রাজকুমার নন্দী
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

‘শক্ত’ শরিকদের আসন ছাড়বে বিএনপি

ত্রয়োদশ নির্বাচন
‘শক্ত’ শরিকদের আসন ছাড়বে বিএনপি

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা মিত্রদের নির্বাচনী জোট এবং নির্বাচিত হলে সরকারেও রাখবে বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান বৈঠকে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা জোটের বিভিন্ন দলকে এই বার্তা দিয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি দলটির। নির্বাচনী জোট গঠন কিংবা জোট গঠনের রূপরেখা কেমন হবে, সেটিও এখনো স্পষ্ট করেনি বিএনপি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষিত হওয়ার পরই বিষয়টি ক্রমে দৃশ্যমান করবে দলটি। তবে মিত্রদের মধ্যে বিজয়ী হওয়ার মতো নেতাদের আসন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বললেও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ কিংবা দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা করেনি। বিএনপি মনে করে, নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। তাই এই দাবি আদায়ে ঐকমত্য তৈরিতে গত ১৯ এপ্রিল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র এবং নির্বাচন বর্জনকারী যুগপতের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএনপি। এই ইস্যুতে ঐকমত্য তৈরির মাধ্যমে সরকারের ওপর পরোক্ষ ও মনস্তাত্ত্বিক চাপ অব্যাহত রাখবে দলটি।

এদিকে রাজনীতি ক্রমেই নির্বাচনমুখী হওয়ায় বিএনপির নির্বাচনী জোট গঠন বা জোটের রূপরেখা কেমন হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপির জোটসঙ্গী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও নিজেদের মতো করে চিন্তাভাবনা করছে। বিএনপি তাদের কত আসন ছাড় দেবে, কে কোথায় নির্বাচন করবেন, তা নিয়ে তারা এক ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। জোটের শরিক দলগুলো এখন বিএনপির কাছ থেকে নির্বাচনী জোট গঠনের খুব স্পষ্ট বার্তা আশা করছে। একই সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনাও শুরু করতে চায় তারা।

বিএনপি সর্বশেষ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে দলটি মূলত নির্বাচন করেছিল। বিএনপি তখন শরিকদের জন্য মোট ৫৯টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলীয় জোটের হয়ে বিএনপির ধানের শীষ কিংবা নিজেদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেছিল তারা। এরপর ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও মিত্ররা। ছোট-বড় মিলিয়ে তখন ৬২টির মতো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

বিএনপির বর্তমান অবস্থান হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা মিত্রদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কাদের নিয়ে নির্বাচনী জোট গঠন করবে বিএনপি। প্রাথমিকভাবে দলটির তরফ থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচনী জোটের রূপরেখা কেমন হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও যুগপতের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। সুতরাং শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়েও এখনো আলোচনার অবস্থা আসেনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবেন এবং রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবেন। তিনি আরও বলেন, দল এখনো আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে এটা তো সময়মতো, স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় আসবে।

জানা গেছে, বিএনপি আন্দোলনে থাকা মিত্রদের নিয়েই নির্বাচন করবে। সেক্ষেত্রে জোটের যেসব প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজয়ী হয়ে আসার মতো সক্ষমতা রয়েছে, আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য দেবে, সেসব আসন তারা ছেড়ে দিতে পারে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এবার বিএনপির নির্বাচনী জোট হবে কি না, কিংবা জামায়াত তাদের নির্বাচনী জোটে থাকবে কি না- সে ব্যাপারটি এখনো স্পষ্ট নয়। বিএনপি এবং জামায়াত এবার আলাদাভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে।

এদিকে বিএনপির কোনো কোনো নেতা সাম্প্রতিক সময়ে বলেছেন, আগামীতে নির্বাচনী জোট হবে না। এ বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল বিএনপির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতাদের আশ্বস্ত করে বলা হয়, এটি দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিল, বিএনপি আগামীতে তাদের নিয়ে নির্বাচন করবে এবং তারা সরকারেও থাকবে।

জানা যায়, বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে মিত্রদের ৫৯টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীসহ তৎকালীন ২০ দলীয় জোটকে ৪০টি আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ছেড়েছিল ১৯টি আসন। নিবন্ধন না থাকায় তখন বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ভোট করেছিলেন জামায়াতের প্রার্থীরা। দলটির তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল (বর্তমানে আমির) ডা. শফিকুর রহমান ধানের শীষ প্রতীকে ঢাকা-১৫ আসন থেকে নির্বাচন করেন।

সে নির্বাচনে তৎকালীন ২০ দলীয় জোটভুক্ত জামায়াতকে ২২টি, এলডিপি ৫টি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ২টি, খেলাফত মজলিস ২টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ৪টি, কল্যাণ পার্টি ১টি, লেবার পার্টি ১টি, এনপিপি ১টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ১টি এবং পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশকে (পিপিবি) ১টি আসন ছেড়েছিল বিএনপি। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত গণফোরাম ৭টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ৪টি, নাগরিক ঐক্য ৪টি এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে ৪টি আসন ছাড় দিয়েছিল।

