আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে একের পর এক দাবিতে মাঠে নামেন প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দেশের সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু করাসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপরও শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আন্দোলন থেমে নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধিভুক্তি বাতিল হলেও আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন চালু রেখেছেন রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিকে, তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন কলেজটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দিয়ে ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামায় সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ আছে ক্লাস ও পরীক্ষা। গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে যখন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে আলাদা করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তখন গুচ্ছ পদ্ধতি বহালে কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করছেন। এ ছাড়া বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আলটিমেটাম শেষ হলেই মাঠে নামবেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও অস্থিরতা থেমে নেই। একেক সময় একেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দাবি নিয়ে মাঠে নামছে।
তিতুমীর কলেজ ‘শাটডাউন’: রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের পর ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। গত সোমবার রাতে সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’। গতকাল থেকে কলেজটিতে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী বেলাল কালবেলাকে বলেন, সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে। আর এই দাবি না মানলে বৃহস্পতিবার থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করব।
কয়েক মাস ধরে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পর গত ৭ জানুয়ারি সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গত ৩ ডিসেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত ১৯ নভেম্বর সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ‘ক্লোজ ডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে একই দাবিতে ১৮ নভেম্বর সকালে মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে অবরোধ করেন। সে সময় চলন্ত ট্রেনে হামলার ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর দাবি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের:
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রকাশের দাবিতে সরকারকে ১৫ দিনের আলটিমেটামসহ নতুন পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের দাবি জানান তারা। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের ফোকাল পারসন আব্দুর রহমান ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারি সাগর।
তাদের দাবিগুলো হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে; এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে হবে; সব বর্ষের চলমান পরীক্ষা পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী চলমান হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই চলমান সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাত কলেজের চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আগামী দুই দিনের মধ্যে টেবিল টকের আয়োজন করতে হবে।
এদিন দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সচিবালয়ে এক বৈঠক করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা। এ বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণা প্রত্যাহার করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং একটি মতৈক্যে পৌঁছেছি। একই সময়ে ঢাকা কলেজে সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন শিক্ষার্থীরা। এ সভায় সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের জন্য সরকারকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের বৈঠকে এই কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্মানজনক পৃথককরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দিয়ে ব্যানার টাঙালেন শিক্ষার্থীরা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ করে প্রজ্ঞাপন জারি এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসে দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে গাজীপুরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক গেটে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামের ব্যানার টাঙিয়ে দেন তারা।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে:
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন চালু রেখেছে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা। এর ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। বারবার আবেদন জানিয়েও সাড়া না পাওয়ায় এবার লাগাতার কর্মসূচিতে গিয়েছেন। দাবি না মানা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
দশম গ্রেডের দাবি না মানলে আবারও মাঠে নামবে প্রাথমিকের শিক্ষকরা:
সরকারকে দশম গ্রেড বাস্তবায়নে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে রেখেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। তবে শিক্ষকদের ধারণা, তাদের দাবি অনুযায়ী সবকিছু হবে না। সে কারণে তারা ফেব্রুয়ারির শুরুতে কর্মসূচি পালনের আগাম প্রস্তুতিও রেখেছেন। সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন কালবেলাকে বলেন, কনসালটেশন কমিটি সাত দিন সময় নিয়েছে; কিন্তু আমাদের ধারণা শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী সবকিছু হবে না। সে কারণে আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে মহাসমাবেশের কথা ভাবছি।
গুচ্ছভর্তি বহাল নিয়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা:
চলতি শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গুচ্ছভর্তিতে থাকতে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে। এর আগে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছভর্তি পদ্ধতি বহাল রাখার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ভবন ঘেরাও এবং গত সোমবার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে কয়েকজন অভিভাবককেও অবস্থান করতে দেখা যায়। তাদের দাবি, ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রেখে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারি করতে হবে। তাছাড়া গুচ্ছ পদ্ধতিতে কিছু যৌক্তিক সংস্কারও চান শিক্ষার্থীরা।
পদত্যাগে বাধ্য শিক্ষকরাও আন্দোলনে:
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি পদত্যাগে বাধ্য হওয়া কিংবা হেনস্তার শিকার হওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়নসহ জটিলতা নিরসনে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন এসব শিক্ষক। গত ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে তারা দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোটের পক্ষ থেকে সারা দেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, সরকার কী করতে চায় তা জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়। এই সরকারের জনবল কম। একজনকে দিয়ে তিন-চারটা মন্ত্রণালয় চালানো কঠিন কাজ। আবার ড. ইউনূসকে মেনে নিলেও উপদেষ্টাদের অনেককেই সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছে না। সরকারের মধ্যে দুর্বল লোক থাকায় সবার আগে আমলারা সুযোগ নিল। তাদের পদোন্নতি নেওয়া দেখে পুলিশও একই কাজ করল। অন্যরাও ভাবল, দাবি তুললে সেটি পূরণ করা যায়। সে কারণেই অনেকে আন্দোলনে নেমেছেন। আবার রাজনৈতিক দলগুলোও ভাগাভাগি হয়ে গেছে। ফলে সরকারকে ব্যর্থ দেখানো ও বেকায়দায় ফেলার জন্য বিভিন্ন আন্দোলনের পেছনে কোনো গ্রুপের ইন্ধনও থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত গত ৬ মাসে কী কী কাজ করেছে তা জানাতে হবে এবং আগামী ৬ মাসে কী কী করবে তা জানাতে হবে। তাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সেসব বিষয়ে সংস্কার করা। এরপর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
অন্যদিকে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। তিনি কালবেলাকে বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির বিষয়টি কোর্ট দেখবে। সাত কলেজের বিষয়টিও সমাধানের পথে। যেখানে যত ধরনের অসংগতি আছে, সেগুলো পূরণের জন্য আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। দায়িত্বে আসার পর অনেক জমে থাকা কাজ নিষ্পত্তি করেছি। যেসব সমস্যা সামনে আসছে সেগুলোর সমাধান করা হচ্ছে।