বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠনে ধীরগতির পাশাপাশি জাতীয় নির্বাহী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণে কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। কয়েক বছর ধরে বিএনপির কাউন্সিল না হওয়ায় শূন্য পদগুলো সহসা পূরণ হওয়ারও সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে, বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের অনেক যোগ্য ও ত্যাগী সাবেক নেতা সাংগঠনিক পদ না পেয়ে দলীয় কার্যক্রমে আশানুরূপ ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দলের বর্ধিত সভার পর অনেকেই ধারণা করেন, ‘এবার হয়তো জাতীয় নির্বাহী কমিটির শতাধিক শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকা প্রকৃত যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু দলটির নির্বাহী কমিটির শূন্য পদ পূরণে চলছে শ্লথ গতি। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এদিকে বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠন কার্যক্রমেও কিছুটা ভাটা পড়েছে। কেননা, ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে সারা দেশে তৃণমূলের নতুন নেতৃত্ব ঠিক করতে ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কেন্দ্র থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী কার্যক্রমও শুরু হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃণমূলের কমিটি গঠন সম্পন্ন করতে পারেনি দলটি। সবমিলিয়ে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি জেলা-উপজেলায় কমিটি পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়নি। বরং বিভিন্ন স্থানে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জটিলতা ও বিবাদ তৈরি হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল সুনামগঞ্জে বিএনপির ১২টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ‘বিএনপির ত্যাগী নির্যাতিত তৃণমূল নেতৃবৃন্দ’-এর ব্যানার দিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। একইভাবে নোয়াখালীর হাতিয়াসহ বিভিন্ন স্থানেও কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের খবর পাওয়া গেছে।
বিএনপির নেতারা জানান, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দলের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। কেউ কেউ ওই সভাকে দলের ‘ছায়া কাউন্সিল’ বলেও আখ্যা দেন। সেখানেও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে সমাধান হয়নি। অনেকে বলছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কিংবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশেষ ক্ষমতাবলে এসব পদে যোগ্যদের পদায়ন করা জরুরি। পুরো কেন্দ্রীয় কমিটি রিভিউ করার পাশাপাশি সব শূন্য পদ পূরণ করলে দল আরও শক্তিশালী ও গতিশীল হবে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শূন্য পদ পূরণের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কালবেলাকে বলেন, ‘দলের নির্বাহী কমিটিতে বেশ কিছু পদ খালি রয়েছে। এসব শূন্য পদ পূরণের এখতিয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যাদের ভূমিকা ছিল; তাদেরই তিনি মূল্যায়ন করবেন। এরই মধ্যে তিনি বেশ কিছু শূন্য পদে নতুনভাবে পদায়ন করেছেন। এটি চলমান প্রক্রিয়া। দলে যখন যেটা করা দরকার, তখন সেটা করা হবে।’
দলের নির্বাহী কমিটির অবস্থা: জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর কাউন্সিল করে জাতীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করার নিয়ম রয়েছে। সেই অনুযায়ী ছয় বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে না ফেরা পর্যন্ত দলের সপ্তম কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে দলের অনেক নেতার মৃত্যুজনিত কারণে পদ খালি হয়েছে। অনেকে দল ত্যাগ করেছেন, কেউ কেউ স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন।
কিছু কেন্দ্রীয় নেতা দীর্ঘদিন থেকে নিষ্ক্রিয়। বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। ফলে স্থায়ী কমিটিতে ৪, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার ৯টি পদ এখন শূন্য। সবমিলিয়ে জাতীয় নির্বাহী কমিটির শতাধিক পদ এখনো খালি রয়েছে। তবে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর কয়েকটি পদে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন হয়েছে।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ১৯ জন। ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে মৃত্যুজনিত কারণে চারটি পদ খালি হয়েছে। তারা হলেন তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ২০১৮ সাল থেকেই গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। সেই থেকেই তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনেকটা নিষ্ক্রিয় আছেন। রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। যদিও তার পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান কোনোটিই করেনি বিএনপি।
গত বছরের ১৬ আগস্ট স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে দুজন ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম ও অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে পদায়ন করা হয়। বর্তমানে স্থায়ী কমিটির শূন্য তিন পদে পদায়নের জন্য আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুস সালাম পিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে সাবেক আমলা, ব্যবসায়ী ও আইনজীবী—এই তিন পেশা থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় এমন কাউকে স্থায়ী কমিটিতে স্থান দেওয়া হতে পারে শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য আলাপকালে কালবেলাকে জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থায়ী কমিটির চারটি শূন্য পদসহ অন্যান্য শূন্য পদ পূরণ করা প্রয়োজন। তবে তাদের নিয়োগ দেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পরও অনেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন না। আবার সম্প্রতি কাউকে কাউকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে দক্ষতা দেখিয়েছেন, এমন নবীন-প্রবীণ নেতাদের আগামীতে যোগ্য পদে পদায়ন করা হবে।’
জানা গেছে, গত ১২ মার্চ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য মরহুম তরিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস বেগমকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২০ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হয়। এরপরও ৩৭ জন ভাইস চেয়ারম্যানের পদের মধ্যে ১৫টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে স্থায়ী কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে। ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ও একজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে আর দুজন পদত্যাগ করেছেন। মৃত্যুবরণ করা ১০ নেতা হলেন বিচারপতি টিএইচ খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, অধ্যাপক এমএ মান্নান, আবদুল মান্নান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, অ্যাডভোকেট খোন্দকার মাহবুব হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান ও মোসাদ্দেক আলী (ফালু) দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। বিএনপির সাবেক এ দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবারও দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হচ্ছেন। সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতরও অসুস্থ আছেন কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান। তারা হলেন অ্যাডভোকেট হারুন আল রশিদ, বেগম রাবেয়া চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান।
সবশেষ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াসিন ও ড. জিয়া উদ্দীন হায়দার। তবুও ৮২ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির মধ্যে আরও ৯টি পদ এখনো খালি রয়েছে। মৃত্যুবরণ করা ৯ উপদেষ্টা হলেন হারুনার রশীদ খান মুন্নু, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ফজলুর রহমান পটল, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, জাফরুল হাসান, অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, রোজী কবীর, এমএ হক, অ্যাডভোকেট কামরুল মনির। এ ছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারের পদ স্থগিত রয়েছে।
৫০২ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যেও কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছেন। কয়েকজনকে বহিষ্কার আর কয়েকজন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। আবার কয়েকজনকে পদোন্নতি দিয়ে দেওয়া হলেও শূন্য পদ পূরণ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সম্পাদক, সহসম্পাদক মিলে এখনো শতাধিক পদ শূন্য। তবে এসব শূন্য পদ কবে পূরণ হবে, তা নিশ্চিত নয়। তা ছাড়া বয়সের কারণেও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
তৃণমূলে জটিলতা
গত ৫ এপ্রিল সুনামগঞ্জে বিএনপির ১২টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ‘বিএনপির ত্যাগী নির্যাতিত তৃণমূল নেতৃবৃন্দ’-এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বোকা বানিয়ে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে গত বছরের ৪ নভেম্বর ৩২ সদস্যের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে এই কমিটি বাতিল ও পুনর্গঠনের দাবি ওঠে। এরপর সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গৌছ সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেন এবং সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের নিয়ে শাখা কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। কমিটিগুলো হয়েছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।’
জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলার ১২টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। একজন আহ্বায়ক, চারজন করে যুগ্ম আহ্বায়কসহ প্রতিটি কমিটিতে ২১ জন সদস্য আছেন। অভিযোগ রয়েছে, সদর উপজেলা কমিটি গঠনে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। সুনামগঞ্জ পৌর কমিটির ২১ সদস্যের ছয়জনই জেলা বিএনপির সদস্য। তাদের মধ্যে ১১ জন একই এলাকার বাসিন্দা। কেউ আবার বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিশেষ সুবিধাভোগী ছিলেন। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আবদুল হক বলেন, ‘বিএনপিতে অনেক ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা আছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনায় কমিটিগুলো হয়েছে ২১ সদস্যের। এ কারণে অনেক ত্যাগী নেতা কমিটিতে স্থান পাননি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে নিশ্চয়ই তাদের মূল্যায়ন করা হবে।’
তৃণমূল পুনর্গঠনে ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল কালবেলাকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটে সম্মেলনের কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়েছে। রোজার মাস থাকায় এই কার্যক্রম কিছুটা স্তিমিত ছিল। এখন আবার নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব কার্যক্রম শেষ করা যায়।
মন্তব্য করুন