দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা। দলের মনোনয়ন চেয়ে বিমুখ হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন তারা। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের কিয়েক শ’ বিদ্রোহী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে শুরু করে দলের হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়ে গেছেন এক বা একাধিক নেতা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী যেমন আছেন, তেমনি আছেন বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময়। এদিন সারা দেশেই উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগসহ নিবন্ধিত ৩০টি দলের প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সারা দেশে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ২৯৮ জন। এ ছাড়া দলটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।
দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র, নাকি বিদ্রোহী প্রার্থী—এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘যারা নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিলে হবেন বিদ্রোহী। আর যারা মনোনয়ন চাননি, কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেবেন, তারা হবেন স্বতন্ত্র।’
জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কৌশল হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রতিটি আসনে ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়া কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে এলে তার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এতে প্রতিটি আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার হিড়িক পড়েছে—যা নির্বাচনের চিরচেনা পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকায় এবার বেশ কিছু নতুন মুখ এসেছেন। আর বাদ পড়েছেন তিন প্রতিমন্ত্রীসহ ৭১ জন সংসদ সদস্য। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তাদের অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া দলের মনোনয়ন চেয়ে পাননি—এমন নেতারাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
বরগুনা-১ আসনে দলের মনোনীত ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক ছাত্রনেতা খলিলুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম সরোয়ার ফোরকান।
দিনাজপুর-১ আসনে মনোরঞ্জন শীল গোপালের বিরুদ্ধে প্রার্থী বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া জাকা ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হুসাইন বিপু। দিনাজপুর-২ আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আনোয়ার চৌধুরী জীবন, দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিমের বিপরীতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ। দিনাজপুর-৪-এ আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারিকুল ইসলাম তারিক। দিনাজপুর-৫ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের বিরুদ্ধে লড়বেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) তোজাম্মেল হক ও হযরত আলী বেলাল। দিনাজপুর-৬ আসনে শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক এমপি ড. আজিজুল হক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে প্রার্থী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ফারুক খান। এই জেলায় দলটির কেউ স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হননি।
জয়পুরহাট-১ আসনে সামছুল আলম দুদুর বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জয়পুরহাট-২ আসনে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী বিদ্রোহী প্রার্থী।
মাদারীপুর-৩ আসনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য তাহমিনা বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. বীরেন শিকদারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন মশিয়ার রহমান ও কর্নেল (অব.) কাজী শরিফ উদ্দিন।
পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের কার্যকরী সদস্য আকতারুজ্জামান।
ঝালকাঠি-১ আসনে দলীয় প্রার্থী বিএনপি থেকে সদ্য যোগ দেওয়া শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ফেনী-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী আবুল বাশারের বিরুদ্ধে সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার এবং সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বান্দরবানের একমাত্র আসনে বীর বাহাদুর উশৈ সিং এর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মংঙোয়েপ্রু।
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব।
মেহেরপুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেনের বিপরীতে বিদ্রোহী আব্দুল মান্নান, মিয়াজান আলী, ইয়ারুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদিন। মেহেরপুর-২ আসনে আবু সালেহ নাজমুল হক সাগর নৌকার প্রার্থী। আর বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, মোহাম্মদ মকবুল হোসেন, মোখলেসুর রহমান মুকুল, আশরাফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম বাদশাহ, রাশেদুল হক জুয়েল।
রাঙামাটির একমাত্র আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দীপংকর তালুকদারের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের আরেক নেতা উষাতন তালুকদার।
লালমনিরহাট-১ মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান রয়েছেন। লালমনিরহাট-২ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক। লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্কর।
শেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী ছানুয়ার হোসেন ছানু ও মুখলেছুর রহমান আকন্দ। শেরপুর-২ আসনে দলের সভাপতিমণ্ডলীল সদস্য মতিয়া চৌধুরীর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ। শেরপুর-৩ এ ডি এম শহিদুল ইসলামের বিপরীতে মোহসিনুল বারী রুমি, মিজানুর রহমান রাজা, এইচ এম ইকবাল হোসেন অন্তর ও এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন, হাবিবুর রহমান পবন, এম এ গোফরান ও মো. শাহাবুদ্দিন প্রার্থী হয়েছেন । লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এ এফ জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের চৌধুরী রুবিনা ইয়াসমিন লুবনা ও এ এফ জসীম উদ্দিন।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে গোলাম ফারুক পিঙ্কুর বিরুদ্ধে প্রার্থী এম এ সাত্তার, আবুল হাশেম, মনীন্দ্র কুমার নাথ, বেলায়েত হোসেন বেলাল, মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন ও খোকন চন্দ্র পাল। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ফরিদুন্নাহার লাইলীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়েছেন মাহামুদা বেগম, মাহাবুবুর রহমান ও ইস্কান্দার মির্জা শামীম।
ঢাকা-২ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ। চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিদ্রোহী হিসেবে বর্তমান এমপি দিদারুল আলম এবং মোহাম্মদ ইমরান মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ দুজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র মনজুর আলম। চট্টগ্রাম-১১ আসনে চসিক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
রাজবাড়ী-১ আসনে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক বিশ্বাস, স্বপন কুমার সরকার, মান্নান মুসল্লি, আশিশ আকবর ছবির ও সুলতান মনোনয়নপত্র জমা দেন। রাজবাড়ী ২ আসনে জিল্লুল হাকিম ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক রয়েছেন।
শরীয়তপুর-১ আসনে ইকবাল হোসেন অপুর সঙ্গে স্বতন্ত্র হিসেবে মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা মনোনয়নপত্র জমা দেন। শরীয়তপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী এ কে এম এনামুল হক শামীমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী খালেদ শওকত আলী, রয়েছেন। শরীয়তপুর-৩ আসনে নাহিম রাজ্জাকের বিপরীতে বিদ্রোহী কেউ নেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম রাব্বানী ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ নৌকার প্রার্থী মুহা. জিয়াউর রহমান ছাড়াও বিদ্রোহী সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও খুরশিদ আলম বাচ্চু। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. গোলাম রাব্বানী।
ফরিদপুর-১ আসনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফরিদপুর-২ আসনে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া ও আসমা শহীদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফরিদপুর-৩ আসনে শামীম হকের বিপরীতে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ. কে. আজাদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এবং স্বতন্ত্র আলমগীর কবির মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বগুড়া-১ আসনে সাহাদারা মান্নানের বিরুদ্ধে শাহাজাদী আলম লিপি, মোস্তাফিজার রহমান শ্যামল, বগুড়া-২ আসনে তৌহিদুর রহমান মানিক ছাড়াও আকরাম হোসেন বিদ্রোহী, বগুড়া-৩ আসনে সিরাজুল আলম খানের বিরুদ্ধে অজয় কুমার সরকার, ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ, খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী ও এরশাদুল হক টুলু বিদ্রোহী, বগুড়া-৪ আসনে হেলাল উদ্দিন কবিরাজের বিরুদ্ধে মোশফিকুল ইসলাম কাজল বিদ্রোহী ও বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপুর সঙ্গে বিদ্রোহী আব্দুল মান্নান আকন্দ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, গাজীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী রুমানা আলী টুসি ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর-৪ আসনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমির বিরুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমেদের ভাগ্নে আলম আহমেদ, গাজীপুর-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির বিরুদ্ধে সাবেক সংসদ সদস্য আখতার উজ্জামান বিদ্রোহী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জামালপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান, সানোয়ার হোসেন বাদশা ও আব্দুর রশিদ৷ জামালপুর-৫ আসনে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী রেজাউল করিম রেজনু ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।
যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ আফিল উদ্দিন ছাড়াও স্বতন্ত্র আশরাফুল আলম লিটন, নাজমুল হাসান ও সোহরাব হোসেন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যশোর-২ আসনে ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মনিরুল ইসলাম ও এসএম হাবিবুর রহমান। যশোর-৩ আসনে কাজী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মিলন ও মোহিত কুমার নাথ। যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের এনামুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বর্তমান সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায় ও সন্তোষ অধিকারী। যশোর-৫ আসনে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম ইয়াকুব আলী, হুমায়ুন সুলতান, আমজাদ হোসেন লাভলু ও কামরুল হাসান বারী। যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম আমির হোসেন, হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম।
ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস।
ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও নাসের শাহরিয়ার জাহেদী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঝিনাইদহ-৩ আসনে সালাহ উদ্দিন মিয়াজীর বিরুদ্ধে নাজিম উদ্দিন ও শফিকুল আজম খান চঞ্চল স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বিরুদ্ধে আব্দুর রশিদ স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
নোয়াখালী-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এইচ এম ইব্রাহিম ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে দুইজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। নোয়াখালী-২ নৌকার মোরশেদ আলম ও বিদ্রোহী প্রার্থী ৪ জন, নোয়াখালী-৩ আওয়ামী লীগের মামুনুর রশিদ কিরন ও বিদ্রোহী প্রার্থী ৩ জন, নোয়াখালী-৪ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী একজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নোয়াখালী-৬ আসনে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌস মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহমেদ ফিরাজ কবীর ও বিদ্রোহী সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু, পাবনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মকবুল হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাষ্টার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
রাজশাহী-১ বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী, আখতারুজ্জামান, শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার, নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া (মাহিয়া মাহি) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাজশাহী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী কামাল, স্বতন্ত্র হিসেবে রেজাউনন্নবী আল মামুন, আশরাফুল আলম ফাহিম, কামরুল হাসান ও শফিকুর রহমান বাদশা। রাজশাহী-৩ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিন ও আব্দুস সালাম খান। রাজশাহী-৪ বর্তমান এমপি এনামুল হকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র তার স্ত্রী তহুরা হক, আবুল কালাম আজাদ ও আবু তালেব প্রামাণিক। রাজশাহী-৫ আওয়ামী লীগের কাজী আব্দুল ওয়াদুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বর্তমান এমপি মুনসুর রহমান, আহসানুল হক মাসুদ ও ওবায়দুর রহমান। রাজশাহী-৬ বর্তমান এমপি শাহরিয়ার আলম ছাড়াও বিদ্রোহী রায়হানুল হক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রংপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের রেজাউল ইসলাম রাজু এবং দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আসাদুজ্জামান বাব। রংপুর-২ থেকে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ছাড়াও বিদ্রোহী বিশ্বনাথ সরকার বিটু ও সুমনা আক্তার লিলি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তুষার কান্তি মণ্ডল। রংপুর-৪ আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি ছাড়াও হাকিবুর মাস্টার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রংপুর-৫ রাশেক রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করছেন জাকির হোসেন। রংপুর-৬ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভির শাকিল জয়ের বিরুদ্ধে গোলাম মোস্তফা তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৩ ডা. আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে শরিফুল আলম খন্দকার, সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল হালিম খান দুলাল ও স্বপন কুমার রায় স্বতন্ত্র প্রার্থী। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আব্দুল মোমিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও নুরুল ইসলাম সাজেদুল। সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে চয়ন ইসলামের বিরুদ্ধে হালিমুল হক মীরু স্বতন্ত্র প্রার্থী।
সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-২ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফুর রহমান সোহেল, মোশাহিদ আলী, ইকবাল হোসেন ও মুহিবুর রহমান, সিলেট-৩ আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএমএর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মাসুক উদ্দিন আহমদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আহমদ আল কবির মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
কক্সবাজার-১ আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি ও বিদ্রেহী প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কক্সবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। কক্সবাজার-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আকতার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে সোহেল আহমদ বাহাদুর এবং মো. নুরুল বশর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ ছাড়া স্বতন্ত্র হিসেব রুবেল মিয়া ও শামীম আহমদ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের সুব্রত পাল। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে নাজমুল হাসান পাপন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং মো. শাহাবুদ্দীন, মোহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, বিদ্রোহী হিসেবে ফারুক আহমেদ খান ও মাহমুদুল হক সায়েম, ময়মনসিংহ-২ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বিদ্রোহী হিসাবে আফতাব উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মনোয়ার হোসেন খান পাঠান ও আবু বকর ছিদ্দিক। ময়মনসিংহ-৩ আসনে নীলুফার আনজুম পপি, বিদ্রোহী হিসেবে বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, নাজনীন আলম, শরীফ হাসান অনু, একেএম আব্দুর রফিক, মুর্শেদুজ্জামান সেলিম, সোমনাথ সাহা, ডা. মো. মতিউর রহমান ও আব্দুল আজিজ। ময়মনসিংহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্ত, বিদ্রোহী আমিনুল হক শামীম। ময়মনসিংহ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই আকন্দ, বিদ্রোহী বদর উদ্দিন আহমেদ ও নজরুল ইসলাম। ময়মনসিংহ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোসলেম উদ্দিন, বিদ্রোহী আব্দুল মালেক সরকার, আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্যের মেয়ে সেলিমা বেগম সালমা। ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন মাদানী, বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল হক শামীম, হাবিবুর রহমান খান, এবি এম আনিসুজ্জামান আনিস ও ইকবাল হোসেন। ময়মনসিংহ-৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুছ ছাত্তার, বিদ্রোহী মাহমুদ হাসান সুমন, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও বদরুল আলম প্রদীপ। ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম, বিদ্রোহী বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন। ময়মনসিংহ-১০ আসনে সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল। বিদ্রোহী কায়সার আহাম্মদ ও মোহাম্মদ আবুল হোসেন দীপু। ময়মনসিংহ-১১ আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু, বিদ্রোহী এম এ ওয়াহেদ, গোলাম মোস্তফা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
হবিগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, বিদ্রোহী সাবেক এমপি কেয়া চৌধুরী ও গাজী মোহাম্মদ শাহেদ। হবিগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন রুয়েল, বিদ্রোহী বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান, স্বতন্ত্র মোস্তাক আহেমদ। হবিগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবু জাহির, স্বতন্ত্র আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। হবিগঞ্জ-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী বিমান ও পর্যাটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিদ্রোহী প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সমুন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু। এ ছাড়া, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মঈনউদ্দিন মঈন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ফিরোজুর রহমান ওলিও ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল এবং বিদ্রোহী হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়া-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আকাম সরওয়ার জাহান বাদশা , কুষ্টিয়া-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কুষ্টিয়া-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু, কুষ্টিয়া-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী এবং কুষ্টিয়া-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হাসানুল হক ইনুর আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম। এই আসনে বিদ্রোহী হিসেব মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সালাউদ্দিন মাহামুদ জাহিদ।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী কন্ঠশিল্পি মমতাজ বেগম। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের কোষ্যধক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহামেদ টুলু, সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল, সিংগাইর উপজেলার চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান এমপি মো. শাহাবুদ্দিন। মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমদ সলমান মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রার্থী আওয়ামী লীগের জিল্লুর রহমান। স্বতন্ত্র হিসেবে জমা দিয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ রহিম।
নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নাটোর -৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজলো পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নাটোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হকের স্ত্রী জাহানার বেগম, সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবষেণা সম্পাদক আসফি আব্দুল্লাহ শোভন, গুরুদাসপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহদিুল ইসলাম এবং সুজন আহম্মেদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নীলফামারী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার এবং বিদ্রোহী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল আলম বাবুল ও ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইমরান কবীর চৌধুরী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। এই আসনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামীম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব মো. রোকনুজ্জামান জুয়েল এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক ও হুকুম আলী খান।
নীলফামারী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে জাকীর হোসেন বাবুল এবং বিদ্রোহী হিসেবে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন এবং সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রনজিত সরকার এবং বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এছাড়া মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা এবং ড. মো. সামসুল হক চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক এবং বিদ্রোহী হিসেবে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৫ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক এবং বিদ্রোহী হিসেবে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শামীম আহমদ চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগের মাজহারুল ইসলাম সুজন এবং বিদ্রোহী আলী আসলাম জুয়েল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।কুমিল্লা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ।
নেত্রকোনা-২ আসনে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু খান এবং স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক উপমন্ত্রী আরফি খান জয়, সুব্রুত চন্দ্র সরকার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল এবং স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও মনজুর কাদের কৌরাইশী এবং মো. আব্দুল মতিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। নেত্রকোনা -৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান এবং স্বতন্ত্র হিসেবে শফি আহমদ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবকে সংসদ সদস্য ইঞ্জনিয়িার শেখ মুজিবুর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম মুজিবুর রহমান মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু এবং স্বতন্ত্র হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগরে সহসভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং দলীয় প্রার্থীর ভাই এনছান বাহার বুলবুল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আতাউল হক দোলন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের উপদষ্টো মাকসুদা খানম মেধা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নরসিংদী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তার স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌসী ইসলাম।
নরসিংদী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম খান বীরু।
বিদ্রোহীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দিক থেকে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তবে বর্তমান মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফ্রি স্টাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে, তবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’