দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ ওঠায় যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন। এখনই তার সংসদ সদস্যপদ যাবে না, যদি না তিনি নিজ থেকে পদত্যাগ করেন। তার সংসদ সদস্যপদ যাওয়া দীর্ঘ তদন্ত ও প্রক্রিয়াগত বেশকিছু বিষয় রয়েছে, যা অনেকটা সময়সাপেক্ষ। কালবেলাকে এমন অভিমত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ। এরই মধ্যে টিউলিপ নিজেই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নিয়োগ করা সুনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসকে চিঠি দিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাৎ করার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ বিলিয়ন মার্কিট ডলার পাচার করা হয়েছে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ব্রিটেনের মন্ত্রিপরিষদ দপ্তরের প্রোপ্রাইটি অ্যান্ড ইথিকস দলের সদস্যরা ওই অভিযোগ নিয়ে এরই মধ্যে টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন। সেখানে ওই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক।
রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির অনুসন্ধানের মধ্যেই টিউলিপ সিদ্দিক আব্দুল মোতালিফ নামে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ও তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ব্যারিস্টার মঈন গণি নামে এক আইনজীবীর কাছ থেকে বিনামূল্যে লন্ডনের অভিজাত এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট নেওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসে। এতে আরও চাপে পড়েন টিউলিপ। এই অবস্থায় গতকাল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) টিউলিপ সিদ্দিক ও তার ভাই রেদোয়ানা সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটকাণ্ডের ঘটনায় টিউলিপ সিদ্দিককে পদত্যাগ করতে হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সরকারি সফরে চীন যাওয়ার কথা ছিল টিউলিপের। কিন্তু টিউলিপকে চীন সফরে যাওয়ার পরিবর্তে যুক্তরাজ্যেই থাকতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, এসবের তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে টিউলিপকে।
টিউলিপের এমপি পদ থাকবে কিন না জানতে চাইলে লন্ডনের নিউহ্যাম কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি স্পিকার নাজির আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তাতে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ মারাত্মক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, যা তার বিরুদ্ধে চরম নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে। তার এমপি পদ যাওয়া জটিল প্রক্রিয়া। ব্রিটেনে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, তা হলো কোনো মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে গুরুতরও অভিযোগ উঠলে তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন। এ ক্ষেত্রে টিউলিপ নিজ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। যদি তিনি পদত্যাগ না করেন, তাহলে তার নিজ দল লেবার পার্টি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি স্বতন্ত্র এমপি থাকবেন। আর তদন্ত শেষে অপরাধ প্রমাণ হলে তাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার বা অপসারণ করা হতে পারে। এই প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ।’
ব্রিটেনের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল মসনুর শাহজাহান কালবেলাকে বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি (টিউলিপ) পদত্যাগ করতে পারেন বা দল থেকে পদত্যাগে চাপ প্রয়োগ করা হতে পারে। তাকে অপসারণও করা হতে পারে। তার মন্ত্রিত্ব বাংলাদেশিদের জন্য একটি মর্যাদার বিষয়। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উঠেছে, তা সত্য হলে সেটি নৈতিকতাবিরোধী কাজ বলে আমি মনে করি। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে তাকে সরে দাঁড়ানো উচিত।’
আইনজীবী ফোরাম ইউকের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফেন্দি বলেন, ‘টিউলিপের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উঠেছে। এ দেশে (ব্রিটেন) সামান্য অভিযোগের কারণে অনেক প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো আইনিভাবে মোকাবিলা করা উচিত।’
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব টিউলিপ পালন করছেন। মুদ্রা পাচার এবং সন্দেহভাজন অর্থায়ন বন্ধ করাও টিউলিপের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এখন তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগ ওঠায় তাকে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টিউলিপ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসকে চিঠি দিয়েছেন। ব্রিটেনের জনগণকে সেবা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া মন্ত্রীদের জীবনযাপন, চলাফেরা কেমন হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে বিধিমালা ঠিক করেন লরি ম্যাগনাস। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর তাকে ‘ইনডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস’ হিসেবে নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করেন। তাকে চিঠি দেওয়ার মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক ‘সম্পূর্ণ সঠিক কাজ করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার।
দ্য টেলিগ্রাফের এক খবরে বলা হয়েছে, নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে কার্যত ‘আত্মসমর্পণ’ করলেন টিউলিপ। গত সোমবারই ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট টিউলিপের ‘আত্মসমর্পণের’ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ব্রিটিশ প্ৰধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র বলছে, লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তি ব্যবহার ঘিরে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীদের স্বার্থ সম্পর্কিত স্বাধীন উপদেষ্টার কাছে রেফার করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের কাজ আর্থিক বাজারের দুর্নীতি রোধ করা। ম্যাগনাসকে লেখা চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে পুরোপুরি ‘নির্দোষ’ দাবি করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সন্দেহ এড়ানোর জন্য, আমি চাই আপনি স্বাধীনভাবে এই সম্পর্কে তথ্য যাচাই করুন।’
