বাংলাদেশ পুলিশে বেশুমার দুর্নীতির জন্য কুখ্যাতি পাওয়া বহুল আলোচিত আইজিপি বেনজীর আহমেদের ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিতি পান পুলিশ পরিদর্শক রুমি কাওসার ওরফে রুবেল। বেনজীরকে হাত করে তদবির বাণিজ্য, অবৈধ দখল, আর জমির দালালিতে মত্ত হয়ে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। পুলিশের পদপদবিকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে ত্রুটিযুক্ত জমি কিনে ডেভেলপারের কারবারে হাত পাকিয়েছেন তিনি। তার বিশাল বিত্তবৈভবের খবর পুলিশ সদস্যদের মুখে মুখে। তার ব্যবসায়িক অংশীদার বিতর্কিত ডিআইজি ও বাধ্যতামূলক অবসর পাওয়া আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর নিজের ফেসবুক আইডিতে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হুইজ ইজ দ্য বেস্ট?’। পরের বছরের ১২ জানুয়ারি একটি আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি দিয়ে লেখেন— ‘এট লাস্ট আই হ্যাভ বট ইট’। ২০১৭ সালের একটি ‘নীল আলোর’ রেস্তোরাঁর ছবি শেয়ার করেন রুমি। তাতে দেখা যায় ওয়েস্টার্ন পোশাক পরা দুই নারীকে। তাসবিহ ছড়া হাতে রাখা ছবিও রয়েছে তার ফেসবুক ওয়ালে। পশুপাখি নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির ছবিও দেখা যায় অনেক।
পুলিশ পরিদর্শক রুমি ২০২২ সালের ২৮ মে বিলাসবহুল বোটের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন ‘নাইট কুইন দুবাই’। বিভিন্ন সময়ে খালি গায়ে দেশ-বিদেশের সমুদ্রসৈকতের ছবি দেখা যায়। সেসব ছবিতে তার গলায় সোনালি রঙের মোটা চেইন শোভা পাচ্ছে। নিজের ফেসবুক আইডিতে প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রির স্ট্যাটাস দেন তিনি। ছবি শেয়ার দিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেও। ক্ষমতার পালাবদলে ভোল পাল্টে এখন বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ছবি দিতে
শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার চলাফেরার ধরন দেখলে মনে হয় আরব শেখ বা বড় কোনো বিজনেস তাইকুন। প্রকৃতপক্ষে তার কিছুই নন রুমি। বাংলাদেশ পুলিশের একজন নবম গ্রেডের কর্মকর্তা। তার পদবি পুলিশ পরিদর্শক। পুরো নাম রুমি কাওসার ওরফে রুবেল। দ্বিতীয় শ্রেণির বা দশম গ্রেডের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে চাকরি দিয়ে পুলিশ বাহিনীতে কাজ শুরু তার।
কালবেলার অনুসন্ধানে পটুয়াখালীর বাসিন্দা রুমির শুধু রাজধানীতেই কয়েক ডজন বহুতল বাড়ি ও ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। এ ছাড়া তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা পোস্ট থেকে দুবাইয়েও গার্মেন্ট ও আবাসন ব্যবসায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশের চাকরির জাদুর কাঠিতে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে। তার বাবা একসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করে পরাজিত হন। তার ভাই রাকিব তার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। গ্রামের বাড়িতে তার বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে পুলিশের চাকরিতে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে যোগ দেন রুমি কাওসার ওরফে রুবেল। ২০১০ সালে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হলে ভাগ্য বদলে যায় কাওসারের। তার সান্নিধ্যে এসে রাতারাতি ‘টাকার কুমির’ হয়ে যান। রাজধানী ঢাকায় একের পর কিনতে থাকেন জমি ও প্লট। তৈরি করতে থাকেন বিশাল বিশাল অট্টালিকা। ২০২২ সালে বেনজীর অবসরে যাওয়ার পর পাঁচ বছরের ছুটিতে চলে যান বর্তমানে এ ট্রাফিক পরিদর্শক। এর আগে তার একাধিক ভিডিও পাওয়া গেছে। তাতে তিনি নিজেই বলছিলেন, ‘পুলিশের চাকরি হলো সাইনবোর্ড, জমির ব্যবসাই আমার আসল।’
দৈনিক কালবেলার অনুসন্ধানে জমির দালালি করে রুমির বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী, দক্ষিণ বনশ্রী, আফতাবনগর, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় রুমি কাওসারের কয়েকটি জমি ও বাড়ি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কিছু জমিতে ভবন করার পর ফ্ল্যাট বা শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে মালিকানা হস্তান্তর করেছেন তিনি। রুমি কায়সারের বেশিরভাগ ভবনের ফ্ল্যাটের ক্রেতাই পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। কিছু ভবনে নিজের ভাই, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের নামে মালিকানা দেখিয়ে ওই অংশগুলো মূলত নিজের কাছেই রেখে দিয়েছেন। কিছু রেখেছেন স্ত্রীর নামে। আর