অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমে ধীরগতি ও লম্বা সময় নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক দলগুলো। এসব দলের শীর্ষ নেতারা কমিশন সংশ্লিষ্টদের কাজের গতি আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি এরই মধ্যে যেসব কমিশন প্রতিবেদন বা প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অবিলম্বে সরকারের আলোচনা বা সংলাপ শুরু করার কথাও বলেছেন তারা। নেতারা মনে করেন, তা না হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সংকট তৈরি হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব মানে নির্বাচন বিলম্ব, যা কাম্য নয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করা।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা করে। এরপর রাষ্ট্রের মৌলিক খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে যেসব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণসহ নানাভাবে দুর্বল করা হয়েছে, সেগুলোতে সংস্কারের জোর দাবি ওঠে। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন ড. ইউনূস। মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য এবং দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করাসহ বেশকিছু উদ্ভাবনী প্রস্তাব এসেছে রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে। ১১টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে চারটি কমিশন গত ১৫ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে। ওইদিন তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, সংবিধান এবং দুদক সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন হাতে পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা কমিশনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, এখন সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে গণঅভ্যুত্থানের সনদ তৈরি করা হবে, যার ভিত্তিতে হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক নোট’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটা একটা ঐতিহাসিক নোট। আজকের ঘটনাটা ইতিহাসের, ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছিল ৩ অক্টোবর। সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৬ অক্টোবর। ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারীবিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমার কথা থাকলেও প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশনের মেয়াদ পরে বাড়ানো হয়। এর মধ্যে চার কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এগুলো হলো—নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৫ জানুয়ারি। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনে সরকারের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন কমিশনের সদস্যরা। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৩১ জানুয়ারি। এই দুই কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। চার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ১৫ জানুয়ারি বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে আসা সুপারিশগুলো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে কমিশনগুলোকে আরও এক মাস সময় দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যে আমরা একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হবো বলে মনে করি।
সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম ও প্রতিবেদন জমা দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সংস্কারের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস যে, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা শিগগির এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ডাকবেন, একটা সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব।
দ্রুত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের কথা এজন্য তাড়াতাড়ি বলি যে, নির্বাচন হলে দেশের সমস্যাগুলো চলে যাবে। এখানে একটা নির্বাচিত সরকার, তারা একটা পিপলস ম্যান্ডেট নিয়ে বসবে। তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) তো এখন বসতে পারেনি, তাদের মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাস (কনফিডেন্স) তো নেই। জনগণের ভাষাটা তো বুঝতে হবে, সেটা একটা নির্বাচিত সরকার সবচেয়ে ভালো বোঝে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কালবেলাকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে অনেক কমিশন করেছে, সেজন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। কমিশনের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা ব্যাপক পরিশ্রম করছেন। বিস্তৃত সুপারিশ দিয়েছেন। এজন্য ধন্যবাদ জানাই। দেশের কিছু কিছু সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশনগুলোর কাজ সম্পন্ন করতে আরও গতি দরকার, যা এখন কিছুটা স্লো বলে মনে করি। এ ক্ষেত্রে যেসব কমিশন রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে আমি মনে করি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মূল অংশীজন তথা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে সংলাপ হওয়া দরকার। এখানে বিলম্ব করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কালক্ষেপণ করা মোটেও ঠিক হবে না।
গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা সরকারের সংস্কার কমিশনের তৎপরতাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। এগুলো অনেক বছরের হোওয়ার্কের কাজ। এখন আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমাদেরও নিজস্ব সংস্কার ও অগ্রাধিকার বিষয় রয়েছে। আরও কিছু বিষয় আছে যেখানে সময় নিয়ে কথা বলতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন তো আমরা নির্বাচিত সংসদের ওপরে রাখতে চাই। সংস্কার বা পরিবর্তনের জন্য আমাদেরও তো আলাদা অঙ্গীকার রয়েছে। বাকি বিষয়ে একটা ঐকমত্য তৈরির জন্য সরকার কাজ করতে পারে। যেটুকু ঐকমত্য হবে তার ওপরই সরকার দাঁড়াবে। অবশ্য এগুলো দুই বা তিন মাসের মধ্যে করা যাবে, বিষয়টা এমন নয়। তবে এগুলো একটি মৌলিক কাজ হয়েছে, যা ভবিষ্যতে সংসদ এবং রাজনৈতিক দলের জন্য রেফারেন্স হয়ে থাকবে। সরকারের পুরো সংস্কার প্রক্রিয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশনের কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। একজন ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এটা আমাদের ৩১ দফার মধ্যে আছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনার বিষয়টিও কমিটমেন্ট আছে। ৭০ অনুচ্ছেদকে পরিবর্তন বা সংশোধন করা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি। আমরা মোট ১৪টি প্রশ্নে সংবিধান সংস্কার কমিশনকে জানিয়েছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে সাইফুল হক বলেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে—এমন অভিযোগ করতে চাই না। তবে সময়টা একটু লম্বা হচ্ছে। আমরা উদ্বিগ্ন। তবে সরকার, নির্বাচন কমিশনসহ সবাই কাজের গতি বাড়ালে দ্রুত করা সম্ভব। যেসব রিপোর্ট এসেছে সেসব নিয়েই ফেব্রুয়ারিতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা কালবেলাকে বলেন, চারটি কমিশন তাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। সেখানে দুদক সংস্কার কমিশন যা দিয়েছে যতটুকু দেখলাম তাতে নতুন কিছু আনেনি। বরং গতানুগতিক সুপারিশ। ন্যায়পালের কথা বলা হয়েছে তবে সেটি কার্যকর করা নিয়ে কিছু বলেনি। দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়োজন যোগ্য লোকদের যোগ্য স্থানে বসানো। পুলিশে সংস্কারের যেসব বিষয়ে বলা হয়েছে সেখানে দু-একটি জিনিস না করলেই নয়।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার বিষয়ে বেশি জোর দিতে চাই। নির্বাচন সংস্কারে কিছু অযৌক্তিক সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু বিষয় চলে এসেছে। ১৭ বছরে ভোটার এবং ২১ বছরে সংসদ সদস্য। যেখানে এটা প্রমাণিত যে, সাইকোলজিক্যাল ম্যাচিউরিটি ২৫ বছরের আগে আসে না। আর আমাদের মতো সমাজব্যবস্থায় সেটা আরও দেরিতে হয়। সেখানে এমন কচিকাঁচার এবং বালক-বালিকাদের দিয়ে যদি রাষ্ট্র চালানোর চিন্তা করে, সেটা হবে একেবারেই বুমেরাং।
এহসানুল হুদা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আমার মনে হয় সবচেয়ে বেশি রিপিট করা হয়েছে। বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্রের মধ্যে আমি তো পার্থক্য দেখি না। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদটাও বাদ দেওয়া হয়েছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার তো একই জিনিস। সেখানে ন্যায়বিচার বললে বুঝতে পারতাম যে উনারা সুশাসন, আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুতরাং আমার কাছে মনে হয় কিছু কিছু সুপারিশ করা হয়েছে বাস্তবতাবহির্ভূত। রাষ্ট্র চালানোর ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়। থিওরি ও প্র্যাকটিকাল এক নয়।
তিনি আরও বলেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ বাংলাদেশের মতো দেশে উচ্চ বিলাসিতা। আমি সমর্থন করি না। দেশের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইংরেজিতে নাম ঠিক রাখবেন আবার বাংলায় ভিন্নতা রাখবেন। সেটা তো প্রকৃত সংস্কার হতে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার উদ্দেশ্য হতে পারে। সরকার বলছে, তারা ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে।
এরই মধ্যে ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় ফের বৃদ্ধি করা হয়েছে। আবার সামনে রমজান মাস চলে আসছে। আমি মনে করি, সময়ক্ষেপণের ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার বারবারই বলছে দলগুলোর সঙ্গে বসবে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়েও তো মতৈক্য হয়নি। অথচ সরকার বলছে, সবার ঐকমত্য হয়েছে। এটি সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু নির্বাচন বিষয়ে বলেন, আমরাই প্রথম নির্বাচনের সময়সীমা ২ বছরের কথা বলেছিলাম। ঘুরেফিরে এখন সে বিষয়টিই আলোচিত হচ্ছে। কেউ কেউ প্রশ্ন করেন এই সরকারের ম্যান্ডেট কী? আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণঅভ্যুত্থান নিজেই একটি স্বতন্ত্র ম্যান্ডেট। জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকার গঠন করেছে, যার ফলে এটি জনগণেরই সরকার।
সংবিধানের মূলনীতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারকে যুক্ত করায় কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দেখলেই মনে আসত জনগণ মানেই প্রজা, যার ফলে শাসকরা রাজা বনে যেতেন। তাই আমরা এটা সংশোধন করতে জনগণতন্ত্র করার মত দিয়েছিলাম। এটা সংস্কার কমিশন গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার জন্য বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত কি না ভাবতে হবে। কারণ উন্নত রাষ্ট্রসমূহেও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করতে দীর্ঘ জটিলতায় পড়তে হয়। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা না করে এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় নারীদের সংরক্ষিত ৫০ আসনের পাশাপাশি আরও ৫০টি সংরক্ষিত আসন রেখে তা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন পেশাজীবীর জন্য উন্মুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছিলাম আমরা। নির্বাচনে প্রার্থীর বয়সের চেয়ে প্রার্থীর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি নির্ধারণকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।