দীর্ঘদিন ঋণখেলাপি হিসেবে আছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টের এ তথ্য গোপন করে মনোনয়নের জন্য কাগজপত্র দাখিল করেছেন তিনি। এর পরও তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’

কুমিল্লা-১০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জোনাকি হুমায়ুন হলফনামায় তথ্য গোপন করেও রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হয়েছেন। এনআইডির তথ্যে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক (দাখিল পাস) হলেও হলফনামায় তিনি নিজেকে স্বশিক্ষিত উল্লেখ করেছেন। অথচ একই অভিযোগে কুমিল্লা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া হলফনামায় তথ্য গোপন করলেও তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তার ব্যাংক হিসাব নম্বরে টাকা থাকা সত্ত্বেও হলফনামায় তিনি টাকা নেই উল্লেখ করেছিলেন। অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, জনতা ব্যাংকের মুড়াপাড়া শাখায় শাহজাহান ভূঁইয়ার ব্যাংক হিসাব নম্বরে চলতি বছরের জুলাই থেকে গত ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত লেনদেন ছিল। এখনো ওই হিসাবে সঞ্চিত রয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৩ টাকা। এ ছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের কাঞ্চন শাখা থেকে শাহজাহান ভূঁইয়া ও তার ছেলে সাইফুল ইসলাম চলতি বছরেই দুই ভাগে ৭০ লাখ টাকা যৌথ ঋণ নিয়েছেন, যা ব্যাংকের ওই শাখায় তাদের হিসাব নম্বরে লেনদেন করা হয়।

এভাবে তথ্য গোপন করা কোনো কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করলেও অনেক প্রার্থীকেই বৈধতা দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হলফনামায় প্রার্থীরা যেসব তথ্য দেন, তা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই হয় না। এ ছাড়া যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যে সময় দেওয়া হয়, তা যথেষ্ট নয়। ফলে অনেক প্রার্থীর পক্ষে তথ্য গোপনের সুযোগ থেকে যায়। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনার অভাব ও রিটার্নিং কর্মকর্তার অজ্ঞতার কারণেও সঠিক সিদ্ধান্ত আসে না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা ইচ্ছাকৃতভাবেও বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন। সেজন্য এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার কালবেলাকে বলেন, ‘প্রার্থীরা হলফনামায় যে তথ্যগুলো দেন, তা শতভাগ সঠিক নয়। অনেকক্ষেত্রে তারা তথ্য গোপন করেন। আবার অনেকে মিথ্যা তথ্যও দেন। কেউ আবার বিভ্রান্তিমূলক তথ্যও দিয়ে থাকেন। এগুলোর কোনো নির্ভরযোগ্যতা নেই। এসব তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার। কিন্তু তারা তা না করে অনেক সময় আজ্ঞাবহ হয়ে নিজেদের মর্জিমতো সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন বলে অভিযোগ আছে। এতে প্রার্থীরা শুরুতেই ইসির দ্বিমুখী আচরণ ও হয়রানির শিকার হন।’

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘প্রার্থিতা বাতিল কিংবা বৈধতা দেওয়া—দুটির বিরুদ্ধেই আপিলের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধরা আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির মাধ্যমে অবশ্যই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। এর পরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সব রেকর্ড ভাঙল সোনার দাম

সুখবর পেলেন কঙ্গনা, সিনেমা মুক্তিতে নেই কোনো বাধা

মাদারীপুরে ‘কোপা শামসু’ গ্রেপ্তার

রাতের অন্ধকারে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, ৬ বাংলাদেশি আটক

এবার গাজার যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেবেন যিনি

ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ ২ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা

নির্বাচন কবে হতে পারে, জানালেন আসিফ নজরুল

মুক্তি পেল দুই সিনেমা

মধ্যরাতে ৩০০ ফিট সড়কে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান

নোয়াখালীতে দখলমুক্ত ফুটপাত, ব্যবসায়ীদের জরিমানা

১০

একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই

১১

ছিলেন জন্মগত বয়রা, গ্রেনেড হামলার ভুক্তভোগী সেজে ‘আওয়ামী গডফাদার’

১২

গাজার যোদ্ধাদের প্রধান নিহত, যা বলছে পশ্চিমা বিশ্ব

১৩

ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ যুবদলকর্মীর বিরুদ্ধে

১৪

মন খারাপ হলেই বিল্লাল দখলে নিতেন অন্যের সম্পদ

১৫

কে এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার

১৬

খাতা না দেখেই মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

১৭

দেশের ৬ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

১৮

চিলমারীতে নদীতে ৫০০ হেক্টর জমি, নিঃস্ব ৩০০ পরিবার

১৯

বায়তুল মোকাররম মসজিদে নতুন খতিব নিযুক্ত 

২০
X