সম্পদের বড় একটি অংশের মালিকানায় রেখেছেন চাচাতো ভাই মামুনের নাম। তিনি মতিঝিল এলাকার ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও কাউন্সিলর শুভর সঙ্গে মিলে একটি চক্র গড়ের বিভিন্ন জনের জমি দখল করেন এবং সেগুলো ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রির কারবার করেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ‘ছোট পদে চাকরি করলেও কাওসার রুমির ভাগ্য বদলে যায় পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীরের ছোঁয়ায়। বেনজীর আহমেদ ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার থাকার সময় তার ‘কাছের লোক’ হিসেবে পরিচিতি পান কাওসার রুমি। ওই সময় তিনি ছিলেন রামপুরা ফাঁড়ির ইনচার্জ। বেনজীরের বিভিন্ন অবৈধ কাজকর্ম করার সুবাধে পুলিশ অনেকেই জেনে যান রুমি মূলত বেনজীরের লোক। এদিকে বেনজীর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পরপরই চাকরি থেকে পাঁচ বছরের ‘ছুটি’ নেন কাওসার রুমি। এর মধ্যে প্রায় তিন বছর শেষ হয়েছে। এই তিন বছরের প্রায় পুরো সময়টা তিনি ছিলেন দুবাইয়ে। সেখানে বেনজীরের সম্পদ ও ব্যবসা দেখাশোনা করেন বলেও জানা গেছে। যদিও তার পাঁচ বছরের ছুটি পাওয়াটাও ছিল বিধিবহির্ভূত। কারণ পুলিশের চাকরিতে এত লম্বা সময় ছুটি নেওয়া বা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রুমি কাওসার দক্ষিণ বনশ্রীর এন ব্লকে ৬ নম্বর রোডের ১৩৭/৭১ প্লটে (কাজী বাড়ির পাশে) বিশাল আয়তনের ১৪ তলা ভবনের মালিক। এই ভবনের নাম রেখেছেন ‘টিএনটি টাওয়ার’। এই টাওয়ারে রুমি কাওসারের আছে ২৪টি ফ্ল্যাট। অন্য ফ্ল্যাটগুলো তার বন্ধু সাইফুলের। এই সাইফুলের মাধ্যমে তিনি দুবাইয়ে টাকা পাচার করে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা। এদিকে টিএনটি টাওয়ারের ঠিক সামনে তিন কাঠা অর্পিত সম্পত্তি দখল করে সেখানে তিনটি দোকান ভাড়া দিয়েছেন রুমি। এর মধ্যে একটি দোকান দিয়েছেন টিএনটি টাওয়ারের পঞ্চম তলার বাসিন্দা পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত নাসির উদ্দিন। একটি ভাড়া নিয়েছেন রুমির ব্যক্তিগত গাড়ির চালক।
রামপুরা বনশ্রীর ই-ব্লকের ৬ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাড়িতে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে থাকেন রুমি কাওসার। এ বাড়ির সাইনবোর্ডে লাগানো নাম ‘মৈত্রী’। বাড়ির কেয়ারটেকার জানান, ‘এটি রুমি সাহেবের বাড়ি।’ রুমি সাহেব এখানে থাকেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ স্যার এখানেই থাকেন। স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ফোন দেন।’
এদিকে রামপুরা বনশ্রীর এম ব্লকের ১২ নম্বর রোডে ৬৬ কাঠা জামির ওপর রুমি কাওসার নির্মাণ করছেন পাঁচটি বহুতল ভবন। সরেজমিন দেখা গেছে, জমিটিতে ভবন নির্মাণকাজ চলছে। জমির সামনের সাইনবোর্ডে লেখা ‘এমআরটি কনডোমিনিয়াম’। সেখানে ভবন নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন জানান, রুমির এ প্রকল্পটি দেখাশোনা করেন মিজান নামে একজন। রুমি সাহেব এখানে আসেন কি না—জানতে চাইলে জানান, তিনি ১০ থেকে ১২ দিন আসছেন না। আগে সবসময় আসতেন। মোট পাঁচটি ভবন নির্মাণ হবে জানিয়ে তিনি বলেন—এরই মধ্যে চারটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। প্রথম ভবনটি হবে ১৬ তলা, দুটি ১৪ তলা আর দুটি হবে ১২ তলা করে। একই এলাকায় থাকা পুলিশ পার্ক সাইনবোর্ড থাকা জমিটিও তার। এটি তিনি পরে পুলিশের কাছে বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া রাজধানীর আফতাব নগরের এম ব্লকে ৯ কাঠা জমির ওপর বাংলো বাড়ির মালিক রুমি কাওসার। একই এলাকার আনসার ক্যাম্পের পাশে দুটি বহুতল ভবনের মালিকানাও ছিল তার। পরে ফ্ল্যাট আকারে এগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। মধ্যবাড্ডার বৈঠাখালীতেও ৬ তলা ভবন নির্মাণ করে ১৮টি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন তিনি। এভাবে নিজের সম্পদের পরিমাণ ঢাকতে কিছু জায়গায় রুমি সম্পদের মালিকানা হস্তান্তর করেছেন। সে টাকা আবার দুবাইয়ে পাচার করে সেখানে ব্যবসা গুছিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, মেরাদিয়া বাজার থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মেইন রোডের পাশে রুমি কাওসারের বেশ কিছু সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো সাউদার্ন পার্ক-১। এটিও বিশাল আয়তনের বহুতল ভবন। খিলগাঁও থানার মমিনবাগ মেইন রোডের সঙ্গে আছে সাউদার্ন পার্ক-২। পানির পাম্পের পাশে ৯ কাঠা জমির বহুতল ভবন করছেন। দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ হয়েছে। সাউদার্ন পার্ক ৩, ৪, ৫, ৬ প্রকল্প রয়েছে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার রোডে। এই প্রকল্পগুলো শেখের জায়গার আগে। শেখের জায়গার আগেই ৮০ কাঠা জমির ওপর ‘স্বাধীনতা টাওয়ার’। এটিও নির্মাণ করছেন রুমি কাওসার। এসব প্রকল্পে রুমি কাওসার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে শেয়ার বিক্রি করে মালিকানায় যুক্ত করেছেন। জানা গেছে, রুমির সব সম্পদের দেখভাল করেন রুমির আপন ছোট ভাই মো. রাকিব। তিনি টিএনটি টাওয়ারের ১০ তলায় থাকেন।
