শফিকুল ইসলাম
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:১৭ এএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
একদফার চূড়ান্ত আন্দোলন

ইসলামী দলগুলোকে পাশে চায় বিএনপি

ছবি : কালবেলা
ছবি : কালবেলা

চলমান একদফার যুগপৎ আন্দোলন আরও জোরালো করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। লক্ষ্য, সরকারবিরোধী সব দলকে নিয়ে একযোগে একটি কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা। দলটির নেতারা মনে করছেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, সরকারের মনোভাব তত কঠোর হবে। এমন পরিস্থিতিতে রাজপথের আন্দোলন জোরদারে সরকারবিরোধী দলগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে একত্রিত করতে চাইছে বিএনপির হাইকমান্ড। সেই ভাবনা থেকেই জামায়াতে ইসলামীসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। দলটির শীর্ষ নেতাদের বক্তৃতায়ও এর ইঙ্গিত মিলেছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, যারা যুগপৎ আন্দোলন করছে বা যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে—সব রাজনৈতিক দল আজ এক হয়ে গেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) যুগপৎ আন্দোলনে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) বলছে, এ সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না; চরমোনাইর পীর, এমনকি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও একই কথা বলেছে। তাদের মতে, এবার অবশ্যই জনগণের ভোটে নির্বাচন হতে হবে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। সুতরাং, একদফার আন্দোলনে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে রাস্তায় নেমে সোচ্চার হতে হবে।

সব দলকে এক করার এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে কয়েকটি প্রধান ইসলামী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতাদের বৈঠকসহ ফোনালাপ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও দূরত্ব ঘোচানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। গত ২৯ জুলাই ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশি আক্রমণ ও হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ২ আগস্ট তারেক রহমান দম্পতির সাজার বিরুদ্ধেও বিবৃতি দেন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন এবং হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও ভেতরে ভেতরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। অন্য ছোট রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগোতে চায় দলটি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।

তবে প্রধান ইসলামী দলগুলো যাতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে না যায়, সে বিষয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে সরকারও। প্রায় সব দলের সঙ্গেই সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানোর উদ্যোগ : বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি ‘ক্ষোভ’ এবং ‘অভিমান’ থেকেই দুই দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি অন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা করলেও জামায়াতের সঙ্গে করেনি। এর পরও অনেকটা আগ বাড়িয়ে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। এসব কর্মসূচিতে দলটির নেতাকর্মীদের আহত কিংবা গ্রেপ্তারের বিষয়েও চুপ ছিল বিএনপি। এতে যুগপতের কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে জামায়াত। তবে নিজস্ব কর্মসূচি ঘোষণা করে মাঠে তৎপর রয়েছে দলটি।

এদিকে জামায়াতে সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে বিএনপির তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। গত ২৮ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের আগে এবং পরে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের ফোনালাপ হয়েছে। ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে কৌশলগতভাবে উভয় দলের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। সম্প্রতি ঢাকায় দুই দলের নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছে। তাই আশা করা যায়, হয়তো সামনের আন্দোলনে জামায়াতকেও পাশে পাবে বিএনপি। এক্ষেত্রে বিএনপিপন্থি এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মধ্যস্থতা করছেন বলে জানা গেছে।

জামায়াতের দুজন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কালবেলাকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ নিজস্ব ১০ দফা দাবিতে জামায়াতের কর্মসূচি চলছে। এ সরকারকে বিদায়ে যে কোনো কর্মসূচি দিতেও তারা পিছপা হবেন না। বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব প্রসঙ্গে তারা বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশের আগে ও পরে শীর্ষ নেতাদের কথাবার্তা হয়েছে; কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তার আগেই মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনা তাদের কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে। এ অবস্থায় দলটির জন্য মাঠে সরকারবিরোধী কট্টর অবস্থান নেওয়ার বিকল্প নেই।

জানা গেছে, বিএনপির প্রতি জামায়াত যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনি বিএনপিও বেশকিছু কারণে জামায়াতের ওপর ক্ষুব্ধ। কারণ অতীতে বিএনপির যেসব নেতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, তাতে জামায়াত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তা ছাড়া গত ১০ জুন রাজধানীতে প্রকাশ্যে সমাবেশের পর সরকারের সঙ্গে জামায়াতের গোপন সমঝোতার প্রশ্ন ওঠে। বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এসব কারণে মাঝেমধ্যে জামায়াতকে বোঝা মনে করে বিএনপির হাইকমান্ড।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত : এদিকে চলমান একদফার আন্দোলনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনকেও পাশে চায় বিএনপি। এ নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বরিশালে চরমোনাই দরবার শরিফের বার্ষিক মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখান থেকেই ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের শুরু। সেখানে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বৈঠকও করেন।