এদিকে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, সরকারি সফরে চীন যাওয়ার কথা ছিল টিউলিপের। কিন্তু টিউলিপকে চীন সফরে যাওয়ার পরিবর্তে যুক্তরাজ্যেই থাকতে বলা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, এসবের তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে টিউলিপকে। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ বলেছেন, ‘কীভাবে সম্পদ গড়েছেন, সেটি টিউলিপের এখনই প্রকাশ করার সময়। তার খালার করা দুর্নীতি থেকে এই সম্পদের কোনো কিছু এসেছে কি না, সেটি তদন্ত করা উচিত।’
এর আগে গত শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে টিউলিপের মালিকানায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০০৪ সালে তাকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাটটি দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামে এক আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেক সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের খবরে বলা হয়, লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিকের বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তীকে বিনামূল্যে আরেকটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন মঈন গণি নামে এক আইনজীবী। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মালিকানায় থাকা বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটে টিউলিপ ও তার পরিবারের বসবাসের খবর পাওয়া গেছে।
সম্পত্তি নিবন্ধকের দপ্তরের এক নথির বরাত দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে লিখেছে, লেবার সরকারের আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ ২০০৪ সালে কিংস ক্রসের কাছে দুই বেডরুমের ওই ফ্ল্যাট বুঝে নেন এবং সেজন্য তাকে কোনো অর্থ দিতে হয়নি। আবদুল মোতালিফ ২০০১ সালে ফ্ল্যাটটি যখন কেনেন, তখন দাম পড়েছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড। ওই ফ্ল্যাট এখনো টিউলিপের মালিকানায় রয়েছে। কিন্তু তার সম্পদ বিবরণীতে বিষয়টির উল্লেখ নেই।
সম্পত্তি নিবন্ধকের দপ্তরের এক নথি বলছে, টিউলিপ যখন ওই ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছিলেন, তখনো তিনি এমপি হননি। ফলে সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা তার ছিল না। এমপি হওয়ার পর ২০১৮ সালে তিনি ৯০ হাজার পাউন্ডে কিংস ক্রসের ওই ফ্ল্যাটের লিজ নবায়ন করেন। পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী এলাকা হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে স্বামীর সঙ্গে মিলে আরেকটি ফ্ল্যাট তিনি কেনেন। কোনো বাসার জন্যই এখন তার কোনো কিস্তি বাকি নেই। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া বাবদ যে অর্থ টিউলিপ পান, সেই তথ্য সম্পদ বিবরণীতে প্রকাশ না করায় গত বছর তাকে সংসদীয় কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।
২০১৫ সালে এমপি হওয়ার আগে টিউলিপ কয়েক বছর কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে এবং ফিলিপ গৌল্ড অ্যাসোসিয়েটসে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছিলেন। টিউলিপ ব্রিটিশ লেবার পার্টির সঙ্গে আছেন ১৬ বছর বয়স থেকে। আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ শাখা এবং দলের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণী কাজেও তার সম্পৃক্ততার তথ্য দেখা যায় লেবার পার্টির এক ব্লগ পোস্টে। টিউলিপের নির্বাচনী প্রচারাভিযানেও আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার নেতাকর্মীদের কাজ করতে দেখা গেছে।
২০১৫ সালে শেখ হাসিনার সম্মানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে টিউলিপ বলেছিলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা না পেলে আজ আমি ব্রিটিশ এমপি হতে পারতাম না।’
মঈন গণি ও মোতালিফ সম্পর্কে কৌতূহল: টিউলিপ ও তার বোন রূপন্তীকে ফ্ল্যাট উপহার দেওয়া ব্যারিস্টার মঈন গণি ও আবাসন ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালিফ সম্পর্কে জনমনে নানা কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। মঈন গণি সম্পর্কে জানা গেছে, তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তিনি ‘অ্যালায়েন্স ল’ নামে যুক্তরাজ্যের একটি আইনি পরামর্শক সংস্থার অংশীদার। ২০০৫ সালে লিংকনস ইন থেকে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের বারে যোগ দেন। মঈন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব আরবিট্রেশনের সদস্য। আইসিসি আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একটি সালিশি প্রতিষ্ঠান। এর আগে ব্যারিস্টার মঈনকে ২০২১-২৭ মেয়াদের জন্য বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটস প্যানেলে বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নিযুক্ত করেছিল সরকার। মঈন গণি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশের (সিপিজিসিবিএল) পরিচালক। বিভিন্ন সময় মঈন গণিকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গেছে। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে মামলা পরিচালনা করেন।
অন্যদিকে টিউলিপ সিদ্দিককে ফ্ল্যাট উপহার দেওয়া আব্দুল মোতালিফ সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে জানা গেছে, তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত একজন ব্রিটিশ নাগরিক। তার জন্ম ১৯৫৪ সালের নভেম্বর মাসে। তিনি বিলুপ্ত দুটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই দুটি হলো ওকস কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং এএম প্রোপার্টি সার্ভিস। তার পেশা ছিল কোম্পানি পরিচালনা। এসব কোম্পানির মাধ্যমে আবাসন ও নির্মাণ খাত আছে। লন্ডনে শেখ রেহানা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার যাতায়াত রয়েছে। লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিককে যে ফ্ল্যাট উপহার দেন, সেই ফ্ল্যাট তিনি প্রথমে ব্যারিস্টার মঈন গণিকে থাকতে দিয়েছিলেন। পরে সেটি টিউলিপের নামে স্থানান্তর করেন। এই লেনদেন মোতালিব, ব্যারিস্টার মঈন ও শেখ হাসিনার পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যেও কৌতূহল তৈরি করেছে।