নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতার মধ্যেই আরও একদফা পরিশোধিত চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে কেজিতে ২৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে গত ১৮ জুন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ কালবেলাকে বলেন, দাম চাহিদার ওপর নির্ভর করছে। যে চাহিদা, তার থেকে আমদানি কিছুটা কম। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর আবেদন করেছেন। বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে মতামত এলে বলা যাবে, দাম সমন্বয় করা হবে কি না।
চিঠিতে মিল মালিকরা প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১৪৫ টাকা এবং প্যাকেট চিনির কেজি ১৫০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে, যা আগামী ২২ জুন থেকে কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়। এর আগে গত ১০ মে সরকার ও ব্যবসায়ী পরামর্শের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে খোলা চিনির দাম ১০৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত পরিশোধিত চিনির দাম প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে। যদিও দাম বাড়ানোর পরও এখন পর্যন্ত তার চেয়ে ২০ টাকা
.বেশি দামে অর্থাৎ খোলা চিনির কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করে আসছে। কোথাও কোথাও ১৪৫ টাকায় বিক্রি করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি খোলা চিনির দাম বেশি হওয়ায় দোকানিরা প্যাকেট চিনি কেটে খোলা হিসেবে বিক্রি করছে। আবার সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো দাম উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা থাকায় সাদা প্যাকেটের ১ কেজি চিনি সরবরাহ করছে। সে প্যাকেটের গায়ে কোনো দাম বা কোম্পানির নাম উল্লেখ নেই।
যদিও ১০ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছিল, বাজারে চিনির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখা, সাধারণ ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনায় প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনির মিলগেট মূল্য ১১৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১১৭ ও খুচরা পর্যায়ে ১২০ টাকা। এ ছাড়া প্যাকেটজাত প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি মিলগেটে ১১৯ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২১ ও খুচরায় ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।
মন্তব্য করুন