প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেছেন। এটিকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম বড় ইফতার। আর এর মাধ্যমে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন শরণার্থীরা।
প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের একসঙ্গে ক্যাম্পে আসার খবরে রোহিঙ্গাদের মাঝে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। দুজনের প্রচেষ্টায় মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে একটি গতি পাবে বলে আশা করছেন রোহিঙ্গা নেতারা। জাতিসংঘ মহাসচিব আগেও একবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের এটিই প্রথম সফর।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্রয় শিবির হিসেবে খ্যাত কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩ লাখের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাস করছে। দীর্ঘ ৮ বছরে একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। উল্টো আরাকানে চলমান সাম্প্রতিক সংঘাতের জেরে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে ক্যাম্পে ঠাঁই নিয়েছে আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা।
এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার আগে গতকাল দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে তিনি রমজান মাসে বাংলাদেশে এসেছেন।
বৈঠকে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত ১৩ লাখ রোহিঙ্গার জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাস নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে এতটা বৈষম্যের শিকার অন্য কোনো জনগোষ্ঠী আমি দেখিনি।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলতে বসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা কমানো একটি অপরাধ। পশ্চিমা দেশগুলো এখন প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় দ্বিগুণ করছে; কিন্তু তখন আবার বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা সংকুচিত হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের ‘অপরিসীম কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি অত্যন্ত উদারতা দেখিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমার জন্য একটি বিশেষ বিষয়।’ জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং তাদের জন্য সহায়তা সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেবেন।
পরে ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে করে জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজার বিমানবন্দর যান। তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখান থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উখিয়ায় গিয়ে তারা রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরে সন্ধ্যায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আজ আমি অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং তাদের সাহসে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাদের সংকল্প আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। অনেকেই মিয়ানমারে তাদের যন্ত্রণা এবং তাদের এখানে আসার গল্প শেয়ার করেছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সব পক্ষের প্রতি আমার বার্তা, সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করুন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। আর কোনো সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং সহিংসতা উদ্রেক না করতে সহায়তা করুন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নির্যাতনের পর আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার শিকার হয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামে বাংলাদেশে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে এসেছেন। এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এখন বিশ্বের সহায়তা প্রয়োজন। তারা বাড়ি ফিরতে চায়, মিয়ানমার তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এই সংকটের প্রধান সমাধান।
জাতিসংঘ মহাসচিবের এ আগমন উপলক্ষে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ডা. জোবায়ের বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়ার পর জাতিসংঘের মহাসচিব ক্যাম্পে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এখন আবার তিনি এসেছেন, এতে আমাদের ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, মহাসচিব গুতেরেসকে একটা কথাই বলব, বাংলাদেশ আমাদের আশ্রয়দাতা। ভিনদেশের এ ক্যাম্প জীবনে দীর্ঘ সময় থাকতে চাই না। এসব ঝুপড়িতে ৮ বছর কাটছে। আমাদের দেশ আছে, রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব জাতিসংঘের। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আরাকানে নিরাপদ জোন করে আমরা স্বদেশে ফেরার আকুতি জানাই।
গুতেরেসের এবারের আগমনের মধ্যে শরণার্থী রোহিঙ্গারা টেকসই প্রত্যাবাসন, নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবির পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
ড. ইউনূস-গুতেরেস শুনলেন গণহত্যার বর্ণনা
উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস। শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে তারা সরাসরি উখিয়ার বর্ধিত ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। সেখানে তারা রোহিঙ্গা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মিয়ানমারে তাদের ওপর চালানো গণহত্যার মর্মস্পর্শী বর্ণনা শোনেন।
বর্ধিত ক্যাম্প ২০-এর এইচ/২-এর ব্লক-৩-এর বাসিন্দা বদর আলম বলেন, ‘আমাদের মাঝিরা (রোহিঙ্গা নেতা) জাতিসংঘ মহাসচিবকে মিয়ানমারের অত্যাচারের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। কীভাবে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, চোখের সামনে স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে, গণহত্যা চালানো হয়েছে, সবকিছু তুলে ধরা হয়েছো’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দেওয়া শর্তগুলো মেনে নিলে আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে রাজি। এ বিষয়টি জাতিসংঘ মহাসচিব ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা।’
লার্নিং সেন্টারের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার কারণ জানতে চান। মহাসচিব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেন।
এরপর তারা রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করেন। এ সফরকে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে নতুন বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোহিঙ্গাদের তৈরি শিল্পকর্ম দেখলেন জাতিসংঘ মহাসচিব
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সফরের অংশ হিসেবে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের তৈরি নানা হস্তশিল্প ও দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্য পরিদর্শন করেছেন। গতকাল বিকেলে তিনি মাল্টিপারপাস সেন্টারে যান, যেখানে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের তৈরি করা পোশাক, ব্যাগ, বাঁশ ও পাটের পণ্য, কাঠের শিল্পকর্ম এবং অন্যান্য হস্তশিল্প দেখেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব এসব পণ্য দেখে প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের স্বনির্ভর হওয়ার প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেন বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা নুরুল আমিন। তিনি বলেন, ‘মহাসচিব বলেছেন এই উদ্যোগগুলো রোহিঙ্গাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখতে পারে।’
জমিলা নামের এক রোহিঙ্গা হস্তশিল্পী বলেন, ‘আমাদের তৈরি ব্যাগ ও কাপড়ের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আগ্রহ দেখে খুব ভালো লাগছে। তিনি আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন, যা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।’
রোহিঙ্গারা জানান, তিনি আমাদের অভিভাবক হয়ে ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন, আমাদের কাজ দেখেছেন এবং আমাদের জীবনযাপনও দেখেছেন। আমরা আমাদের দাবিগুলো তাকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়গুলো দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
মহাসচিবের ব্রিফিং
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান। এই জনগোষ্ঠীকে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গুতেরেস বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মানসম্মত জীবনযাপন প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে জাতিসংঘ। পাশাপাশি তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করার কথাও জানান তিনি।
আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস রোহিঙ্গা নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, এই ঈদে না হোক, আগামী রোজার ঈদ যেন আপনারা নিজ মাতৃভূমিতে স্বজনদের সঙ্গে উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
গতকাল উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন।’
ড. ইউনূস বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরাতে সারা দুনিয়ার সঙ্গে প্রয়োজনে লড়াই করতে হবে। ঈদে মানুষ আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করে। রোহিঙ্গাদের সেই সুযোগও নেই।
লাখো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাপ্রধানসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পদদলিত হয়ে একজনের মৃত্যু
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নেয়ামত উল্লাহ (৪০) নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই রোহিঙ্গা।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেলিপ্যাড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নেয়ামত ৪ নম্বর ক্যাম্পের সবি মিয়ার ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন একই ক্যাম্পের আসাদ উল্লাহর ছেলে আসমত এবং বশির আহমেদের ছেলে কলিম। আসমতকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে পাহাড়ের ঢাল থেকে পড়ে পদদলিত হয়ে তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক নেয়ামতকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
মন্তব্য করুন