বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
আলাউদ্দিন আরিফ
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪১ এএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পুলিশ সংস্কার পনেরো ক্ষেত্রে

বল প্রয়োগে মানতে হবে পাঁচ স্তর
পুলিশ সংস্কার পনেরো ক্ষেত্রে

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বল প্রয়োগের পাঁচটি স্তর অনুসরণ করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে ১৫ ক্ষেত্রে বেশকিছু সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন দাখিল করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনে পুলিশের বল প্রয়োগ, আটক ও গ্রেপ্তার, রিমান্ডে এবং জিজ্ঞাসাবাদ, জাতীয় পুলিশ কমিশন গঠন, মানবাধিকার সুরক্ষা, প্রভাবমুক্ত জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনী, যুগোপযোগী আইন, দুর্নীতির প্রতিকার, নারী ও শিশুদের সুরক্ষা, পুলিশের নিয়োগ বদলি পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। গত বছরের ৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। তিন মাসের বেশি সময় কাজ করে কমিশন প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। আজ সেটা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে কমিশন।

জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুলিশ। ভেঙে যাওয়া পুলিশ বাহিনীর জন্য সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। পুলিশের কিছু অপেশাদার সদস্যের অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি ও আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের দায় পড়ে পুরো বাহিনীর ওপর। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করার ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্য এবং তাদের নির্দেশদাতাদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ এটি কেবল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নয় বরং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং পুলিশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গঠনের জন্য অপরিহার্য। গণঅভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া সহিংসতা জনগণের মনে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও অবিশ্বাস তৈরি করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে পুলিশ-জনসম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে এটি ক্ষমতার অপব্যবহারের বৈধতা দেওয়ার সমান হবে, যা ভবিষ্যতে আরও দমনমূলক আচরণের পথ প্রশস্ত করতে পারে। সঠিক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি না দিয়ে এটি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, যা পুলিশ বাহিনীর মধ্যে দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি তৈরি করবে। একই সঙ্গে, এই পদক্ষেপ জনগণের কাছে একটি বার্তা দেবে যে, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এবং অন্যায় প্রতিরোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি পুলিশকে সত্যিকার অর্থে জনবান্ধব হয়ে উঠতে সহায়তা করবে। এ কারণে কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করার জন্য দোষী পুলিশ সদস্য ও তাদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

পুলিশের বল প্রয়োগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যে পাঁচ স্তরে বল প্রয়োগ করতে হবে তা হলো, পিআরবি ও জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুসারে প্রথম থেকে তৃতীয় স্তরে শারীরিক সংস্পর্শ ব্যতীত অবৈধ জনতাকে বাধা দেওয়া; নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা; বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে অবৈধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা।

চতুর্থ স্তরে প্রাণঘাতী বা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করা বিষয়ে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কৌশলে শক্তি প্রয়োগ করেও অবৈধ জনতা ছত্রভঙ্গ না হলে বরং আরও সংগঠিত হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। মারমুখী আচরণ করলে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটালে এবং পুলিশ ও সাধারণ জনগণকে আঘাত করে আহত করলে কমান্ডার তার সদস্যদেরসহ কভার নেবেন। ওয়াটার ক্যানন এপিসি ইত্যাদি ব্যবহার করবেন। স্পেসিফিক স্কিল প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। প্রয়োজনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে শটগান, সাউন্ড গ্রেনেড, ইন্ডিভিজ্যুয়াল ফায়ার আর্মস নির্দিষ্ট টার্গেটে ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করবেন। এ পর্যায়ে অবৈধ উচ্ছৃঙ্খল জনতার আক্রমণের কারণে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, শারীরিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় এবং কমান্ডার ও পুলিশ সদস্যদের এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দিতে হয়। কেউ আহত হলে কমান্ডার সঙ্গে সঙ্গেই অন্যসব কৌশল বন্ধ রেখে অ্যাম্বুলেন্সে আহত সদস্যদের ক্যাজুয়ালিটি ইভোকেশনের ব্যবস্থা করবেন।

এই স্তরে আত্মরক্ষামূলক কৌশল অবলম্বন বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, জনতার ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশকে একটি চরম ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং কেবল পুলিশ সদস্যদের বা ব্যক্তির আত্মরক্ষা বা সম্পত্তি রক্ষার অধিকার প্রয়োগের জন্য প্রযোজ্য হবে। পঞ্চম স্তরে দলগত আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বিষয়ে বলা হয়েছে, বেআইনি সমাবেশের দলনেতা ও অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এবং বারংবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বরং অবৈধ ঘোষিত জনতা নতুন শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নোক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করলে