তখন জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-২ থেকে আব্দুল হাকিম, দিনাজপুর-১ থেকে মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ থেকে আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ থেকে মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ থেকে আজিজুল ইসলাম, রংপুর-৫ থেকে গোলাম রব্বানী, গাইবান্ধা-১ থেকে মাজেদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৪ থেকে রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ থেকে ইকবাল হোসেন, ঝিনাইদহ-৩ থেকে মতিয়ার রহমান, যশোর-২ থেকে আবু সাঈদ মুহা. শাহাদৎ হুসাইন, বাগেরহাট-৩ থেকে আব্দুল ওয়াদুদ সেখ, বাগেরহাট-৪ থেকে আব্দুল আলীম, খুলনা-৫ থেকে মিয়া গোলাম পরওয়ার (বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল), খুলনা-৬ থেকে আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-২ থেকে আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ থেকে জি এম নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ থেকে শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ থেকে ডা. শফিকুর রহমান, কুমিল্লা-১১ থেকে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম-১৫ থেকে আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং কক্সবাজার-২ থেকে হামিদুর রহমান আজাদ ধানের শীষে নির্বাচন করেন।

এ ছাড়া নাগরিক ঐক্যের মো. রহমতউল্লা রংপুর-১, মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২, নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর বরিশাল-৪ ও এস এম আকরাম নারায়ণগঞ্জ-৫; জেএসডির প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ-৩, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ঢাকা-১৮, আব্দুল মালেক রতন কুমিল্লা-৪ ও আ স ম আব্দুর রব লক্ষ্মীপুর-৪; কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনজুরুল ইসলাম নাটোর-১, লিয়াকত আলী টাঙ্গাইল-৪, কুড়ি সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ ও ইকবাল সিদ্দিকী গাজীপুর-৩; এলডিপির সৈয়দ মাহমুদ মোর্শেদ ময়মনসিংহ-১০, রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭, নুরুল আলম চট্টগ্রাম-৭, কর্নেল (অব.) অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৪ ও শাহাদাত হোসেন সেলিম লক্ষ্মীপুর-১; জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ফজলে রাব্বী চৌধুরী গাইবান্ধা-৩ ও আহসান হাবিব লিংকন কুষ্টিয়া-২; খেলাফত মজলিসের আব্দুল বাসিত আজাদ হবিগঞ্জ-২ ও আহমদ আব্দুল কাদের হবিগঞ্জ-৪; জমিয়তের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস যশোর-৫, মনির হোসেন নারায়ণগঞ্জ-৪, শাহিনুর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জ-৩ ও ওবায়দুল্লাহ ফারুক সিলেট-৫; লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান পিরোজপুর-২; কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম চট্টগ্রাম-৫; এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নড়াইল-২; পিপিবির রিটা রহমান রংপুর-৩; গণফোরামের আ ম সা আমিন কুড়িগ্রাম-২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পাবনা-১, এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ময়মনসিংহ-৮, সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬, মোস্তফা মহসীন মন্টু ঢাকা-৭, রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ মৌলভীবাজার-২ থেকে ভোট করেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে থেকে দু-একটি দল আওয়ামী সরকারবিরোধী বিগত আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল না।

অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে তাদের বাইরে ছয় দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, চারদলীয় জোট গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, এনডিএম, বিপিপি সম্পৃক্ত ছিল। তাদের মধ্য থেকে যাদের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে তাদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেবে বিএনপি। এ ছাড়া বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ কয়েকটি ইসলামী দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করে যুগপতের বাইরে নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ছিল। নির্বাচনী জোটে সম্পৃক্ত হলে তাদেরও কয়েকটি আসন দিতে পারে বিএনপি।

বিএনপির এক নেতা জানিয়েছেন, দলগুলোর মধ্যে যারা সরকারবিরোধী বিগত আন্দোলনে ছিল না, আগামী নির্বাচনে আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামী আগামীতে আলাদাভাবে নির্বাচন করলে সেক্ষেত্রে মিত্রদের জন্য বিএনপির আসন ছাড়ের সংখ্যা এবার কমে পঞ্চাশের নিচেও নামতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লায় আন্দোলনে গুলি করা সেই ফাহিম গ্রেপ্তার

মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ না পড়াতে আইনি নোটিশ

সিলেটের ডিসিকে আদালতের শোকজ

আমরা আরেকটি গাজায় পরিণত হতে চাই না : মির্জা ফখরুল

৪ দাবিতে কলা অনুষদের ডিনকে স্মারকলিপি কমল মেডিএইড ঢাবির

কালবৈশাখী ঝড়ে শিলাবৃষ্টি, লন্ডভন্ড কৃষকের স্বপ্ন

‘ড. ইউনূস গতকাল একটা রেড লাইন ক্রস করেছেন’

ববি ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

ছাত্রদলের বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি : ডুজা 

স্পেন, ফ্রান্স ও পর্তুগালে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়, সাইবার হামলার আশঙ্কা

১০

‘বিচারকাজে বিড়ম্বনা, সময় বাঁচানো ও অর্থ ব্যয় কমানোই প্রধান লক্ষ্য’

১১

ভাতিজার ‘কুড়ালের’ আঘাতে চাচির মৃত্যু

১২

সম্পত্তির জন্য বৃদ্ধ বাবাকে মারধরে ছেলে গ্রেপ্তার

১৩

মার্চে নির্যাতিত ৪৪২ নারী, ধর্ষণের শিকার ১২৫ কন্যাশিশু

১৪

সিলেটে মদপানে ২ যুবকের মৃত্যু

১৫

এত আত্মত্যাগ কোনো মহামানবকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয় : আমীর খসরু

১৬

যাত্রাবাড়ী থেকে পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার 

১৭

শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি

১৮

ভারতকে মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান পিটিআইয়ের

১৯

প্রবাসীর পাঠানো সোনা আত্মসাৎ লাগেজ পার্টির

২০
X