কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০২:১০ এএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সংকটে ভাবিয়ে তুলছে দুই মন্ত্রীর ভূমিকা

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি : সংগৃহীত
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি : সংগৃহীত

অর্থনৈতিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দেশ। ডলারের দর এখনো ঊর্ধ্বমুখী। নিত্যপণ্যের বাজার বেসামাল। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে। রিজার্ভের পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। অর্থনীতির প্রায় সব সূচকেই সমস্যা। বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা চরম মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশে আর্থিক সংকট দূর হচ্ছে না। এসব সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।

বিভিন্ন মহল দাবি করেছে, এ দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা বরাবরই উদাসীন থাকছেন। সংকটকালে দুই মন্ত্রীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার মোবাইল ফোনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর কালবেলাকে বলেন, ‘বর্তমানে দেশের অর্থনীতি এক কঠিন সময় পার করছে। এ খাতে শৃঙ্খলা ও সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এগুলো অনুপস্থিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যাগুলোর সমাধানও জানা। সমন্বিত সঠিক পদক্ষেপ থাকলে সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে সেই পদক্ষেপগুলো দেখা যাচ্ছে না।’

বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থার অভিভাবক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অথচ সূত্র বলছে, তিনি মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত অফিস করেন না, গুরুত্বপূর্ণ অনেক সভায় থাকছেন না। এমনকি কারও পরামর্শ নিচ্ছেন—এমন কোনো উদাহরণও নেই। অতীতে দেখা গেছে, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট প্রণয়নের আগে কিংবা বিভিন্ন সংকটে মন্ত্রী-এমপি, স্থায়ী কমিটির সভাপতি বা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করতেন। তাদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা চাইতেন। অনেকক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করতেন। কিন্তু বর্তমান অর্থমন্ত্রী অন্য কোনো মন্ত্রী, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও গবেষকদের সঙ্গে কথা বলেন না বা তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন না। এ নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের ক্ষোভ রয়েছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকটকালে তিনি নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয়। ফলে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে সংকট সমাধানের পরিবর্তে সংকটের পাল্লা দিন দিন ভারী হয়েই চলেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনাকাল থেকেই অর্থমন্ত্রী নিয়মিত মন্ত্রণালয়ে আসেন না। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১০১ কর্মদিবসের মধ্যে ৮৯ কর্মদিবসই তিনি মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। মাত্র ১২ কর্মদিবস মন্ত্রণালয়ে এলেও কিছুক্ষণ থেকে বাসায় চলে যান। দু-একটি বৈঠক করছেন ভার্চুয়ালি (অনলাইন)। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি তিনি। ক্রয় কমিটির বৈঠকে হাজার কোটি টাকারও কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নেওয়া হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশও নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কোনো ধরনের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে না। সমন্বয়হীনতা ও সঠিক সিদ্ধান্ত না আসায় অর্থনৈতিক নানা সংকট মোকাবিলায় কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত আসছে না।

এদিকে সিন্ডিকেটের খপ্পরে নিত্যপণ্যের বাজার। এ অভিযোগ নানা মহলের। সিন্ডিকেশনের কারণে কমানো যাচ্ছে না নিত্যপণ্যের দাম। ডিম, চিনি, পেঁয়াজসহ নানা পণ্যের বাজারে চরম অস্থিরতা। কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ বেড়ে যাচ্ছে পণ্যের দাম। ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা। সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের ওপর শুল্ক আরোপের পরদিনই পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। শুল্ক আরোপিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার আগেই ব্যবসায়ীরা ভোক্তার পকেট কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব দেখার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর এতে নেই কোনো কার্যকর ভূমিকা। উপরন্তু মন্ত্রীর বেসামাল কথাবার্তায় সিন্ডিকেশনে জড়িতরা আরও উৎসাহী হচ্ছে। আরও বেসামাল হয়ে উঠছে বাজার।

সর্বশেষ গত ১১ আগস্ট রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট বন্ধ করে দিলাম, তারা (সিন্ডিকেট চক্র) বাজারে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিল; তখন ভোক্তারা পণ্য পেল না। এজন্য আমাদের সবদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’ এর আগে গত ২৬ জুন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে সংসদে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী নিজেও বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত কি না—এমন প্রশ্নও তোলেন তারা। জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী সেদিন বলেন, গত কয়েক মাসে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশে এর প্রভাব পড়ছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ শতাংশ, এখন মনে হয় ১০ শতাংশ এবং এটি ক্রমবর্ধমান। মূল্যস্ফীতি মানুষের আয় শুষে নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির কারণে সাবান, রুটি সবকিছুরই আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মুদ্রাস্ফীতির দুষ্টচক্রে আটকা পড়েছে। এটি কাটিয়ে উঠতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট আছে। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সিন্ডিকেট শক্তিশালীও। কিন্তু তারা কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী?

এদিকে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালকুদারকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের এলসি সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি তিনি একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর মাধ্যমেও গভর্নরের কাছে এ-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা পাঠিয়েছেন। অথচ গভর্নরও প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনায় কর্ণপাত করেননি। ফলে হাতেগোনা কয়েকজনই এলসি খোলার সুযোগ পাচ্ছেন। এ কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। এলসির সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, দেশের জনগণও তেমনি এ ধরনের খামখেয়ালির মাশুল গুনছেন।

গণফোরাম নেতা সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থ মন্ত্রণালয় হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মানুষ এটিকে সিন্ডিকেটবান্ধব মন্ত্রণালয় বলে অভিহিত করে। পণ্যের দাম বাড়ানোর পেছনে ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট জড়িত থাকার অভিযোগ করে মোকাব্বির বলেন, অনেকেই বলেছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী এতে জড়িত। তুমুল সমালোচনার জবাবে সেদিন বাণিজ্যমন্ত্রী সংসদে বলেন, পণ্যমূল্য বাড়ছে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির’ প্রভাবে। আর দেশে যে ‘সিন্ডিকেটের’ কথা বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া সম্ভব। তবে তাতে জটিলতাও আছে। তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে সিন্ডিকেটের কথা বলা হয়। এটা ঠিক যে, বড় বড় গ্রুপ একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে। আমাদের লক্ষ্য রাখা দরকার—আমরা জেলে ভরলাম, জরিমানা করলাম। সেটা হয়তো করা সম্ভব। কিন্তু তাতে হঠাৎ করে ক্রাইসিসটা (সংকট) তৈরি হবে, সেটা সইতে তো আমাদের কষ্ট হবে। এজন্য আমরা আলোচনার মাধ্যমে নিয়মের মধ্যে থেকে চেষ্টা করি।’

জানা গেছে, বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেও ৪২ বছর ধরে একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় তার ভূমিকা রয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরে নানা মহল অভিযোগ করে আসছে। একজন ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদের হাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতো দায়িত্ব দেওয়ায় কোনোভাবেই ভোক্তার অধিকার রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে মত বাজার বিশ্লেষকদের।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘সরকার ব্যবসায়ীবান্ধব নীতি নিয়েছে। বড় ব্যবসায়ী আরও বড় হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। ভোক্তার বিষয়টা সরকারের আগে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। জনকল্যাণে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে সেটা দেখা যাচ্ছে না। মন্ত্রীর বক্তব্যে সিন্ডিকেট উৎসাহিত হবে কি না—এমন প্রশ্নে দুদকের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বাস্তবতা তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছেন। এটা তো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এটা সরকারের কাজ। অনেক মন্ত্রণালয় জড়িত। জনকল্যাণে সরকারের কাজ করা উচিত।’

দেশের মূল্যস্ফীতি এখন প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। জুলাইয়ে এর হার ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস হলো, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশ হবে। এর মানে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভবিষ্যতেও স্বস্তির খবর নেই। গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার মূল্যমান কৃত্রিমভাবে ধরে রেখেছিল। কিন্তু আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার আয় কমে গেলে অল্প অল্প করে টাকার অবমূল্যায়ন শুরু হয়। আস্তে আস্তে টাকার মান নামতে থাকে। ডলারের দর পৌঁছায় ১০৯ টাকায়। আবার বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা শুরু করে।

এতে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নেমেছে ২৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। ২৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ২৩ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২৯ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৯ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। আবার সরকারের সামগ্রিক আয়-ব্যয়ও এখন অনেকটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। সরকার লক্ষ্য অনুযায়ী আয় করতে পারছে না; কিন্তু খরচ বেড়েই চলেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হয়েছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি তেল ও সারে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। কিন্তু সরকার আর এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে পারছে না। এ কারণেই জ্বালানির দাম একদফা বাড়ানো হয়েছে। এখন চাপ রয়েছে সার ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর। আবার বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়ানোর মূল উৎস রপ্তানি ও প্রবাসী আয়। চলতি বছর দুটির ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি।

একদিকে দেশে ডলার সংকট এবং অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) গত জুনে এক জরিপে বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ পরিশোধের সংকট এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিই হচ্ছে আগামী দুই বছরের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো মূল্যস্ফীতি কমাতে যেভাবে সুদহার বাড়াচ্ছে, তাতে মন্দা অবশ্যম্ভাবী বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতির সংকট আগামী বছরেও যাবে না বলেই সবাই পূর্বাভাস দিচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে থাকবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বশান্তির জন্য একাই লড়ছেন, নজরে এসেছে নোবেল কমিটির

‘এখন থেকে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন’

পাইকগাছায় বাড়ির মালিক ও রাজমিস্ত্রির বউ বদল

‘পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে অভিযান’

আইপিএলের এক নিয়ম নিয়ে দলগুলো অখুশি

আদিল আজিজ পারটেক্স গ্রুপের নতুন পরিচালক

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

জাতীয় নাগরিক কমিটি / জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণসহ কয়েক দফা দাবি

রাষ্ট্র পরিচালনার ‘স্টাইল’ পরিবর্তন দরকার : হোসেন জিল্লুর রহমান

প্রতি জেলায় পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর থাকবে : সেনাপ্রধান

১০

নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি

১১

সংলাপে যোগ দিতে যমুনায় জামায়াতের নেতারা

১২

রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক

১৩

হারুনকে নিয়ে কথা বললেন নতুন ডিবিপ্রধান

১৪

বিশ্ব শিক্ষক দিবস / বিশ্বায়ন ও এসডিজিসের আলোকে দেশের শিক্ষা ও শিক্ষক সমাজ

১৫

বৈষম্যবিরোধী ঐক্য কর্মচারীদের কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত দাবিতে অনঢ় থাকার ঘোষণা

১৬

গয়না নিয়ে পালাল প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে অনশনে প্রেমিকা

১৭

‘আমরা এখনো শ্রদ্ধার স্বর্ণ শিখরে রেখেছি শিক্ষকদের’

১৮

সিরাত মাহফিল শুরু

১৯

আশুলিয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ 

২০
X