যাতে দেহের বা সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়, এরূপ আক্রমণ, যা এমন যুক্তিসংগত আতঙ্ক সৃষ্টি করে যে প্রকারান্তরে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতই হবে অনুরূপ আক্রমণের পরিণতি, সাধারণ মানুষ বা পুলিশ সদস্যদের অপহরণ বা আটকের অভিপ্রায়ে আক্রমণ, গুরুতর প্রকৃতির অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধ করার জন্য যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে, বাসগৃহ বা সম্পত্তি সংরক্ষণের স্থানরূপে ব্যবহৃত হয় এমন ইমারত, ভবনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করলে; ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াও করে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যদের হতাহত করলে এবং জানমালের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করলে ইত্যাদি। বেআইনি জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে ক্রাউড কন্ট্রোল টেকনিকের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ব্যর্থ হলে যখন জানমাল ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে তখন চরম ব্যবস্থা হিসেবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে দক্ষ শুটার দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কালেক্টেভ ফায়ার আর্মস ব্যবহার করিয়ে আক্রমণকারীকে প্রতিহত করার জন্য গুরুতর আঘাত এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যেতে পারে। দেহ বা সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার অধিকার যুক্তিযুক্ত আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরম্ভ হয় এবং যতক্ষণ আতঙ্ক অব্যাহত থাকে ততক্ষণ বলবৎ থাকে। তবে কখনোই এই সশস্ত্র শক্তি প্রয়োগ প্রয়োজনের অতিরিক্ত আরোপ করা যাবে না এবং অবৈধ জনতা ও আক্রমণকারীরা ছত্রভঙ্গ হওয়ার প্রবণতা দেখালেই শক্তি প্রয়োগের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। এই পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে প্যারা মিলিটারি ও অন্যান্য ফোর্সের সাহায্য নিতে হবে।

আটক তল্লাশি ও গ্রেপ্তারবিষয়ক সুপারিশে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। আটক বা রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিকে কাচের ঘরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। বন্দিদের আদালতে আনা-নেওয়ার যানবাহনের মান উন্নত করতে হবে। নারী আসামিকে নারী পুলিশের উপস্থিতিতে শালীনতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তল্লাশির সময় পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় না দিতে চাইলে নাগরিক নিরাপত্তায় জরুরি কল সার্ভিস চালু করার কথা বলা হয়েছে। রাতে তল্লাশি করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি বা গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। কেস ডায়েরি আদালতে দাখিল করে আদালতের আদেশ ব্যতীত এফআইআর বহির্ভূত আসামি গ্রেপ্তার করা যাবে না। বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে দোষীসাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার সামনে কাউকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য সরাসরি সব পদক্ষেপ মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করতে হবে। পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে একটি মানবাধিকার সেল কার্যকর করতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য ট্রিপল নাইনে কল করে প্রতিকার পাওয়া যাবে। ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রভাবমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনীর জন্য পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে নীতিগত ঐকমত্য পোষণ করে। একটি সংবিধিবদ্ধ না সাংবিধানিক কাঠামো হবে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে।

জিডি ও মামলার বিষয়ে বলা হয়েছে, থানায় জিডি গ্রহণ বাধ্যতামূলক, কোনোক্রমেই জিডি প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। মামলার তদন্ত ব্যয় বৃদ্ধি ও ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত যাবতীয় ক্রমের থানায় বিশেষ বরাদ্দ ও ভাতার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ফৌজদারি মামলার তদন্তের জন্য বিশেষায়িত সেল গঠন করতে হবে। যাদের তদন্ত সংক্রান্ত ইউনিট ও থানা ব্যতীত অন্যত্র বদলি করা যাবে না। ভবিষ্যতে মামলা পরিচালনা ও তদন্ত একটি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের অধীনে পরিচালিত হবে। তারা ফৌজদারি মামলা প্রসিকিউশন সংক্রান্ত বিশেষ তদন্ত দল হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রধারী চাকরিপ্রার্থীদের স্থায়ী ঠিকানা অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা রহিত করা যেতে পারে। চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রহিত করে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংস্কার করা যেতে পারে। ভেরিফিকেশন সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