বিএনপির দাবি, তারা চরমোনাইয়ের বার্ষিক মাহফিলে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে যাননি। বরং আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে গিয়ে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। অবশ্য আরও কয়েকটি দলের নেতৃবৃন্দ সেখানে গিয়েছিলেন। বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হলেও যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে দুই দলকে কীভাবে আরও কাছাকাছি আনা যায়, সেই কাজ চলছে।

জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতকে অন্তরায় মনে করে ইসলামী আন্দোলন। কারণ, চরমোনাইয়ের অনুসারীরা জামায়াতকে পছন্দ করে না। অন্যদিকে বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করলেও ইসলামী আন্দোলন সব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তা ছাড়া সরকারের সঙ্গে দলটির বোঝাপড়া আছে বলে একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের কয়েকজন নেতা জানান, বিএনপির কিছু দাবির সঙ্গে তাদের মিল রয়েছে। তবে উভয় দলের রাজনৈতিক আদর্শ ও লক্ষ্য ভিন্ন। তাই চরমোনাই পীর ভেবে-চিন্তে কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির প্রত্যাশা, একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে অন্য সমমনা দলগুলোর মতো ইসলামী আন্দোলনও যুক্ত হোক। কেননা, যত বেশি রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা যাবে, সরকারের ওপর চাপ তত বাড়বে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার ফেরাতে আমরা সবাইকেই রাজপথে দেখতে চাই। এ নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। ডান-বামসহ সব রাজনৈতিক দল নিয়ে আমরা চলমান আন্দোলনে যেতে চাই।

ইসলামী আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আশরাফ আলী আকন গতকাল কালবেলাকে বলেন, বিএনপির নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে নানাভাবে কথাবার্তা হচ্ছে। বিএনপি যেসব দাবিতে কর্মসূচি করছে তার কাছাকাছি দাবি আমাদেরও। তবে ইসলামী আন্দোলন এ নিয়ে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করছে।

অবস্থান পরিষ্কার নয় হেফাজতের: এবারের আন্দোলনে অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকেও পাশে চাইছে বিএনপি। তারা নানাভাবে হেফাজতের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। যদিও কোনো পক্ষই বিষয়টি স্বীকার করছে না। আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া না হলেও দলটি তাদের পূর্বঘোষিত ১৩ দফা দাবি পূরণ করতে অনড়।

এই দাবি আদায়ে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে বিশাল জমায়েত ও সমাবেশ করেছিল। যেখানে বিএনপিরও সমর্থন ছিল। তবে ওই ঘটনার পর রাজনৈতিক দৃশ্যপট অনেকটা পাল্টে গেছে। ২০১৮ সালে হেফাজতের দাবি অনুযায়ী কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমানের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। ২০১৭ সালের এপ্রিলে দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমানের স্বীকৃতি দেয় সরকার। তা ছাড়া ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসল্লি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় হেফাজতের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের একটি প্রতিনিধি বৈঠক করে বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে কয়েকজন ছাড়া প্রায় সব নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অনেকেই মনে করছেন হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএনপি হেফাজতকে কতটুকু পাশে পাবে, সেটি দেখার বিষয়।

হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস কালবেলাকে বলেন, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে হেফাজতের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আন্দোলনের ইস্যুতে যোগাযোগ করতে হলে হেফাজতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপির আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুর্গাপূজায় কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে : ডিবি প্রধান

ব্রাহ্মণপাড়ায় সড়কের ওপর বাঁশের সাঁকো!

ইরানের পরবর্তী পরিকল্পনা জানালেন আলী খামেনি

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

ফেসবুক থেকে আয় করা সহজ হচ্ছে

আট মাসে বজ্রপাতে মৃত্যু ২৯৭

অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় আটক ৬

ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর থাকবে না

টাইগারদের বিপক্ষে কেমন হবে ভারতের একাদশ?

শরীয়তপুরে ১০২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি

১০

ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে কুমারী পূজা হচ্ছে

১১

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

১২

ইয়েমেনের ১৫ নিশানায় মার্কিন হামলা

১৩

‘বিরল’ এক সফরে পাকিস্তান যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

গাজীপুরে বাসচাপায় যুবক নিহত

১৫

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে থাকবে বিএনপি : আজাদ

১৬

সাড়ে ৩ কোটি টাকার চাল নিয়ে লাপাত্তা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা

১৭

সাতক্ষীরায় ৯ মাস বেতন পাচ্ছেন না ৪২০ শিক্ষক

১৮

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

১৯

গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে পোশাক কারখানার উৎপাদন

২০
X