রুমির একজন সহকর্মী জানান, বিভিন্ন ব্যাংকে রুমি কাওসারের নামে-বেনামে বেশ কিছু ব্যাংক হিসাব রয়েছে। সেখানে রয়েছে তার বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ। এ ছাড়া কয়েক ব্যাংকে স্ত্রীর নামে লকার ভাড়া নিয়ে রেখেছেন বিপুল পরিমাণ সোনার গহনা।
দুবাইতেও আবাসন ব্যবসা
অনুসন্ধানে দুবাইয়ে কাওসার রুমির গার্মেন্টস ও আবাসন ব্যবসার সন্ধান মিলেছে। দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে সেখানে গড়ে তুলেছেন আরেকটি সাম্রাজ্য। পুলিশের চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে আগে থেকে দুবাইয়ে পাচার করে রাখা অর্থে সেখানে ব্যবসা গুছিয়েছেন। দুবাইয়ের এসব প্রকল্পে তার নিয়মিত যাতায়াত। ছুটিতে থাকার সময় নিজেই তদারকি করতেন। অন্তত ৩টি বড় বড় আবাসন প্রকল্পে ও গার্মেন্টস খাতে বিনিয়োগের রুমি কাওসারের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে অনুসন্ধানে।
এ ধরনের ব্যবসা আইনত নিষিদ্ধ: টিআইবির
চাকরি থেকে ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতি দমনবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘যে কোনো সরকারি কর্মচারী হিসেবে এ ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই। এটা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। যদি কেউ বিনিয়োগ করতে পারে কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানে সেটার জন্য সরকারের পূর্ব অনুমতি লাগবে। কিন্তু সেই অনুমোদন এখানে হয়েছে কি না, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। অনুমোদন থাকলেও যে ধরনের সম্পদের বিবরণ শুনলাম, সেটা অস্বাভাবিক। এটি কোনো অবস্থাতেই কোনো সরকারি কর্মচারীর বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বৈধভাবে এত সম্পদের মালিক হতে পারে না। অর্থাৎ এখানে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে এবং সে এককভাবে করেছে সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই। সে অবারিতভাবে যেটা করে এসেছে, একদিক থেকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী, অন্যদিকে তার প্রতিষ্ঠান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ, সহযোগিতা অংশীদারত্বের বাইরে সে এগুলো করেনি। অর্থাৎ তাকে জবাবদিহি ও বিচারের আওতায় আনতে হবে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
বৈধ অস্ত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ক্ষমতার অপব্যবহার
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাদিম মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, ‘কারও লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র থাকলেও সেটি এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার সুযোগ নেই। এটিও ক্ষমতার অপব্যবহার। আলোচিত ওই পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ৩টি অস্ত্র পরে সেখান থেকে একটি অস্ত্র পোস্ট ক্যাপশনে লিখেছেন যে, তিনি ওটা ক্রয় করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি স্পষ্টত কাউকে উদ্দেশ্যে করে প্রচ্ছন্ন ‘থ্রেড বা হুমকি’ দিয়েছেন, যা আইনত অপরাধ ও ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে শামিল, যা দুর্নীতি দমন কমিশনের তপশিলভুক্ত অপরাধ। এ ছাড়া তার যে সম্পদের বিবরণ শুনলাম, সেটিও বৈধ আয়ের মাধ্যমে সম্ভব নয়। তাই আমি মনে করি তার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তার সম্পদের অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বক্তব্য দেননি রুমি
উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক কাওসার রুমি ওরফে রুবেলের বক্তব্য জানার জন্য ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিয়ে পরে খুদেবার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি তা সিন করলেও কোনো জবাব দেননি। তাকে প্রশ্ন লিখে ইমেইল করার পরও জবাব পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন