শেখ হারুন
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ এএম
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণে ‘আলিশান’ খরচ

মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণে ‘আলিশান’ খরচ

দেশে কতজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন, সরকারিভাবে তার পরিসংখ্যান নেই। তবে সাত বছর আগে ২০১৮ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। এতে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দেখানো হয় ৩৬ লাখ। তবে এই সাত বছরে মাদকাসক্তের সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন এই মাদকের বিস্তার ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান যেমন জরুরি, পাশাপাশি জরুরি মাদকাসক্তদের জন্য সঠিক চিকিৎসা। এই বাস্তবতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকাসক্ত রোগীর উন্নত চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ জীবনে ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা সাত বিভাগে ২০০ শয্যার সাতটি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ করবে। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে এর অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে। প্রস্তাবিত প্রকল্পে ভবন নির্মাণে ‘আলিশান’ খরচ ধরা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে বাড়তি ব্যয়সহ প্রকল্পের টাকায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের আবদার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনা সূত্রে জানা গেছে, সুরক্ষা সেবা বিভাগের উদ্যোগে ‘৭টি বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু ভবন নির্মাণে খরচ হবে ৬৫১ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এই ব্যয় প্রস্তাবকে অত্যধিক বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ১১ হাজার ৮৩৩ দশমিক ২৫ বর্গমিটার আবাসিক এবং ৪ হাজার ১৫২ দশমিক ২৭ বর্গমিটার অনাবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। আবাসিক ভবন নির্মাণে বর্গমিটার প্রতি খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ২২৯ টাকা। তবে সাধারণত ভালো মানের এ ধরনের ভবন নির্মাণে বর্গমিটার প্রতি খরচ হয় সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ভবন নির্মাণের এই ব্যয়কে অনেক বেশি বলে মনে করছেন ভবন নির্মাণ প্রকৌশলী ও পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ঢাকার বাইরে ৭ বিভাগে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ১ লাখ ১১ হাজার ৮৩৩ দশমিক ২৫ বর্গমিটার আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬২৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার ১৫২ দশমিক ২৭ বর্গমিটার অনাবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য খরচ প্রস্তাব করা হয়েছে ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আবাসিক ভবন নির্মাণে বর্গমিটার প্রতি খরচ হবে ৫৬ হাজার ২২৯ টাকা এবং অনাবাসিক ভবনের ক্ষেত্রে খরচ ৫৩ হাজার ৯০৪ টাকা।

তবে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভবন নির্মাণের এই ব্যয় অনেক বেশি। তাদের মতে, ভবন নির্মাণে সাধারণত বর্গমিটার প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয় ভিন্ন হতে পারে। খুব বেশি খরচ হলেও বর্গমিটার প্রতি সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। বেসরকারি খাতের নির্মাণ প্রকৌশলীরাও খরচের বিষয়ে প্রায় একই মত দিয়েছেন।

প্রকৌশলীদের তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ খরচের হিসাবে যদি বর্গমিটার প্রতি ৪৫ হাজার টাকা ধরা হয় তাহলে প্রস্তাবিত ১ লাখ ১১ হাজার ৮৩৩ দশমিক ২৫ বর্গমিটার নির্মাণে খরচ হওয়ার কথা ৫০৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর ৪০ হাজার টাকা ধরে হিসাব করলে খরচ হওয়ার কথা ৪৪৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অথচ খরচ প্রস্তাব করা হয়েছে ৬২৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বর্গমিটার প্রতি ৪০ হাজার টাকার হিসাবে ১৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ৪৫ হাজার টাকা ধরলে অতিরিক্ত প্রস্তাব করা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা।

অনাবাসিক ভবন নির্মাণেও অতিরিক্ত খরচ ধরা হয়েছে। প্রকৌশলীদের তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ৪ হাজার ১৫২ দশমিক ২৭ বর্গমিটার ভবন নির্মাণে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা হিসাবে খরচ হওয়ার কথা ১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর ৪০ হাজার টাকা ধরে হিসাব করলে ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অথচ খরচ চাওয়া হয়েছে ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৪০ হাজার টাকার হিসাবে ৫ কোটি ৭৮ লাখ এবং ৪৫ হাজার টাকা ধরলেও অতিরিক্ত চাওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ।

হিসাব অনুযায়ী, আবাসিক এবং অনাবাসিক ভবন নির্মাণ বাবদ ১৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। ভবন নির্মাণে সর্বোচ্চ খরচ করা হলেও প্রায় ১৩০ কোটি টাকা বেশি চাওয়া হয়েছে। শুধু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা নন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ভবন নির্মাণে এই ব্যয় প্রস্তাবকে অনেক বেশি বলে মনে করছে খোদ পরিকল্পনা কমিশনও।

শুধু ভবন নির্মাণে অত্যধিক ব্যয় প্রস্তাব করেই থেমে থাকেনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই বিধিনিষেধ মানেনি সংস্থাটি। নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণেরও আবদার করা হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় বিভাজন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশীয় এবং বৈদেশিক উচ্চ শিক্ষা বা বিদেশ ভ্রমণে ৫০ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।

এদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চলমান ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ১৬২ কোটি টাকায়। অথচ প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ব্যয় প্রস্তাব অনুযায়ী ৭টি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণে প্রতিটিতে খরচ হবে ২০০ কোটি টাকার বেশি। সেই হিসাবেও প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত ২০০ কোটির অধিক ব্যয় ধরা হয়েছে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, দেশের ৭টি বিভাগে মাদক নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় আবাসিক এবং অনাবাসিক ভবন নির্মাণে অনেক বেশি ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবনায় বেশ কিছু অসংগতিসহ অন্যান্য অনেক খাতেও অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে পিইসি সভায় আলোচনা করা হবে এবং ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার আলোচ্য প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে অনুষ্ঠিতব্য পিইসি সভায় ভবন নির্মাণে অত্যধিক ব্যয় প্রস্তাবসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাবের বিষয় প্রশ্ন তোলা হবে। একই সঙ্গে পিইসি সভায় অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অসংগতির ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে।

প্রকল্পের ব্যয় বিশ্লেষণ এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভবন নির্মাণ অত্যধিক ব্যয় প্রস্তাবের পাশাপাশি অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা নির্মাণেও অধিক খরচ ধরা হয়েছে। ৩২ হাজার ২১১ দশমিক ৯৭ বর্গমিটার অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা নির্মাণে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৯১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ অঙ্গের ব্যয় বর্গমিটার প্রতি ২৮ হাজার ৩৫৭ টাকা ধরা হয়েছে। এ ব্যয় অধিক মনে হওয়ায় পিইসি সভায় ব্যাখ্যা জানতে চাইবে পরিকল্পনা কমিশন। এদিকে, ৭টি বিভাগে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ করার প্রস্তাব করা করা হলেও কত বেজমেন্টের ওপর কত তলা ভবন নির্মাণ করা হবে, তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

ভবনের পাশাপাশি ভূমি উন্নয়নেও অধিক খরচ ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৭ লাখ ২১ হাজার ৯২ দশমিক ৩২ বর্গমিটার ভূমি উন্নয়নের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এই ব্যয় প্রস্তাবকেও অতিরিক্ত মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। এ ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ৩৭০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ অঙ্গের ব্যয় নির্ধারণে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সম্ভাব্য প্রাক্কলন নেওয়া হয়েছে কি না সেটাও পিইসি সভায় জানতে চাওয়া হবে।

অর্থবিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমানে গাড়ি কেনা বন্ধ থাকলেও আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় ৭টি জিপ গাড়ি, ৭টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ৭টি মাইক্রোবাস কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২১টি গাড়ি কেনার জন্য ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালকের অফিস, হাসপাতালের অফিস এবং হাসপাতালের আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সামগ্রী বাবদ ২১ কোটি ৭১ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হলেও কোনো ব্যয় বিভাজন এবং আসবাবপত্রের স্পেসিফিকেশন ডিপিপিতে সংযুক্ত করা হয়নি।

এ ছাড়া ভবনের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার জন্য ৭ কোটি ৫২ লাখ, অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা খাতে ১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, অফিস ভাড়া বাবদ ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৭ সেট সিসিসি ক্যামেরা বাবদ ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মাটি ও উপকরণ পরীক্ষা ও ডিজিটাল সার্ভের জন্য ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৬টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ১৭টি ল্যাপটপ, ৫৬টি প্রিন্টার, ৩৮টি টেলিফোন সেট ও ১২টি ফটোকপিয়ার, স্ক্যানার এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনার কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু কী কাজে কত টাকা খরচ হবে, প্রকল্পের আওতায় এতগুলো কেনার যৌক্তিকতা রয়েছে কি না, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, মাদক নির্ভরশীলতা একটি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা। দেশে বর্তমানে মাদকাসক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৪টি সরকারি এবং ৩৮১টি বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে, যা দেশে মোট রোগীর চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। মাদকাসক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে আধুনিক মানসম্পন্ন নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। তাই সরকারি নিরাময় পুনর্বাসন কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসার সেবা বৃদ্ধির জন্য আলোচ্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে দেশের মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম জনবলে পরিণত করা এবং তাদের বিনোদনমূলক কার্যক্রম এবং ধর্মীয় মোটিভেশনের মাধ্যমে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।

বিষয়টি অবহিত করে মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক পরিকল্পনা সচিব মো. মামুন আল রশীদ কালবেলাকে বলেন, এ ধরনের প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণের প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি বর্তমানে প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের উচিত হবে বিদেশ ভ্রমণ বাদ দিয়ে দেওয়া। এ ছাড়া আলোচ্য প্রকল্পের ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি ভালোভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত। গণপূর্তের রেট শিডিউল অনুযায়ী দর বিশ্লেষণে অতিরিক্ত টাকা বাদ দিতে হবে, ব্যয় বাড়িয়ে ধরলে অনুমোদনের কোনো সুযোগ নেই।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমানে অর্থনীতিতে টানাপোড়েন আছে। এ অবস্থায় জনগণের করের টাকায় আলিশান খরচ করা ঠিক নয়। প্রকল্প প্রস্তাবের আগে দেখেশুনে করা উচিত। প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত খরচ প্রস্তাব করে অপচয় করার সুযোগ নেই। টাকা থাকলেও অপ্রয়োজনী খরচ করা যাবে না, যতটুকু প্রয়োজন তার বেশি খরচ করা ঠিক হবে না। বিষয়গুলো আরও বেশি তদারকি করা প্রয়োজন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের নাম তালিকাভুক্ত করার সময় নির্ধারণ 

নতুন করে আফগানিস্তানের মন জয়ের চেষ্টায় ভারত

রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিমি যানজট

আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরির সুযোগ, বেতন ১ লাখ ৮৩ হাজার

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া রুটে বাস চলাচল শুরু

জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

স্মার্টফোনের জন্য বাবা-ছেলের আত্মহত্যা

কুষ্টিয়ায় জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা

শিক্ষক-কর্মচারীদের মারধরের মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১০

ভাগ্যে কী আছে, জেনে নিন রাশিফলে

১১

এবার পুরোপুরি বন্ধ হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

১২

রুশ তেলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে ভারত-চীন

১৩

আনন্দ মোহন কলেজে সংঘর্ষের পর হল বন্ধ ঘোষণা

১৪

রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

১৫

বাবা হারালেন নির্মাতা রায়হান রাফী

১৬

দাবানলে মৃত্যু বাড়ল, সতর্কতা আগামী সপ্তাহেও

১৭

রাজধানীতে যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া

১৮

পঞ্চগড়ে কমছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা বেড়ে ১৩ ডিগ্রি

১৯

জবির সাজিদ একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অনশন

২০
X