আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সন্ত্রাসীদের তালিকা করে সে অনুযায়ী গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রোববার জারি করা ইসির পরিপত্র-৯-এ এসব নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি বিষয় নিশ্চিত করতে নির্দেশনায় দেওয়া হয়।
সেগুলো হলো—সব শ্রেণির ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার অবাধ ও নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন, তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদের সঙ্গে সত্বর এক বা একাধিক বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে; আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাওয়া, কারও অভিযোগ থাকলে তা দ্রুত তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া; নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের ভোটার, বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করা, এ উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে ভোটারদের আগে থেকে নিশ্চিত করতে উপযুক্ত প্রচারের ব্যবস্থা করা। ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে হবে, সন্ত্রাসীদের তালিকা করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে হবে, ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে চলেন এবং কোনো তিক্ত, উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন কিংবা অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা কেউ যাতে নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক যেন বজায় থাকে, তার নিশ্চয়তা বিধানে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাওয়া এবং প্রয়োজনবোধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।