পুলিশের দুর্নীতি ও প্রতিকার বিষয়ে বলা হয়েছে, পুলিশের কাজকর্মে ইচ্ছাকৃত ব্যত্যয় বা পেশার দুর্নীতি রোধে ওয়াচডগ বা ওভারসাইট কমিটি গঠন করা যায়। এ ছাড়া প্রতিটি থানা বা উপজেলায় একটি সর্বদলীয় কমিটি গড়ে তোলা, যারা স্থানীয় পর্যায়ে ওভারসাইড বডি হিসেবে কাজ করবে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবে। পুরস্কার কাঠামোকে পুনর্মূল্যায়ন করা।

দুর্নীতি প্রতিরোধ শক্তিশালীকরণ বিষয়ে বলা হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা, বদলি পদায়নে সততাকে গুরুত্ব দেওয়া, কোনো থানার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া। সরকারি ক্রয়ে বলা হয়েছে থানায় বিবিধ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা, সদর দপ্তর ও ইন্সপেকশন শাখার মাধ্যমে ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়াদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

জিডির গ্রহণকালে আপত্তি বা কালক্ষেপণ ও কোনো দুর্নীতি হলে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের অধিকার ও শিশুদের সার্বিক সুরক্ষার বিষয়ে শিশু আইন পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। পুলিশের মধ্যে জেন্ডার ও চিলড্রেন সেনসিভিটি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট ও সাইকোলজিক্যাল টেস্টের আওতায় আনতে হবে। পুলিশ লাইন্স, থানা ক্যাম্প ও ব্যারাকে স্বাস্থ্যসম্মত ও মানবিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

নিয়োগ বদলি ও পদোন্নতি বিষয়ে বলা হয়েছে, সহকারী পুলিশ সুপার নিয়োগের ক্ষেত্রে সিভিল সার্ভিস রুলসহ প্রয়োজনীয় বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) সভায় আইজিপিকে বোর্ড সভায় রাখতে হবে। এসপি ও ওসিদের পদায়নের ক্ষেত্রে ফিটলিস্ট তৈরি করতে হবে। কনস্টেবল, এসআই ও এসআই পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে একবার উত্তীর্ণ হলে শারীরিক যোগ্যতা সাপেক্ষে তিন বছরের জন্য পদোন্নতিযোগ্য বিবেচনা করতে হবে। নারী পুলিশের সংখ্যা বর্তমানে ১৬ হাজার ৮০১ জন থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ২৯ হাজার ২৪৮ জন করতে হবে।

এ ছাড়া টাউন হলে সভা ও নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠন করতে হবে। ‘একদিন পুলিশ হয়ে দেখুন’ ইত্যাদি রোলপ্লের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুলিশের কাজ সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং, পুলিশের সেবামূলক ও জনবান্ধব কার্যক্রম বাড়াতে হবে।

বিবিধ পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কারাগার ও পুলিশ লাইন্সের মধ্যে যথাসম্ভব দূরত্ব কমাতে হবে। মাদক সংক্রান্ত অপরাধ দমনে ডাটাবেজ তৈরি করা ও বাংলাদেশ পুলিশের ক্রিমিনাল ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (ডিসিএমএস) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রবেশের সুযোগ দেওয়া অথবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জন্য আলাদা সিডিএমএস চালু করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হল বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

বুলডোজার দিয়ে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙা শুরু

পাবিপ্রবিতে শেখ মুজিবুর ও শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভেঙ্গে দিলেন শিক্ষার্থীরা

‘হাজারটা লাশ মাড়িয়েও যার একবিন্দু অনুশোচনা নেই...’

রাবিতে শেখ পরিবারের নাম মুছলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, নতুন নামে চার হল

সারজিস আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাস

জামায়াত আমিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস

এবার আ.লীগ নিয়ে বিএনপির নতুন অবস্থান

সার বিক্রিতে আ.লীগ নেতার অনিয়ম, অতঃপর... 

এবার সুধা সদনেও আগুন

১০

সৌদি আরবে বাংলাদেশি যুবক খুন

১১

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদদের রাষ্ট্রীয় খেতাব দেবে বিএনপি’

১২

সাংবাদিকদের ওপর হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

১৩

কুষ্টিয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো হানিফের বাড়ি

১৪

মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল, সম্পাদক মিন্টু

১৫

৩২ নম্বরের সর্বশেষ অবস্থা

১৬

১৫ বছরে ১৩ বার বদলি হন ডা. পলাশ

১৭

নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করুন : জামায়াত নেতা রফিকুল

১৮

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, খালেদা জিয়াকে স্মরণ করলেন ইলিয়াস

১৯

৩২ নম্বর ভেঙে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা পিনাকীর

২০
X